Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইতিহাস কথা বলে ......... (অতিতের সচিত্র ইতিহাস)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    হায় উম্মাহ !!!!!! হায় উম্মাহ!!!!!!!
    ১৯৪০ সালের লিবিয়ার ত্রিপলি শহর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে লিবিয়ান মুসলিম রমণীগণ ইতালীয় সেনাবাহিনীর নির্দেশে ফাঁসির রশি থেকে নিজেদের স্বামীর লাশ নামাচ্ছেন। তাঁদেরকে ইতালীয় সেনাবাহিনীর নির্দেশে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অপরাধ হচ্ছে তাঁরা লিবিয়াতে ইতালীয় সেনাবাহিনীর আগ্রাসনকে মেনে নিতে পারেননি।

    উম্মাহর গাদ্দারদের কারণে আমরা আমাদের এই ভাইদের উপর পরিচালিত এই বর্বরতার জবাব দিতে পারিনি। এই ইতালি কি এখন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে লিপ্ত নয়???? এরা কি ইসলামের শত্রু ন্যাটো জোটের সদস্য নয়?????
    হে উম্মাহ! আমাদের হুশ কবে ফিরবে?????? বারবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে, তারপর-ও আমরা কবে সজাগ হবো?
    হায় এই ঘুমন্ত জাতির নিদ্রা কবে ভাঙ্গবে???????

    Comment


    • #17
      আল আকসা হচ্ছে এমন দুলহান, যার মহর হচ্ছে আমাদের রক্ত!

      ১৯৬৭ সালের আজকের এই দিনে আমাদের প্রথম কেবলা আল আকসাকে ইহুদিরা জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছিল। এবং ধ্বংস করে ফেলতে চেয়েছিল। তাঁর বিশাল একটি অংশ পুড়ে গিয়েছিল। আজ তাঁর ৪৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে। আজো আমাদের আকসা মানবতার দুশমন ইহুদিদের দখলে রয়েছে। বারবার ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানেরা গাদ্দারদের হাতে ধোঁকা খেয়ে যাচ্ছে। উম্মাহর কথিত রাহবারেরা এই নিয়ে টু শব্দ-ও করছেনা। কিন্তু আল কায়েদার মুজাহিদগণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন আল আকসার দখল ফিরিয়ে আনার। এবং ডেকে বলছেন হে আকসা! আমরা আসছি......
      ইনশা আল্লাহ ইমাম মাহদি ও ইসা আঃ এর বাহিনী প্রস্তুত হচ্ছে, তাঁরা আল আকসায় গিয়েই তবে ক্ষান্ত হবেন।
      হিন্দুস্তান থেকে আমরা... হে আকসা আমরা আসছি!...

      আল আকসা জ্বলছে...








      Comment


      • #18




        Comment


        • #19




          Comment


          • #20
            mashaallah onek upokari post..evabe continue rakhen akhi.

            Comment


            • #21
              ভাই পিকচার গুলো আপনার সংগ্রহে রাখুন যাতে লিংক ডিলিট হয়ে গেলে আবার দিতে পারেন।
              ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

              Comment


              • #22
                হা হা হা !!!!!!!!!
                উনিশ শতকের এক ইংরেজ নারীবাদী । ১৯০৩সালে ভারতের ব্রিটিশ লর্ড একজন বাঙ্গালী (মুসলিম নাকি অমুসলিম জানা নেই) নারীর পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
                আফসোস সেই সাদা চামরার ভল্লুকেরা আমাদের নারী জাতিকে অধিকার শিখাচ্ছে। কি নির্মম পরিহাস!!! আর আমাদের নারীরা এই সাদা চামরার কুত্তাদের থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছে। এই ভল্লুকেরা তাঁদের নারী অবমাননার স্বরূপ পাল্টে ফেলে নতুন রুপে নানা পথ ও পদ্ধতি বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু কে বুঝাবে আমাদের জাতিকে যে, তোমরা যাদেরকে মানবাধিকার, নারী অধিকার, নারী মুক্তির ত্রাণকর্তা মনে করছ, আসলে এরা তো সেই জাতি, যারা বাহন থাকা সত্ত্বেও নারীদের পিঠে চড়ে ভ্রমণ করে।
                আজো যারা নারী অধিকার নিয়ে চেঁচামেচি করছে, আসলে এরা নারী অধিকার বা নারী মুক্তি নয়, এরা নারীদের জন্য দুনিয়াকে জাহান্নাম বানিয়ে রাখছে। এরা নারীদের মূলত কাফেরদের দাসি বানিয়ে রাখছে। এরা নারীদের পর্দা ও তাঁর ঘর থেকে রাস্তায় বের করে আনার আন্দোলন করছে, কিন্তু কোন নারী যখন তাঁর ধর্মীয় বিধান পালনে বাঁধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তখন এদের মুখে কোন শব্দ থাকেনা। কেমন অধিকার প্রাপ্য শুধু পতিতাদের, পর্দানশিন নারীদের নয়!!!!!
                হায় আফসোস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


                Comment


                • #23
                  জানোওয়ারের চরম এরা ।
                  আল্লাহ তাআলার কথা- বাল হুম আদাল্ল
                  ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                  Comment


                  • #24
                    ইতিহাসের উচিত শিক্ষা!!
                    ইতালীয় ক্রুসেডর মুসেলিনি শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহকে ফাঁসি দিয়েছিল, শায়েখ শির সমুন্নত রেখে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছেন। পক্ষান্তরে মুসেলিনিকে তাঁর জনগণ উল্টো করে ঝুলিয়ে মেরেছিল।
                    আল্লাহু আকবার!!!!!!!!! প্রত্যেক তাগুত মুরতাদের এমনি দশা হবে। ওরা আমাদের ভাইদের ও বোনদের গ্রেফতার ও হত্যা করছে, আর আমাদের ভাই ও বোনেরা শির উঁচু সমুন্নত রেখে তা বরণ করে নিচ্ছেন, কিন্তু যখন ওরা জনতার হাতে পড়বে, জনগণ ওদের ঠিক উল্টো করে ঝুলিয়ে মারবে। আর সেই দিনটি খুব বেশি দূরে নয়!


                    Comment


                    • #25
                      অভিশপ্ত খোমেনি তার মরার পূর্বে বলেছিল- যে তার জানাজা থেকে পড়ে যায়, সে জাহান্নামি-
                      আল্লাহু আকবার! এই খোমেনি তার জানাজা থেকে ৩ বার পড়ে গিয়েছিল,।
                      আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক যুগের কাজ্জাবদের এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকেন, কিন্তু যাদের অন্তরে মহর মারা হয়েছে, তারা আর কি এটা বুঝবে?


                      Comment


                      • #26
                        ১৮৮৬ সালে এক আমেরিকান সেনার মানবাধিকার ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি জলন্ত নমুনা!
                        এরা-ই হচ্ছে মানবতার ধ্বজাধারী!
                        ১৮৮৬ সালে এক আফ্রিকান শিশুর পীঠকে চেয়ার বানিয়ী বসে দাফতরিক কাজ করছে এক আমেরিকান সেনা। এটাই হচ্ছে এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার একটি নমুনা। এরা এই ধরণের মানবাধিকার পৃথিবীর সবখানেই প্রতিষ্ঠা করছে। আর এদের চামচামি করে যাচ্ছে তাগুত শাসক ও তাদের রক্ষাকারী বাহিনী। সুতরাং আপনি এই মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের হাত থেকে তাদেরই বানানো গণতান্ত্রিক সিস্টেমে মুসলিম ভূমিগুলো মিটিং মিছিল করে উদ্ধার করবেন? আপনার চাইতে বোকা আর কে হতে পারে?

                        এদের হাত থেকে মুসলিম ভূমিগুলো রক্ষা করার কার্যকরী সিস্টেম হচ্ছে জিহাদ! জিহাদ!! জিহাদ!!! আল কায়েদা উপমহাদেশের মুজাহিদগণ আপনাকে সেই পথেই আহবান করছে।

                        Comment


                        • #27
                          ওয়া ইসলামাহ!!!!!!!!!!!!!!
                          আমাদের বাগদাদ ছাড়তে হয়েছিল, যখন হালাকু খান হামলে পড়েছিল। আমরা আন্দালুস ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম, যখন খ্রিস্টানেরা তা দখল করে নিয়েছিল। আমরা ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত হয়েছি, যখন ইহুদিরা আমাদের ভূমিগুলো কেড়ে নিয়েছিল। সর্বশেষ আমাদের দারিয়া ছাড়তে হল।
                          হায় উম্মাহর দায়িত্বশীল দাবীদারেরা আজ কোথায়? তাঁদের কাছে জানতে চাই, আর কত ভূমি ছাড়তে হলে আমাদের উপর জিহাদ ফরজ হবে? আর কত মুসলমান নিজের ভূমি থেকে বিতাড়িত হলে জিহাদ ফরজ হওয়ার ফাতাওয়া দিবেন??????
                          হায়! উম্মাহর ভূমিগুলো কাফেররা কেড়ে নিচ্ছে, আর আমরা দিব্বি নাক ডেকে ঘুমিয়ে যাচ্ছি।

                          এই ঘুমন্ত জাতির নিদ্রা কবে ভাঙ্গবে??????????????


                          আমাদের বাগদাদ ত্যাগের দৃশ্য।



                          আমাদের আন্দালুস ত্যাগের ছবি



                          হায়! ফিলিস্তিন! আমরা আসছি.........



                          আমাদের দারিয়া ত্যাগ! কবে ফিরবো এখনো জানিনা।

                          Last edited by umar mukhtar; 08-28-2016, 08:51 AM.

                          Comment


                          • #28
                            আমাদের দারিয়া ত্যাগ! কবে ফিরবো এখনো জানিনা।
                            জিহাদ যেহেতু শামে এখন তুঙ্গে । আশা করি ফিরতে বেশি সময় লাগবে না।
                            আর মুহাজিররা আশ্রয় নিয়েছেন জাইশুল ফাতহের ইদলিবে । তাই জাইশুল ফাতহের সাহায্য নিয়ে ওরা আবারো আপন শহর দারাইয়্যাতে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।
                            Last edited by tipo soltan; 08-28-2016, 09:29 AM.
                            ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                            Comment


                            • #29
                              Originally posted by tipo soltan View Post
                              জিহাদ যেহেতু শামে এখন তুঙ্গে । আশা করি ফিরতে বেশি সময় লাগবে না।
                              আর মুহাজিররা আশ্রয় নিয়েছেন জাইশুল ফাতহের ইদলিবে । তাই জাইশুল ফাতহের সাহায্য নিয়ে ওরা আবারো আপন শহর দারাইয়্যাতে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।
                              মহাযুদ্ধের যুগে শামের অবস্থা কেমন হবে আর ওখানে কী ভয়ঙ্কর লড়াই হবে সে ব্যাপারে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসে জানা যায়। তিনি বলেন, ‘এমন একটি পরিস্থিতির উদ্ভব না হওয়া পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যখন উত্তরাধিকারও বণ্টিত হবে না, গনিমতের জন্য আনন্দও করা হবে না।’ এরপর তিনি সিরিয়ায় দিকে আঙ্গুল তুলে এর ব্যাখ্যা প্রদান করলেন। বললেন, ‘সিরিয়ার ইসলামপন্থীদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বিরাট এক বাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ইসলামপন্থীরাও তাদের মোকাবেলায় প্রস্তুত হয়ে যাবে।’
                              বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি কি রোমানদের (খ্রিস্টানদের) কথা বলতে চাচ্ছেন?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন, ‘হ্যাঁ, সেই যুদ্ধটি হবে ঘোরতর। মুসলমানরা জীবন বাজি রেখে লড়বে। তারা প্রত্যয় গ্রহণ করবে, বিজয় অর্জন না করে ফিরবে না। উভয়পক্ষ লড়াই করবে। এমনকি যখন রাত উভয়ের মাঝে আড়াল তৈরি করবে, তখন উভয়পক্ষ আপন আপন শিবিরে ফিরে যাবে। কোনো পক্ষই জয়ী হবে না। এভাবে একদল আত্মঘাতী জানবাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর আরেকদল মুসলমান মৃত্যুর শপথ নেবে, হয় বিজয় অর্জন করব, নয়ত জীবন দিয়ে দেব। উভয়পক্ষ যুদ্ধ করবে। রাত তাদের মাঝে আড়াল তৈরি করলে চূড়ান্ত কোনো ফলাফল ছাড়াই উভয়পক্ষ আপন আপন শিবিরে ফিরে যাবে। এভাবে মুজাহিদদের এই জানবাজ দলটিও নিঃশেষ হয়ে যাবে। তারপর আরেকদল মুসলমান শপথ নেবে। হয় জয় ছিনিয়ে আনব, নতুবা জীবন বিলিয়ে দেব। তারা পর্যন্ত যুদ্ধ করবে। রাত নেমে এলে উভয়পক্ষ জয় না নিয়ে শিবিরে ফিরে যাবে। এই জানবাজ দলটিও নিঃশেষ হয়ে যাবে।
                              চতুর্থ দিন অবশিষ্ট মুসলমান যুদ্ধের জন্য শত্রুর মোকাবেলায় দাঁড়িয়ে যাবে। এবার আল্লাহ শত্রুপক্ষের জন্য পরাজয় অবধারিত করবেন। মুসলমানরা ঘোরতর যুদ্ধ করবে। এমন যুদ্ধ যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে, মৃতের পাশ দিয়ে পাখিরা উড়বার চেষ্টা করবে; কিন্তু মরদেহগুলো এত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকবে কিংবা লাশগুলো এত দুর্গন্ধ হয়ে যাবে, পাখিগুলোও মরে মরে পড়ে যাবে। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈন্যদের পরিজন তাদের গণনা করবে। কিন্তু শতকরা একজন ব্যতীত কাউকে জীবিত পাবে না। এমতাবস্থায় গনিমত বণ্টনে কি কোনো আনন্দ থাকবে? এমতাবস্থায় উত্তরাধিকার বণ্টনের কি কোনো সার্থকতা থাকবে?
                              পরিস্থিতি যখন এই দাঁড়াবে, ঠিক তখন মানুষ আরো একটি যুদ্ধের সংবাদ শুনতে পাবে, যা হবে এর চেয়েও ভয়াবহ। কেউ একজন চিৎকার করে সংবাদ ছড়িয়ে দেবে, দাজ্জাল এসে গেছে এবং তোমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে তোমাদের পরিবার-পরিজনকে ফেতনায় নিপাতিত করার চেষ্টা করছে। শুনে মুসলমানরা হাতের জিনিসপত্র সব ফেলে দিয়ে ছুটে যাবে। দাজ্জালের আগমনের সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তারা দশজন অশ্বারোহী প্রেরণ করবে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি এই দশ ব্যক্তির নাম, তাদের পিতার নাম, তাদের ঘোড়াগুলোর কোনটির কী রং তাও জানি। সে যুগে ভূপৃষ্ঠে যত অশ্বারোহী সৈনিক থাকবে, তারা হবে তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সৈনিক।’
                              (সহিহ মুসলিম, খ- ৪, পৃষ্ঠা ২২৩; মুসতাদরাকে হাকেম, খ- ৪, পৃষ্ঠা ৫২৩; মুসনাদে আবি ইয়া’লা, খ- ৯, পৃষ্ঠা ২৫৯)

                              আরও জানতে পড়ুন
                              https://dawahilallah.in/showthread.p...A7%8D%E0%A6%AC

                              https://dawahilallah.in/showthread.p...A7%8D%E0%A6%AC

                              https://dawahilallah.in/showthread.p...A7%8D%E0%A6%AC

                              Comment


                              • #30
                                আজকের এই দিন ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মরুসিংহ শাইখুল মুজাহিদিন উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহর শাহাদাত দিবস। ইতালীয় ক্রুসেডর মুসেলিনি শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহকে ফাঁসি দিয়েছিল
                                "যেই শাহাদত আঙ্গুলি দিয়ে আমি প্রতিদিন সাক্ষ্য দেই যে এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই। সেই আঙ্গুল মিথ্যা কোন কথা লিখতে পারবে না। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আত্মসমথর্পণ করি না। হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাতাদ।"
                                - শহীদ উমর মুখতার (রহ)


                                উমর মুখতার (১৮৬২-১৬ সেপ্টেম্বর,১৯৩১)। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে যিনি ইউসুফ বিন তাশফিন হয়ে মুসলমানদের আজাদীর জাহাজ হাকিয়ে ছিলেন ধু ধু মরুর বুকে তিনি হলেন উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ। লিবিয়ার এক নির্যাতন ক্যাম্পে হাজার হাজার বন্দী ভক্ত-শুভাকাংখীদের সামনে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করে ইতালীর ক্রুসেডর দখলদার বাহিনী।

                                ওসমানীয় খেলাফতের পতনের পর লিবিয়ায় দখলদারিত্ব কায়েম করে মুসোলিনির ইটালি। চলতে থাকে অসভ্যতা-বর্বরতা আর অন্যায় জুলুম।তপ্ত মুরুর বুকের অসহায় মানুষগুলো ধুকে ধুকে মরছিল বিভিন্ন নির্যাতন ক্যাম্পে, তখন সিংহের মত গর্জন করে মুসোলিনির কুকুরদের সামনে এসে দাড়ালেন আল্লাহর এক বান্দা। তিনিই উমর মুখতার (রহ.)। যিনি গর্জন করলে রোম পর্যন্ত কেপে উঠত।
                                ১৯১১ তে তার মাতৃভূমি আক্রান্ত হলে দলবল এবং ছাত্রদের নিয়ে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়লেন।সিংহের মত দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন মুসোলিনির জালেম অফিসারদেরকে। একসময় রোমে শুধু একটি নামই উচ্চারিত হতো, উমর মুখতার ! লিবিয়ার মুক্তিকামী মুসলমান বেদুঈনদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন এই সাদামাটা কিন্তু ভয়ংকর লোকটি।

                                ইতালীয় ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে শায়েখের প্রায় ২০ বছরব্যাপী লড়াই ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তার প্রেপ্তারের মাধ্যমে সমাপ্তি লাভ করে। স্লোনটার নিকটে যুদ্ধে তিনি আহত অবস্থায় প্রেপ্তার হন।
                                মাত্র তিন দিনের মধ্যেই শায়েখের বিচার সম্পন্ন হয়। বিচারে শায়েখকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ সালে রায়ে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।


                                শায়েখের কুরআন শিক্ষা দেওয়ার একটি মজলিস। শায়েখ কুরআন শিক্ষা দিচ্ছেন আর ছাত্ররা শায়েখকে ঘিরে রয়েছে।



                                একদিকে একজন কুরআনের শিক্ষক দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন, অপরদিকে দরবারী মোল্লারা ক্রুসেডর মুসলিনির সাথে হাত মিলাচ্ছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছে। উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহকে খারেজি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ঠিক এমনটি ই করে যাচ্ছে অভিশপ্ত ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ও তার সহযোগীরা। কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি। হাসিনার এই গোলামকেও ক্ষমা করবে না।

                                দরবারি মোল্লাদের মুসলিনিকে স্বাগত জানানোর একটি দৃশ্য। '




                                শায়েখের বিরুদ্ধে প্রচারিত একটি প্রচারপত্র।


                                Last edited by umar mukhtar; 09-16-2016, 06:06 PM.

                                Comment

                                Working...
                                X