ভয়াবহ কথা! মাঝে মাঝে আমাদের এই ভার্চুয়াল জগতের "আমরা অমুকের পাশে আছি", হ্যাশট্যাগ, পিটিশান, ইভেন্ট এসব বিলাসী রসিকতা ছেড়ে একটু বাস্তবতার মাটির পৃথিবীতে নেমে দেখা উচিত আমরা যার "পাশে থাকার" বিপ্লবী ভাব ধরছি আসলে এসবে তাদের কিছুই হয়নি। বিশেষ করে তাদের পরিবারগুলোর। এই কারাবন্দী ভাইগুলো হয়ত কোন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কোন পরিবারের একমাত্র ছেলে। হ্যাঁ, আপনার আমার বাবা মায়ের মত তাদেরও স্বপ্ন কম ছিল না।
.
ফায়েজ আল কান্দারির মা প্রতি বছর তার প্রিয় খাবার আইটেম জমা করে রাখেন ছেলে একদিন বাড়ী ফিরবে এই আশায়, কিশোর উমার আল কাদিরের কারাগারেই কিশোর থেকে যুবক হয়ে উঠা, দীর্ঘ দশ বছর পর ছেলে সবুজ ঘাসে হাত রেখেছে বলে উচ্ছাস প্রকাশ করা বাবর আহমেদের মা
কিংবা দীর্ঘ ২২ বছর পর ছেলের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়ে ছোট বাচ্চার মত কাঁদতে থাকা শায়খ আবু কাতাদার বৃদ্ধ পিতা...... ব্যাপারগুলো আমাদের আবেগ তাড়িত করে, হয়ত চোখের কোণায় কয়েক ফোঁটা জল। এইতো!
.
পিতামাতা, স্ত্রী সন্তান এসবের ফিতনা এড়িয়ে আল্লাহর রাস্তায় কিছু করার কাজটা যে সহজ কিছু নয় সেটা গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকা আমাদের মত কাপুরুষদের নিশ্চয় বলে দিতে হবে না। আপনার আমার পাশেও অনেকেই আছেন যারা হয়ত আম জনতার কাছে পরিচিত মুখ নয়, তাদের জনপ্রিয় পেজবুক আইডি নেই, তারা অনলাইনে উম্মাহ উদ্ধার করে বেড়ায় না, তাদের বিশাল "দ্বীনি সার্কেল" নেই, তাই তারা যখন আল্লাহর রাস্তায় বিপদে পড়ে তাদের পাশেও কেউ নেই! তাদের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই।
.
উলামারা মত দিয়েছেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত ভাইয়ের পরিবারের দেখাশোনা করা, তাদের ভরণ পোষণ করাটাও জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর অংশ। আল্লাহ যাদের দু'হাত ভরে দিয়েছেন, আপনাদের একটু স্বদিচ্ছা, একটু চোখ কান খোলা রাখলেই হয়ত এই জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর অংশ হতে পারবেন। এটা আপনার মুসলিম ভাইয়ের হক্ব ভাই।
.
আর সবশেষে যেটা দরকার সেটা হল আন্তরিক দোয়া। আমরা যেন আমাদের কারাবন্দী ভাই আর তাদের মজলুম পরিবারগুলোকে কখনো ভুলে না যাই। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। আমীন
.
ফায়েজ আল কান্দারির মা প্রতি বছর তার প্রিয় খাবার আইটেম জমা করে রাখেন ছেলে একদিন বাড়ী ফিরবে এই আশায়, কিশোর উমার আল কাদিরের কারাগারেই কিশোর থেকে যুবক হয়ে উঠা, দীর্ঘ দশ বছর পর ছেলে সবুজ ঘাসে হাত রেখেছে বলে উচ্ছাস প্রকাশ করা বাবর আহমেদের মা
কিংবা দীর্ঘ ২২ বছর পর ছেলের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়ে ছোট বাচ্চার মত কাঁদতে থাকা শায়খ আবু কাতাদার বৃদ্ধ পিতা...... ব্যাপারগুলো আমাদের আবেগ তাড়িত করে, হয়ত চোখের কোণায় কয়েক ফোঁটা জল। এইতো!
.
পিতামাতা, স্ত্রী সন্তান এসবের ফিতনা এড়িয়ে আল্লাহর রাস্তায় কিছু করার কাজটা যে সহজ কিছু নয় সেটা গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকা আমাদের মত কাপুরুষদের নিশ্চয় বলে দিতে হবে না। আপনার আমার পাশেও অনেকেই আছেন যারা হয়ত আম জনতার কাছে পরিচিত মুখ নয়, তাদের জনপ্রিয় পেজবুক আইডি নেই, তারা অনলাইনে উম্মাহ উদ্ধার করে বেড়ায় না, তাদের বিশাল "দ্বীনি সার্কেল" নেই, তাই তারা যখন আল্লাহর রাস্তায় বিপদে পড়ে তাদের পাশেও কেউ নেই! তাদের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই।
.
উলামারা মত দিয়েছেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত ভাইয়ের পরিবারের দেখাশোনা করা, তাদের ভরণ পোষণ করাটাও জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর অংশ। আল্লাহ যাদের দু'হাত ভরে দিয়েছেন, আপনাদের একটু স্বদিচ্ছা, একটু চোখ কান খোলা রাখলেই হয়ত এই জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর অংশ হতে পারবেন। এটা আপনার মুসলিম ভাইয়ের হক্ব ভাই।
.
আর সবশেষে যেটা দরকার সেটা হল আন্তরিক দোয়া। আমরা যেন আমাদের কারাবন্দী ভাই আর তাদের মজলুম পরিবারগুলোকে কখনো ভুলে না যাই। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। আমীন
Comment