একজন মুসলিমা, আমেরিকার জেলে আছেন শুধু মাত্র আল্লাহর দ্বীনের সাহায্য করার কারনে।
MIT প্রশিক্ষিত, নিউরো সেন্টিষ্ট এবং ইসলামের পথের কর্মী, বর্তমানে ৮৬ বছরের সাজা কাটাচ্ছেন টেক্সাসের, ফরথের চারস্বেল্লের মেডিক্যাল সেন্টারে।
ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করা যাক,
খলীফা আল-মুতাসিম বিল্লাহ, (হারুনুর রাশিদের ছেলে এবং আমিনুর আর মামুনুর রাশিদের ভাই) একটি সম্পূর্ণ শহর ধ্বংস করে ফেলেছিলেন, শুধু মাত্র এক মুসলিমাকে কাফিরদের হাত থেকে মুক্ত করানোর জন্য!
ঠিক সেভাবেই, আমাদের আজকের সময়ে অনেক চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে তাকে (আফিয়া সিদ্দিকি) মুক্ত করানোর জন্য, যদিও আরেকদিকে সমস্ত বিশ্ব এবং নামধারীরা চুপ!
উল্লেখ করার মত কিছুঃ
তালিবানরা হুমকি দিয়েছিল তাদের হাতে আটক আমেরিকান সেনা বুউয়ি বারগদালকে হত্যা করা হবে, যখন আফিয়ার পরিবার তালিবানদের কাছে সাহায্যর প্রার্থনা করেছিল।
তালিবানরা লিন্ডা নরগরভকে অপহরন করেছিল, আফগানিস্তানের এক স্কটিশ কর্মকর্তা, এবং তারা জোর দিয়ে বলেছিল যে নরগরভকে ফিরিয়া দেওয়া হবে শুধুই সিদ্দিকিকে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। পরবর্তীতে, নরগরভ নিহত হয়েছে যখন কাফিররা তাকে মুক্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায় এবং তাদেরি ছোড়া গ্রেনেডে তার দেহত্যগ হয়।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুখপাত্র ওয়ালিউর রহমান, ঘোষনা দেন যে তারা আফিয়া সিদ্দিকির বদলে ২ সুইস নাগরিককে ফিরিয়া দিবেন, যাদেরকে বেলুচিস্তান থেকে অপররন করা হয়েছিল।
শায়খ আয়মান আল জাওয়াহিরি (হাঃ) আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তি দাবি করেন এবং ওয়াররেন ওয়েইন্সতেইনকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন, এক আমেরিকান কর্মকর্তা যাকে পাকিস্তান থেকে অপহরন করা হয়েছিল। কিন্তু, আমেরিকা ওয়েইন্সতেইনকে হত্যা করে ২০১৫ এর জানুয়ারিতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে।
আলজেরিয়ান মুজাহিদিনদের আমেনা গ্যসক্ষেত্র অভিযানের একটি দাবি ছিল আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তি।
এই সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করে যে কারা সত্যর পথে আছে এবং কারা ইসলামকে রক্ষা এবং মুসলমানদের রক্তের সম্মান ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
আমরা কি এই মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হব না?
Comment