ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নৌ-সেনাপতি খাইরুদ্দীন বারবারুসা
১মপর্ব
১মপর্ব
{ ইসলামের ইতিহাস হাজারো মুজাহিদের বীরত্বে কাহিনীতে ভরা। এখন তাদের সবাইকে যদি স্থল ও জলপথের সীমানায় ভাগ করা হয় তাহলে মাটির উপরে হবেন সাইফুল্লাহ খালিদ বিন ওয়ালীদ ও সমুদ্রের বুকে হবেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নৌ-সেনাপতি খাইরুদ্দীন বারবারুসা।
যিনি পূরা ইউরোপ সহ আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনকে তাদের ইতিহাসের একমাত্র জিজিয়া/কর চুক্তিতে বাধ্য করেছিলেন, আর তাও ছিল একমাত্র চুক্তি যা ইংরেজি ভিন্ন আরবী ভাষায় লেখা হয়েছিল। আজও কুফফাররা খাইরুদ্দীনকে এত ভয় পায় যে, মুসলিম বীরদের মধ্যে উনাকেই সবচেয়ে বেশি বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। যাতে কোন মুসলিম সন্তান বারবারুসার আদর্শ ধারণ না করে। }
সামুদ্রীক কমান্ডার খিজির যাকে আন্দালুসীরা 'খাইরুদ্দীন' নামে ডাকত। কেউ বলেছেন সুলতান ১ম সালীম তাকে খাইরুদ্দীন নামে ডেকেছিল। ইউরোপিয়ানরা তার লকব দিয়েছিলো 'বারবারুসা'। তার নাম যদিও অনেক কিন্তু কাজ ছিলো একটি, যা কখনো পরিবর্তন হয়নি। বরং জ্বিহাদী সফরকে পূর্ন করেছেন।
১৫১৪ সালে তার ভাই থেকে পতাকা হস্তগত হয়। শুরুতেই তিনি উসমানী রাষ্টের পক্ষ থেকে ব্যপক সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তাই একজন আলেমের নেতৃত্বে আল-জাজায়ের বাসীর পক্ষ থেকে ইস্তাম্বুলে একটি প্রতিনিধি দল প্রেরন করেন। সেই আলেম ছিলেন হাজী হুসাইন। ১৫১৯ সালের অক্টোবরে তারা খাইরুদ্দীনকে আল-জাজায়েরের গভর্নর বানানোর আবদার জানায়। এবং আল-জাজায়েরকে উসমানীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানায়। সুলতান সালীম তাতে একমত পোষণ করেন ও খাইরুদ্দীনের নিকট সুলতানী সিল-মোহর পাঠিয়ে দেন। এবং বিশেষ বাহিনী থেকে ২০০০ সেনাকে উসমানী পতাকা সহ প্রেরণ করেন, এবং আনাতুলীয়ার অধিবাসীদের থেকে ইচ্ছামত দান-সাদাকা সংগ্রহের ঘোষনা দেন। এবং ব্যপক ভাবে তা বাস্তবায়ন করেন।
এই ভাবেই আল--জাজায়ের হয়ে উঠে উত্তর আফ্রীকার বুকে উসমানী খিলাফতের সর্ব প্রথম প্রদেশ। যেখানে সুলতান সালিমের নামে খুতবা পাঠ করা হত। এবং সেই সময়েই আল--জাজায়ের উন্নতির শীর্ষচূড়ায় পৌছে যায়, বিশেষভাবে সেই সমস্ত মুহাজিরদের মাধ্যমে যাদেরকে আন্দালুসিয়া থেকে উত্তর আফ্রীকায় উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। তারা সেখানে তাদের শিল্প, দক্ষতা ও প্রকৌশল বিদ্যাকে নিয়ে এসে ছিলেন। এবং সেগুলোকেই কাজে লাগিয়ে চরম উৎকর্ষ সাধন করেন।
চলবে ইংশাআল্লাহ ......
Comment