কুরাইশদের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান তালহা (রা.) । তাঁর চাচা হযরত খাদীজার ভ্রাতা নওফল ইবনে খুয়াইলিদ ছিল
কুরাইশ সিংহ নামে খ্যাত । মাসউদ ইবনে খারাশ বলেন, একদিন সাফা ও
মারওয়ার মাঝখানে সায়ী করছিলাম, দেখলাম একদল লোক হাত পা বেধে একটি যুবককে নিয়ে আসছে উপুড় করে ।
বেদমভাভে প্রহার করছে । আর একটি মহিলা গলা ফাটিয়ে গালাগালি দিচ্ছে আমি জিজ্ঞাসা করলাম
ছেলেটির কি হয়েছে?
তারা বললঃ এ হচ্ছে তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ সে নাকি বাপ দাদার ধর্ম ত্যাগ করে মুহম্মদ বিন আবদুল্লাহর নবুওয়াতের উপর ঈমান এনেছে ।
আর কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনকারী মহিলাটি তার মা সাবা বিনতে আল হাদরাসী ।
__ইসলামের প্রতি তার অনুরাগ ও রাসূলুল্লাহ (স.) এর ভালবাসা ছিল সীমাহীন ।
তার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি ছিল চমকপ্রদ, তিনি বলেন,
ব্যবসা উপলক্ষে আমি তখন বসরায় । একজন বয়স্ক খ্রিষ্টান পাদ্রী বাজারে আগত লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন তোমাদের মধ্যে মক্কাবাসী কোন লোক আছে নিকা?
নিকট থেকে আমি বললাম, হা আমি মক্কার অধিবাসী, তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমাদের মধ্যে “আহ্*মদ” নামে আখেরী রাসূল কি আত্মপ্রকাশ করেছেন?
আমি আবার বললাম কোন আহমদ, তিনি বললেন,
‘আহ্*মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব’ । এটা তার আত্মপ্রকাশের মাস । তিনি হবেন আখেরী রাসূল । মক্কায় জাহের হবেন কিন্তু খেজুর উদ্যান বিশিষ্ট ভূমির দিকে হিজরত করবেন । যাও তার সাথে সাক্ষাৎ কর ও তাকে সাহায্য কর ।
তার কথা আমার অন্তর আলোকিত হলো ।
_ইসলাম কবুর করার পর বাইয়াতে রিদওয়ান, খাইবার, মুতাসহ সকল যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন ।
_ওহুদের যুদ্ধ!
যুদ্ধের মাঠে আওয়াজ উঠল মাহাম্মদ (স.) শহীদ হয়ে গেছেন । যে ১০/১২জন বীর অটল ও
অবিচল হয়ে রাসূল (স.) কে ঘিরে রেখেছিলেন হযরত তালহা তাদের অন্যতম ।
-তালহা (রা.) উন্মাদ হয়ে রাসূলুল্লাহর দিকে নিক্ষিপ্ত তীরগুলোকে নিজ পিঠে ধারণ করতে ছিলেন যেন রাসূলকে স্পর্শ করতে না পারে আর কটিন ভাভে শত্রুকে প্রতিহত করতে ছিলেন ।
অসহ্য অবস্থায় নিজেকে বলছিলেন, “হে তালহা! আমি কি আমার রক্ত, গোশত ও জীবনকে রাসূলের জন্য ওয়াক্*ফ করে দেইনি”?
শেষে হযরত তাহলা রাসূল (স.) কে নিজের কাধে বহন করে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে রাখলেন ।
ইতিমধ্যে আবু বকর (রা.) রাসূলকে খেদমত করতে দৌড়ে আসলে নবীজি (স.) বললেন, ‘আমাকে নয়, তোমরা তালহাকে দেখ” ।
আবু বকর (রা.) বললেন, আমি দেখি তালহা একটি গর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ।
একটি হাতের সমস্ত আঙ্গুল নেই, সারা শরীর তীর নেজার আঘাতে জর্জরিত”
রাসূলুল্লাহ তার সম্পর্কে বলেছিলেন,
ইসলাম ও মুসলমানেরা আজ ইতিহাসের এক কঠিন সময় যাচ্ছে ।
খ্রিষ্টান, ইয়াহুদী মুশরিকরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে
তাদের Common শত্রু মুসলমানদের বিনাশ সাধনে ।
একদিকে তারা আমাদের মধ্যে সৃষ্টি করে রেখেছে অনৈক্যের দাউ দাউ আগুন ।
অপরদিকে আমাদের রাষ্ট্রপতি ও শাসকদের মাথা তারা ক্রয় করে তাদের গোলামীতে নিয়োজিত রেখেছে ।
আবার মুসলিম চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ জাতীয় সচেতন
অংশের বিরাট অংশকে অঢেল অর্থ, আন্তর্জাতিক পুরস্কার,, নারী, গাড়ী ও বাড়ী ইত্যাকার
ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে বন্ধক রেখে তাদের জবান,
কলম ও মস্তিষ্ককে মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে অতি স্বার্থকভাবে ব্যবহার করছে ।
আর যাদেরকে কোন কিছুর বিনিময়ে ক্রয় করা যায়নি; যাদেরকে কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে
ইসলামী পুন:জাগরণের জিহাদী আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি
তাদেরকে দুনিয়োর শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী, মৌলবাদী বলে প্রথমে চিহ্নিত করা ও
হত্যা :arge: করার জঘন্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে ।
---এমন পরিস্থিতিতে ভয় পেলে চলবে না-----
----তালহা (রা.) এর মত একজন জীবন্ত শহীদ হতে হবে----
আজ ইসলামকে ঘিরে সে হিম্মত ও সবরের সথে ময়দানে দাড়াবার ডাক এসেছে ।
আর ইসলামের দিকে নিক্ষিপ্ত শত্রুদের কামানের উত্তপ্ত গোলা নিজ বক্ষে ধারণ করার ও
বীরত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত উপস্থাপনই আজকের সময়ের প্রযেঅজন ।
------------------ আল্লাহ কবুল করুন । আমীন ।
কুরাইশ সিংহ নামে খ্যাত । মাসউদ ইবনে খারাশ বলেন, একদিন সাফা ও
মারওয়ার মাঝখানে সায়ী করছিলাম, দেখলাম একদল লোক হাত পা বেধে একটি যুবককে নিয়ে আসছে উপুড় করে ।
বেদমভাভে প্রহার করছে । আর একটি মহিলা গলা ফাটিয়ে গালাগালি দিচ্ছে আমি জিজ্ঞাসা করলাম
ছেলেটির কি হয়েছে?
তারা বললঃ এ হচ্ছে তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ সে নাকি বাপ দাদার ধর্ম ত্যাগ করে মুহম্মদ বিন আবদুল্লাহর নবুওয়াতের উপর ঈমান এনেছে ।
আর কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনকারী মহিলাটি তার মা সাবা বিনতে আল হাদরাসী ।
__ইসলামের প্রতি তার অনুরাগ ও রাসূলুল্লাহ (স.) এর ভালবাসা ছিল সীমাহীন ।
তার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি ছিল চমকপ্রদ, তিনি বলেন,
ব্যবসা উপলক্ষে আমি তখন বসরায় । একজন বয়স্ক খ্রিষ্টান পাদ্রী বাজারে আগত লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন তোমাদের মধ্যে মক্কাবাসী কোন লোক আছে নিকা?
নিকট থেকে আমি বললাম, হা আমি মক্কার অধিবাসী, তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমাদের মধ্যে “আহ্*মদ” নামে আখেরী রাসূল কি আত্মপ্রকাশ করেছেন?
আমি আবার বললাম কোন আহমদ, তিনি বললেন,
‘আহ্*মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব’ । এটা তার আত্মপ্রকাশের মাস । তিনি হবেন আখেরী রাসূল । মক্কায় জাহের হবেন কিন্তু খেজুর উদ্যান বিশিষ্ট ভূমির দিকে হিজরত করবেন । যাও তার সাথে সাক্ষাৎ কর ও তাকে সাহায্য কর ।
তার কথা আমার অন্তর আলোকিত হলো ।
_ইসলাম কবুর করার পর বাইয়াতে রিদওয়ান, খাইবার, মুতাসহ সকল যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন ।
_ওহুদের যুদ্ধ!
যুদ্ধের মাঠে আওয়াজ উঠল মাহাম্মদ (স.) শহীদ হয়ে গেছেন । যে ১০/১২জন বীর অটল ও
অবিচল হয়ে রাসূল (স.) কে ঘিরে রেখেছিলেন হযরত তালহা তাদের অন্যতম ।
-তালহা (রা.) উন্মাদ হয়ে রাসূলুল্লাহর দিকে নিক্ষিপ্ত তীরগুলোকে নিজ পিঠে ধারণ করতে ছিলেন যেন রাসূলকে স্পর্শ করতে না পারে আর কটিন ভাভে শত্রুকে প্রতিহত করতে ছিলেন ।
অসহ্য অবস্থায় নিজেকে বলছিলেন, “হে তালহা! আমি কি আমার রক্ত, গোশত ও জীবনকে রাসূলের জন্য ওয়াক্*ফ করে দেইনি”?
শেষে হযরত তাহলা রাসূল (স.) কে নিজের কাধে বহন করে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে রাখলেন ।
ইতিমধ্যে আবু বকর (রা.) রাসূলকে খেদমত করতে দৌড়ে আসলে নবীজি (স.) বললেন, ‘আমাকে নয়, তোমরা তালহাকে দেখ” ।
আবু বকর (রা.) বললেন, আমি দেখি তালহা একটি গর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ।
একটি হাতের সমস্ত আঙ্গুল নেই, সারা শরীর তীর নেজার আঘাতে জর্জরিত”
রাসূলুল্লাহ তার সম্পর্কে বলেছিলেন,
যদি কেউ কোন মৃত ব্যাক্তিকে পৃথিবীতে হেটে বেড়াতে দেখতে চাও তবে ঐ তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহকে দেখ” তাই তাকে জীবন্ত শহীদ বলা হয়” ।
ইসলাম ও মুসলমানেরা আজ ইতিহাসের এক কঠিন সময় যাচ্ছে ।
খ্রিষ্টান, ইয়াহুদী মুশরিকরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে
তাদের Common শত্রু মুসলমানদের বিনাশ সাধনে ।
একদিকে তারা আমাদের মধ্যে সৃষ্টি করে রেখেছে অনৈক্যের দাউ দাউ আগুন ।
অপরদিকে আমাদের রাষ্ট্রপতি ও শাসকদের মাথা তারা ক্রয় করে তাদের গোলামীতে নিয়োজিত রেখেছে ।
আবার মুসলিম চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ জাতীয় সচেতন
অংশের বিরাট অংশকে অঢেল অর্থ, আন্তর্জাতিক পুরস্কার,, নারী, গাড়ী ও বাড়ী ইত্যাকার
ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে বন্ধক রেখে তাদের জবান,
কলম ও মস্তিষ্ককে মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে অতি স্বার্থকভাবে ব্যবহার করছে ।
আর যাদেরকে কোন কিছুর বিনিময়ে ক্রয় করা যায়নি; যাদেরকে কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে
ইসলামী পুন:জাগরণের জিহাদী আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি
তাদেরকে দুনিয়োর শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী, মৌলবাদী বলে প্রথমে চিহ্নিত করা ও
হত্যা :arge: করার জঘন্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে ।
---এমন পরিস্থিতিতে ভয় পেলে চলবে না-----
----তালহা (রা.) এর মত একজন জীবন্ত শহীদ হতে হবে----
আজ ইসলামকে ঘিরে সে হিম্মত ও সবরের সথে ময়দানে দাড়াবার ডাক এসেছে ।
আর ইসলামের দিকে নিক্ষিপ্ত শত্রুদের কামানের উত্তপ্ত গোলা নিজ বক্ষে ধারণ করার ও
বীরত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত উপস্থাপনই আজকের সময়ের প্রযেঅজন ।
------------------ আল্লাহ কবুল করুন । আমীন ।
Comment