#ভয়ংকর_ষড়যন্ত্র
#বৃটেনে_ইসলাম_বিদ্বেষী_আলেম_তৈরির_অভিনব_মাদরাস া
নবাব রাহাত সায়িদ খান ছাতরী ১৯৪০ সনে ভারতের উত্তর প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন । বৃটিশ সরকার এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে এজন্য বসিয়েছে যে, সে উলামায়ে কেরাম ও অন্যান্য মুসলিমদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থেকে ইংরেজদের পূর্ণ আনুগত্য করতো । নবাব ছাতরী সাহেব তার ডায়রীতে লিখেন, একবার তাকে সরকারী কাজে লন্ডন ডাকা হয় । তার এক ইংরেজ ঘনিষ্ঠ বন্ধু (যে ভারতে এক সময়ে কালেক্টর ছিলো ) নবাব সাহেবকে বললো, আমি তোমাকে এমন এক স্থানে ভ্রমণ করাবো যেখানে আমার ধারণা মতে কোন ভারতীয় অদ্যাবধি সেখানে যায়নি । নবাব সাহেব আনন্দিত হলেন। তার সেই বন্ধু তার নিকট পাসপোর্ট চাইলো যে, সেখানে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতির প্রয়োজন । দুই দিন পর কালেক্টর অনুমতিপত্র নিয়ে এসে বললেন, আমার গাড়িতে আগামীকাল সকালে আমরা যাব । পরবর্তী দিন সকালে নবাব সাহেব এবং সেই ইংরেজ গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হলেন । শহর থেকে বের হয়ে বাম দিকে একটি জঙ্গল শুরু হলো । জংগলে একটি সরু পথ ছিলো । চলতে চলতে জংগল ঘন ঘন হয়ে গেল । পথের উভয় পার্শ্বে না কোন ট্রাফিক ছিল, না কোন পথযাত্রী । নবাব সাহেব কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক তাকাতে লাগলেন । আধাঘন্টার অধিক সময় অতিক্রম করার পর অনেক বড় গেইট পরিলক্ষিত হলো । অতঃপর দীর্ঘ সময়ের পর একটি প্রশস্ত ভবন দেখা গেল যার চতুর্দিকে কন্টক বৃক্ষ এবং গাছপালার এমন দেয়াল যা অতিক্রম করা অসম্ভব ছিলো । ভবনের চতুর্দিকে শক্তিশালী সৈন্যদের পাহারা ছিলো । ভবনের বাইরে অবস্থিত সৈন্যরা পাসপোর্ট এবং লিখিত অনুমোদনপত্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর বললো, এই গাড়ী এখানে রেখে সামনে সেনাবাহিনীর গাড়ী রয়েছে তাতে আরোহণ করুন । নবাব সাহেব এবং তার ইংরেজ বন্ধু প্রহরীদের গাড়িতে বসলেন । পুনরায় সেই সরুপথে সফর শুরু হলো । সেই ঘন জংগল এবং উভয় দিকে জংগলী বৃক্ষের দেয়াল । নবাব সাহেব বিচলিত হলে ইংরেজ বললেন, আমরা একটু পরই আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাব । সর্বশেষ আরো একটি লাল পাথরের বড় ভবন পরিলক্ষিত হলো । চালক গাড়ী থামিয়ে বললো, এখান থেকে সামনে আপনারা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন। পথিমধ্যে কালেক্টর সাহেব নবাব ছাতরী সাহেবকে বললেন, আমরা শুধু এখানে দেখার জন্য এসেছি । কোন কিছু প্রশ্ন করার অনুমতি নেই ।
ভবনের শুরুতে একটি দালান ছিলো, তার পিছনে একাধিক কক্ষ ছিলো । দালানে প্রবেশ করা মাত্রই এক শশ্রুমণ্ডিত যুবক আরবীয় পোশাক পরিহিত, মাথায় আরবীয় রুমাল পেঁচিয়ে একটি কক্ষ থেকে বের হল । অপর আরেকটি কক্ষ থেকেও এমন দুইজন যুবক বের হলো । প্রথমজন আরবী বর্ণনাভঙ্গিতে আস সালামু আলাইকুম বলল, অপরজন বললো, ওয়া আলাইকুমুস সালাম । কেমন আছেন ?
নবাব সাহেব এ দৃশ্য দেখে হতবাক হলেন । কিছু বলার ইচ্ছে করলে ইংরেজ বন্ধুটি ইশারায় নিষেধ করে দিলেন। চলতে চলতে এক কক্ষের দরজার গিয়ে দেখলেন, মসজিদের মতো কার্পেট বিছানো । আরবীয় পোশাক পরিহিত কয়েকজন ছাত্র কার্পেটে বসা । তাদের সামনে উস্তাদ অবিকল ওইভাবে বসে সবক পড়াচ্ছেন, যেভাবে মাদরাসা সমূহে পড়ানো হয় । ছাত্ররা কখনো আরবী কখনো ইংরেজীতে উস্তাদের নিকট প্রশ্নও করছে । নবাব সাহেব আরও দেখলেন, কোথাও কুরআনের দরস, কোথাও বুখারী-মুসলিমের দরস দেয়া হচ্ছে । এক কক্ষে মুসলমান ও খ্রীস্টানদের মাঝে বিতর্ক অনুষ্ঠান বা বাহাস চলছিলো । এক কক্ষে ফেকহী মাসআলা সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল । সবচেয়ে বড় কক্ষে কুরআন শরীফের অনুবাদ বিভিন্ন ভাষায় শিখানো হচ্ছিল । তিনি নোট করলেন প্রত্যেক স্থানে সূক্ষ্ম-সূক্ষ্ম মাসআলার প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে । যেমনঃ অজু, নামায, রোযা, উত্তরাধিকারি সম্পদ বন্টন, দুধপান করার বিষয়ে বিতর্ক, পোশাক এবং দাঁড়ির সুরত, চাঁদ দেখা, গোসলখানার আদব, হজ্বের বিধি-বিধান, বকরী, দুম্বা কেমন হবে, ছুরি কেমন হবে, দুম্বা হালাল না হারাম । হজ্বে বদল ও কাযা নামাযের বাহাস, ঈদের দিন কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং কীভাবে হজ্ব করতে হবে ? প্যান্ট পরিধান করা বৈধ না অবৈধ ? মহিলাদের পবিত্রতার বিষয়, ইমামের পিছনে সুরায়ে ফাতিহা পড়া যাবে কী না ? তারাবীহ আট রাকাত না বিশ রাকাত ? ইত্যাদি একজন উস্তাদ প্রথমে আরবী, অতঃপর ইংরেজী, সর্বশেষ অত্যন্ত সাধারণ উর্দূতে প্রশ্ন করেন আপনারা বলুন, জাদু, বদ নজর, তাবীজ-গন্ডা, ভূত-প্রেতের ছায়া ঠিক কী না ? পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ সংখ্যা বিশিষ্ট ক্লাসের ছাত্ররা সম্মিলিত কন্ঠে বললো, ট্রু ট্রু । অতঃপর আরবীতে একই উত্তর দিলো, এমনকি উর্দূতেও । এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, উস্তাদ ! কুরআন বলে, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ আমলের যিম্মাদার । উস্তাদ বলল, কুরআনের কথা বলো না । বর্ণনা ও ওজিফার মধ্যে মুসলমানদের ঈমান দৃঢ় কর । জ্যোতিষী ও তাকদীরের মধ্যে ব্যাপৃত করে দাও ।
এসব দৃশ্য দেখে আসার পর নবাব ছাতরী ইংরেজ কালেক্টরের নিকট জিজ্ঞেস করল, এত বড় দ্বীনি মাদরাসা আপনারা লুকিয়ে রেখেছেন কেন ? ইংরেজ বললো, এদের মধ্যে কেউ মুসলমান নয়, সকলেই খ্রীস্টান । শিক্ষা সমাপনের পর তাদেরকে মুসলিম দেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য, তুর্কী, ইরান ও ভারতে প্রেরণ করা হয় । সেখানে পৌঁছে কোন বড় মসজিদে নামাজ পড়ার পর নামাজীদেরকে বলে, সে ইউরোপীয় মুসলমান । মিশরের জামেয়াতুল আযহারে পড়াশুনা করেছে । সে পূর্ণাঙ্গ আলেম । ইউরোপে এতো ইসলামী প্রতিষ্ঠান নেই যে, সেখানে খেদমত করবে । সে কোন বেতন ভাতা চায় না, শুধু খানা এবং থাকার স্থান প্রয়োজন । সে মুয়াজ্জিন, ইমামতি, শিশুদের কুরআন শরীফ পড়ানোর খেদমত আঞ্জাম দেয় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে সেখানে উস্তাদ হয়ে যায় । এমনকি জুমআর খুত্*বা পর্যন্ত প্রদান করে থাকে। নবাব সাহেবের ইংরেজ বন্ধু তাকে একথা বলে হতবাক করে দিয়েছে যে, এই বিশাল মাদরাসায় বুনিয়াদী উদ্দেশ্য হলো-
১.মুসলমানদেরকে দু'আ-অজিফা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়ে ব্যাপৃত করে কুরআন থেকে দুরে রাখা ।
২.নবীজী সাঃ এর মর্যাদাকে হেয় করা ।
সেই ইংরেজ এটাও তুলে ধরেছে যে, ১৯২০ সনে "তাওহীনে রেসালাত" গ্রন্থ লিখানোর ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ছিলো । এমনিভাবে এর কয়েক বছর পূর্বে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে মিথ্যা নবী হিসেবে দাঁড় করানোর ব্যাপারে এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো । তার গ্রন্থসমূহের মূল উপাদান ওই ভবন থেকে তৈরি করা হতো । এ বিষয়েও তথ্য রয়েছে যে, সালমান-রুশদীর "স্যাটানিক ভার্সেস" বই লেখানোর ব্যাপারেও এই প্রতিষ্ঠানের হাত রয়েছে ।
(তথ্যসূত্রঃ সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী দাঃবাঃ রচিত বই "আনদর কী বাতেঁ")
#বৃটেনে_ইসলাম_বিদ্বেষী_আলেম_তৈরির_অভিনব_মাদরাস া
নবাব রাহাত সায়িদ খান ছাতরী ১৯৪০ সনে ভারতের উত্তর প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন । বৃটিশ সরকার এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে এজন্য বসিয়েছে যে, সে উলামায়ে কেরাম ও অন্যান্য মুসলিমদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থেকে ইংরেজদের পূর্ণ আনুগত্য করতো । নবাব ছাতরী সাহেব তার ডায়রীতে লিখেন, একবার তাকে সরকারী কাজে লন্ডন ডাকা হয় । তার এক ইংরেজ ঘনিষ্ঠ বন্ধু (যে ভারতে এক সময়ে কালেক্টর ছিলো ) নবাব সাহেবকে বললো, আমি তোমাকে এমন এক স্থানে ভ্রমণ করাবো যেখানে আমার ধারণা মতে কোন ভারতীয় অদ্যাবধি সেখানে যায়নি । নবাব সাহেব আনন্দিত হলেন। তার সেই বন্ধু তার নিকট পাসপোর্ট চাইলো যে, সেখানে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতির প্রয়োজন । দুই দিন পর কালেক্টর অনুমতিপত্র নিয়ে এসে বললেন, আমার গাড়িতে আগামীকাল সকালে আমরা যাব । পরবর্তী দিন সকালে নবাব সাহেব এবং সেই ইংরেজ গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হলেন । শহর থেকে বের হয়ে বাম দিকে একটি জঙ্গল শুরু হলো । জংগলে একটি সরু পথ ছিলো । চলতে চলতে জংগল ঘন ঘন হয়ে গেল । পথের উভয় পার্শ্বে না কোন ট্রাফিক ছিল, না কোন পথযাত্রী । নবাব সাহেব কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক তাকাতে লাগলেন । আধাঘন্টার অধিক সময় অতিক্রম করার পর অনেক বড় গেইট পরিলক্ষিত হলো । অতঃপর দীর্ঘ সময়ের পর একটি প্রশস্ত ভবন দেখা গেল যার চতুর্দিকে কন্টক বৃক্ষ এবং গাছপালার এমন দেয়াল যা অতিক্রম করা অসম্ভব ছিলো । ভবনের চতুর্দিকে শক্তিশালী সৈন্যদের পাহারা ছিলো । ভবনের বাইরে অবস্থিত সৈন্যরা পাসপোর্ট এবং লিখিত অনুমোদনপত্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর বললো, এই গাড়ী এখানে রেখে সামনে সেনাবাহিনীর গাড়ী রয়েছে তাতে আরোহণ করুন । নবাব সাহেব এবং তার ইংরেজ বন্ধু প্রহরীদের গাড়িতে বসলেন । পুনরায় সেই সরুপথে সফর শুরু হলো । সেই ঘন জংগল এবং উভয় দিকে জংগলী বৃক্ষের দেয়াল । নবাব সাহেব বিচলিত হলে ইংরেজ বললেন, আমরা একটু পরই আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাব । সর্বশেষ আরো একটি লাল পাথরের বড় ভবন পরিলক্ষিত হলো । চালক গাড়ী থামিয়ে বললো, এখান থেকে সামনে আপনারা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন। পথিমধ্যে কালেক্টর সাহেব নবাব ছাতরী সাহেবকে বললেন, আমরা শুধু এখানে দেখার জন্য এসেছি । কোন কিছু প্রশ্ন করার অনুমতি নেই ।
ভবনের শুরুতে একটি দালান ছিলো, তার পিছনে একাধিক কক্ষ ছিলো । দালানে প্রবেশ করা মাত্রই এক শশ্রুমণ্ডিত যুবক আরবীয় পোশাক পরিহিত, মাথায় আরবীয় রুমাল পেঁচিয়ে একটি কক্ষ থেকে বের হল । অপর আরেকটি কক্ষ থেকেও এমন দুইজন যুবক বের হলো । প্রথমজন আরবী বর্ণনাভঙ্গিতে আস সালামু আলাইকুম বলল, অপরজন বললো, ওয়া আলাইকুমুস সালাম । কেমন আছেন ?
নবাব সাহেব এ দৃশ্য দেখে হতবাক হলেন । কিছু বলার ইচ্ছে করলে ইংরেজ বন্ধুটি ইশারায় নিষেধ করে দিলেন। চলতে চলতে এক কক্ষের দরজার গিয়ে দেখলেন, মসজিদের মতো কার্পেট বিছানো । আরবীয় পোশাক পরিহিত কয়েকজন ছাত্র কার্পেটে বসা । তাদের সামনে উস্তাদ অবিকল ওইভাবে বসে সবক পড়াচ্ছেন, যেভাবে মাদরাসা সমূহে পড়ানো হয় । ছাত্ররা কখনো আরবী কখনো ইংরেজীতে উস্তাদের নিকট প্রশ্নও করছে । নবাব সাহেব আরও দেখলেন, কোথাও কুরআনের দরস, কোথাও বুখারী-মুসলিমের দরস দেয়া হচ্ছে । এক কক্ষে মুসলমান ও খ্রীস্টানদের মাঝে বিতর্ক অনুষ্ঠান বা বাহাস চলছিলো । এক কক্ষে ফেকহী মাসআলা সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল । সবচেয়ে বড় কক্ষে কুরআন শরীফের অনুবাদ বিভিন্ন ভাষায় শিখানো হচ্ছিল । তিনি নোট করলেন প্রত্যেক স্থানে সূক্ষ্ম-সূক্ষ্ম মাসআলার প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে । যেমনঃ অজু, নামায, রোযা, উত্তরাধিকারি সম্পদ বন্টন, দুধপান করার বিষয়ে বিতর্ক, পোশাক এবং দাঁড়ির সুরত, চাঁদ দেখা, গোসলখানার আদব, হজ্বের বিধি-বিধান, বকরী, দুম্বা কেমন হবে, ছুরি কেমন হবে, দুম্বা হালাল না হারাম । হজ্বে বদল ও কাযা নামাযের বাহাস, ঈদের দিন কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং কীভাবে হজ্ব করতে হবে ? প্যান্ট পরিধান করা বৈধ না অবৈধ ? মহিলাদের পবিত্রতার বিষয়, ইমামের পিছনে সুরায়ে ফাতিহা পড়া যাবে কী না ? তারাবীহ আট রাকাত না বিশ রাকাত ? ইত্যাদি একজন উস্তাদ প্রথমে আরবী, অতঃপর ইংরেজী, সর্বশেষ অত্যন্ত সাধারণ উর্দূতে প্রশ্ন করেন আপনারা বলুন, জাদু, বদ নজর, তাবীজ-গন্ডা, ভূত-প্রেতের ছায়া ঠিক কী না ? পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ সংখ্যা বিশিষ্ট ক্লাসের ছাত্ররা সম্মিলিত কন্ঠে বললো, ট্রু ট্রু । অতঃপর আরবীতে একই উত্তর দিলো, এমনকি উর্দূতেও । এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, উস্তাদ ! কুরআন বলে, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ আমলের যিম্মাদার । উস্তাদ বলল, কুরআনের কথা বলো না । বর্ণনা ও ওজিফার মধ্যে মুসলমানদের ঈমান দৃঢ় কর । জ্যোতিষী ও তাকদীরের মধ্যে ব্যাপৃত করে দাও ।
এসব দৃশ্য দেখে আসার পর নবাব ছাতরী ইংরেজ কালেক্টরের নিকট জিজ্ঞেস করল, এত বড় দ্বীনি মাদরাসা আপনারা লুকিয়ে রেখেছেন কেন ? ইংরেজ বললো, এদের মধ্যে কেউ মুসলমান নয়, সকলেই খ্রীস্টান । শিক্ষা সমাপনের পর তাদেরকে মুসলিম দেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য, তুর্কী, ইরান ও ভারতে প্রেরণ করা হয় । সেখানে পৌঁছে কোন বড় মসজিদে নামাজ পড়ার পর নামাজীদেরকে বলে, সে ইউরোপীয় মুসলমান । মিশরের জামেয়াতুল আযহারে পড়াশুনা করেছে । সে পূর্ণাঙ্গ আলেম । ইউরোপে এতো ইসলামী প্রতিষ্ঠান নেই যে, সেখানে খেদমত করবে । সে কোন বেতন ভাতা চায় না, শুধু খানা এবং থাকার স্থান প্রয়োজন । সে মুয়াজ্জিন, ইমামতি, শিশুদের কুরআন শরীফ পড়ানোর খেদমত আঞ্জাম দেয় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে সেখানে উস্তাদ হয়ে যায় । এমনকি জুমআর খুত্*বা পর্যন্ত প্রদান করে থাকে। নবাব সাহেবের ইংরেজ বন্ধু তাকে একথা বলে হতবাক করে দিয়েছে যে, এই বিশাল মাদরাসায় বুনিয়াদী উদ্দেশ্য হলো-
১.মুসলমানদেরকে দু'আ-অজিফা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়ে ব্যাপৃত করে কুরআন থেকে দুরে রাখা ।
২.নবীজী সাঃ এর মর্যাদাকে হেয় করা ।
সেই ইংরেজ এটাও তুলে ধরেছে যে, ১৯২০ সনে "তাওহীনে রেসালাত" গ্রন্থ লিখানোর ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ছিলো । এমনিভাবে এর কয়েক বছর পূর্বে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে মিথ্যা নবী হিসেবে দাঁড় করানোর ব্যাপারে এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো । তার গ্রন্থসমূহের মূল উপাদান ওই ভবন থেকে তৈরি করা হতো । এ বিষয়েও তথ্য রয়েছে যে, সালমান-রুশদীর "স্যাটানিক ভার্সেস" বই লেখানোর ব্যাপারেও এই প্রতিষ্ঠানের হাত রয়েছে ।
(তথ্যসূত্রঃ সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী দাঃবাঃ রচিত বই "আনদর কী বাতেঁ")
Comment