ইমাম জারুল্লাহ যামাখশারী বলেন, বাহরাইন নামক অঞ্চলের কতগুলো শিশু 'সাওলাজ' আর বল নিয়ে হৈ হুলোড় করে খেলা করছিলো। 'সাওলাজ' হলো অগ্রভাগ বাঁকানো লাঠি। যাকে 'হকি স্টিক' বলা চলে।
খেলার একপর্যায়ে তাদের বল গিয়ে পড়লো একজন খৃষ্টান পাদ্রীর গায়ে। পাদ্রী বলটি সামলে নিলো। শিশুরা অনুনয় বিনয় করতে লাগলো বলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু পাদ্রী বলটি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালো। সর্বশেষ উপায় হিসেবে একটি শিশু কাতরকন্ঠে বললো, আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ওসীলা নিয়ে বলছি, বলটি ফিরিয়ে দিন। কিন্তু পাদ্রী অনঢ়; সে বল ফিরিয়ে দিতে কিছুতেই সম্মত নয়! উল্টো সে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম মোবারক শুনতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলো!
এবার শিশুরা চটে গেলো! তাদের মাথায় খুন চেপে বসলো! ক্ষুধার্ত ব্যঘ্রের ন্যায় তারা পাদ্রীর উপর ঝাপিয়ে পড়লো। হাতের হকিস্টিক দিয়ে তারা খুঁচিয়ে খুচিয়ে, পিটিয়ে পিটিয়ে পাদ্রীর ভবলীলা সাঙ্গ করে ছাড়লো!
ঘঠনাটি ছিলো খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রা.- এর খিলাফতকালের। ঘঠনাটির খবর যখন তাঁর দরবারে গিয়ে পৌঁছলো, আল্লাহর কসম! তিনি এতোটাই আনন্দিত হলেন যে, কখনও এতোটা আনন্দিত হননি কোনো অভিযানে বিজয় বা গানিমাহ অর্জনের পর! তিনি আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, এখন ইসলাম সম্মানী হলো! ইসলামের স্বকীয়তা বজায় রইলো!
সুবহানাল্লাহ! রাসুলপ্রেমের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করলো শিশুগুলো! কেমন ছিলো ঐ কচিকাঁচাগুলোর আত্নসম্ভ্রমবোধ! শাতিমে রাসুলের ইহলীলা সাঙ্গ করেই তবে ক্ষান্ত হলো! সালাম জানাই ঐ কচিদের! হাজার সালাম!
সূত্র-
ইমাম জারুল্লাহ যামাখশারী রচিত 'রাবী'উল আবরার' নামক গ্রন্থ।
খেলার একপর্যায়ে তাদের বল গিয়ে পড়লো একজন খৃষ্টান পাদ্রীর গায়ে। পাদ্রী বলটি সামলে নিলো। শিশুরা অনুনয় বিনয় করতে লাগলো বলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু পাদ্রী বলটি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালো। সর্বশেষ উপায় হিসেবে একটি শিশু কাতরকন্ঠে বললো, আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ওসীলা নিয়ে বলছি, বলটি ফিরিয়ে দিন। কিন্তু পাদ্রী অনঢ়; সে বল ফিরিয়ে দিতে কিছুতেই সম্মত নয়! উল্টো সে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম মোবারক শুনতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলো!
এবার শিশুরা চটে গেলো! তাদের মাথায় খুন চেপে বসলো! ক্ষুধার্ত ব্যঘ্রের ন্যায় তারা পাদ্রীর উপর ঝাপিয়ে পড়লো। হাতের হকিস্টিক দিয়ে তারা খুঁচিয়ে খুচিয়ে, পিটিয়ে পিটিয়ে পাদ্রীর ভবলীলা সাঙ্গ করে ছাড়লো!
ঘঠনাটি ছিলো খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রা.- এর খিলাফতকালের। ঘঠনাটির খবর যখন তাঁর দরবারে গিয়ে পৌঁছলো, আল্লাহর কসম! তিনি এতোটাই আনন্দিত হলেন যে, কখনও এতোটা আনন্দিত হননি কোনো অভিযানে বিজয় বা গানিমাহ অর্জনের পর! তিনি আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, এখন ইসলাম সম্মানী হলো! ইসলামের স্বকীয়তা বজায় রইলো!
সুবহানাল্লাহ! রাসুলপ্রেমের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করলো শিশুগুলো! কেমন ছিলো ঐ কচিকাঁচাগুলোর আত্নসম্ভ্রমবোধ! শাতিমে রাসুলের ইহলীলা সাঙ্গ করেই তবে ক্ষান্ত হলো! সালাম জানাই ঐ কচিদের! হাজার সালাম!
সূত্র-
ইমাম জারুল্লাহ যামাখশারী রচিত 'রাবী'উল আবরার' নামক গ্রন্থ।
Comment