হযরত হযরত খাব্বাব (রাঃ)
১ম অংশ
উম্মু আনমার দাস কেনা-বেচার ব্যবসা করে। তার নিজের জন্যেও একটি দাসের প্রয়োজন। তাগড়া হৃষ্টপুষ্ট একটি দাস চাই তার জন্য। সে নিজে বাজারে গেল। শত দাসের ভেতর একটি দাস তার খুব পছন্দ হলো। দাসটি যেমন জোয়ান তেমনি তাগড়া।
উম্মু আনমার দাসটি কিনে নিয়ে এলো। দাসটির নাম- খাব্বাব। খাব্বাবকে তরবারি তৈরির কলা কৌশল শেখানোর জন্যে উম্মে আনমার তাকে মক্কার এক বিখ্যাত কর্মকারের কাছে পাঠিয়ে দিল। খুব অল্প দিনের মধ্যেই খাব্বাব ভালো এবং উন্নতমানের তরবার বানানো শিখে গেলেন। দাস হলেও তিনি ছিলেন ছোটকাল থেকেই দারুণ মেধাবী। সেই সাথে ছিল তার সততা, নিষ্ঠা এবং সাহস। এ সময়ে নবী (সা) মক্কায় গোপনে ইসলাম প্রচার করতেন। ইসলাম প্রচারের খবর পেয়ে যুবক খাব্বাব অল্পদিনের মধ্যেই চুপি চুপি নবীর (সা) কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। ইসলাম গ্রহণের পর থেকেই শুরু হলো খাব্বাবের জীবনের আর এক অধ্যায়।
এই অধ্যায়টি ছিল খাব্বাবের জন্যে অগ্নিপরীক্ষার অধ্যায়। জুলূম, নির্যাতন আর অত্যাচারের পরেও ঈমানের পরীক্ষায় ধৈর্যের সাথে টিকে থাকার অধ্যায়। যুবক খাব্বাব ইসলাম গ্রহণ করেছে- এ খবর বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে। কথাটি উম্মু আনমারের কানেও গেল। সে তার দলবল নিয়ে কামারশালায় এসে কর্মরত খাব্বাবকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি নাকি ইসলাম গ্রহণ করেছো?
হ্যাঁ।
কামারশালায় কাজ করতে করতে খাব্বাব দৃঢ়তার সাথে জবাব দিলেন। কেনা দাসের এই জবাব শুনে আনমারার মাথায় খুন চেপে গেল। সে তার দলবলসহ ঝাঁপিয়ে পড়লো খাব্বাবের ওপর। বললো, তোর এত বড় সাহস! আমার কেনা দাস হয়ে তুই আমার ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছিস! বলতে বলতে কামারশালার হাতুড়ি এবং লোহার পাত দিয়ে খাব্বাবকে মারতে শুরু করলো। তাদের আঘাতে আঘাতে খাব্বাব রক্তাক্ত হয়ে গেলেন। তার সমস্ত শরীর দিয়ে রক্তের ধারা গড়িয়ে পড়তে থাকলো। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন।
আর একদিনের ঘটনা।
কামারশালায় কাজ করতে করতে খাব্বাব ভাবছিলেন ইসলামের কথা। ভাবছিলেন আল্লাহর কথা। ভাবছিলেন নবীল (সা) কথা। ভাবতে ভাবতে তিনি আনমনা হয়ে যান। নিজের সাথেই নিজে কথা বলেন। একসময়ে কুরাইশদের কিছু লোক তাদের বায়না দেয়া তরবারি নিতে খাব্বাবের দোকানে এলো। তারা দেখলো, খাব্বাব যেন কার সাথে কথা বলছেন।
-----*****-----
২য় অংশ
তারা জিজ্ঞেস করলো, আমাদের তরবারি কি বানানো হয়েছে?
খাব্বাব যেন তাদের কথা শুনতেই পপাননি। বরং হেসে বললেন, তোমরা কি তাঁকে দেখেছো?
তারা ক্ষেপে গেল ভীষণভাবে। বললো কার কথা বলছো?
খাব্বাব খুব শান্তভাবে হেসে বললেন, আমি নবী মুহাম্মদের (সা) কথা বলছি। তিনি এমন একজন মানুষ, যার চারদিক থেকে সত্যের আলো ছিটকে পড়ে। তাঁর চোখে মুখে নূরের চেরাগ। জ্বলতে থাকে জ্বলজ্বল করে। ঠিক নক্ষত্রের মতো। পূর্ণিমার চাঁদের মতো। ভোরের সুর্যের মতো। তিনি আল্লাহর রাসূল। আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনবার জন্যে আল্লাহ তাঁকে পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের সত্যের অগ্রপথিক। সত্য পথের রাহবার। একথা শুনার সাথে সাথে তারা বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো খাব্বাবের ওপর।
তাদের নির্মম- নিষ্ঠুর প্রহারে খাব্বাবের শরীর রক্তে ভেসে গেল। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তিনি এক সময় অচেতন হয়ে গেলেন। ইসলাম গ্রহণের কারণে, নবীকে (সা) ভালোবাসার কারণে খাব্বাকে সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন।
নিষ্ঠুর কাফেররা দুপুরে প্রচণ্ড রোদের তাপের মধ্যে খাব্বাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেত মরুভূমির উত্তপ্ত উপত্যকায়। তারপর তাকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে তার শরীরে লোহার বর্ম পরাতো। এভাবে তাঁকে আগুনের মতো উত্তপ্ত উপত্যকায় ফেলে রাখতো সূর্যাস্ত পর্যন্ত। প্রচণ্ড গরমে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে পানি-পানি বলে চিৎকার করতেন খাব্বা।
কাফেরা তাকে একটুও পানি দিত না। বরং বলতো, এবার বল মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে তোর মন্তব্য কী?
খাব্বাবের যন্ত্রণাকাতর মুখ থেকে একফালি হাসির রেখা তখনো ভেসে উঠতো। বলতেন, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর বান্দাহ এবং রাসূল। তিনি সত্য দ্বীন নিয়ে এসেছেন। তিনি আমাদের মুক্তির বার্তাবাহক। খাব্বাবের জবাব শুনে তারা আবারও তার ওপর নির্যাতন চালাতো।
তারা পাথর গরম করে সেই পাথরের ওপর খাব্বাবকে খালি গায়ে শুইয়ে দিত। তারপর গরম পাথরের ওপর তাঁকে চেপে ধরে রাখতো। গরম পাথরের চাপে খাব্বাবের কাঁধে চর্বি গলে বেয়ে বেয়ে পড়তো। তাঁর পিঠের গোশত উঠে যেত। তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। পিপাসায় কাতরাতেন।
নিষ্ঠুর কাফেররা খাব্বাবের যন্ত্রণার মধ্যেও আল্লাহ এবং তার প্রিয় নবীকে (সা) ডাকতেন। ডাকতে ডাকতে তিনি এক সময় নির্যাতনের নিষ্ঠুরতার জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন। অত্যাচারী কাফেরদের নির্যাতনের এরকম শিকর হতেন খাব্বাব। দিনের পর দিন- এভাবে প্রতিদিন চলতো তাদের নির্মম নিষ্ঠুর অত্যাচার খাব্বাবের ওপর।
আমারার এক অত্যাচারী ভাই ছিল। সে প্রতিদিন খাব্বাবের কামারশালার দোকানে আসতো। এসেই সে কামারশালার হাপর থেকে তুলে নিত গনগনে লোহার পাত। উত্তপ্ত-জ্বলন্ত লোহার পাত নিষ্ঠুর কাফের চেপে ধরতো খাব্বাবের মাথায়। তীব্র যন্ত্রণায় খাব্বাব কাটা কবুতরের মতো কেবলই ছটফট করতেন। এবং ছটফট করতে করতে এক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন।
ইসলাম গ্রহণ করার কারণে কাফেররা খাব্বাবের ওপর যে নিষ্ঠুর অত্যাচার আর নির্যাতন করেছে, তা এতই নির্মম- মুখে উচ্চারণ করতে শরীর শিউরে ওঠে। আল্লাহকে ভালোবেসে, নবীকে (সা) ভালোবেসে, সত্য দীনকে ভালোবেসে খাব্বাব শুকনো পাতার দাউ দাউ আগুনের মতো শাস্তি ভোগ করেছেন সারাটি জীবন।
দাস হওয়া সত্ত্বেও, দরিদ্র এবং দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও দুঃসাহসী খাব্বাব কুরাইশদের অহমিকার বিরুদ্ধে, তাদের মিথ্যার বিরুদ্ধে, তাদের কুসংস্কার এবং বিকৃতির বিরুদ্ধে পর্বতের মতো রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের কাছে, মিথ্যার কাছে মাথানত করেননি কখনো কাফেরদের এত শাস্তি এবং নিষ্ঠুরতার পরও খাব্বাব একচুল পরিমাণও সত্যের পথ থেকে কখনো দূরে সরে আসেন নি। তাদের হাজারো অত্যাচারেও এতটুকু ঘাবড়ে যাননি কামারশালার সাহসী পুরুষ- হযরত খাব্বাব।
-----*****-----
১ম অংশ
উম্মু আনমার দাস কেনা-বেচার ব্যবসা করে। তার নিজের জন্যেও একটি দাসের প্রয়োজন। তাগড়া হৃষ্টপুষ্ট একটি দাস চাই তার জন্য। সে নিজে বাজারে গেল। শত দাসের ভেতর একটি দাস তার খুব পছন্দ হলো। দাসটি যেমন জোয়ান তেমনি তাগড়া।
উম্মু আনমার দাসটি কিনে নিয়ে এলো। দাসটির নাম- খাব্বাব। খাব্বাবকে তরবারি তৈরির কলা কৌশল শেখানোর জন্যে উম্মে আনমার তাকে মক্কার এক বিখ্যাত কর্মকারের কাছে পাঠিয়ে দিল। খুব অল্প দিনের মধ্যেই খাব্বাব ভালো এবং উন্নতমানের তরবার বানানো শিখে গেলেন। দাস হলেও তিনি ছিলেন ছোটকাল থেকেই দারুণ মেধাবী। সেই সাথে ছিল তার সততা, নিষ্ঠা এবং সাহস। এ সময়ে নবী (সা) মক্কায় গোপনে ইসলাম প্রচার করতেন। ইসলাম প্রচারের খবর পেয়ে যুবক খাব্বাব অল্পদিনের মধ্যেই চুপি চুপি নবীর (সা) কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। ইসলাম গ্রহণের পর থেকেই শুরু হলো খাব্বাবের জীবনের আর এক অধ্যায়।
এই অধ্যায়টি ছিল খাব্বাবের জন্যে অগ্নিপরীক্ষার অধ্যায়। জুলূম, নির্যাতন আর অত্যাচারের পরেও ঈমানের পরীক্ষায় ধৈর্যের সাথে টিকে থাকার অধ্যায়। যুবক খাব্বাব ইসলাম গ্রহণ করেছে- এ খবর বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে। কথাটি উম্মু আনমারের কানেও গেল। সে তার দলবল নিয়ে কামারশালায় এসে কর্মরত খাব্বাবকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি নাকি ইসলাম গ্রহণ করেছো?
হ্যাঁ।
কামারশালায় কাজ করতে করতে খাব্বাব দৃঢ়তার সাথে জবাব দিলেন। কেনা দাসের এই জবাব শুনে আনমারার মাথায় খুন চেপে গেল। সে তার দলবলসহ ঝাঁপিয়ে পড়লো খাব্বাবের ওপর। বললো, তোর এত বড় সাহস! আমার কেনা দাস হয়ে তুই আমার ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছিস! বলতে বলতে কামারশালার হাতুড়ি এবং লোহার পাত দিয়ে খাব্বাবকে মারতে শুরু করলো। তাদের আঘাতে আঘাতে খাব্বাব রক্তাক্ত হয়ে গেলেন। তার সমস্ত শরীর দিয়ে রক্তের ধারা গড়িয়ে পড়তে থাকলো। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন।
আর একদিনের ঘটনা।
কামারশালায় কাজ করতে করতে খাব্বাব ভাবছিলেন ইসলামের কথা। ভাবছিলেন আল্লাহর কথা। ভাবছিলেন নবীল (সা) কথা। ভাবতে ভাবতে তিনি আনমনা হয়ে যান। নিজের সাথেই নিজে কথা বলেন। একসময়ে কুরাইশদের কিছু লোক তাদের বায়না দেয়া তরবারি নিতে খাব্বাবের দোকানে এলো। তারা দেখলো, খাব্বাব যেন কার সাথে কথা বলছেন।
-----*****-----
২য় অংশ
তারা জিজ্ঞেস করলো, আমাদের তরবারি কি বানানো হয়েছে?
খাব্বাব যেন তাদের কথা শুনতেই পপাননি। বরং হেসে বললেন, তোমরা কি তাঁকে দেখেছো?
তারা ক্ষেপে গেল ভীষণভাবে। বললো কার কথা বলছো?
খাব্বাব খুব শান্তভাবে হেসে বললেন, আমি নবী মুহাম্মদের (সা) কথা বলছি। তিনি এমন একজন মানুষ, যার চারদিক থেকে সত্যের আলো ছিটকে পড়ে। তাঁর চোখে মুখে নূরের চেরাগ। জ্বলতে থাকে জ্বলজ্বল করে। ঠিক নক্ষত্রের মতো। পূর্ণিমার চাঁদের মতো। ভোরের সুর্যের মতো। তিনি আল্লাহর রাসূল। আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনবার জন্যে আল্লাহ তাঁকে পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের সত্যের অগ্রপথিক। সত্য পথের রাহবার। একথা শুনার সাথে সাথে তারা বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো খাব্বাবের ওপর।
তাদের নির্মম- নিষ্ঠুর প্রহারে খাব্বাবের শরীর রক্তে ভেসে গেল। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তিনি এক সময় অচেতন হয়ে গেলেন। ইসলাম গ্রহণের কারণে, নবীকে (সা) ভালোবাসার কারণে খাব্বাকে সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন।
নিষ্ঠুর কাফেররা দুপুরে প্রচণ্ড রোদের তাপের মধ্যে খাব্বাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেত মরুভূমির উত্তপ্ত উপত্যকায়। তারপর তাকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে তার শরীরে লোহার বর্ম পরাতো। এভাবে তাঁকে আগুনের মতো উত্তপ্ত উপত্যকায় ফেলে রাখতো সূর্যাস্ত পর্যন্ত। প্রচণ্ড গরমে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে পানি-পানি বলে চিৎকার করতেন খাব্বা।
কাফেরা তাকে একটুও পানি দিত না। বরং বলতো, এবার বল মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে তোর মন্তব্য কী?
খাব্বাবের যন্ত্রণাকাতর মুখ থেকে একফালি হাসির রেখা তখনো ভেসে উঠতো। বলতেন, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর বান্দাহ এবং রাসূল। তিনি সত্য দ্বীন নিয়ে এসেছেন। তিনি আমাদের মুক্তির বার্তাবাহক। খাব্বাবের জবাব শুনে তারা আবারও তার ওপর নির্যাতন চালাতো।
তারা পাথর গরম করে সেই পাথরের ওপর খাব্বাবকে খালি গায়ে শুইয়ে দিত। তারপর গরম পাথরের ওপর তাঁকে চেপে ধরে রাখতো। গরম পাথরের চাপে খাব্বাবের কাঁধে চর্বি গলে বেয়ে বেয়ে পড়তো। তাঁর পিঠের গোশত উঠে যেত। তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। পিপাসায় কাতরাতেন।
নিষ্ঠুর কাফেররা খাব্বাবের যন্ত্রণার মধ্যেও আল্লাহ এবং তার প্রিয় নবীকে (সা) ডাকতেন। ডাকতে ডাকতে তিনি এক সময় নির্যাতনের নিষ্ঠুরতার জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন। অত্যাচারী কাফেরদের নির্যাতনের এরকম শিকর হতেন খাব্বাব। দিনের পর দিন- এভাবে প্রতিদিন চলতো তাদের নির্মম নিষ্ঠুর অত্যাচার খাব্বাবের ওপর।
আমারার এক অত্যাচারী ভাই ছিল। সে প্রতিদিন খাব্বাবের কামারশালার দোকানে আসতো। এসেই সে কামারশালার হাপর থেকে তুলে নিত গনগনে লোহার পাত। উত্তপ্ত-জ্বলন্ত লোহার পাত নিষ্ঠুর কাফের চেপে ধরতো খাব্বাবের মাথায়। তীব্র যন্ত্রণায় খাব্বাব কাটা কবুতরের মতো কেবলই ছটফট করতেন। এবং ছটফট করতে করতে এক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন।
ইসলাম গ্রহণ করার কারণে কাফেররা খাব্বাবের ওপর যে নিষ্ঠুর অত্যাচার আর নির্যাতন করেছে, তা এতই নির্মম- মুখে উচ্চারণ করতে শরীর শিউরে ওঠে। আল্লাহকে ভালোবেসে, নবীকে (সা) ভালোবেসে, সত্য দীনকে ভালোবেসে খাব্বাব শুকনো পাতার দাউ দাউ আগুনের মতো শাস্তি ভোগ করেছেন সারাটি জীবন।
দাস হওয়া সত্ত্বেও, দরিদ্র এবং দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও দুঃসাহসী খাব্বাব কুরাইশদের অহমিকার বিরুদ্ধে, তাদের মিথ্যার বিরুদ্ধে, তাদের কুসংস্কার এবং বিকৃতির বিরুদ্ধে পর্বতের মতো রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের কাছে, মিথ্যার কাছে মাথানত করেননি কখনো কাফেরদের এত শাস্তি এবং নিষ্ঠুরতার পরও খাব্বাব একচুল পরিমাণও সত্যের পথ থেকে কখনো দূরে সরে আসেন নি। তাদের হাজারো অত্যাচারেও এতটুকু ঘাবড়ে যাননি কামারশালার সাহসী পুরুষ- হযরত খাব্বাব।
-----*****-----
Comment