লাল শ্যামল বর্নের সুঠাম যুবক হামদী আল বান্না রহঃ। শায়েখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ বলেন তার সংগে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিলো কাফেলাসহ এক অভিযানে যাওয়ার পথে। বলা হয় আফগানিস্তানের মাটিতে তিনিই প্রথম মিসরী শহিদ। স্বভাবগত ভাবেই তিনি ছিলেন বাকসংযমী। সচারচর তাকে কথা বলতে দেখা যেত না। তবে যখন মুখ খুলতেন মুসলমানের দুঃখ দুর্দশার কথা বুকে থেকে আগ্নেয়গিরির লাভার মত উগরে বেন হত। প্রথম সাক্ষাতে তার পরিচয় ও সংক্ষিপ্ত কারগুজারি জেনেছিলাম খুব মিস্টি ভাষায় কোমল আওয়াজে, স্মিত অতিব্যক্তি সহ। সেদিন কথাগুলো তিনি বলেছিলেন - আমার নাম হামদী আল বান্না। আমি মিসর থেকে এসেছি। পেশায় আমি এক জন প্রকৌশ্লী। মিসর থেকে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চতর শিক্ষার উদ্দেশ্য লন্ডনে গিয়েছিলাম । কিন্তু মনের অবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিনর্তন হয়ে গেল। পড়া লেখা অসমাপ্ত রেখেই মিসরে চলে এলাম ধীরে ধীরে আমার চারপাশ, চেনা পরিবেশ অপরিচিত হয়ে উঠতে লাগলো এখন আর আরাম আয়েশ, সুখ - স্বাচ্ছন্দ্য ভাল লাগে না। নরম বিছানা, গরম খাবার, মনোরম আবহ কোন কিছুতে স্বস্তি পাইনা। ব্যস সব ফেলে বেরিয়ে পড়লাম শান্তির খোজে, পরম শান্তির চিরস্থায়ী আবাস জান্নাতের তালাসে। এভাবে চলে আসলাম আফগানিস্তানে। কারন হাদিছে যে জান্নাতী যুবকদের বিবরণ এসেছে - ঘোড়ার লাগাম ধরে উড়ে চলে, মজলুমের ফরিয়াদ শুনে মৃত্যুর তালাসে ''। সেই জান্নাতী যুবক হওয়ার জন্য আফগানিস্তানে উত্তম ক্ষেত্র।
তো এই হল সেই মিসরীয় যুবকের কারগুজারি। আফগানিস্তানে আসার পর থেকে তিনি মুজাহিদদের ঘাটিতে ঘাটিতে গিয়ে খোঁজ খবর নিতেন- খোথায় এখন সব চেয়ে ঝুকিপুর্ন অবিযান চলছে। সবচেয়ে গুত্বতর ও স্পর্শকতার অভিযান গুলোতেই তিনি অংশ নিতেন। এরই ধারবাহিকতায় মৌলভী গোলাম মুহাম্মাদ এর নেতৃত্বে পরিচালিত অত্যন্ত কার্যকারি ভীতসংকুল এক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং আল্লাহর রহমত এই অভিযানে মুজাহিদ বাহিনী বিজয় লাভ করেন। এটা ছিলো শাবান মাসের প্রথেম ঘটনা। সেখান থেকে ফিরে আরেটা অভিযানে শরিক হলেন আএ এটাও ছিলো রমজান মাস। শায়েখ বলেন আমার সৌভাগ্য যে আমি, ১ম,২য়,৩য় রমজানে তার সংগে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে। তখন তিনি মসজিদ নির্মানের কাজে উদ্দেশ্য জমিন সমান করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। দেখতাম তিনি নীরবে নিঃশব্দে কাজ করছেন। মুখে কোন কথা নেই, কোন হৈচৈ হুলস্থুল নেই। আত্মানিমগ্ন হয়ে কাজ করছেন। ক্লান্তি-বিরক্তি নেই কোন কিছুই যেন তাকে স্পর্শ করে না। তার আরেকটি বড় বৈশিস্ট্য ছিলো, সংগী- সাথীর সেবায় নিজেকে মিটিয়ে দেওয়া। তার অভ্যাস ছিলো সবার খাওয়া শেষ হওয়ার খেতে বসা তিনি দূরে বসে অপেক্ষা করতেন, যখন সবাই দস্তরখান থেকে ফারেগ হতো তখন তিনি দস্তরখান ঝেরে রুটির টুকরা ও ভগ্নাংশগুলো জড়ো করতেন, আর সব কাপের উচ্ছিস্ট চা কাপে জমা করতেন। ব্যস এতটুকু তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যেত। আংগুল চেটে খাওয়া, বাসন পরিস্কার করে খাওয়ার খুব এহতেমাম করতেন সংগে পালন করতেন। আর সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক রোজার আমল করতেন।
পাচই রমজান সকাল দশটার দিকে ভয়াবহ এক বিমান হামলায় তিনি শাহাদাত লাভ করেন। মুজাহিদ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ করে শত্রুদের বোমারু বিমান থেকে বৃস্টির মত গোলা বর্ষন চলছিলো। গোলার আঘাতে বিশাল এক পাথর খন্ড উপর থেকে ধ্বসে সরা সরি তার মাথার উপর এসে পড়ে। সংগে সংগে তার রুহ পরওয়াজ করে চলে যায় মহান আল্লাহর সান্ন্যিধ্যে
আল্লাহ তায়াল শায়েখের শহিদ কে কবুল করুন এবং শায়েখ এর মত আমাদের কে ও আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হয়ার তাওফিক দান করুন আমিন......... ………………………………
তো এই হল সেই মিসরীয় যুবকের কারগুজারি। আফগানিস্তানে আসার পর থেকে তিনি মুজাহিদদের ঘাটিতে ঘাটিতে গিয়ে খোঁজ খবর নিতেন- খোথায় এখন সব চেয়ে ঝুকিপুর্ন অবিযান চলছে। সবচেয়ে গুত্বতর ও স্পর্শকতার অভিযান গুলোতেই তিনি অংশ নিতেন। এরই ধারবাহিকতায় মৌলভী গোলাম মুহাম্মাদ এর নেতৃত্বে পরিচালিত অত্যন্ত কার্যকারি ভীতসংকুল এক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং আল্লাহর রহমত এই অভিযানে মুজাহিদ বাহিনী বিজয় লাভ করেন। এটা ছিলো শাবান মাসের প্রথেম ঘটনা। সেখান থেকে ফিরে আরেটা অভিযানে শরিক হলেন আএ এটাও ছিলো রমজান মাস। শায়েখ বলেন আমার সৌভাগ্য যে আমি, ১ম,২য়,৩য় রমজানে তার সংগে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে। তখন তিনি মসজিদ নির্মানের কাজে উদ্দেশ্য জমিন সমান করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। দেখতাম তিনি নীরবে নিঃশব্দে কাজ করছেন। মুখে কোন কথা নেই, কোন হৈচৈ হুলস্থুল নেই। আত্মানিমগ্ন হয়ে কাজ করছেন। ক্লান্তি-বিরক্তি নেই কোন কিছুই যেন তাকে স্পর্শ করে না। তার আরেকটি বড় বৈশিস্ট্য ছিলো, সংগী- সাথীর সেবায় নিজেকে মিটিয়ে দেওয়া। তার অভ্যাস ছিলো সবার খাওয়া শেষ হওয়ার খেতে বসা তিনি দূরে বসে অপেক্ষা করতেন, যখন সবাই দস্তরখান থেকে ফারেগ হতো তখন তিনি দস্তরখান ঝেরে রুটির টুকরা ও ভগ্নাংশগুলো জড়ো করতেন, আর সব কাপের উচ্ছিস্ট চা কাপে জমা করতেন। ব্যস এতটুকু তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যেত। আংগুল চেটে খাওয়া, বাসন পরিস্কার করে খাওয়ার খুব এহতেমাম করতেন সংগে পালন করতেন। আর সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক রোজার আমল করতেন।
পাচই রমজান সকাল দশটার দিকে ভয়াবহ এক বিমান হামলায় তিনি শাহাদাত লাভ করেন। মুজাহিদ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ করে শত্রুদের বোমারু বিমান থেকে বৃস্টির মত গোলা বর্ষন চলছিলো। গোলার আঘাতে বিশাল এক পাথর খন্ড উপর থেকে ধ্বসে সরা সরি তার মাথার উপর এসে পড়ে। সংগে সংগে তার রুহ পরওয়াজ করে চলে যায় মহান আল্লাহর সান্ন্যিধ্যে
আল্লাহ তায়াল শায়েখের শহিদ কে কবুল করুন এবং শায়েখ এর মত আমাদের কে ও আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হয়ার তাওফিক দান করুন আমিন......... ………………………………
Comment