মূল ফোরাম

[abubokorhindi]

আসসালামু আলাইকুম
সম্মানিত ভাইদের নিকট অধমের একটি আবেদন,
যা কয়েকদিন যাবৎ অনুভব করছি।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় হামলা হল,অনলাইনে কিছু কাফের প্রীতি ভাইদের দেখি তারা এ হামলার
বিরুদ্ধে খুব সোচ্চার, এমনকি আমার মত কিছু হতভাগাও এ হামলার বৈধতার ব্যাপারে মেনে নিতে
কষ্ট হচ্ছে,তাই সম্মানিত ভাইদের নিকট আবেদন, উম্মত কে এ ব্যাপারে সঠিক অবস্থান নিশ্চিত
করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে

১,হরবি কাফেরদের হামলার বৈধতার ব্যাপারে পরিষ্কার আলোচনা তৈরি করা,
২,তারা কেমন অপরাধী তা ফুটিয়ে উঠানো,
৩,এখন সব কাফেররাই যে এ হামলা গুলো সমর্থন করে, বা আমাদের প্রতি তাদের জনসাধারণের
ঘৃণা ও বিদ্বেষ যে সত্যিই আছে তা সম্পর্কে কয়েকটি ভিডিও বানানো,যাতে আমরা আমাদের মুসলিম
ভাই বোনদেরকে কাফের প্রীতি থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে পারি,এবং কাফেরদের প্রকৃত অবস্থা উম্মতের সামনে
স্পষ্ট হয়ে যায়

[হেলাল]

আল্লাহ আপনার মেহতকে কবুল করুন,আমিন।

[আদনানমারুফ]

ইমান বা আমান (সন্ধিচুক্তি, যিম্মাহচুক্তি বা নিরাপত্তা প্রদান) ব্যতীত কাফেরের রক্ত সর্বাবস্থায় মুবাহ, তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা যাবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য যারা আরবী ভাষা বোঝেন তারা শায়েখ আবু আব্দুল্লাহ আলমুহাজিরের কিতাব মাসায়েল মিন ফিকহিল জিহাদ কিতাবের দ্বিতীয় অধ্যায়, لا عصمة إلا بإيمان أو أمان এই অধ্যায়টি দেখতে পারেন। বরং কোন ভাই যদি এই কিতাবটি পুরো কিংবা কমপক্ষে এই অধ্যায়টি অনুবাদ করে দিতেন তবে খুবই ভালো হতো, আমার জানামতে জিহাদের সাথে সমৃক্ত জরুরী মাসায়েলগুলোর জন্য রচিত কিতাবাদীর মধ্যে এই কিতাবটি সবচেয়ে উত্তম। এখানে প্রতিটি মাসয়ালায় কুরআন-সুন্নাহর এত দলিল এবং মাযহাব চতুষ্টয়ের আলেমদের এত অসংখ্য নুসুস-বক্তব্য আনা হয়েছে যে এই কিতাবটি পড়লে এ ধরণের মাসায়েলে কোন সংশয়-সন্দেহ বাকী থাকার অবকাশই নেই।

[আবু যুবাইর]

আদনানমারুফ ভাই. কিতাবটির লিংক দিলে ভাল হয়। জাযাকাল্লাহ

[আবদুল্লাহ_ভাই]

ইমান বা আমান (সন্ধিচুক্তি, যিম্মাহচুক্তি বা নিরাপত্তা প্রদান) ব্যতীত কাফেরের রক্ত সর্বাবস্থায় মুবাহ, তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা যাবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য যারা আরবী ভাষা বোঝেন তারা শায়েখ আবু আব্দুল্লাহ আলমুহাজিরের কিতাব মাসায়েল মিন ফিকহিল জিহাদ কিতাবের দ্বিতীয় অধ্যায়, لا عصمة إلا بإيمان أو أمان এই অধ্যায়টি দেখতে পারেন। বরং কোন ভাই যদি এই কিতাবটি পুরো কিংবা কমপক্ষে এই অধ্যায়টি অনুবাদ করে দিতেন তবে খুবই ভালো হতো, আমার জানামতে জিহাদের সাথে সমৃক্ত জরুরী মাসায়েলগুলোর জন্য রচিত কিতাবাদীর মধ্যে এই কিতাবটি সবচেয়ে উত্তম। এখানে প্রতিটি মাসয়ালায় কুরআন-সুন্নাহর এত দলিল এবং মাযহাব চতুষ্টয়ের আলেমদের এত অসংখ্য নুসুস-বক্তব্য আনা হয়েছে যে এই কিতাবটি পড়লে এ ধরণের মাসায়েলে কোন সংশয়-সন্দেহ বাকী থাকার অবকাশই নেই।

এই মহান কাজের জন্য আল্লাহ্* কিছু ভাইকে তৈরী করে দিক, আমীন। এই কাজটি যারা করবেন তারা কেমন দারুণ সদকায়ে জারিয়া করে যাবেন !! সুবহানআল্লাহ !!

[Qital team]

ইমান বা আমান (সন্ধিচুক্তি, যিম্মাহচুক্তি বা নিরাপত্তা প্রদান) ব্যতীত কাফেরের রক্ত সর্বাবস্থায় মুবাহ, তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা যাবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য যারা আরবী ভাষা বোঝেন তারা শায়েখ আবু আব্দুল্লাহ আলমুহাজিরের কিতাব মাসায়েল মিন ফিকহিল জিহাদ কিতাবের দ্বিতীয় অধ্যায়, لا عصمة إلا بإيمان أو أمان এই অধ্যায়টি দেখতে পারেন। বরং কোন ভাই যদি এই কিতাবটি পুরো কিংবা কমপক্ষে এই অধ্যায়টি অনুবাদ করে দিতেন তবে খুবই ভালো হতো, আমার জানামতে জিহাদের সাথে সমৃক্ত জরুরী মাসায়েলগুলোর জন্য রচিত কিতাবাদীর মধ্যে এই কিতাবটি সবচেয়ে উত্তম। এখানে প্রতিটি মাসয়ালায় কুরআন-সুন্নাহর এত দলিল এবং মাযহাব চতুষ্টয়ের আলেমদের এত অসংখ্য নুসুস-বক্তব্য আনা হয়েছে যে এই কিতাবটি পড়লে এ ধরণের মাসায়েলে কোন সংশয়-সন্দেহ বাকী থাকার অবকাশই নেই।

হজরত কিতাব টি কত পৃষ্ঠা,
এবং কিতাবের লিঙ্ক দিন,
আমাদের টিমের মাধ্যমে করার চেষ্টা করবো,, ইনশাআল্লাহ

[আদনানমারুফ]

হজরত কিতাব টি কত পৃষ্ঠা,
এবং কিতাবের লিঙ্ক দিন,
আমাদের টিমের মাধ্যমে করার চেষ্টা করবো,, ইনশাআল্লাহ

জাযাকুমুল্লাহ ভাইয়েরা, আপনাদের মহতী উদ্যোগের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, কিতাবটি মোট ৫৬৯ পৃষ্ঠা। এতে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত বিশটি জরুরী মাসয়ালা, যেমন দারুল হারব, ইস্তেসহাদী হামলা, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুরো কিতাবের অনুবাদ সম্ভব না হলেও কমপক্ষে নির্বাচিত কিছু মাসয়ালা অনুবাদ করতে পারেন। কিতাবটির কিছু লিংক দিলাম, প্রয়োজনে আরো দিব, ইনশাআল্লাহ।

১. https://ia801000.us.archive.org/22/i...8%AC%D8%B1.pdf

২.https://my.pcloud.com/publink/show?c...PrMytvnJMQ1677

৩. http://www.ilmway.com/site/maqdis/MS_17004.html

৪. https://ia800503.us.archive.org/28/i...had/masael.pdf

এই কিতাবটির মাত্র ৩২ পৃষ্ঠায় একটি মুখতাসার রয়েছে, সেটিও দেখতে পারেন। তবে আমার মতে অনুবাদের জন্য মূল কিতাবটিই উত্তম, যদি মূল কিতাব পুরোটা অনুবাদ সম্ভব না হয় তাহলে মুখতাসার এবং মূল কিতাবের জরুরী কিছু মাসায়েল অনুবাদ করা যেতে পারে। মুখতাসারের লিংক

https://my.pcloud.com/publink/show?c...2CV91sUhGQukKy

[আদনানমারুফ]

মাসিক আলকাউসারের যিলকদ ১৪৩৭ আগস্ট ২০১৬ সংখ্যায় মুহতারাম মুফতী আবুল হাসান আব্দুল্লাহ ও মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের সমন্বিত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়, সে সাক্ষাৎকারের শিরোনামের একটি অংশ হলো, ‘কোনো অমুসলিমকে শুধু অমুসলিম হওয়ার কারণে হত্যা করা বৈধ নয়’ । সাক্ষাৎকারে বলা হয়, ‘যে কোনো মানুষকে সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম, অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম’। এখানে অন্যায় কি তারা স্পষ্ট করেননি। এ লেখা পড়ে পাঠক এটাই বুঝবে যে, কাফেররা আমাদের সাথে যু্দ্ধ করতে না আসলে ওদের হত্যা করা যাবে না। এবং তারা নিজেরাও এই বিশ্বাস করেন (তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জানা গেছে) এবং নিজেদের বক্তব্যেও এই মেসেজই দিতে চেয়েছেন। অথচ উম্মতের ইজমায়ী সিদ্ধান্ত হলো, কোন কাফেরের সাথে هدنة، ذمة، أمان (তথা সন্ধিচুক্তি, যিম্মাহচু্ক্তি ও নিরাপত্তাচুক্তি) না থাকলে সে মুবাহুদ দম, তার রক্তপাত বৈধ, যে মুশরিক শুধু হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসে তার ব্যাপারে ইমাম তবারী রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ৩১০ হি.) তার বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থে বলেন,
أجمعوا على أن المشرك لو قَلَّد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم، لم يكن ذلك له أمانًا من القتل، إذا لم يكن تقدَّم له عقد ذمة من المسلمين أو أمان. (تفسير الطبري: 9/479 ت أحمد شاكر، الناشر: مؤسسة الرسالة، الطبعة: الأولى، 1420 هـ)
আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, যদি কোন মুশরিক তার গলা ও বাহুদ্বয়ে হারামের সব গাছের ছালবাকল লাগিয়ে (হজ করতে) আসে তবে তা তার জন্য হত্যা থেকে মুক্তির সনদ হবে না, যতক্ষণ না মুসলমানদের পক্ষ থেকে তাকে যিম্মাহ বা আমান দেওয়া হয়। -তাফসীরে তবারী, ৯/৪৭৯

শব্দ ভিন্ন হলেও দিনশেষে তাদের বক্তব্য কাফের ও মডারেট মুসলিমদের সাথেই মিলে যায়, যারা বেসামরিক লোকদের হত্যা করা নিষিদ্ধ বলে, অথচ যারা ফিলহাল যুদ্ধ করছে না, কিন্তু যুদ্ধ করতে সক্ষম তাদের হত্যা করা আলেমগণের সর্বসম্মতিক্রমে বৈধ। আফসোস তারা তো তালিবুল ইলমদের হেদায়ার সাথে ফাতহুল কাদীর মুতালাআ করতে বলেন, কিন্তু যদি শুধু হেদায়া ও ফাতহুল কাদীর থেকে কিতাবুস সিয়ার তারা মুতালাআ করতেন, তাহলে তাদের অনেক ভ্রান্তি নিরসন হয়ে যেত, ফাতহুল কাদীরে ইমাম ইবনুল হুমাম প্রথমে কাফের মহিলাদের হত্যার নিষেধাজ্ঞার হাদিস উল্লেখ করেন, যে হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একযুদ্ধে এক কাফের নারীর লাশ দেখতে পেয়ে বলেন, এ তো যু্দ্ধ করার মত ছিল না, একে কেন হত্যা করা হলো? এরপর ইবনুল হুমাম হাদিসটি সহিহ প্রমাণিত করে বলেন,
وإذا ثبت فقد علل القتل بالمقاتلة في قوله «ما كانت هذه تقاتل» فثبت ما قلنا من أنه معلول بالحرابة فلزم قتل ما كان مظنة له. (فتح القدير: 4/291 ط. المطبعة الكبرى الأميرية بالبولاق: 1316)

‘যখন হাদিসটি সুবাব্যস্ত হলো, তো হাদিসে হত্যার কারণ বলা হয়েছে, যুদ্ধ করাকে, সুতরাং বুঝা গেল কাফেরদের হত্যার কারণ ওরা আমাদের সাথে যুদ্ধ, সুতরাং যে কাফেররা আমাদের সাথে যুদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে, (অর্থাৎ যুদ্ধক্ষম সুস্থ পুরুষদের) হত্যা করা আবশ্যক হবে। -ফাতহুল কাদীর,৪/২৯১

তো দেখুন, যারা সারাদিন তাহকীক তাহকীক করেন, জিহাদের মাসয়ালাতে তাদের তাহকীকের কী দশা, তাহলে গাইরে মুহাক্কিক আলেম ও সাধারণ মুসলমানদের কি অবস্থা হবে? এজন্যই বর্তমান পরিস্থিতিতে মাসায়েল মিন ফিকহিল জিহাদের দ্বিতীয় অধ্যায় لا عصمة إلا بإيمان أو أمان (ইমান ও আমান তথা সন্ধিচুক্তি, যিম্মাহচু্ক্তি ও নিরাপত্তাচুক্তি ব্যতীত সর্বাবস্থায় যুদ্ধক্ষম কাফেরদের হত্যা করা বৈধ) এর অনুবাদ অপরিহার্য। এতে বড়দেরও একটি বড় সংশয় নিরসন হবে ইনশাআল্লাহ।

[বদর মানসুর]

আদনান মারুফ ভাই! আপনার এই পোষ্টটি যদি মূল থ্রেডে দিতেন,তাহলে আরো বেশি উপকার হতো ইনশাআল্লাহ!

[আদনানমারুফ]

আদনান মারুফ ভাই! আপনার এই পোষ্টটি যদি মূল থ্রেডে দিতেন, তাহলে আরো বেশি উপকার হতো ইনশাআল্লাহ!

জাযাকাল্লাহ ভাই, আরো বিস্তারিত দলিল প্রমাণ সহ লিখে মূল থ্রেডে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি ঐ প্রবন্ধে উল্লিখিত আরো কিছু সংশয় নিরসনেরও ইচ্ছা আছে, তবে এতে একটু সময় লাগবে।

[musab bin sayf]

জাজাকাল্লাহ খাইরান আদনান মারুফ ভাইকে
ভাই আপনার প্রতিটি পোস্ট খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ
আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম ও আমলে বারাকাহ বাড়িয়ে দিক আমীন

[lahul hukmu]

জানিনা তারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই এমন মুহাক্কিক হল, নাকি অনিচ্ছাকৃত ভাবে।
হে আল্লাহ তুমি হিদায়েত দান কর (আমিন)