এগার.
মুহাম্মাদ ইবনু সীরিন রহ. (১১০হি.)
মুহাম্মাদ ইবনু সীরিন রহ. (১১০হি.)
৭২ হিজরির আলোচনায় আহনাফ ইবনু কায়স রহ. এর জীবনীতে ইবনে কাসীর রহ. বলেন,
قال الحاكم: وهو الذي افتتح مروالروذ، وكان الحسن وابن سيرين في جيشه. اهـ البداية والنهاية ط. إحياء التراث 8\360
“হাকেম রহ. বলেন, তিনিই হলেন সেই বীর যিনি মারওয়াররুজ বিজয় করেছেন। হাসান (বসরী) রহ. এবং ইবনে সীরিন রহ. সে বাহিনিতে ছিলেন।”- আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/৩৬০***
বার.
ইবরাহীম নাখায়ী রহ. (৯৬ হি.)
كان عبد الرحمن بن يزيد، وأبو حذيفة، وإبراهيم النخعي، وعمار بن عمير يغزون في أمرة الحجاج، قلت: أين كانوا يغزون؟ قال: خراسان، والديلم، وغير ذلك. فقال رجل من القوم: أكانوا يكرهون على ذلك؟ قال: لا، بل يخفون فيه ويعجبهم. اهـ مسائل حرب الكرماني (280هـ): 3\1061
“আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াজিদ, আবু হুজায়ফা, ইবরাহীম নাখায়ী, আম্মার ইবনু উমায়র রাহিমাহুমুল্লাহ- এরা সকলেই হাজ্জাজের শাসনকালে জিহাদ করতেন। (আবু ইসহাক আলফাজারি রহ. বলেন) আমি (আ’মাশ রহ.কে) জিজ্ঞেস করলাম, তারা কোথায় জিহাদ করতেন? তিনি উত্তর দেন, ‘খোরাসান ও দাইলামসহ বিভিন্ন এলাকায়’। উপস্থিত এক লোক জিজ্ঞেস করল, তাদেরকে কি জিহাদে যেতে বাধ্য করা হতো? তিনি উত্তর দেন, না! তারা স্বতস্ফূর্তভাবেই করতেন এবং এটি তাদের পছন্দের বিষয় ছিল।”- মাসায়িলু হরব আলকিরমানী ৩/১০৬১হাজ্জাজ অত্যন্ত ভয়ানক প্রকৃতির জালেম শাসক ছিল। সকলেই তাকে ঘৃণা করত। এতদসত্ত্বেও আইম্মায়ে দ্বীন তাকে আমীর মেনে তার নেতৃত্বে জিহাদ করতেন। হাজ্জাজ অনেকেকে জোর করে জিহাদে পাঠাতো। কিন্তু ইবরাহীম নাখায়ী রহ. এর মতো ইমামগণ জিহাদের আকর্ষণে স্বেচ্ছায়ই জিহাদ করতেন। জোর করতে হতো না। বুঝা গেল, জিহাদের আমীর ফাসেক হলেও অসুবিধা নেই। আজ যারা মুজাহিদদের সামান্য ভুল-ত্রুটি দেখলেই সমালোচনার ঝড় তুলেন, তাদের এ বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিৎ।
***
তের.
ইমাম নাসায়ী রহ. (৩০৩ হি.)
সিহাহ সিত্তার অন্যতম কিতাব নাসায়ী শরীফের সংকলক। হাদিসের জগতে নাসায়ী শরীফ এবং ইমাম নাসায়ী রহ. এর মান সম্পর্কে সকলে অবগত। ইবনুল ইমাদ আলহাম্বলী রহ. (১০৮৯ হি.) বলেন, ইমাম নাসায়ী রহ. (৩০৩ হি.)
قال ابن المظفّر الحافظ: سمعتهم بمصر يصفون اجتهاد النّسائي في العبادة بالليل والنهار، وأنه خرج إلى الغزو مع أمير مصر، فوصف من شهامته وإقامته السّنن في فداء المسلمين، واحترازه عن مجالس الأمير. اهـ شذرات الذهب 4\15-16
“হাফেয ইবনুল মুজাফফার রহ. বলেন, মিশরে উলামা-সাধারণ থেকে শুনলাম, তারা ইমাম নাসায়ীর গুণ-গান গাইছেন যে, তিনি রাত-দিনে অত্যধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল থাকেন। এও শুনলাম যে, তিনি মিশরের আমীরের সাথে জিহাদে গিয়েছেন। তিনি বর্ণনা করেন, নাসায়ী রহ. জিহাদের ময়দানে নিজের বাহাদুরির প্রমাণ দিয়েছেন। মুসলিম বন্দীদের মুক্তির শরয়ী সুন্নত কায়েম করেছেন। সব কিছু সত্ত্বেও সতর্কতার সাথে আমীরের দরবার থেকে দূরে দূরে থেকেছেন।”- শাযারাতুয যাহাব ৪/১৫-১৬***
Comment