চৌদ্দ.
আবু ইসহাক আলফাযারি রহ. (১৮৬হি.)
আবু ইসহাক আলফাযারি রহ. (১৮৬হি.)
তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহ. এর সমসাময়িক এবং তার সমমানের ইমাম। উভয়ই জগদ্বিখ্যাত ইমাম ও মুজাহিদ। কোন কোন সময় উভয়ে একই ভূমিতে রিবাতে মিলিত হতেন। তখনকার সময় মাসসিসাহ ছিল ভীতি সংকুল রিবাতের ভূমি। এখানে প্রায়ই রোমানদের সাথে যুদ্ধ বাঁধত। ইমাম ফাযারি রহ. এ ভূমিকেই নিজের রিবাতের স্থল হিসেবে গ্রহণ করেন। এখানেই আবাসস্থল গড়েন করেন। শেষে এখানেই ইন্তেকাল করেন।
যাহাবি রহ. তার আলোচনা এভাবে শুরু করেছেন,
أبو إسحاق الفزاري: الإمام، الكبير، الحافظ، المجاهد. اهـ
“বড় ইমাম, হাফেয ও মুজাহিদ আবু ইসহাক ফাযারি রহ.।”- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৭/৪৭২১৮৫ হিজরির আলোচনায় ইবনুল ইমাদ হাম্বলী রহ. (১০৮৯ হি.) বলেন,
فيها، وقيل: في التي تليها، توفي الإمام الغازي القدوة أبو إسحاق الفزاريّ إبراهيم بن محمّد بن الحارث الكوفيّ نزيل ثغر المصّيصة. اهـ
“এ বছর কিংবা মতান্তরে পরের বছর অনুসৃত ইমাম ও গাজি আবু ইসহাক ফাযারি রহ. ইন্তেকাল করেন, যিনি (নিজ ভূমি কূফা ছেড়ে) সীমান্তভূমি মাসসিসাকে আবাসস্থলরূপে গ্রহণ করেছিলেন।”- শাযারাতুয যাহাব ২/৩৮৩আরো বলেন,
كان إماما، قانتا، مجاهدا، مرابطا، آمرا بالمعروف، إذا رأى بالثغر مبتدعا أخرجه. اهـ
“তিনি একাধারে ছিলেন একজন ইমাম। আল্লাহর অনুগত বান্দা। মুজাহিদ। মুরাবিত। সৎ কাজের আদেশদাতা। সীমান্তে কোন বিদআতিকে দেখলে বের করে দিতেন।”- শাযারাতুয যাহাব ২/৩৮৩যাহাবি রহ. বর্ণনা করেন,
وقال أحمد العجلي: كان ثقة، صاحب سنة، صالحا، هو الذي أدب أهل الثغر، وعلمهم السنة، وكان يأمر وينهى، وإذا دخل الثغر رجل مبتدع، أخرجه، وكان كثير الحديث، وكان له فقه. اهـ
“আহমাদ আলইজলি রহ. বলেন, ফাযারি রহ. ছিলেন নির্ভরযোগ্য ইমাম। সুন্নাহর অনুসারি নেককার ব্যক্তি। তিনিই সীমান্তবাসীদের শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। সুন্নাহ শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি সৎ কাজে আদেশ করতেন এবং অসৎ কাজে নিষেধ করতেন। সীমান্তে কোন বিদআতি প্রবেশ করলে বের করে দিতেন। তিনি হাদিসের প্রভূত জ্ঞান রাখতেন। ফিকহেও দক্ষতা ছিল।”- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৭/৪৭৩ফুজাইল ইবনু ইয়াজ রহ. অনেক সময় শুধু ফাযারি রহ.কে দেখার জন্য মাসসিসায় যেতে পাগলপারা হয়ে উঠতেন।
ফাযারি রহ. মুজাহিদ ও মুরাবিতদের প্রয়োজনে জিহাদের উপর একটি বিখ্যাত কিতাবও লিখেছেন। ইমাম শাফিয়ি রহ. বলেন,
لم يصنف أحد في السير مثل كتاب أبي إسحاق. اهـ
“জিহাদের উপর আবু ইসহাক রহ. এর কিতাবের মতো কিতাব আর কেউ লিখতে পারেনি।”- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৭/৪৭৩ ***
Comment