Announcement

Collapse
No announcement yet.

দুই ভাইয়ের ঘটনা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দুই ভাইয়ের ঘটনা

    সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

    দুই ভাইয়ের ঘটনা

    আমের ইবনে সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রহমাতুল্লহ আ’লাইহি বলেন, হযরত সা’দ (রাঃ) ও সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের এক জামাত কে আমি বলিতে শুনিয়াছি যে, রাসুল (সাঃ) এর জামানায় দুই ভাই ছিলেন। তন্মধ্যে একজন অপর জন অপেক্ষা উত্তম ছিলেন। উত্তমজন প্রথমে মারা গেলেন এবং অপরজন আরও কিছুদিন জীবিত থাকিয়া পরে মারা গেলেন। রাসুল (সাঃ) এর নিকট কেহ দ্বিতীয় ব্যক্তির উপর প্রথম ব্যক্তির ফযীলত নিয়া আলোচনা করিলে তিনি বলিলেন, সে (দ্বিতীয় ভাই) কি নামায পড়ে নাই? সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম বলিলেন, হ্যাঁ, ইয়া রসুলুল্লহ! রাসুল (সাঃ) বলিলেন, তোমরা কি জান, তাহার নামায তাহাকে কোথায় পৌছাইয়া দিয়াছে? তারপর তিনি এই উপলক্ষে বলিলেন, নামাযের উদাহরণ হইল এইরূপ, যেমন কাহারও ঘরের সম্মুখে একটি সুমিষ্ট ও গভীর নহর প্রবাহিত থাকে, আর সে প্রত্যহ পাঁচবার উহাতে গোসল করে। তবে কি ধারণা তোমাদের? তাহার শরীরে কোন ময়লা থাকিবে কি? অন্য রেওয়ায়াতে বর্ণিত হইয়াছে যে, দ্বিতীয়জন প্রথমজনের চল্লিশ দিন পরে মারা গিয়াছিলেন।

    হযরত আবু হুরইরহ (রাঃ) বলেন, কুজাআহ বংশের দুই ব্যক্তি রাসুল (সাঃ) এর কাছে আসিয়া একত্রে মুসলমান হইয়াছিলেন। তন্মধ্যে একব্যক্তি (কোন জিহাদে) শহীদ হইলেন, অপরজন একবছর পর মারা গেলেন। হযরত তলহা ইবনে উবাইদুল্লহ (রাঃ) বলেন, আমি স্বপ্নে দেখিলাম যিনি পরে মারা গেলেন তাঁহাকে শহীদের পূর্বে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হইল। ইহাতে আমি আশ্চার্যান্বিত হইলাম। আমি সকালবেলা রাসুল (সাঃ) এর নিকট উহা আলোচনা করিলাম। অথবা অন্য কেহ আলোচনা করিলে রাসুল (সাঃ) বলিলেন, সে কি তাহার (অর্থাৎ শহীদের) পর এক রমযানের রোযা বেশী রাখে নাই? ছয় হাজার রাকাত নামায পড়ে নাই? এবং একবছরে এত এত রাকাত নামায (বেশী) পড়ে নাই? অপর এক রেওয়ায়াতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) বলিলেন, তবে তো উভয়ের মধ্যে আসমান যমীনের পার্থক্য হইয়া গিয়াছে। (আহমাদ) হায়াতুস সাহাবাহ ৪র্থ খন্ড (দারুল কিতাব, মে ২০০৩) পৃষ্ঠা ৩৯১-৩৯২

    ~~~**~~~
    আপনাদের নেক দু‘আয় মুজাহিদীনে কেরামকে ভুলে যাবেন না
Working...
X