খোরাসানের পথে হিজরত করা এক পাকিস্তানি বোনের আত্মজীবনী, পর্ব-২
খাওলা বিনতে আব্দুল আজিজ
ইংরেজদের তৈরী এই সেনাবাহিনীকে খুব কাছ থেকেই আমি দেখেছি। শিক্ষা লাভ করেছি আর্মি পাবলিক স্কুলে। আমার একথায় সামান্যও বাড়াবাড়ি হবে না যে, নাস্তিক্যবাদ সম্বলিত এসব স্কুল বাস্তবে ইংরেজদের গোলাম এবং ইসলামের গোড়া কর্তনকারী মুশাররফ(পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) এবং কায়ানী(সেনাপ্রধান)তৈরীর কারখানা। এসব স্কুলে নিযুক্ত দ্বীন সম্পর্কে অন্ধ এবং পশ্চিমা সভ্যতায় আকৃষ্ট শিক্ষকরা আমার মাঝে দ্বীনের প্রতি সীমাহীন অনিহা সৃষ্টি করেছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলা-মেশা শত শত যুবকের চরিত্র ধ্বংসে করাতের ভূমিকা পালন করছে। স্কুলে শিক্ষকরা বাচ্চাদেরকে পিতার সাথে কৃতওয়াদা অনুযায়ী ক্লাস করান এবং ছাত্ররাও একে অপরের সাথে এই ভিত্তিই স্কুলে যায়। মোট কথা, বাচ্চাদের মাঝে অহংকারী চিন্তা-চেতনা প্রথম দিন থেকেই মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীকে আমাদের সামনে ইসলামী হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। শুধু তাই নয়, বরং আমাদেরকে এই বিষয়টি পড়ানো হতো যে, পশ্চিমা জীবন ব্যবস্থা; যেমন, আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া,ইংলেন্ড একটি আদর্শিক জীবন ব্যবস্থা এবং এর আবিস্কারকরাও আদর্শবান। যেমন: হিলান-কিলার, ডারউয়িন ইত্যাদি। আমাদের নিষ্পাপ শিশুদের ব্রেইনে ছোট বেলা থেকেই গোলামী চিন্তা-ভাবনা এবং কাফেরদের বড়ত্ব বসিয়ে দেওয়া হয়। তাদের অনুসরণ ও সমর্থনেই আমাদের মুক্তি। যার হৃদয়ের কোণে সামান্য ইসলামের মহব্বত বাকি আছে তাকে একটি ভাসা ভাসা এবং টাইমপাস বিষয় “ইসলাম শিক্ষা” নামক সাবজেক্ট পড়ানোর মাধ্যমে খামোশ করিয়ে দেওয়া হয়। আমার খুব ভালো করেই মনে আছে যে, আমাদের আর্মি পাবলিক স্কুলের ইসলামী বিষয়ের শিক্ষিকা একজন পর্দাহিন নারী ছিল। যে আমাদেরকে কখনো নামায, রোযার জন্য তাম্বীহ করত না। আমাদেরকে বেতনভূক্ত এক বৃদ্ধা নারী পুলিশ ইসলাম শিক্ষা পড়াতো।
জাহায খুব দ্রুত গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছে। আমার ব্রেইনও খুব দ্রুত অতীতের স্মৃতিগুলো মন্থন করছে। সর্বশেষ মনে হচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর এত খারাপিতা সত্ত্বেও আমি কেন এই পাপাচারের ভূমিতে বন্দী ছিলাম? আমি এত বছর কেন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে ইসলামী, কর্মঠ এবং আত্নমর্যাদাবান মনে করতাম? পাকিস্তান সৃষ্টির পর, বিশেষত: ২০০১ সালের পর পাকিস্তান যেভাবে আমেরিকার বিষাক্ত গোলামী ক্রয় করে নিয়েছে এবং ইসলামের শেকড় কাটা শুরু করেছে তা চোখের পর্দা সরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু তারপরেও কেন আমি একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম।
আমি সেনাবাহিনীকে মুজাহিদীনে ইসলাম এবং মুজাহিদীনকে সন্ত্রাস মনে করতাম। হয়তো এটা একারণে যে, সেনাবাহিনীর সাথে যেকোন ভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নাস্তিকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তির উপর গড়ে তোলা হয়। অত:পর মিডিয়া এবং আর্মি স্কুল ও কলেজে মিথ্যার বাজনা এমন ভাবে বাজানো হয় যে, অন্য কোন কথাই শুনতে দেওয়া হয়না। তখন সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বলে মনে হতে থাকে।
এটাতো ছিল আমার ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার কেন্দ্র স্কুল কলেজের অবস্থা। আমার বাড়িও ছিল সেনা ক্যাম্পের ভিতর । সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা যখন এই ছাউনীতে প্রবেশ করে তখন সে নিজেকে নিজে এক নতুন দুনিয়ায় অনুভব করে। উভয় দলের পার্থক্য সুস্পষ্ট। সেনা ছাউনি যেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং বিনোদন অনুষ্ঠান হয় তা মূলত ভোগ বিলাস এবং পশ্চিমা সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু। দিনে অফিস এবং ডিউটিতে “ইয়েস স্যার!ইয়েস স্যার” এর ধ্বনি এবং রাতে ঐ অফিসার এবং তাদের জওয়ান সন্তানদের নিয়ে পশ্চিমা সিস্টেমে নাচ গান এবং আনন্দ-ফূর্তির সভা জমে, জুয়া খেলা, ক্ল্যাব এবং আর্মি ম্যাচে বিনোদন প্রোগ্রামগুলোতে নারী পুরুষদের প্রকাশ্য মেলা মেশা এবং ইংরেজদের কৃষ্টি কালচার অনুযায়ী অনুষ্ঠান । এসবই সেনাবাহিনীর শেয়ার। এরা ঐ সেনাবাহিনী যারা নিজেদেরকে Òখোরাসানের মুজাহিদ” মনে করে থাকে।
খাওলা বিনতে আব্দুল আজিজ
ইংরেজদের তৈরী এই সেনাবাহিনীকে খুব কাছ থেকেই আমি দেখেছি। শিক্ষা লাভ করেছি আর্মি পাবলিক স্কুলে। আমার একথায় সামান্যও বাড়াবাড়ি হবে না যে, নাস্তিক্যবাদ সম্বলিত এসব স্কুল বাস্তবে ইংরেজদের গোলাম এবং ইসলামের গোড়া কর্তনকারী মুশাররফ(পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) এবং কায়ানী(সেনাপ্রধান)তৈরীর কারখানা। এসব স্কুলে নিযুক্ত দ্বীন সম্পর্কে অন্ধ এবং পশ্চিমা সভ্যতায় আকৃষ্ট শিক্ষকরা আমার মাঝে দ্বীনের প্রতি সীমাহীন অনিহা সৃষ্টি করেছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলা-মেশা শত শত যুবকের চরিত্র ধ্বংসে করাতের ভূমিকা পালন করছে। স্কুলে শিক্ষকরা বাচ্চাদেরকে পিতার সাথে কৃতওয়াদা অনুযায়ী ক্লাস করান এবং ছাত্ররাও একে অপরের সাথে এই ভিত্তিই স্কুলে যায়। মোট কথা, বাচ্চাদের মাঝে অহংকারী চিন্তা-চেতনা প্রথম দিন থেকেই মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীকে আমাদের সামনে ইসলামী হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। শুধু তাই নয়, বরং আমাদেরকে এই বিষয়টি পড়ানো হতো যে, পশ্চিমা জীবন ব্যবস্থা; যেমন, আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া,ইংলেন্ড একটি আদর্শিক জীবন ব্যবস্থা এবং এর আবিস্কারকরাও আদর্শবান। যেমন: হিলান-কিলার, ডারউয়িন ইত্যাদি। আমাদের নিষ্পাপ শিশুদের ব্রেইনে ছোট বেলা থেকেই গোলামী চিন্তা-ভাবনা এবং কাফেরদের বড়ত্ব বসিয়ে দেওয়া হয়। তাদের অনুসরণ ও সমর্থনেই আমাদের মুক্তি। যার হৃদয়ের কোণে সামান্য ইসলামের মহব্বত বাকি আছে তাকে একটি ভাসা ভাসা এবং টাইমপাস বিষয় “ইসলাম শিক্ষা” নামক সাবজেক্ট পড়ানোর মাধ্যমে খামোশ করিয়ে দেওয়া হয়। আমার খুব ভালো করেই মনে আছে যে, আমাদের আর্মি পাবলিক স্কুলের ইসলামী বিষয়ের শিক্ষিকা একজন পর্দাহিন নারী ছিল। যে আমাদেরকে কখনো নামায, রোযার জন্য তাম্বীহ করত না। আমাদেরকে বেতনভূক্ত এক বৃদ্ধা নারী পুলিশ ইসলাম শিক্ষা পড়াতো।
জাহায খুব দ্রুত গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছে। আমার ব্রেইনও খুব দ্রুত অতীতের স্মৃতিগুলো মন্থন করছে। সর্বশেষ মনে হচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর এত খারাপিতা সত্ত্বেও আমি কেন এই পাপাচারের ভূমিতে বন্দী ছিলাম? আমি এত বছর কেন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে ইসলামী, কর্মঠ এবং আত্নমর্যাদাবান মনে করতাম? পাকিস্তান সৃষ্টির পর, বিশেষত: ২০০১ সালের পর পাকিস্তান যেভাবে আমেরিকার বিষাক্ত গোলামী ক্রয় করে নিয়েছে এবং ইসলামের শেকড় কাটা শুরু করেছে তা চোখের পর্দা সরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু তারপরেও কেন আমি একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম।
আমি সেনাবাহিনীকে মুজাহিদীনে ইসলাম এবং মুজাহিদীনকে সন্ত্রাস মনে করতাম। হয়তো এটা একারণে যে, সেনাবাহিনীর সাথে যেকোন ভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নাস্তিকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তির উপর গড়ে তোলা হয়। অত:পর মিডিয়া এবং আর্মি স্কুল ও কলেজে মিথ্যার বাজনা এমন ভাবে বাজানো হয় যে, অন্য কোন কথাই শুনতে দেওয়া হয়না। তখন সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বলে মনে হতে থাকে।
এটাতো ছিল আমার ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার কেন্দ্র স্কুল কলেজের অবস্থা। আমার বাড়িও ছিল সেনা ক্যাম্পের ভিতর । সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা যখন এই ছাউনীতে প্রবেশ করে তখন সে নিজেকে নিজে এক নতুন দুনিয়ায় অনুভব করে। উভয় দলের পার্থক্য সুস্পষ্ট। সেনা ছাউনি যেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং বিনোদন অনুষ্ঠান হয় তা মূলত ভোগ বিলাস এবং পশ্চিমা সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু। দিনে অফিস এবং ডিউটিতে “ইয়েস স্যার!ইয়েস স্যার” এর ধ্বনি এবং রাতে ঐ অফিসার এবং তাদের জওয়ান সন্তানদের নিয়ে পশ্চিমা সিস্টেমে নাচ গান এবং আনন্দ-ফূর্তির সভা জমে, জুয়া খেলা, ক্ল্যাব এবং আর্মি ম্যাচে বিনোদন প্রোগ্রামগুলোতে নারী পুরুষদের প্রকাশ্য মেলা মেশা এবং ইংরেজদের কৃষ্টি কালচার অনুযায়ী অনুষ্ঠান । এসবই সেনাবাহিনীর শেয়ার। এরা ঐ সেনাবাহিনী যারা নিজেদেরকে Òখোরাসানের মুজাহিদ” মনে করে থাকে।
Comment