সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
রাসুল (সাঃ) এর রাত্রের নামায সম্পর্কে সাহাবাহ কেরাম (রাঃ) দের বর্ণনা
হযরত আনাস (রাঃ)বলিয়াছেন, রাসুল (সাঃ) এত অধিক নামায পড়িলেন যে, তাঁহার পা ফুলিয়া গেল। অথবা বলিয়াছেন, তাঁহার হাঁটুর নিচের অংশ ফুলিয়া গেল। তাঁহাকে বলা হইল, আল্লহ তায়া’লা কি আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেন নাই? তিনি বলিলেন, আমি কি শোকরগুজার বান্দা হইব না?
হযরত আবু হুরইরহ (রাঃ)হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফুলিয়া যাইত।
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে মাসঊ’দ (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফুলিয়া যাইত।
হযরত নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফাটিয়া যাইত।
হযরত আ’য়েশাহ রদিয়াল্লহু আ’নহা বলেন, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফাটিয়া যাইত। আমি বলিলাম, ইয়া রসুলুল্লহ! আপনি কেন এমন করেন? অথচ আপনার সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হইয়াছে? পরবর্তী অংশ পূর্বের মতই উল্লেখ করিয়াছেন।
হযরত আবু হুরইরহ (রাঃ)হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফাটিয়া যাইত।
হযরত আনাস (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) এত ইবাদাত করিতেন যে, পুরানা মশকের (চামড়ার তৈরী পানি রাখিবার পাত্র) মত হইয়া গেলেন। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম বলিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ! আপনি কেন এরূপ করেন? আল্লহ তায়া’লা কি আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেন নাই? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, তবে আমি কি শোকরগুজার বান্দা হইব না? (কান্*য)
হযরত আনাস (রাঃ)কে রাসুল (সাঃ)ের রাত্রের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলিলেন, আমরা রাত্রিতে যখন তাঁহাকে নামাযে দেখিতে চাহিতাম, দেখিতাম তিনি নামায পড়িতেছেন। আবার যখন তাঁহাকে ঘুমন্ত দেখিতে চাহিতাম, দেখিতাম তিনি ঘুমাইতেছেন। তিনি কোন মাসে এত রোযা রাখিতেন যে, আমরা বলাবলি করিতাম তিনি আর রোযা ছাড়িবেন না। আবার কোন মাসে রোযা ছড়িয়া দিতেন। আমরা বলাবলি করিতাম আর বোধহয় তিনি রোযা রাখিবেন না।
হযরত আব্দুল্লহ (রাঃ)বলেন, এক রাত্রিতে আমি রাসুল (সাঃ)ের সহিত নামাযে দাঁড়াইলাম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়াইয়া রহিলেন যে, আমি খারাপ কথা ভাবিতে লাগিলাম। আমরা বলিলাম, ‘কি ভাবিতে ছিলেন?’ তিনি বলিলেন, আমি ভাবিতেছিলাম বসিয়া যাই বা ছাড়িয়া দেই।
হযরত আবুযার (রাঃ)হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) এক রাত্রিতে নিম্নোক্ত আয়াত পড়িতে পড়িতে সকাল করিয়া দিলেন।
إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۖ وَإِن تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থঃ আপনি যদি তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান করেন, তবে ইহারা তো আপনারই বান্দা, আর যদি তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেন তবে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা মায়েদাহঃ ১১৮) (বিদায়াহ)
হযরত আনাস (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) একবার ব্যাথা পাইলেন। সকালবেলা তাঁহাকে বলা হইল, ইয়া রসুলুল্লহ! বেদনার ছাপ আপনার শরীরে পরিলক্ষিত হইতেছে। তিনি বলিলেন, তোমরা যাহা দেখিতেছ এতদসত্ত্বেও আমি গত রাত্রিতে (নামাযে) (কুরআন পাকের প্রথম দিকের) সাতটি বড় বড় সুরা পড়িয়াছি। হায়াতুস সাহাবাহ ৪র্থ খন্ড (দারুল কিতাব, মে ২০০৩) পৃষ্ঠা ৩৯৮-৪০০
~~~***~~~
রাসুল (সাঃ) এর রাত্রের নামায সম্পর্কে সাহাবাহ কেরাম (রাঃ) দের বর্ণনা
হযরত আনাস (রাঃ)বলিয়াছেন, রাসুল (সাঃ) এত অধিক নামায পড়িলেন যে, তাঁহার পা ফুলিয়া গেল। অথবা বলিয়াছেন, তাঁহার হাঁটুর নিচের অংশ ফুলিয়া গেল। তাঁহাকে বলা হইল, আল্লহ তায়া’লা কি আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেন নাই? তিনি বলিলেন, আমি কি শোকরগুজার বান্দা হইব না?
হযরত আবু হুরইরহ (রাঃ)হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফুলিয়া যাইত।
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে মাসঊ’দ (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফুলিয়া যাইত।
হযরত নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফাটিয়া যাইত।
হযরত আ’য়েশাহ রদিয়াল্লহু আ’নহা বলেন, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফাটিয়া যাইত। আমি বলিলাম, ইয়া রসুলুল্লহ! আপনি কেন এমন করেন? অথচ আপনার সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হইয়াছে? পরবর্তী অংশ পূর্বের মতই উল্লেখ করিয়াছেন।
হযরত আবু হুরইরহ (রাঃ)হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) এত অধিক নামায পড়িতেন যে, তাঁহার পা ফাটিয়া যাইত।
হযরত আনাস (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) এত ইবাদাত করিতেন যে, পুরানা মশকের (চামড়ার তৈরী পানি রাখিবার পাত্র) মত হইয়া গেলেন। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম বলিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ! আপনি কেন এরূপ করেন? আল্লহ তায়া’লা কি আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেন নাই? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, তবে আমি কি শোকরগুজার বান্দা হইব না? (কান্*য)
হযরত আনাস (রাঃ)কে রাসুল (সাঃ)ের রাত্রের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলিলেন, আমরা রাত্রিতে যখন তাঁহাকে নামাযে দেখিতে চাহিতাম, দেখিতাম তিনি নামায পড়িতেছেন। আবার যখন তাঁহাকে ঘুমন্ত দেখিতে চাহিতাম, দেখিতাম তিনি ঘুমাইতেছেন। তিনি কোন মাসে এত রোযা রাখিতেন যে, আমরা বলাবলি করিতাম তিনি আর রোযা ছাড়িবেন না। আবার কোন মাসে রোযা ছড়িয়া দিতেন। আমরা বলাবলি করিতাম আর বোধহয় তিনি রোযা রাখিবেন না।
হযরত আব্দুল্লহ (রাঃ)বলেন, এক রাত্রিতে আমি রাসুল (সাঃ)ের সহিত নামাযে দাঁড়াইলাম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়াইয়া রহিলেন যে, আমি খারাপ কথা ভাবিতে লাগিলাম। আমরা বলিলাম, ‘কি ভাবিতে ছিলেন?’ তিনি বলিলেন, আমি ভাবিতেছিলাম বসিয়া যাই বা ছাড়িয়া দেই।
হযরত আবুযার (রাঃ)হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসুল (সাঃ) এক রাত্রিতে নিম্নোক্ত আয়াত পড়িতে পড়িতে সকাল করিয়া দিলেন।
إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۖ وَإِن تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থঃ আপনি যদি তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান করেন, তবে ইহারা তো আপনারই বান্দা, আর যদি তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেন তবে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা মায়েদাহঃ ১১৮) (বিদায়াহ)
হযরত আনাস (রাঃ)বলেন, রাসুল (সাঃ) একবার ব্যাথা পাইলেন। সকালবেলা তাঁহাকে বলা হইল, ইয়া রসুলুল্লহ! বেদনার ছাপ আপনার শরীরে পরিলক্ষিত হইতেছে। তিনি বলিলেন, তোমরা যাহা দেখিতেছ এতদসত্ত্বেও আমি গত রাত্রিতে (নামাযে) (কুরআন পাকের প্রথম দিকের) সাতটি বড় বড় সুরা পড়িয়াছি। হায়াতুস সাহাবাহ ৪র্থ খন্ড (দারুল কিতাব, মে ২০০৩) পৃষ্ঠা ৩৯৮-৪০০
~~~***~~~
Comment