দ্বিতীয়বার মুসলিম বিশ্বে কুফরী শাসনের ফিতনা দেখা দেয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানি খেলাফতের পরাজয়ের পর থেকে।
যখন মুরতাদ কুলাঙ্গার কামাল আতাতুর্ক ১৯২৪ সালে উসমানি খেলাফতের রাজধানী তুরস্ক থেকে ইসলামিশাসন দূর করে মানবরচিত সংবিধান দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করে।
মূলত উসমানি খেলাফতের পরাজয়ের পর কাফেররা বিশাল খেলাফতব্যবস্থাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়। এরপর থেকে একেক অংশে মুসলিম নামধারী একেকজন মুরতাদকে ক্ষমতায় বসায়। তারা আল্লাহ তাআলার শরিয়ত প্রত্যাখ্যান করে মানবরচিত কুফরি আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে থাকে।
তাফসিরুল কুরআন বিল কুরআনের অন্যতম অনবদ্য তাফসীরগ্রন্থ “আদওয়াউল বায়ান” লেখক প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা শানক্বিতী (রহ.) আপন তাফসীরগ্রন্থে বলেন-
ﻭَﻻَ ﻳُﺸْﺮِﻙُ ﻓِﻰ ﺣُﻜْﻤِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ-
"তিনি কাউকে নিজ বিধানের ক্ষেত্রে শরিক করেন না। [সূরা কাহাফ: ২৬]"
এর ব্যাখ্যায় প্রচলিত ডেমোক্রেসি শাসকদের কুফরির ব্যাপারে একাধিক বিশুদ্ধ দলিল পেশ করেন।
সর্বশেষ সারসংক্ষেপে তিনি বলেন-
ﻭﺑﻬﺬﻩ ﺍﻟﻨﺼﻮﺹ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﻳﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺫﻛﺮﻧﺎ ﻳﻈﻬﺮ ﻏﺎﻳﺔ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ : ﺃﻥ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺘﺒﻌﻮﻥ ﺍﻟﻘﻮﺍﻧﻴﻦ ﺍﻟﻮﺿﻌﻴﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺷﺮﻋﻬﺎ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﺃﻟﺴﻨﺔ ﺃﻭﻟﻴﺎﺋﻪ ﻣﺨﺎﻟﻔﺔ ﻟﻤﺎ ﺷﺮﻋﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﻞ ﻭﻋﻼ ﻋﻠﻰ ﺃﻟﺴﻨﺔ ﺭﺳﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﺳﻠﻢ، ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﺸﻚ ﻓﻲ ﻛﻔﺮﻫﻢ ﻭﺷﺮﻛﻬﻢ ﺇﻻ ﻣﻦ ﻃﻤﺲ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺼﻴﺮﺗﻪ، ﻭﺃﻋﻤﺎﻩ ﻋﻦ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻮﺣﻲ ﻣﺜﻠﻬﻢ .
“(উপরোল্লিখিত) এ সমস্ত আসমানি দলিল-প্রমাণ দ্বারা পূর্ণরূপে স্পষ্ট হয়েছে- যারা ঐ প্রণীত বিধানের অনুসরণ করে যা শয়তান তার বন্ধুদের মাধ্যমে প্রণয়ন করে যে বিধান আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের মাধ্যমে দিয়েছেন তার বিপরীত, তবে তাদের কাফের ও মুশরেক হওয়ার ব্যাপারে শুধু সে ব্যক্তিই সন্দেহ করতে পারে, আল্লাহ যার অর্ন্তদৃষ্টি নিভিয়ে দিয়েছেন এবং তাদেরই মতো তাকেও ওহির নূর থেকে অন্ধ করে দিয়েছেন।”
-সূত্র : [তাফসীরে আদওয়াউল বায়ান,খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ২৫৯]
-সংগৃহীত
আপনাদের দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না।
যখন মুরতাদ কুলাঙ্গার কামাল আতাতুর্ক ১৯২৪ সালে উসমানি খেলাফতের রাজধানী তুরস্ক থেকে ইসলামিশাসন দূর করে মানবরচিত সংবিধান দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করে।
মূলত উসমানি খেলাফতের পরাজয়ের পর কাফেররা বিশাল খেলাফতব্যবস্থাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়। এরপর থেকে একেক অংশে মুসলিম নামধারী একেকজন মুরতাদকে ক্ষমতায় বসায়। তারা আল্লাহ তাআলার শরিয়ত প্রত্যাখ্যান করে মানবরচিত কুফরি আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে থাকে।
তাফসিরুল কুরআন বিল কুরআনের অন্যতম অনবদ্য তাফসীরগ্রন্থ “আদওয়াউল বায়ান” লেখক প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা শানক্বিতী (রহ.) আপন তাফসীরগ্রন্থে বলেন-
ﻭَﻻَ ﻳُﺸْﺮِﻙُ ﻓِﻰ ﺣُﻜْﻤِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ-
"তিনি কাউকে নিজ বিধানের ক্ষেত্রে শরিক করেন না। [সূরা কাহাফ: ২৬]"
এর ব্যাখ্যায় প্রচলিত ডেমোক্রেসি শাসকদের কুফরির ব্যাপারে একাধিক বিশুদ্ধ দলিল পেশ করেন।
সর্বশেষ সারসংক্ষেপে তিনি বলেন-
ﻭﺑﻬﺬﻩ ﺍﻟﻨﺼﻮﺹ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﻳﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺫﻛﺮﻧﺎ ﻳﻈﻬﺮ ﻏﺎﻳﺔ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ : ﺃﻥ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺘﺒﻌﻮﻥ ﺍﻟﻘﻮﺍﻧﻴﻦ ﺍﻟﻮﺿﻌﻴﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺷﺮﻋﻬﺎ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﺃﻟﺴﻨﺔ ﺃﻭﻟﻴﺎﺋﻪ ﻣﺨﺎﻟﻔﺔ ﻟﻤﺎ ﺷﺮﻋﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﻞ ﻭﻋﻼ ﻋﻠﻰ ﺃﻟﺴﻨﺔ ﺭﺳﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﺳﻠﻢ، ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﺸﻚ ﻓﻲ ﻛﻔﺮﻫﻢ ﻭﺷﺮﻛﻬﻢ ﺇﻻ ﻣﻦ ﻃﻤﺲ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺼﻴﺮﺗﻪ، ﻭﺃﻋﻤﺎﻩ ﻋﻦ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻮﺣﻲ ﻣﺜﻠﻬﻢ .
“(উপরোল্লিখিত) এ সমস্ত আসমানি দলিল-প্রমাণ দ্বারা পূর্ণরূপে স্পষ্ট হয়েছে- যারা ঐ প্রণীত বিধানের অনুসরণ করে যা শয়তান তার বন্ধুদের মাধ্যমে প্রণয়ন করে যে বিধান আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের মাধ্যমে দিয়েছেন তার বিপরীত, তবে তাদের কাফের ও মুশরেক হওয়ার ব্যাপারে শুধু সে ব্যক্তিই সন্দেহ করতে পারে, আল্লাহ যার অর্ন্তদৃষ্টি নিভিয়ে দিয়েছেন এবং তাদেরই মতো তাকেও ওহির নূর থেকে অন্ধ করে দিয়েছেন।”
-সূত্র : [তাফসীরে আদওয়াউল বায়ান,খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ২৫৯]
-সংগৃহীত
আপনাদের দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না।
Comment