সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
একজন আনসারীর ঘটনা
হযরত ওয়াসেলাহ ইবনে আসাক' (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুকের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ঘোষণা দিলে আমি আমার পরিবারের নিকট গেলাম এবং সেখান হইতে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাদের প্রথম জামাত রওয়ানা হইয়া গিয়াছে। আমি মদীনায় এই ঘোষণা দিতে লাগিলাম যে, কে আছে কি, যে একজনকে সওয়ারী দান করিবে আর ইহার বিনিময়ে সওয়ারীর মালিক উক্ত ব্যক্তির গনীমতের মালের সমুদয় অংশ পাইয়া যাইবে? এক আনসারী বৃদ্ধ ব্যক্তি বলিল, আমরা তাহার গনীমতের মালের সমুদয় অংশ এই শর্তে লইতে রাজী আছি যে, সে আমাদের সহিত সওয়রীতে পালাক্রমে আরোহন করিবে (আমরা তাহাকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে কোন সওয়ারী দিতে পারিব না) এবং আমাদের সহিত খাওয়া দাওয়া করিবে। আমি বলিলাম, ঠিক আছে। বৃদ্ধ বলিল, তবে আল্লাহর নাম লইয়া চল। আমি সেই নেক লোকের সহিত চলিলাম।
আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদিগকে গনীমতের মাল দান করিলেন তখন আমার অংশে কিছু জোয়ান উট আসিল। আমি সেইগুলিকে হাঁকাইয়া আমার সঙ্গীর নিকট লইয়া গেলাম। সে বাহির হইয়া আসিল এবং একটি উটের পিছনের থলিতে বসিয়া বলিল, এই উটগুলিকে পিছনের দিকে লইয়া যাও (আমি পিছনের দিকে লইয়া গেলাম।) সে আবার বলিল, সামনের দিকে লইয়া যাও। (আমি সামনের দিকে লইয়া গেলাম।) অত:পর সে বলিল, তোমার জোয়ান উটগুলি তো অতি উত্তম মনে হইতেছে। আমি বলিলাম, এইগুলিই তো সেই গনীমতের মাল, যাহা দেওয়ার ঘোষণা করিয়াছিলাম। বৃদ্ধ আনসারী বলিল, হে আমার ভাতিজা, জোয়ান উটগুলি তুমি লইয়া যাও। আমাদের উদ্দেশ্য তো তোমার গনীমতের অংশ ছাড়া অন্য কিছু ছিল। ইমাম বাইহাকী (রহ.) বলেন, আনসারীর কথার অর্থ হইল, আমরা তোমার সহিত যাহা করিয়াছি উহার বিনিময়ে দুনিয়াতে কোন মজুরী লওয়ার উদ্দেশ্যে করি নাই, বরং আমরা তো আজর ও সওয়াবে শরীক হওয়ার উদ্দেশ্যে করিয়াছি।
হযরত আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমি কাহাকেও আল্লাহর রাস্তায় একটি চাবুক দান করি ইহা আমার নিকট হজ্জের পর হজ্জ করা হইতে অধিক প্রিয়। (তাবারনী) হায়াতুস সাহাবাহ ২য় খন্ড
~~~***~~~
একজন আনসারীর ঘটনা
হযরত ওয়াসেলাহ ইবনে আসাক' (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুকের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ঘোষণা দিলে আমি আমার পরিবারের নিকট গেলাম এবং সেখান হইতে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাদের প্রথম জামাত রওয়ানা হইয়া গিয়াছে। আমি মদীনায় এই ঘোষণা দিতে লাগিলাম যে, কে আছে কি, যে একজনকে সওয়ারী দান করিবে আর ইহার বিনিময়ে সওয়ারীর মালিক উক্ত ব্যক্তির গনীমতের মালের সমুদয় অংশ পাইয়া যাইবে? এক আনসারী বৃদ্ধ ব্যক্তি বলিল, আমরা তাহার গনীমতের মালের সমুদয় অংশ এই শর্তে লইতে রাজী আছি যে, সে আমাদের সহিত সওয়রীতে পালাক্রমে আরোহন করিবে (আমরা তাহাকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে কোন সওয়ারী দিতে পারিব না) এবং আমাদের সহিত খাওয়া দাওয়া করিবে। আমি বলিলাম, ঠিক আছে। বৃদ্ধ বলিল, তবে আল্লাহর নাম লইয়া চল। আমি সেই নেক লোকের সহিত চলিলাম।
আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদিগকে গনীমতের মাল দান করিলেন তখন আমার অংশে কিছু জোয়ান উট আসিল। আমি সেইগুলিকে হাঁকাইয়া আমার সঙ্গীর নিকট লইয়া গেলাম। সে বাহির হইয়া আসিল এবং একটি উটের পিছনের থলিতে বসিয়া বলিল, এই উটগুলিকে পিছনের দিকে লইয়া যাও (আমি পিছনের দিকে লইয়া গেলাম।) সে আবার বলিল, সামনের দিকে লইয়া যাও। (আমি সামনের দিকে লইয়া গেলাম।) অত:পর সে বলিল, তোমার জোয়ান উটগুলি তো অতি উত্তম মনে হইতেছে। আমি বলিলাম, এইগুলিই তো সেই গনীমতের মাল, যাহা দেওয়ার ঘোষণা করিয়াছিলাম। বৃদ্ধ আনসারী বলিল, হে আমার ভাতিজা, জোয়ান উটগুলি তুমি লইয়া যাও। আমাদের উদ্দেশ্য তো তোমার গনীমতের অংশ ছাড়া অন্য কিছু ছিল। ইমাম বাইহাকী (রহ.) বলেন, আনসারীর কথার অর্থ হইল, আমরা তোমার সহিত যাহা করিয়াছি উহার বিনিময়ে দুনিয়াতে কোন মজুরী লওয়ার উদ্দেশ্যে করি নাই, বরং আমরা তো আজর ও সওয়াবে শরীক হওয়ার উদ্দেশ্যে করিয়াছি।
হযরত আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমি কাহাকেও আল্লাহর রাস্তায় একটি চাবুক দান করি ইহা আমার নিকট হজ্জের পর হজ্জ করা হইতে অধিক প্রিয়। (তাবারনী) হায়াতুস সাহাবাহ ২য় খন্ড
~~~***~~~
Comment