তুমি এলে এ ভবে হে উসামা,
উচুঁ করে শির ও আমামা।
আগমন করিলে তুমি এ ধরায়ে,
ধ্বনিত হলো তাকবীর নারায়ে।
ত্যাগিলে তুমি সৌদির রাজকীয় আরাম,
তাগুতের ঘুম যে করে দিলে হারাম।
করিলে ত্যাগ তুমি প্রাচুর্যের মোহ,
ফের হলো শুরু বিজয়ে হক্বের সমারোহ।
হাকিলে তুমি বিপ্লবী হুংকার, ‘শিরে কুফর’ থাকিতে পারিবেনা এখানে আর।
ফরমাইলে ঘোষণা বিতাড়ন চাই তাগুতের, রাসূলের ভূমিতে রইবার অধিকার নেই ওদের। ইঙ্গ–মার্কিন তাই দেখিল চোখে সর্ষে ফুল, ভাবিল হায়, যায় বুঝি ইহকূল!
ছুটে গেলে তুমি আফগানের গুহায়,
বলিলে ‘হে সৌদি’ তোমায় বিদায়!
জিহাদের অনল জ্বালিলে তুমি এ ধরায়,
‘বিপ্লবী চেতনা’ স্পন্দিত হলো মুমিনের শিরায়।
ডাক দিলে তুমি জিহাদের,
আশান্বিত হলো জনতা বিপ্লবের।
বলিলে তুমি রক্তের বদলে রক্ত; ধ্বংসের বদলেও ধ্বংস, কুফর ও অনাচার করিব নির্বংশ।
তোমার বিপ্লবী এ ঘোষনায়,
নির্যাতিতরা অন্তরে শান্তি পায়।
দু’আ করে মাজলুমান ‘সফলতা উসামার’,
অত্যাচারীরাই তো হবে ছারখার।
কাপুরুষতার পরিবর্তে বেছে নিলে পথ তুমি বীরত্বের, বাঁচিব সিংহের ন্যায়; বিড়ালের জীবনে সফলতা কিসের?!
হানিলে আঘাত, করিলে আক্রমণ; মার্কিনী দাম্ভিকের অহংকার হলো চূর্ণ, মাটিতে ধূলিসাৎ হলো, হলো তা বিবর্ণ।
তুমি বিংশ শতাব্দীর এক কিংবদন্তী,
তোমারই কারণে জালিমরা নিদ্রায়ও পায়না শান্তি।
হাকিলে জাগার আওয়াজ, দর্শি হক্বের কুচকাওয়াজ; নীদ ভাঙ্গিল মুমিনের, তাই দেখিয়া বিস্ফোরিত হলো নয়ন ‘মুনাফিক ও কাফিরের’।
আখেরে পান করিলে তুমি ‘শাহাদাতের অমীয় সূধা’, তাই দর্শিয়া মোদেরও লাগিল শহীদানের ক্ষুধা।
আক্ষেপ হায়! আজ তুমি নেই এ ভবে,
তাই মোরা দুঃখিত ও ভারাক্রান্ত সবে।
খুশি হবে শুনে হে পেয়ারে খোদা, আজও স্তিমিত হইনি মোরা; করতে হবে যে কুফফারদের দিশেহারা।
মোরা দীপ্ত শপথ নিয়েছি আজ,
করিব আক্রমণ, ভাঙ্গিব কুফরের রাজ।
তোমার রহমত ও মাগফেরাত কামনায়,
আজ নিতে চাই এখানেই বিদায়।
–আহমাদ সালাবা
জিহাদই আমাদের পথ,
শরীয়াহ নতুবা শাহাদাহ।
Comment