একজন ইমামের বিস্ময়কর জীবনকথা
শাইখ আব্দুর রশিদ নুমানি রহ.
২৬৪ হিজরি। জুল-হিজ্জার শেষ দিন।
ইমাম আবু-জুরআ'হ শয্যাশয়ী। তাঁর শেষ অবস্থা___মৃত্যুর আলামত ফুটে উঠেছে ভাবগম্ভীর চেহারায়। তবে তিনি শান্ত নির্বিকার___নিষ্পলক দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছেন। ইমাম আবু-হাতেম, মুহাম্মদ বিন মুসলিম, মুনযির বিন শাযানসহ উলামায়ে কেরামের একটি দল দাঁড়িয়ে আছে তাঁর শিয়রে।
মুমূর্ষু অবস্থা দেখে সহসা তাঁদের মনে পড়ল তালকীনের কথা____হাদিসে মৃত্যুপথযাত্রীকে কালিমার তালকীন করার নির্দেশ এসেছে:
لقنوا موتاكم لا إله إلا الله
কিন্তু ইমাম আবু-জুরআ'হকে কালিমার তালকীন করবে কে? কার আছে এমন হিম্মত? মৃত্যুশয্যায়ও তাঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের প্রভাব দিব্যি অনুভব করতে পারছেন তাঁরা!
অবশেষে তাঁরা একটি উপায় বের করলেন। চলো, আমরা তালকীনের হাদিসগুলো পরস্পর মুযাকারা করি। প্রথমে শুরু করলেন মুহাম্মদ বিন মুসলিম:
حدثنا الضحاك بن مخلد عن عبد الحميد بن جعفر
এতটুকু বলে তিনি থেমে গেলেন। বাকীরাও চুপ করে রইলেন। সহসা মুমূর্ষু ইমাম আবু-জুরআ'হর দরাজ কণ্ঠ শোনা গেল:
حدثنا بندار، حدثنا أبو عاصم، حدثنا عبد الحميد بن جعفر، عن صالح بن أبي عريب، عن كثير بن مرة الحضرمي، عن معاذ بن جبل قال: قال رسول الله صلي الله عليه و سلم : من كان آخر كلامه لا إله إلا الله
এতটুকু বলতেই তাঁর মুবারক রুহ আসমানের দিকে উড়াল দিল। হাদিসের বাকি অংশ دخل الجنة তিনি হয়তো মুখে না বলে করে দেখিয়ে গেলেন। (সুবহানাল্লাহ)
[/color][/size]
♦ তথ্যসূত্র:
ইমাম ইবনে মাজাহ অওর ইলমে হাদিস; মাওলানা আব্দুর রশিদ নোমানী রহ.।
Comment