মুনাজাত
আহমাদ ইবনুস সিদ্দীক আল গুমারী,জাহেদ আল কাউসারী,শায়খ মুয়াল্লিমী,আহমাদ শাকের, শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী,আব্দুল্লাহ ইবনুস সিদ্দীক আল গুমারী,এদের ছাত্র বা ছাত্রদের সমকালীন প্রজন্মে শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ, আব্দুর রশীদ আন নুমানী,শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা,শুআইব আল আরনাউত,বাশশার আওয়াদ মারুফ,এদের পর আবু ইসহাক আল হুয়াইনী,সাইদ মামদুহ,আবু মুয়াজ তারিক ইবনে ইওয়াজুল্লাহ,শরীফ হাতেম আল আউনি এদেরকে উলুমুল হাদীসের নবজাগরণের ইতিহাসে আলাদা করে স্মরণ করতে হবে।শায়খ আবু উয়াইস মুহাম্মাদ আল আমিন বু খুবজাও এ কাফেলার অন্যতম একজন সদস্য।
(শায়খ সুলাইমান বিন নাসির আল উলওয়ানকে ফাক্কাল্লাহু আসরাহুকে নিয়ে আলাদা করে লেখার ইচ্ছা আছে।তাই এখানে উল্লেখ করলাম না)
গুমারী পরিবারের একজন আত্নীয় (বৈবাহিক সূত্রে) শায়খ আবু উয়াইস মুহাম্মাদ আল আমিন বুখুবজাহ।
শায়খ মুহাম্মাদ আল আমিন বু খুবজাহ
আলমাগরিবুল ইসলামীর একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম।সত্যপন্হী,সত্যগ্রাহী,সত্যভাষী একজন বড় আলেম হিসোবে নিজের পরিচয়েই তিনি পরিচিত।
শায়খ নাসিরুদ্দীন আল আলবানী রহঃ এর সাথেও তাঁর সুসম্পর্ক ছিল।
বর্তমান সময়ে তাহকীকুত তুরাস শাস্ত্রের কথা বলতে গেলেই যাদের নাম আসবে-তারা হলেন-শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ,শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা,শায়খ শুআইব আল আরনাউত,বাশশার আওয়াদ মারুফ...
শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহঃ শায়েখ বুখবজাহ সম্পর্কে বলেছিলেন-বর্তমান পৃথিবীতে মাখতুতাহ বা পান্ডুলিপি সম্পর্কে যাদের সবচে বেশি ধারণা আছে-এমন তিনজন আলেমের একজন হলেন শায়খ বু খুবজাহ।
শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ রহিমাহুল্লার এ উক্তিটি জানিয়েছেন তাঁরই ছাত্র বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম মুহাদ্দীস মুজাহিদ আলেম শায়খ আবুল ফদল ওমর আল হাদ্দুশী।
মুহাদ্দিস পরিচয়ের চেয়েও বড় যে পরিচয়টির কারণে শায়খ বুখুবজাহকে সকল মাসলাক-মাজহাবের ওলামা এবং আওয়াম প্রচন্ড ল ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখতো-তা হচ্ছে ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, উচ্চকণ্ঠে হক কথার আওয়াজ তোলা,দ্বীনের জন্য জিহাদ।
ফরাসি উপনিবেশের আমলেও তিনি কারাবরণ করেছেন।শেষ জীবনে মরক্কোর মুরতাদ শাসকের রোষানলের শিকার হয়েছেন।প্রায় সকল সত্যপন্হী আলেমের জন্য তিনি ছিলেন নির্ভরতার শ্যমল ছায়া।
ইলমী ওয়াকার,ইসলামী আখলাকের উত্তম দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি।
মুজাহিদ আলেমদেরকে তিনি পরম মমতায় আগলে রাখতেন।(আমাদের শায়খ জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে যে ব্যাপারটা অনেকটা দেখা যায়)
শায়খ আবুল ফদল উমার আল হাদ্দুশী তারই প্রিয় ছাত্র।শায়খ মুহাম্মাদ আল ফিজাজিও।ফিজাজী হাফিজাহুল্লার পিতা তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।ইউটিউবে সার্চ দিলেই তাদেরকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
মরক্কো ও সে অঞ্চলের সেক্যুলার বিরোধী সকল অান্দোলনের তিনি ছিলেন প্রেরণার উৎস।
শায়খ আবুল ফদল উমার আল হাদ্দুশী হাফিজাহুল্লাহ জেলে থাকা অবস্হায় শায়খ বুখুবজাহ রহঃ এই মুনাজাত টা লিখে পাঠিয়েছিলেন।অসম্ভব আবেগময় একটি মুনাজাত।শায়খ হাদ্দুশী হাফিজাহুল্লাহ তাঁর টিকাকৃত একটি কিতাবে এটা সংযুক্ত করে দিয়েছেন।
অনুবাদ করার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু মনে হল সাধ্য হবে না।অনুবাদে মূলের আবেগ ফুটিয়ে তোলার মতো কলমের শক্তি আমার নেই।তাই শুধু মূলটুকুই দিলাম।হয়তো এই সকরুণ প্রার্থনার সুর, সকাতর মিনতি ও নিবেদন রহমতের বৃষ্টিস্নাত রমাদানের এই দিনে কোনো ভাইয়ের হৃদয়ের উপকূল ভিজিয়ে দিয়ে যাবে।
দোয়ায় স্মরণ রাখার বিনীত আবদার।
إليه أشكو غلبة الأعداء، وتفشي الداء، وتحكم الأهواء،
وتخاذل العلماء، وظلم الأقوياء، وتكالب الأغنياء، وغرور السفهاء، ونزول البلاء بعد البلاء، وغربة الإسلام وأهله في هذه الفترة القاتمة، وما يتناوبنا فيها من فتن مظلمة، ومحن مؤلمة، لا نحن عندها بالبررة الأتقياء، ولا ذوي الشكيمة الأقوياء، إليك وحدك-ربنا-أشكو ظلم من ظلمنا:
(يا من لا يتبرَّمُ بإلحاحِ المُلِحِّين، ويَسَعُ كَرَمُهُ وَجُودُهُ مَطَالِبَ السائلين، انقطعت الأسبابُ، وتحيَّرت الألبابُ، وأعرض الأحبابُ، وسُدَّتْ في وجوهنا الأبوابُ، فلجأنا إلى بابك، وتمسكنا بأسبابك، عالمين أن اللاجئين إلى بابك مقبولون، والمتمسكين بأسبابك ناجون ومحمولون، أهلكـتْنا الشهواتُ وسَمُّها لذيذٌ، ووقَعْنا في شِرَاك الخطايا وخطرُها عريضٌ مَديدٌ،
إلَهَنا، هذا اضطرارُنا فامنُن بالإجابةْ، وهذا انكسارُنا وهو عُنْوانُ الإنابةْ، يا من يجيب المضطر إذا دعاهُ، وَيَجْبُرُ كسرَ التائبِ ويَرْعَاهُ، إلَهَنا، ادَّخَرْتَ تِسْعَةً وتِسْعِينَ جُزْءاً من رحْمتِك للآخرةِ، وأَنزلت جزءاً واحداً إلى الأرضِ، فَبِهِ يَتَراحمُ الخلْقُ، فَوَفِّرْ حَظَّنّا من رحمتك يا عظيمَ الرحمة، وأَغْرِقْ جَرَائمَنَا في بِحار عفوك يا واسعَ المغفرة،
إلَهَنَا، لا تُحاسبْنا بما فعلنا، ولا تعذبْنا بما فعل السفهاء منا، وقد أوْرَثَنَا حِلْمُك عنا الجُرْأَةَ عليك، وأَغْرَانا سِتْرُك لنا على التمادي في عِصْيَانِك، فنعوذ برضاك من سخطك، وبمعافاتك من عقوبتك، وبحلمك من غضبك، وبك منك،
يا من لا يَسْتَفِزُّه نَزَقُ الطائشين، ويَسْتَثِيرُهُ طَيْشُ الغُواة النَّزِقِين، يا أرحم الراحمين، يا رب العلمين. إلهَنَا، لا تعذب ألسنةً تَتَحَرَّكُ بذكرك، ولا تُحْرِقْ بنارك أعيُناً نَظَرَتْ في كتابك، وبَكَتْ من خشيتك، ولا قلوباً خَفَقَتْ بحبك، والشَّوْقِ إلى قُرِبِك، ولا تَرُدَّ أيْدياً رَفَعَتْها الآمالُ إليك صِفْراً، ولا أقْداماً سعَتْ إلى مرضاتك لِتَنَالَ أجراً،
إلهنا، أنت أغْنى الأغنياء عن طاعتنا، وأرفَعُ المُنَزَّهين عن إساءَتِنا، فَهَبْ عِصيانَنَا لإحسانِك، وغَطِّ على إجرامنا بعفوك وغفرانك، هذا رجاؤنا في فضلك، وجَّهَتْهُ عُبُودِيتُنا لربوبيتك، وهذا طَمَعُنَا في تَجَاوُزِك، أَثَارَه سَبَق رحمتك لغضبك، وهذا اضطرارُنا لِرِفْدِك، أَبْرَزَه افتقارُنا لكرمك، وهذا انطراحُنا بين يديك، دَفَع إليه خوفُنا من سَطْوتك، وهذه لَهْفَتُنا وضَرَاعتُنا، فَقَابِلْها بلطفك وغوثك، ها نحن ببابك واقفون فلا ترُدَّنا خائبين، يا أكرم الأكرمين، يا غياثَ المستغيثين، يا أرحم الراحمين يا رب العالمين). ثم قال:
إلَيْكَ شَكَاتِي يَا وَلِيِّي وَيَا حَكَمْ
*
فَوَارِي عُيُوبِي بِالسَّمَاحَةِ وَالْكَرَمْ
**
আহমাদ ইবনুস সিদ্দীক আল গুমারী,জাহেদ আল কাউসারী,শায়খ মুয়াল্লিমী,আহমাদ শাকের, শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী,আব্দুল্লাহ ইবনুস সিদ্দীক আল গুমারী,এদের ছাত্র বা ছাত্রদের সমকালীন প্রজন্মে শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ, আব্দুর রশীদ আন নুমানী,শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা,শুআইব আল আরনাউত,বাশশার আওয়াদ মারুফ,এদের পর আবু ইসহাক আল হুয়াইনী,সাইদ মামদুহ,আবু মুয়াজ তারিক ইবনে ইওয়াজুল্লাহ,শরীফ হাতেম আল আউনি এদেরকে উলুমুল হাদীসের নবজাগরণের ইতিহাসে আলাদা করে স্মরণ করতে হবে।শায়খ আবু উয়াইস মুহাম্মাদ আল আমিন বু খুবজাও এ কাফেলার অন্যতম একজন সদস্য।
(শায়খ সুলাইমান বিন নাসির আল উলওয়ানকে ফাক্কাল্লাহু আসরাহুকে নিয়ে আলাদা করে লেখার ইচ্ছা আছে।তাই এখানে উল্লেখ করলাম না)
গুমারী পরিবারের একজন আত্নীয় (বৈবাহিক সূত্রে) শায়খ আবু উয়াইস মুহাম্মাদ আল আমিন বুখুবজাহ।
শায়খ মুহাম্মাদ আল আমিন বু খুবজাহ
আলমাগরিবুল ইসলামীর একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম।সত্যপন্হী,সত্যগ্রাহী,সত্যভাষী একজন বড় আলেম হিসোবে নিজের পরিচয়েই তিনি পরিচিত।
শায়খ নাসিরুদ্দীন আল আলবানী রহঃ এর সাথেও তাঁর সুসম্পর্ক ছিল।
বর্তমান সময়ে তাহকীকুত তুরাস শাস্ত্রের কথা বলতে গেলেই যাদের নাম আসবে-তারা হলেন-শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ,শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা,শায়খ শুআইব আল আরনাউত,বাশশার আওয়াদ মারুফ...
শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহঃ শায়েখ বুখবজাহ সম্পর্কে বলেছিলেন-বর্তমান পৃথিবীতে মাখতুতাহ বা পান্ডুলিপি সম্পর্কে যাদের সবচে বেশি ধারণা আছে-এমন তিনজন আলেমের একজন হলেন শায়খ বু খুবজাহ।
শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ রহিমাহুল্লার এ উক্তিটি জানিয়েছেন তাঁরই ছাত্র বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম মুহাদ্দীস মুজাহিদ আলেম শায়খ আবুল ফদল ওমর আল হাদ্দুশী।
মুহাদ্দিস পরিচয়ের চেয়েও বড় যে পরিচয়টির কারণে শায়খ বুখুবজাহকে সকল মাসলাক-মাজহাবের ওলামা এবং আওয়াম প্রচন্ড ল ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখতো-তা হচ্ছে ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, উচ্চকণ্ঠে হক কথার আওয়াজ তোলা,দ্বীনের জন্য জিহাদ।
ফরাসি উপনিবেশের আমলেও তিনি কারাবরণ করেছেন।শেষ জীবনে মরক্কোর মুরতাদ শাসকের রোষানলের শিকার হয়েছেন।প্রায় সকল সত্যপন্হী আলেমের জন্য তিনি ছিলেন নির্ভরতার শ্যমল ছায়া।
ইলমী ওয়াকার,ইসলামী আখলাকের উত্তম দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি।
মুজাহিদ আলেমদেরকে তিনি পরম মমতায় আগলে রাখতেন।(আমাদের শায়খ জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে যে ব্যাপারটা অনেকটা দেখা যায়)
শায়খ আবুল ফদল উমার আল হাদ্দুশী তারই প্রিয় ছাত্র।শায়খ মুহাম্মাদ আল ফিজাজিও।ফিজাজী হাফিজাহুল্লার পিতা তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।ইউটিউবে সার্চ দিলেই তাদেরকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
মরক্কো ও সে অঞ্চলের সেক্যুলার বিরোধী সকল অান্দোলনের তিনি ছিলেন প্রেরণার উৎস।
শায়খ আবুল ফদল উমার আল হাদ্দুশী হাফিজাহুল্লাহ জেলে থাকা অবস্হায় শায়খ বুখুবজাহ রহঃ এই মুনাজাত টা লিখে পাঠিয়েছিলেন।অসম্ভব আবেগময় একটি মুনাজাত।শায়খ হাদ্দুশী হাফিজাহুল্লাহ তাঁর টিকাকৃত একটি কিতাবে এটা সংযুক্ত করে দিয়েছেন।
অনুবাদ করার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু মনে হল সাধ্য হবে না।অনুবাদে মূলের আবেগ ফুটিয়ে তোলার মতো কলমের শক্তি আমার নেই।তাই শুধু মূলটুকুই দিলাম।হয়তো এই সকরুণ প্রার্থনার সুর, সকাতর মিনতি ও নিবেদন রহমতের বৃষ্টিস্নাত রমাদানের এই দিনে কোনো ভাইয়ের হৃদয়ের উপকূল ভিজিয়ে দিয়ে যাবে।
দোয়ায় স্মরণ রাখার বিনীত আবদার।
إليه أشكو غلبة الأعداء، وتفشي الداء، وتحكم الأهواء،
وتخاذل العلماء، وظلم الأقوياء، وتكالب الأغنياء، وغرور السفهاء، ونزول البلاء بعد البلاء، وغربة الإسلام وأهله في هذه الفترة القاتمة، وما يتناوبنا فيها من فتن مظلمة، ومحن مؤلمة، لا نحن عندها بالبررة الأتقياء، ولا ذوي الشكيمة الأقوياء، إليك وحدك-ربنا-أشكو ظلم من ظلمنا:
(يا من لا يتبرَّمُ بإلحاحِ المُلِحِّين، ويَسَعُ كَرَمُهُ وَجُودُهُ مَطَالِبَ السائلين، انقطعت الأسبابُ، وتحيَّرت الألبابُ، وأعرض الأحبابُ، وسُدَّتْ في وجوهنا الأبوابُ، فلجأنا إلى بابك، وتمسكنا بأسبابك، عالمين أن اللاجئين إلى بابك مقبولون، والمتمسكين بأسبابك ناجون ومحمولون، أهلكـتْنا الشهواتُ وسَمُّها لذيذٌ، ووقَعْنا في شِرَاك الخطايا وخطرُها عريضٌ مَديدٌ،
إلَهَنا، هذا اضطرارُنا فامنُن بالإجابةْ، وهذا انكسارُنا وهو عُنْوانُ الإنابةْ، يا من يجيب المضطر إذا دعاهُ، وَيَجْبُرُ كسرَ التائبِ ويَرْعَاهُ، إلَهَنا، ادَّخَرْتَ تِسْعَةً وتِسْعِينَ جُزْءاً من رحْمتِك للآخرةِ، وأَنزلت جزءاً واحداً إلى الأرضِ، فَبِهِ يَتَراحمُ الخلْقُ، فَوَفِّرْ حَظَّنّا من رحمتك يا عظيمَ الرحمة، وأَغْرِقْ جَرَائمَنَا في بِحار عفوك يا واسعَ المغفرة،
إلَهَنَا، لا تُحاسبْنا بما فعلنا، ولا تعذبْنا بما فعل السفهاء منا، وقد أوْرَثَنَا حِلْمُك عنا الجُرْأَةَ عليك، وأَغْرَانا سِتْرُك لنا على التمادي في عِصْيَانِك، فنعوذ برضاك من سخطك، وبمعافاتك من عقوبتك، وبحلمك من غضبك، وبك منك،
يا من لا يَسْتَفِزُّه نَزَقُ الطائشين، ويَسْتَثِيرُهُ طَيْشُ الغُواة النَّزِقِين، يا أرحم الراحمين، يا رب العلمين. إلهَنَا، لا تعذب ألسنةً تَتَحَرَّكُ بذكرك، ولا تُحْرِقْ بنارك أعيُناً نَظَرَتْ في كتابك، وبَكَتْ من خشيتك، ولا قلوباً خَفَقَتْ بحبك، والشَّوْقِ إلى قُرِبِك، ولا تَرُدَّ أيْدياً رَفَعَتْها الآمالُ إليك صِفْراً، ولا أقْداماً سعَتْ إلى مرضاتك لِتَنَالَ أجراً،
إلهنا، أنت أغْنى الأغنياء عن طاعتنا، وأرفَعُ المُنَزَّهين عن إساءَتِنا، فَهَبْ عِصيانَنَا لإحسانِك، وغَطِّ على إجرامنا بعفوك وغفرانك، هذا رجاؤنا في فضلك، وجَّهَتْهُ عُبُودِيتُنا لربوبيتك، وهذا طَمَعُنَا في تَجَاوُزِك، أَثَارَه سَبَق رحمتك لغضبك، وهذا اضطرارُنا لِرِفْدِك، أَبْرَزَه افتقارُنا لكرمك، وهذا انطراحُنا بين يديك، دَفَع إليه خوفُنا من سَطْوتك، وهذه لَهْفَتُنا وضَرَاعتُنا، فَقَابِلْها بلطفك وغوثك، ها نحن ببابك واقفون فلا ترُدَّنا خائبين، يا أكرم الأكرمين، يا غياثَ المستغيثين، يا أرحم الراحمين يا رب العالمين). ثم قال:
إلَيْكَ شَكَاتِي يَا وَلِيِّي وَيَا حَكَمْ
*
فَوَارِي عُيُوبِي بِالسَّمَاحَةِ وَالْكَرَمْ
**
Comment