মুসলিম বন্দী - স্মরণিকাঃ
.
"এই মুহূর্তে আমি সারা দুনিয়ার মুসলিমদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সেই অকুতোভয় সৈনিকের কথা যিনি আমেরিকার হাতে বন্দী হয়ে আছেন। তিনি হলেন অসীম সাহসী শাইখ উমার আবদুর রাহমান। আল্লাহ্* তাকে হেফাযত করুন এবং বন্দীদশা থেকে মুক্তির ফয়সালা করুন। যখন আল্লাহ-র এই সৈনিককে আমেরিকার আদালতে হাজির করা হল এবং বাদীপক্ষ তাঁর মৃত্যুদণ্ড কামনা করলো তখন তিনি নূন্যতম বিচলিত হলেন না; বরং তাঁর বজ্রহুংকারে কেঁপে উঠলো সভাগৃহ, যেন তাগুতের প্রাসাদ এখনই মুখ থুবড়ে পড়বে।
.
তিনি দৃপ্তকন্ঠে বলতে লাগলেন -'হে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকমণ্ডলী! সত্য প্রকাশিত হয়েছে। চক্ষুষ্মানদের সামনে সত্যের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে। হুজ্জাহ কায়েম হয়েছে। সুতরাং আপনার কর্তব্য হল আল্লাহর আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালন করা, এবং আল্লাহ্*র বিধানের সাথে ঐক্যমত পোষণ করা। যদি এমনটি করতে ব্যর্থ হন আপনি কাফির, যালিম এবং ফাসিকে পরিণত হবেন।"
- ইসলামি বসন্ত ১
হাকীম আল-উম্মাহ হাফিযাহুল্লাহ
.
.
যখন জামাল আব্দুন নাসের মৃত্যুবরণ করে, শাইখ উমার আব্দুর রাহমান প্রকাশ্যে ফাতাওয়া দান করেন, কোন মুসলিমের জন্য জামাল আব্দুন নাসেরের জানাযার সালাহ পরা বৈধ হবে না, কারণ এই ব্যক্তির কাফির-মুরতাদ। এই বক্তব্যের কারণে তৎকালীন মিশরীয় সরকার তাঁকে বন্দী করে। পরবর্তীতে মুক্তির পাবার পর শাইখ উম্মাহ-র সাথে প্রতারণাকারী, ইস্রাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দানকারী, বিশ্বাসঘাতক আনওয়ার সাদাতকে হত্যার ফাতাওয়া দেন। শাইখের এই ফাতাওয়ার উপর ভিত্তি করে খালিদ আল-ইসলাম্বুলি রাহিমাহুল্লাহ সহ তাঁর সাথীরা সমগ্র বিশ্বের সামনে লাইভ টেলিকাস্ট চলাকালীন অবস্থায় আনওয়ার সাদাতকে হত্যা করেন। শাইখের একজন ছাত্র, মুসলিমদের উপর জেনোসাইড চালানোর পক্ষে ক্যাম্পেইন চালানো উগ্রবাদী যায়নিস্ট র*্যাবাই মেইয়ার কাহানেকে ১৯৯০-এ ম্যানহাটানে এক বক্তৃতার সময় হত্যা করেন।
.
.
আল্লাহ-র দুনিয়াতে আল্লাহ-র শাসন প্রতিষ্ঠার যে দায়িত্ব এই উম্মাহ ভুলতে বসেছিল, উম্মাহকে তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে, এবং এ দায়িত্ব পালনের সঠিক পন্থা কি, তা উম্মাহ-র সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যে কয়জন মহীরুহসম ব্যক্তি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন - শাইখ উমার আবদুর রাহমান তাদের অন্যতম। শৈশবে দৃষ্টিশক্তি হারানো এই মানুষটিকে আল্লাহ্* 'আযযা ওয়া জাল গভীর 'ইলম ও অন্তর্দৃষ্টি দান করেছিলেন, এমন এক সময়ে যখন উম্মাহর অধিকাংশই বাহ্যিকভাবে দৃষ্টিশক্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও অন্ধে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ্* শাইখের কল্যাণময় মুক্তি ত্বরান্বিত করে দিন, তাঁকে সত্যের উপর অটল রাখুন এবং তাঁকে এই দুনিয়াতে ও আখিরাতে সাফল্য দান করুন।
collected
.
"এই মুহূর্তে আমি সারা দুনিয়ার মুসলিমদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সেই অকুতোভয় সৈনিকের কথা যিনি আমেরিকার হাতে বন্দী হয়ে আছেন। তিনি হলেন অসীম সাহসী শাইখ উমার আবদুর রাহমান। আল্লাহ্* তাকে হেফাযত করুন এবং বন্দীদশা থেকে মুক্তির ফয়সালা করুন। যখন আল্লাহ-র এই সৈনিককে আমেরিকার আদালতে হাজির করা হল এবং বাদীপক্ষ তাঁর মৃত্যুদণ্ড কামনা করলো তখন তিনি নূন্যতম বিচলিত হলেন না; বরং তাঁর বজ্রহুংকারে কেঁপে উঠলো সভাগৃহ, যেন তাগুতের প্রাসাদ এখনই মুখ থুবড়ে পড়বে।
.
তিনি দৃপ্তকন্ঠে বলতে লাগলেন -'হে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকমণ্ডলী! সত্য প্রকাশিত হয়েছে। চক্ষুষ্মানদের সামনে সত্যের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে। হুজ্জাহ কায়েম হয়েছে। সুতরাং আপনার কর্তব্য হল আল্লাহর আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালন করা, এবং আল্লাহ্*র বিধানের সাথে ঐক্যমত পোষণ করা। যদি এমনটি করতে ব্যর্থ হন আপনি কাফির, যালিম এবং ফাসিকে পরিণত হবেন।"
- ইসলামি বসন্ত ১
হাকীম আল-উম্মাহ হাফিযাহুল্লাহ
.
.
যখন জামাল আব্দুন নাসের মৃত্যুবরণ করে, শাইখ উমার আব্দুর রাহমান প্রকাশ্যে ফাতাওয়া দান করেন, কোন মুসলিমের জন্য জামাল আব্দুন নাসেরের জানাযার সালাহ পরা বৈধ হবে না, কারণ এই ব্যক্তির কাফির-মুরতাদ। এই বক্তব্যের কারণে তৎকালীন মিশরীয় সরকার তাঁকে বন্দী করে। পরবর্তীতে মুক্তির পাবার পর শাইখ উম্মাহ-র সাথে প্রতারণাকারী, ইস্রাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দানকারী, বিশ্বাসঘাতক আনওয়ার সাদাতকে হত্যার ফাতাওয়া দেন। শাইখের এই ফাতাওয়ার উপর ভিত্তি করে খালিদ আল-ইসলাম্বুলি রাহিমাহুল্লাহ সহ তাঁর সাথীরা সমগ্র বিশ্বের সামনে লাইভ টেলিকাস্ট চলাকালীন অবস্থায় আনওয়ার সাদাতকে হত্যা করেন। শাইখের একজন ছাত্র, মুসলিমদের উপর জেনোসাইড চালানোর পক্ষে ক্যাম্পেইন চালানো উগ্রবাদী যায়নিস্ট র*্যাবাই মেইয়ার কাহানেকে ১৯৯০-এ ম্যানহাটানে এক বক্তৃতার সময় হত্যা করেন।
.
.
আল্লাহ-র দুনিয়াতে আল্লাহ-র শাসন প্রতিষ্ঠার যে দায়িত্ব এই উম্মাহ ভুলতে বসেছিল, উম্মাহকে তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে, এবং এ দায়িত্ব পালনের সঠিক পন্থা কি, তা উম্মাহ-র সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যে কয়জন মহীরুহসম ব্যক্তি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন - শাইখ উমার আবদুর রাহমান তাদের অন্যতম। শৈশবে দৃষ্টিশক্তি হারানো এই মানুষটিকে আল্লাহ্* 'আযযা ওয়া জাল গভীর 'ইলম ও অন্তর্দৃষ্টি দান করেছিলেন, এমন এক সময়ে যখন উম্মাহর অধিকাংশই বাহ্যিকভাবে দৃষ্টিশক্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও অন্ধে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ্* শাইখের কল্যাণময় মুক্তি ত্বরান্বিত করে দিন, তাঁকে সত্যের উপর অটল রাখুন এবং তাঁকে এই দুনিয়াতে ও আখিরাতে সাফল্য দান করুন।
collected
Comment