অামর ইবনুল অাস রাযিঃ পর্ব-২
রাসুল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যর পরে খেলাফতের দায়িত্ব হযরত অাবু বকর রাযিঃ এর উপর ন্যস্ত হয়। অার তখনই প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে রিদ্দাহর ফিতনা। আমর ইবনুল অাস রাযিঃ রিদ্দার যুদ্ধগুলোতে অত্যাধিক বিপদ ও দুর্যোগের সম্মুখিন হয়। আর সাথেসাথে তিনি যে দৃঢ়তার সাথে সে সব ফিতনার মোকাবেলা করেছেন তা আমাদেরকে অাবু বকর রাযিঃ এর দৃঢ়তার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়।
তিনি বনু আমের গোত্রে গিয়ে তাদের নেতা কুররাতু বিন হুবাইরার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তখন সে অামর ইবনুল অাসকে রাযিঃ বলে, হে অামর! তোমরা যে কর (যাকাত) লোকদের উপর অারোপ করেছো, তাতে অারবরা অসন্তুষ্ট। তোমরা যদি তা বন্ধ করে দাও তাহলে তারা তোমাদের অানুগত্য করবে অন্যথায় অাজকের পর তারা তোমাদের সাথে একত্রিত হবে না। এই কথা শুনে আমর ইবনুল অাস রাযিঃ ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন,
হে কুররা! ধ্বংস তোমার জন্য, তুমি কি কাফের হয়ে গেছো? আর আমাদেরকে আরবদের রিদ্দার ভয় দেখাচ্ছ?
অাল্লাহর কসম আমি তোমার মায়ের তাবুতেও ঘোড়া হাঁকাব।
আবু বকরের রাযিঃ ওফাতের পরে খেলাফতের দায়ভার উমরের রাযিঃ হাতে আসলে তখন তিনি আমর ইবনুল অাসের রাযিঃ বিচক্ষণতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। অাল্লাহ তায়া'লা এ মহান সাহাবীর হাতে একের পর এক ফিলিস্তিনের শহরগুলোর বিজয় দান করেন। এবং তিনি রোমের সৈন্যদলকে একের পর এক পরাজিত করতে থাকেন। শেষমেষ আজকের নির্যাতিত বাইতুল মাকদিস অবরোধ করেন। এবং রোমের সেনাপতি (অারয়াতুনের) অন্তরে ত্রাস সৃষ্টি করেন।
তাদেরকে বাইতুল মাকদিস ছেড়ে পালিয়ে অাশ্রয় নিতে বলেন, আর মসজিদুল অাকসাকে মুসলিমদের কাছে সমর্পণ করতে বলেন। পরবর্তীতে রোমের ধর্মগুরু তাঁর কাছে পত্র লিখে পাঠান, খলিফার উপস্থিতিতে আমরা তা হস্তান্তর করব। তখন আমর ইবনুল আস উমর রাযিঃ এর কাছে পত্র লিখে বাইতুল মাকদিসে আমন্ত্রণ করেন।
আর এভাবে হিজরী ১৫ সনে তা মুসলমানদের হস্তগত হয়।
উমর রাযিঃ যখন তাঁর কাছে বাইতুল মাকদিস বিজয় করার কৌশল শুনলেন তখন তিনি বলে উঠলেন,
لقد رمينا اريطون اليوم باريطون العرب
আমরা আরবের আরয়াতুন দ্বারা রোমের অারয়াতুনকে পরাজিত করেছি।
হায় মুসলিম! আজ আমরা কোথায়!
চলবে........
প্রথম পর্বের লিংক:- https://82.221.139.217/showthread.php?20259-
রাসুল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যর পরে খেলাফতের দায়িত্ব হযরত অাবু বকর রাযিঃ এর উপর ন্যস্ত হয়। অার তখনই প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে রিদ্দাহর ফিতনা। আমর ইবনুল অাস রাযিঃ রিদ্দার যুদ্ধগুলোতে অত্যাধিক বিপদ ও দুর্যোগের সম্মুখিন হয়। আর সাথেসাথে তিনি যে দৃঢ়তার সাথে সে সব ফিতনার মোকাবেলা করেছেন তা আমাদেরকে অাবু বকর রাযিঃ এর দৃঢ়তার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়।
তিনি বনু আমের গোত্রে গিয়ে তাদের নেতা কুররাতু বিন হুবাইরার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তখন সে অামর ইবনুল অাসকে রাযিঃ বলে, হে অামর! তোমরা যে কর (যাকাত) লোকদের উপর অারোপ করেছো, তাতে অারবরা অসন্তুষ্ট। তোমরা যদি তা বন্ধ করে দাও তাহলে তারা তোমাদের অানুগত্য করবে অন্যথায় অাজকের পর তারা তোমাদের সাথে একত্রিত হবে না। এই কথা শুনে আমর ইবনুল অাস রাযিঃ ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন,
হে কুররা! ধ্বংস তোমার জন্য, তুমি কি কাফের হয়ে গেছো? আর আমাদেরকে আরবদের রিদ্দার ভয় দেখাচ্ছ?
অাল্লাহর কসম আমি তোমার মায়ের তাবুতেও ঘোড়া হাঁকাব।
আবু বকরের রাযিঃ ওফাতের পরে খেলাফতের দায়ভার উমরের রাযিঃ হাতে আসলে তখন তিনি আমর ইবনুল অাসের রাযিঃ বিচক্ষণতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। অাল্লাহ তায়া'লা এ মহান সাহাবীর হাতে একের পর এক ফিলিস্তিনের শহরগুলোর বিজয় দান করেন। এবং তিনি রোমের সৈন্যদলকে একের পর এক পরাজিত করতে থাকেন। শেষমেষ আজকের নির্যাতিত বাইতুল মাকদিস অবরোধ করেন। এবং রোমের সেনাপতি (অারয়াতুনের) অন্তরে ত্রাস সৃষ্টি করেন।
তাদেরকে বাইতুল মাকদিস ছেড়ে পালিয়ে অাশ্রয় নিতে বলেন, আর মসজিদুল অাকসাকে মুসলিমদের কাছে সমর্পণ করতে বলেন। পরবর্তীতে রোমের ধর্মগুরু তাঁর কাছে পত্র লিখে পাঠান, খলিফার উপস্থিতিতে আমরা তা হস্তান্তর করব। তখন আমর ইবনুল আস উমর রাযিঃ এর কাছে পত্র লিখে বাইতুল মাকদিসে আমন্ত্রণ করেন।
আর এভাবে হিজরী ১৫ সনে তা মুসলমানদের হস্তগত হয়।
উমর রাযিঃ যখন তাঁর কাছে বাইতুল মাকদিস বিজয় করার কৌশল শুনলেন তখন তিনি বলে উঠলেন,
لقد رمينا اريطون اليوم باريطون العرب
আমরা আরবের আরয়াতুন দ্বারা রোমের অারয়াতুনকে পরাজিত করেছি।
হায় মুসলিম! আজ আমরা কোথায়!
চলবে........
প্রথম পর্বের লিংক:- https://82.221.139.217/showthread.php?20259-
Comment