অামর ইবনুল আস রাযিঃ ছিলেন মিসর বিজেতা। তিনি মিসরের মত মূল্যবান ভূখন্ডকে ইসলামের অধীনে নিয়ে আসেন। আর তখন থেকেই মুসলিমদের জন্য অাফ্রিকা, স্পেন ও পশ্চিমা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন। হতে পারে তাঁর এ মহৎ গুণের কারণে তিনি মিসর বিজয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি উমরকে রাযিঃ মিসর অাক্রমণ করার জন্য প্ররোচিত করতে থাকেন, এক পর্যায়ে উমর রাযিঃ তাঁকে অনুমতি দিয়ে দেন। এবং চার হাজারের এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে তাঁকে মিসর বিজয়ী করতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি পেয়ে অামর ইবনুল আস আর দেরি করলেন না। তৎক্ষণাৎ ছুটে চললেন মিসর পানে।
এদিকে তিনি বের হয়ে যাওয়ার পরপরই উসমান রাযিঃ খলীফা উমরের রাযিঃ সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন, আমর ইবনুল আস একজন দুঃসাহসী ব্যক্তি। তিনি ইমারার প্রতি অতিঅাগ্রহী। আর এ-কারণে হতে পারে তিনি কোন সৈন্য ও পাথেয়বিহীন তাদের হামলা করে বসবে। আর মুসলিম সৈন্যদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন। তখন উমর রাযিঃ লজ্জিত হলেন। সাথেসাথে একটি পত্র লিখে দূত প্রেরণ করেন।
অন্যদিকে সাহাবী আমর ইবনুল অাসের কাছে যখন খবর পৌঁছল যে খলীফা তাঁর কাছে দূত প্রেরণ করেছেন, তখন তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন, এবং বিভিন্ন ধারণা পোষণ করতে থাকেন। তিনি দূতের অপেক্ষায় না থেকে মিসর অভিমূখী হতে থাকলেন, এবং মিসরে গিয়ে তাঁবু গাড়েন। সেখানে দূতের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তখন দূত তাঁকে খলীফার পত্রটি হাতে তুলে দেন। তিনি পত্রটি খুলে পড়তে লাগলেন।
তাতে লিখা ছিল,
হে আমর! তুমি যদি আমার এ পত্রটি মিসরে প্রবেশের পূর্বে পেয়ে থাক তাহলে পিছনে ফিরে আসবে আর যদি মিসরে প্রবেশের পরে পেয়ে থাক তাহলে সামনে চলা অব্যহত রাখবে।
অামর ইবনুল আস রাযিঃ তা সৈন্যদের সামনে পাঠ করে বলেন, তোমরা কি জান না আমরা এখন মিসরের মাটিতে?
তারা বলল, হ্যাঁ আমরা এখন মিসরে।
তিনি বললেন, তাহলে সামনে অগ্রসর হতে থাকো।
তিনি মিসরে পৌঁছে রোমদের একটা দূর্গ অবরোধ করেন, তখন রোমের সেনাপতি তাঁর কাছে একজন সেনাপতি পাঠাতে বলে যাতে সে তাঁর সাথে মতবিনিময় করে, তখন অনেক সাহাবী নিজেকে প্রতিনিধি করতে চেয়েছিলেন। আমর ইবনুল আস রাযিঃ বলেন, আমিই মুসলিমদের প্রতিনিধি সেজে তার কাছে যাব।
আমর তার সাথে মতবিনিময় করেন, কিন্তু সে তাঁকে চিনতে পারে নি। আলাপচারিতা করতে করতে এক পর্যায়ে আমরের রাযিঃ দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতা তার সামনে প্রকাশ পেয়ে যায়, এবং সে তাঁর সাথে গাদ্দারী করার ইচ্ছে করে, অতপর দূর্গরক্ষাকারীদের আদেশ দেয় যে, দূর্গ থেকে বাহির হওয়ার পূর্বেই আমরকে রাযিঃ যেন হত্যা করা হয়। আমর রাযিঃ যখন বাহির হচ্ছিলেন ঠিক তখনি বুঝতে পারলেন যে, তারা তাঁর সাথে গাদ্দারী করতে যাচ্ছে। তখন তিনি আবার ভিতরে চলে গেলেন,
গিয়ে রোম সেনাপতিকে বলেন, আপনি আমাকে যে উপহার দিলেন, তাতে সবার জন্য যথেষ্ট হবে না। আপনি যদি আমাকে অনুমতি দেন তাহলে আমি আরো দশজনকে নিয়ে অাসব। অার আপনি সবাইকে পুরুস্কৃত করবেন, তখন রোমসেনাপতি একজনের পরিবর্তে দশজনের লোভে পড়ে যায়।
অার দূর্গরক্ষাকারীদের ইশারা দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলে।
এভাবে তিনি তাঁর বিচক্ষণতার মাধ্যমে রোমসেনাপতিকে প্রতারিত করেন। পরবর্তীতে মিসর বিজয় হয়ে যাওয়ার পর তা মুসলিমদের কাছে হস্তান্তর করতে অাসলে আমরকে রাযিঃ দেখতে পেয়ে সে অবাক হয়ে বলে!
তুমি কি সে ব্যক্তি?
আমর রাযিঃ বলেন, হ্যাঁ আমিই সে ব্যক্তি যার সাথে তুমি গাদ্দারী করতে চেয়েছিলে!
চলবে..........
দ্বিতীয় পর্বের লিংক:- https://82.221.139.217/showthread.php?20282
তিনি উমরকে রাযিঃ মিসর অাক্রমণ করার জন্য প্ররোচিত করতে থাকেন, এক পর্যায়ে উমর রাযিঃ তাঁকে অনুমতি দিয়ে দেন। এবং চার হাজারের এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে তাঁকে মিসর বিজয়ী করতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি পেয়ে অামর ইবনুল আস আর দেরি করলেন না। তৎক্ষণাৎ ছুটে চললেন মিসর পানে।
এদিকে তিনি বের হয়ে যাওয়ার পরপরই উসমান রাযিঃ খলীফা উমরের রাযিঃ সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন, আমর ইবনুল আস একজন দুঃসাহসী ব্যক্তি। তিনি ইমারার প্রতি অতিঅাগ্রহী। আর এ-কারণে হতে পারে তিনি কোন সৈন্য ও পাথেয়বিহীন তাদের হামলা করে বসবে। আর মুসলিম সৈন্যদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন। তখন উমর রাযিঃ লজ্জিত হলেন। সাথেসাথে একটি পত্র লিখে দূত প্রেরণ করেন।
অন্যদিকে সাহাবী আমর ইবনুল অাসের কাছে যখন খবর পৌঁছল যে খলীফা তাঁর কাছে দূত প্রেরণ করেছেন, তখন তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন, এবং বিভিন্ন ধারণা পোষণ করতে থাকেন। তিনি দূতের অপেক্ষায় না থেকে মিসর অভিমূখী হতে থাকলেন, এবং মিসরে গিয়ে তাঁবু গাড়েন। সেখানে দূতের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তখন দূত তাঁকে খলীফার পত্রটি হাতে তুলে দেন। তিনি পত্রটি খুলে পড়তে লাগলেন।
তাতে লিখা ছিল,
হে আমর! তুমি যদি আমার এ পত্রটি মিসরে প্রবেশের পূর্বে পেয়ে থাক তাহলে পিছনে ফিরে আসবে আর যদি মিসরে প্রবেশের পরে পেয়ে থাক তাহলে সামনে চলা অব্যহত রাখবে।
অামর ইবনুল আস রাযিঃ তা সৈন্যদের সামনে পাঠ করে বলেন, তোমরা কি জান না আমরা এখন মিসরের মাটিতে?
তারা বলল, হ্যাঁ আমরা এখন মিসরে।
তিনি বললেন, তাহলে সামনে অগ্রসর হতে থাকো।
তিনি মিসরে পৌঁছে রোমদের একটা দূর্গ অবরোধ করেন, তখন রোমের সেনাপতি তাঁর কাছে একজন সেনাপতি পাঠাতে বলে যাতে সে তাঁর সাথে মতবিনিময় করে, তখন অনেক সাহাবী নিজেকে প্রতিনিধি করতে চেয়েছিলেন। আমর ইবনুল আস রাযিঃ বলেন, আমিই মুসলিমদের প্রতিনিধি সেজে তার কাছে যাব।
আমর তার সাথে মতবিনিময় করেন, কিন্তু সে তাঁকে চিনতে পারে নি। আলাপচারিতা করতে করতে এক পর্যায়ে আমরের রাযিঃ দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতা তার সামনে প্রকাশ পেয়ে যায়, এবং সে তাঁর সাথে গাদ্দারী করার ইচ্ছে করে, অতপর দূর্গরক্ষাকারীদের আদেশ দেয় যে, দূর্গ থেকে বাহির হওয়ার পূর্বেই আমরকে রাযিঃ যেন হত্যা করা হয়। আমর রাযিঃ যখন বাহির হচ্ছিলেন ঠিক তখনি বুঝতে পারলেন যে, তারা তাঁর সাথে গাদ্দারী করতে যাচ্ছে। তখন তিনি আবার ভিতরে চলে গেলেন,
গিয়ে রোম সেনাপতিকে বলেন, আপনি আমাকে যে উপহার দিলেন, তাতে সবার জন্য যথেষ্ট হবে না। আপনি যদি আমাকে অনুমতি দেন তাহলে আমি আরো দশজনকে নিয়ে অাসব। অার আপনি সবাইকে পুরুস্কৃত করবেন, তখন রোমসেনাপতি একজনের পরিবর্তে দশজনের লোভে পড়ে যায়।
অার দূর্গরক্ষাকারীদের ইশারা দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলে।
এভাবে তিনি তাঁর বিচক্ষণতার মাধ্যমে রোমসেনাপতিকে প্রতারিত করেন। পরবর্তীতে মিসর বিজয় হয়ে যাওয়ার পর তা মুসলিমদের কাছে হস্তান্তর করতে অাসলে আমরকে রাযিঃ দেখতে পেয়ে সে অবাক হয়ে বলে!
তুমি কি সে ব্যক্তি?
আমর রাযিঃ বলেন, হ্যাঁ আমিই সে ব্যক্তি যার সাথে তুমি গাদ্দারী করতে চেয়েছিলে!
চলবে..........
দ্বিতীয় পর্বের লিংক:- https://82.221.139.217/showthread.php?20282
Comment