অামর ইবনুল আস রাযিঃ ছিলেন সুন্দর ও বিশুদ্ধভাষী। উমর রাযিঃ তাঁর বাগ্মীতায় অাল্লাহর নিদর্শন খুঁজে পেতেন।
একবার তিনি মুখে জড়তা আছে এমন কোন লোককে দেখতে পেয়ে বলেন, আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি, যিনি এই জড়তাযুক্ত ব্যক্তিরো সৃষ্টিকর্তা আমর ইবনুল আস রাযিঃও সৃষ্টিকর্তা।
আমর ইবনুল অাসের রাযিঃ অলংকার ও বাগ্মীতাপূর্ণ একটি কথা প্রসিদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, মানুষ তিন প্রকার।
১, স্বয়ংসম্পূর্ন ব্যক্তি, যার জ্ঞান ও দ্বীন পরিপূর্ণ। সে যখন কোন কাজ করতে চায়, তখন জ্ঞানীদের সাথে পরামর্শ করেন। আর তাই সে সর্বদা সফলতা লাভ করে।
২, অর্ধস্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যক্তি, যার জ্ঞান ও দ্বীন আল্লাহ পরিপূর্ণ করবেন। সে যখন কোন কিছু করতে চায়, তখন কারো সাথে পরামর্শ করে না। এবং বলে, এমন কে আছে যাকে আমি অনুসরণ করব, যার সিদ্ধান্তকে আমার সিদ্ধান্তের উপর প্রাধান্য দিব?
সে ব্যক্তি কখনো সফল হয় কখনো ব্যর্থ হয়।
৩, বঞ্চিত ব্যক্তি। যার কোন জ্ঞান ও দ্বীন নেয়। সর্বদাই সে ব্যর্থ।
অাল্লাহর কসম আমি সর্বদা পরামর্শ করব। এমনকি আমার খাদেমের সাথে হলেও।
তিনি যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত হয়ে পড়েন, তখন তাঁর ছেলেকে বলেন।
আমি দুনিয়াতে তিন অবস্থায় জীবনযাপন করেছি।
১, আমি প্রথমে কাফির ছিলাম, যদি সে সময় মৃত্যু বরণ করতাম তাহলে জাহান্নাম আমার জন্য অবধারিত হয়ে যেত।
২, যখণ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লামেরর কাছে বাইয়াত দিই, তখন অত্যাদিক লজ্জাশীল ছিলাম। লজ্জার দরুণ রাসূলের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতাম না। তখন যদি মৃত্যুবরণ করতাম, তাহলে আমরের জন্য সুসংবাদ। সে কল্যানের উপর ইসলাম গ্রহণ করেছে, আবার কল্যানের উপর মৃত্যু বরণ করেছে।
৩, পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। জানি না তা আমার জন্য সুখকর হয় না দুঃখকর হয়।
অতপর দেয়ালের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগেন,
المهم امرتنا فعصينا. ونهيتنا فما انتهينا. ولا يسعنا إلا عفوك يا ارحم الراحمين.
হে অাল্লাহ! আপনি আমাকে আদেশ করেছিলেন আমি পালন করি নি, আপনি আমাকে নিষেধ করেছিলেন আমি বিরত হই নি।
হে দয়াময় প্রভু! আপনার ক্ষমা ব্যতিত আমার কোন উপায় নেই।
অতপর নিজের দু হাত দিয়ে গণ্ডদেশ ধরে আসমানের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগেন,
হে অাল্লাহ! আপনি ব্যতিত এমন কোন শক্তি নেয় যার কাছে সাহায্য চাইব।
এমন কোন নির্দোষ ব্যক্তি নেয় যার কাছে আপত্তি জানাব।
হে আল্লাহ! আমি অহংকারী নই, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
সুতরাং হে ক্ষমাশীল, আমাকে ক্ষমা করুন।
এ বলতে বলতে তিনি এ নশ্বর জগৎ ত্যাগ করেন।
رضي الله عنه وارضا عنه.
হে মুসলিম ভাই! এ মহান সাহাবীর জীবনীতে অনেক কিছুই শিখার আছে, যদি তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।
তৃতীয় পর্বেরর লিংক:- https://82.221.139.217/showthread.php?20287
একবার তিনি মুখে জড়তা আছে এমন কোন লোককে দেখতে পেয়ে বলেন, আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি, যিনি এই জড়তাযুক্ত ব্যক্তিরো সৃষ্টিকর্তা আমর ইবনুল আস রাযিঃও সৃষ্টিকর্তা।
আমর ইবনুল অাসের রাযিঃ অলংকার ও বাগ্মীতাপূর্ণ একটি কথা প্রসিদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, মানুষ তিন প্রকার।
১, স্বয়ংসম্পূর্ন ব্যক্তি, যার জ্ঞান ও দ্বীন পরিপূর্ণ। সে যখন কোন কাজ করতে চায়, তখন জ্ঞানীদের সাথে পরামর্শ করেন। আর তাই সে সর্বদা সফলতা লাভ করে।
২, অর্ধস্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যক্তি, যার জ্ঞান ও দ্বীন আল্লাহ পরিপূর্ণ করবেন। সে যখন কোন কিছু করতে চায়, তখন কারো সাথে পরামর্শ করে না। এবং বলে, এমন কে আছে যাকে আমি অনুসরণ করব, যার সিদ্ধান্তকে আমার সিদ্ধান্তের উপর প্রাধান্য দিব?
সে ব্যক্তি কখনো সফল হয় কখনো ব্যর্থ হয়।
৩, বঞ্চিত ব্যক্তি। যার কোন জ্ঞান ও দ্বীন নেয়। সর্বদাই সে ব্যর্থ।
অাল্লাহর কসম আমি সর্বদা পরামর্শ করব। এমনকি আমার খাদেমের সাথে হলেও।
তিনি যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত হয়ে পড়েন, তখন তাঁর ছেলেকে বলেন।
আমি দুনিয়াতে তিন অবস্থায় জীবনযাপন করেছি।
১, আমি প্রথমে কাফির ছিলাম, যদি সে সময় মৃত্যু বরণ করতাম তাহলে জাহান্নাম আমার জন্য অবধারিত হয়ে যেত।
২, যখণ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লামেরর কাছে বাইয়াত দিই, তখন অত্যাদিক লজ্জাশীল ছিলাম। লজ্জার দরুণ রাসূলের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতাম না। তখন যদি মৃত্যুবরণ করতাম, তাহলে আমরের জন্য সুসংবাদ। সে কল্যানের উপর ইসলাম গ্রহণ করেছে, আবার কল্যানের উপর মৃত্যু বরণ করেছে।
৩, পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। জানি না তা আমার জন্য সুখকর হয় না দুঃখকর হয়।
অতপর দেয়ালের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগেন,
المهم امرتنا فعصينا. ونهيتنا فما انتهينا. ولا يسعنا إلا عفوك يا ارحم الراحمين.
হে অাল্লাহ! আপনি আমাকে আদেশ করেছিলেন আমি পালন করি নি, আপনি আমাকে নিষেধ করেছিলেন আমি বিরত হই নি।
হে দয়াময় প্রভু! আপনার ক্ষমা ব্যতিত আমার কোন উপায় নেই।
অতপর নিজের দু হাত দিয়ে গণ্ডদেশ ধরে আসমানের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগেন,
হে অাল্লাহ! আপনি ব্যতিত এমন কোন শক্তি নেয় যার কাছে সাহায্য চাইব।
এমন কোন নির্দোষ ব্যক্তি নেয় যার কাছে আপত্তি জানাব।
হে আল্লাহ! আমি অহংকারী নই, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
সুতরাং হে ক্ষমাশীল, আমাকে ক্ষমা করুন।
এ বলতে বলতে তিনি এ নশ্বর জগৎ ত্যাগ করেন।
رضي الله عنه وارضا عنه.
হে মুসলিম ভাই! এ মহান সাহাবীর জীবনীতে অনেক কিছুই শিখার আছে, যদি তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।
তৃতীয় পর্বেরর লিংক:- https://82.221.139.217/showthread.php?20287
Comment