সকাল বেলা আমার প্রিয় সাইট ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহতে’ ঢুকলাম, দেখলাম এক ভাই একটি পোস্ট দিয়েছেন,
“আবার চল যাই” নামে। কবি নজরুলের একটি কবিতা- উমর ফারুক।
// //
নজরুলের কবিতা দাওয়াহ ইলাল্লাহতে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। কিন্তু আশ্চর্য বেড়ে গেল, ভাইদের কমেন্টগুলো দেখে।
// //
ভাইদেরকে বলছি- নজরুলকে তৎকালীন সন্মানিত অনেক আলেম কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন, এর কারণ হল, সে ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী, তার আকীদার মধ্যে ছিলনা কোন স্থিরতা। কখন লিখত ইসলামের পক্ষে আবার কখন হিন্দু ধরনের পক্ষে। কখন গাইত আল্ললাহ তায়ালার নাত আর কখন জপত কালী দেবীর শ্রুতি। মাঝে মাঝে উভয় ধর্মের বিরুদ্ধে “মানব ধর্মের” পক্ষে চলতো তার কলম।
// //
“ইসলামী” ও “জিহাদী” নজরুল
এক-
আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান নামে নজরুল গীতি ----
আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মুসলমান।
কোথা সে আরি অভেদ যাহার জীবন- মৃত্যু- জ্ঞান।।
যার মুখে শুনি তওহিদের কালাম
ভয়ে মৃত্যুও করিত সালাম।
যার দ্বীন দ্বীন রবে কাঁপিত দুনিয়া
জ্বীন পরী ইনসান।।
স্ত্রী- পুত্ররে আল্লারে সঁপি জেহাদে যে নির্ভীক
সেহে কোরবানী দিত প্রান হায়! আজ তারা মাগে বিখ।
কোথা সে শিক্ষা আল্লাহ ছাড়া
ত্রিভুবনে ভয় করিত না যারা।
আজাদ করিতে এসেছিল যারা
সাথে ল’য়ে কোরআন।।
দুই-
মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই
যেন গোর থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।
// //
কালী দেবী পূজারী নজরুল
নজরুল কালি দেবী নিয়ে অনেক শ্যামাসঙ্গীত রচনা করে, যেমন তার একটি
শ্যামাসংগীত হচ্ছে---
এক,
আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে,
মাকে কে দিয়েছে গালি,
রাগ করে তাই সারা গায়ে মেখেছে সে কালি,
পরেনি সে বসন-ভূষণ, বাঁধেনি সে কেশ,
তারি কাছে হার মানে রে ভুবন মোহন বেশ।“
দুই-
আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায়
দেখে যা আলোর নাচন
মায়ের রূপ দেখে বুক পেতে শিব
যার হাতে মরণ বাঁচন।
// //
সাম্যবাদী মানব ধর্মে বিশ্বাসী নজরুল
নজরুল তার কবিতা গাহি সাম্যের গান এর মধ্যে লিখে-
এক,
গাহি সাম্যের গান-গাহি সাম্যের গান-
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান
যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্*লিম-ক্রীশ্চান।
গাহি সাম্যের গান!
দুই,
'গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম-জাতি
সব দেশে-সবকালে, ঘরে ঘরে মানুষের জ্ঞাতি।'
// //
ধর্ম নিরপেক্ষ নজরুল
এক-
'মাভৈ! মাভৈ! এতদিনে বুঝি জাগিল ভারতে প্রাণ,
সজীব হইয়া উঠিয়াছে আজ শ্মশান- গোরস্তান!
ছিল যারা চির-মরণ-আহত,
উঠিয়াছে জাগি' ব্যথা জাগ্রত,
'খালেদ' আবার ধরিয়াছে অসি, 'অজর্ুন' ছোঁড়ে বাণ।
জেগেছে ভারত, ধরিয়াছে লাঠি হিন্দু-মুসলমান।
দুই-
ধ্বংস করেছি ধর্মযাজকী পেশা
ভাঙি মন্দির, ভাঙি মসজিদ
ভাঙিয়া গির্জা গাহি সংগীত-
এক মানবের একই রক্ত মেশা,
কে শুনিবে আর ভজনালয়ের হ্রেষা।
তিন-
ধর্ম নিরপেক্ষদের জাতীয় কবি নজরুল তার 'মন্দির ও মসজিদ' নামক প্রবন্ধে লিখেছে-
"দেখিলাম, আল্লার মজসিদ আল্লা আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না। মন্দিরের চূড়া ভাঙ্গিল মসজিদের গম্বুজ টুটিল। আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রপাত হইল না হিন্দুদের মাথার উপর।"
এই হল, ধর্ম নিরপেক্ষদের জাতীয় কবি নজরুল।
মহান আল্লাহ্* তায়ালা আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
“আবার চল যাই” নামে। কবি নজরুলের একটি কবিতা- উমর ফারুক।
// //
নজরুলের কবিতা দাওয়াহ ইলাল্লাহতে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। কিন্তু আশ্চর্য বেড়ে গেল, ভাইদের কমেন্টগুলো দেখে।
// //
ভাইদেরকে বলছি- নজরুলকে তৎকালীন সন্মানিত অনেক আলেম কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন, এর কারণ হল, সে ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী, তার আকীদার মধ্যে ছিলনা কোন স্থিরতা। কখন লিখত ইসলামের পক্ষে আবার কখন হিন্দু ধরনের পক্ষে। কখন গাইত আল্ললাহ তায়ালার নাত আর কখন জপত কালী দেবীর শ্রুতি। মাঝে মাঝে উভয় ধর্মের বিরুদ্ধে “মানব ধর্মের” পক্ষে চলতো তার কলম।
// //
“ইসলামী” ও “জিহাদী” নজরুল
এক-
আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান নামে নজরুল গীতি ----
আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মুসলমান।
কোথা সে আরি অভেদ যাহার জীবন- মৃত্যু- জ্ঞান।।
যার মুখে শুনি তওহিদের কালাম
ভয়ে মৃত্যুও করিত সালাম।
যার দ্বীন দ্বীন রবে কাঁপিত দুনিয়া
জ্বীন পরী ইনসান।।
স্ত্রী- পুত্ররে আল্লারে সঁপি জেহাদে যে নির্ভীক
সেহে কোরবানী দিত প্রান হায়! আজ তারা মাগে বিখ।
কোথা সে শিক্ষা আল্লাহ ছাড়া
ত্রিভুবনে ভয় করিত না যারা।
আজাদ করিতে এসেছিল যারা
সাথে ল’য়ে কোরআন।।
দুই-
মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই
যেন গোর থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।
// //
কালী দেবী পূজারী নজরুল
নজরুল কালি দেবী নিয়ে অনেক শ্যামাসঙ্গীত রচনা করে, যেমন তার একটি
শ্যামাসংগীত হচ্ছে---
এক,
আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে,
মাকে কে দিয়েছে গালি,
রাগ করে তাই সারা গায়ে মেখেছে সে কালি,
পরেনি সে বসন-ভূষণ, বাঁধেনি সে কেশ,
তারি কাছে হার মানে রে ভুবন মোহন বেশ।“
দুই-
আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায়
দেখে যা আলোর নাচন
মায়ের রূপ দেখে বুক পেতে শিব
যার হাতে মরণ বাঁচন।
// //
সাম্যবাদী মানব ধর্মে বিশ্বাসী নজরুল
নজরুল তার কবিতা গাহি সাম্যের গান এর মধ্যে লিখে-
এক,
গাহি সাম্যের গান-গাহি সাম্যের গান-
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান
যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্*লিম-ক্রীশ্চান।
গাহি সাম্যের গান!
দুই,
'গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম-জাতি
সব দেশে-সবকালে, ঘরে ঘরে মানুষের জ্ঞাতি।'
// //
ধর্ম নিরপেক্ষ নজরুল
এক-
'মাভৈ! মাভৈ! এতদিনে বুঝি জাগিল ভারতে প্রাণ,
সজীব হইয়া উঠিয়াছে আজ শ্মশান- গোরস্তান!
ছিল যারা চির-মরণ-আহত,
উঠিয়াছে জাগি' ব্যথা জাগ্রত,
'খালেদ' আবার ধরিয়াছে অসি, 'অজর্ুন' ছোঁড়ে বাণ।
জেগেছে ভারত, ধরিয়াছে লাঠি হিন্দু-মুসলমান।
দুই-
ধ্বংস করেছি ধর্মযাজকী পেশা
ভাঙি মন্দির, ভাঙি মসজিদ
ভাঙিয়া গির্জা গাহি সংগীত-
এক মানবের একই রক্ত মেশা,
কে শুনিবে আর ভজনালয়ের হ্রেষা।
তিন-
ধর্ম নিরপেক্ষদের জাতীয় কবি নজরুল তার 'মন্দির ও মসজিদ' নামক প্রবন্ধে লিখেছে-
"দেখিলাম, আল্লার মজসিদ আল্লা আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না। মন্দিরের চূড়া ভাঙ্গিল মসজিদের গম্বুজ টুটিল। আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রপাত হইল না হিন্দুদের মাথার উপর।"
এই হল, ধর্ম নিরপেক্ষদের জাতীয় কবি নজরুল।
মহান আল্লাহ্* তায়ালা আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
Comment