Announcement

Collapse
No announcement yet.

দ্বীন কায়েমে সমসাময়িক আকাবিরদের সংগ্রাম (ষষ্ঠ পর্ব)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দ্বীন কায়েমে সমসাময়িক আকাবিরদের সংগ্রাম (ষষ্ঠ পর্ব)

    ফকীহুল উম্মত
    হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ)
    জন্মঃ ১২৪৪ হিজরী - মৃত্যুঃ ১৩২৩ হিজরী





    বালাকোটের অকুতোভয় মুজাহিদীনে কেরাম যে বৎসর পেশওয়ারের প্রতিটি অঞ্চলের উপর সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে ছিলেন এবং রাজা রণজিৎ সিং এর সেনাপতিদেরকে একের পর এক পরাজিত করে চলছিলেন সে বৎসরই গাংগুহের পল্লী এলাকায় একজন আদর্শ সন্তানের শুভাগমন ঘটে। সে দিন গোটা এলাকা এক অব্যক্ত জান্নাতী সৌরভে বিমোহিত হয়ে পড়ে। ফেরেশতাকুল কর্তৃক সেদিন সর্বত্র এ অদৃশ্য বাণী ঘোষিত হয় যে, আজ উম্মতে মুহাম্মাদির একজন শ্রেষ্ঠ ফেকাহশাস্ত্রবিদ ও সংস্কারকের শুভাগমন ঘটেছে। আর তিনিই হলেন মহা মনীষী হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ)। তিনি যখন সপ্তম বৎসরে উপনীত হন তখন থেকেই তার একনিষ্ঠ খোদা প্রেমিক ও অনুপম ধর্মনিষ্ঠ প্রিয় জননীর নিকট পবিত্র কালামে পাকের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। ধীশক্তির পরম ও চরম উৎকর্ষতার ফলে তিনি অতি অল্প সময়েই পবিত্র কুরআন শেষ করেন। এগার বছর বয়সে একবার তিনি মৌলভি মুহাম্মদ বখশ (রহঃ) এর কাছ থেকে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের অনুবাদ শুনেন। আয়াতটির ভাবার্থ হল “বিচার দিবসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে অপরাধীদেরকে এবং নেককারদের পৃথক করে দেয়া হবে।” এটা শোনার পর তিনি সারা রাত কাঁদতে কাঁদতে কাটিয়ে দিলেন। তার এহেন অবস্থা দেখে তার মা তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। উত্তরে তিনি বললেন, আম্মাজান! আমার এ কান্না শুধু এই ভয়ে যে, বিচার দিবসে আমি যেন অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত না হই!


    বাল্যকাল থেকেই হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) এর মধ্যে খোদাভীতি এত অধিক মাত্রায় জাগরুক ছিল যে, তিনি দিবা-রাত্রির পুরো সময়টাই শুধু ইবাদত বন্দিগীতে লিপ্ত থাকতেন। তার সময়কার বিশিষ্ট আলেমগণও তার এই অভূতপূর্ব ও দুর্লভ সাধনা দেখে হতবাক হয়ে যেতেন।


    হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক স্তরগুলো গাঙ্গুহতেই সমাপ্ত করেন। পরে ১৮৪৪ ঈসায়ী সনে তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য দিল্লী গমন করেন। সেখানে তিনি হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল গণী (রহঃ) এবং মাওলানা মামলুক আলী (রহঃ) এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাদের দরসে শামিল হয়ে যান। তার স্মরণ শক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। ধীশক্তি ছিল অত্যন্ত তীক্ষ্ম৷ মীর জাহেদ, কাজী ছদরা ইত্যাদি দর্শন ও তর্ক শাস্ত্রের কঠিন থেকে কঠিনতর গ্রন্থসমূহের অদ্যোপান্ত তার হুবহু মুখস্থ ছিল।


    মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী এবং মাওলানা কাসেম নানুতভী
    (রহঃ) উভয়ে সহপাঠী ছিলেন। তারা একই সাথে পড়া-লেখা করেন। তাদের উস্তাদগণ তাদের আল্লাহ প্রদত্ত বৈশিষ্টাবলীর ভূয়সী প্রসংশা করতেন। অগাধ জ্ঞান, আসমানী ইলম ও খোদাভীতির এ দুই মহান সূর্য একই সাথে হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মাক্কী (রহঃ) -এর নিকট ইসলাহী বায়াত গ্রহণ করেন। হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) মাত্র চল্লিশ দিনের মাথায় স্বীয় পীরের কাছ থেকে খেলাফত লাভে ধন্য হন।


    এই মহান প্রাপ্তির পাশাপাশি তিনি একজন বিশিষ্ট জমিদার ও প্রচুর সম্পদশালীও ছিলেন। ছিলেন অঢেল ভূ সম্পত্তির অধিকারী। কিন্তু তার চলাফেরা ও পোশাক পরিচ্ছদ দেখলে মনেই হত না যে, তিনি একজন অঢেল ধনৈশ্বর্যের মালিক। তিনি সব সময় অনাড়ম্বর ও বিলাসিতা বিবর্জিত. জীবন যাপন করতেন। দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি, সুন্নাতের একনিষ্ঠ অনুকরণ, শরয়ী মাসআলা-মাসায়েলে ঈর্ষণীয় ব্যুৎপত্তি, রুটিন মাফিক অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা প্রভৃতি ছিল তার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

    তার অনাড়ম্বর জীবন যাপন দেখে তাকে দৈন্য দশাগ্রস্ত ভেবে এক বার এক লোক তাকে স্বর্ণ তৈরির কিছু উপাদানসহ একটি ফর্মূলা শিখিয়ে দিলো। তিনি বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বললেন, এগুলো আলমারিতে রেখে দাও। স্ত্রী তাই করলেন। এদিকে সময়ের চাকা ঘুরে তা এগিয়ে গেল বহু দূর। কেটে গেল দীর্ঘ এগারটি বছর। কিন্তু সময়ের এই দীর্ঘ পরিসরে কোন দিন একটি বারের জন্যও হযরতের সুযোগ হয়নি সে উপাদানগুলোর দিকে ফিরে তাকাবার। ওদিকে দীর্ঘ এগার বৎসর পর এ লোকটি এসে হযরতের কাছে স্বর্ণ তৈরি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন, জিনিসগুলো আলমারিতে যেভাবে রেখেছি সম্ভবত আজও সেভাবেই আছে। কারণ এই সুদীর্ঘ সময়ে আমার দ্বীনী কাজে এত ব্যস্ত ছিলাম যে এমন কোন ফুরসত আসেনি যে, আমি স্বর্ণ তৈরী করে বিক্রি করব এবং সে অর্থ দিয়ে আমার জীবন যাপনে আড়ম্বরতা ফিরিয়ে আনব। সুতরাং তুমি তোমার উপদানগুলো ফিরিয়ে নিয়ে যাও। কারণ ওটা আমার কোন কাজে আসবে না বরং উল্টো আমার সময় নষ্ট করবে। পরে তিনি সেগুলো এ লোককে ফিরিয়ে দিলেন।


    ফিকাহ শাস্ত্রে হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ)-এর ব্যুৎপত্তি, অগাধ পান্ডিত্য ও পারদর্শিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ) বলেন, আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন আল্লামা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) ইমাম শামী (রহঃ) থেকেও বড় ফকীহ ও আইনজ্ঞ ছিলেন। বাস্তবও তাই যে, তিনি তার সমসাময়িক কালের উদ্ভূত বিভিন্ন জটিল সমস্যা সুতীক্ষ দৃষ্টি, অসাধারণ জ্ঞান গভীরতা এবং অগাধ পান্ডিত্য ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে সমাধান করেছেন। উপস্থিত বুদ্ধি ও সুক্ষ দর্শিতায় তার এই অসাধারণত্বের কারণে তৎকালে গোটা ভারত উপমহাদেশে তার কোন জুড়ি খুজে পাওয়া ছিল রীতিমত দুরূহ। তিনি তার পূর্বসূরী আলেম এবং জগদ্বিখ্যাত ইসলামী মনীষীদের ন্যায় বিবিধ দুর্লভ গুণাবলীর পাশাপাশি আযাদীর সংগ্রামের একজন সফল, স্বার্থক, নির্ভীক ও সংগ্রামী সিপাহসালার ছিলেন। ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যখন যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। যুদ্ধের বিভীষিকা চার দিকে ছড়িয়ে পড়ল। শামেলীর রণাঙ্গনে যে দেশপ্রেমী হাজার হাজার আলেম যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলেন। তখন হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) তাদের বিরাট একটি জামা'আতের নেতৃত্বে ছিলেন। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং চির স্মরণীয় অবদান রাখেন।


    যুদ্ধ সমাপ্তির পর তিনি পাঞ্জালাসায় গমন করেন। সেখানে অল্প কিছু দিন না যেতেই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী হয়ে যায়। তিনি ব্যাপারটি আঁচ করতে পেরে অতি সন্তর্পনে সে স্থান ত্যাগ করে রামপুর চলে যান। সেখানে দিন কয়েক না যেতেই একদিন সাহারানপুরের কর্ণেল গার্ডেন ফ্রান্সেস গোলাম আলী একদিন সত্তর সদস্যের একটি সৈন্য বাহিনী নিয়ে গাঙ্গুহে তল্লাশি অভিযান চালায়। মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) সম্ভাব্য পুলিশী অভিযানের গোপন সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে আত্মগোপন করেন। এদিকে পুলিশ বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মাওলানা রশীদ আহমদ মনে করে তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চেহারার ব্যক্তি তারই মামাতো ভাই মাওলানা আবুন নসরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে অবশ্য আসল পরিচয় জানার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে সৈন্যরা কৌশল পাল্টে দেয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টিম পাঠায় এবং অতর্কিত অভিযান চালায়। কিন্তু এত সবেও ইংরেজ প্রশাসন মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) কে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়। পরিশেষে মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) গ্রেফতার হওয়াটাই কল্যাণকর মনে করলেন এবং নিজেই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।


    ইংরেজ সৈন্যরা হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) কে হাতে হাতকড়া এবং পায়ে বেড়ী পরিয়ে মুজাফফর নগর কারগারে নিয়ে যায়। যেখানে তিনি অত্যন্ত কষ্টে ও দুঃসহ অবস্থায় ইংরেজ দুরাচার কর্তৃক নির্যাতনের ছয়টি মাস অতিক্রম করেন। শত কষ্টের মাঝেও তিনি সেখানে অবসর থাকেননি। বিভিন্ন শ্রেণীর কয়েদীদের মাঝে নিরলসভাবে দ্বীনি তা'লীম, ওয়াজ-নসীহত ইত্যাদি চালিয়ে গেছেন। ছয় মাসের এই অন্তরীণ জীবনে তাকে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন ও বিপদাপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভাবতেও অবাক লাগে যে, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, ধনাঢ্য পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত সভ্য-শান্ত যুবক স্বদেশ ও স্বজাতির জন্য বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদ ও জুলুম-নির্যাতন স্বতঃস্ফুর্ত চিত্তে বরণ করে আমরণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষণিকের জন্যও একটু পিছপা হচ্ছেন না। অপ্রতিরোধ্য গতিতে কেবল সম্মুখ পানে এগিয়েই চলেছেন। বাস্তবিক পক্ষে চিন্তা করলে দেখা যায় ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে প্রধানতম হাতিয়ার ছিল এমন কয়েকজন মহান ব্যক্তিত্বের আত্মদান; যারা দুনিয়ার প্রতি ছিলেন সম্পূর্ণই নিরাসন্ত, ছিলেন দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের প্রতি যারপর নাই নিরুৎসাহী। সাধারন জীবন যাপনই তাদের কাম্য ছিল।


    মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) যখন ইংরেজদের হাতে বন্দী তখন তার সতী-সাধ্বী স্ত্রী, যার পিতা মৌলভী তকীউদ্দীন (রহঃ) কে ইংরেজ জালিমরা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে শহীদ করেছিলো হেসে হেসে বলছিলেন- গতকাল আমার আব্বাজানও এই ইংরেজ হায়েনাদের জুলুম-অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন। আর আজ আমার স্বনামধন্য স্বামীও যন্ত্রণাদায়ক কঠিন কারাজীবন বরণ করেছেন। আজ আমি আমার পিতা ও স্বামীর বীরত্ব সাহসীকতার উপর যতই গর্ব করি না কেন তা নিতান্তই কম।”


    চরম নির্যাতন-নিপীড়নের পর ছয় মাসের মাথায় মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) মুক্তি লাভ করেন। তার মুক্তি লাভের পর জালিম শাসকগোষ্ঠী মুরীদ ও মেহমানের ছদ্মাবরণে তার পেছনে অসংখ্য গোয়েন্দা লাগিয়ে দেয়। তারা তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত এভাবেই তার পেছনে লেগে ছিল। তিনি সারাটি জীবন ইসলামের প্রচার-প্রসারের কাজেই বিলিয়ে দেন। প্রাণ নিবেদন করেন দেশ ও জাতির মুক্তি সংগ্রামে। এ সংগ্রাম করতে গিয়েই তিনি জেল-জুলুম থেকে শুরু করে ইংরেজ দুঃশাসনের অকথ্য অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেন।


    মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) সুদীর্ঘ ৪৯ বৎসর যাবত ইলমে হাদীসের দরস দিয়ে যান। ফলে ভারত ছাড়াও বার্মা, কাবুল, আফগানিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তার অসংখ্য শিষ্য ছড়িয়ে আছেন। আছেন তার ঐকান্তিক প্রজ্ঞার স্পর্শে উপকৃত অগণিত ভক্তবৃন্দ। হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) নম্রতা, ভদ্রতা শিষ্টাচার ইত্যাদিসহ অসংখ্য মহৎ গুনাবলীর আধার ছিলেন। অনাগত জাতির জন্য রেখে যাওয়া তার অমূল্য গ্রস্থাবলীর মধ্যে “কাওকাবুদ্দুররী, হেদায়াতুশ শিয়া” বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
    হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

  • #2
    চরম নির্যাতন-নিপীড়নের পর ছয় মাসের মাথায় মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ) মুক্তি লাভ করেন। তার মুক্তি লাভের পর জালিম শাসকগোষ্ঠী মুরীদ ও মেহমানের ছদ্মাবরণে তার পেছনে অসংখ্য গোয়েন্দা লাগিয়ে দেয়। তারা তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত এভাবেই তার পেছনে লেগে ছিল।
    আজো ত্বগুতরা হক্বপন্থী আলিমদের পিছনে গোয়েন্দা লাগিয়ে রাখে। আল্লাহ্‌ তায়ালা তাদের ধ্বংস করুন। আমীন

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন ও জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা আমাদের বৈশিষ্ট্য।
        শঙ্কা ও বিপদের ঘোর অমানিশা আমাদেরকে বিন্দুমাত্রও
        ভীত সন্ত্রস্ত করতে পারবে না। পরাধীনতার প্রতিটি মুহূর্ত
        লাঞ্ছনা ও অপদস্ততার আয়না স্বরূপ। তাই আমার প্রতি
        যাদের শ্রদ্ধা ও ভক্তি আছে তাদের কেউই জিহাদের ফরজ
        আদায়ের শৈথিল্য প্রদর্শন করবে না।
        - হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহঃ)
        হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

        Comment

        Working...
        X