জন্ম ও পরিচয়
বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের তৃতীয় সম্মানিত খতিব ছিলেন মাওলানা উবায়দুল হক (রহ.)। তিনি ১৯২৮ সালে সিলেটে জেলার জকিগঞ্জ থানার বারঠাকুরীতে জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতা জহুরুল হক উরফে উরকিজ আলী মৌলভী দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্র ও আশরাফ আলী থানভীর (রহ.) খলিফা ছিলেন। উনার মায়ের নাম আয়েশা বেগম। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর ৪ জন বোন ছিলেন।
মাওলানা উবায়দুল হক (রহ.) ইসলাম, দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধী দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতেন। তিনি নানা ধরনের ইসলাম বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করতেন কঠোরভাবে। এক্ষেত্রে তিনি বাতিলের শক্তিমত্তার কোন পরোয়া করতেন না। কখনো উনার মধ্যে কোনো ধরনের ভয়ভীতি লক্ষ করা যায়নি । ফলে তিনি এদেশের তাওহিদী জনতার অভিভাবক এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
শিক্ষা জীবন:
তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় পরিবারে ও নিজ গ্রামের মসজিদে। এরপর তিনি সিলেটের বিয়ানিবাজারে আতহার আলী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানে কিছুকাল লেখাপড়া করেন। পরে তিনি হবিগঞ্জের মাওলানা মুদ্দাসসির ও মুসির আলীর নিকট কিছুদিন প্রাইভেট লেখাপড়া করেন। ১৪ বছর বয়সে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান। সেখানে তিনি প্রথমে কাফিয়া শ্রেণিতে ভর্তি হন। দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় তিনি রেকর্ড ফলাফল লাভ করেন, যা ছিল দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন- হুসাইন আহমদ মাদানি, ইব্রাহিম বালিয়াভি, ইজাজ আলী আমরুহী, কারী মুহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ। আসআদ মাদানি, সালেম কাসেমি, ওয়াহিদুজ্জামান কিরানবি, আবুল হাসান যশোরী তার সহপাঠী ছিলেন।
আধ্যাত্মিক জীবন:
দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালে তিনি হুসাইন আহমাদ মাদানির হাতে বায়আত গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি আশরাফ আলী থানভী (রহ.)-এর খলিফা আতহার আলীর নিকট বায়আত হন। তার মৃত্যুর পর তিনি মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.)-এর নিকট বায়আত হন ও খেলাফত লাভ করেন। তবে খেলাফতপ্রাপ্তির কথা তিনি গোপন রাখতেন। হাফেজ্জীর মৃত্যুর পর তিনি আবরারুল হক হক্কীর সাথে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
কর্মজীবন:
শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৪৯ সালে আবদুল ওয়াহহাব পীরজীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটরায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। শিক্ষকতার চতুর্থ বছর তিনি হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে হজ্জ করা সম্ভব না হওয়ায় হুসাইন আহমদ মাদানি ও ইজাজ আলী আমরুহীর সান্নিধ্যে তিনি দেওবন্দ গমন করেন। আমরুহী (রহ.) তাকে শাহজাহানপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি দারুল উলুম করাচিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দারুল উলুম করাচির প্রধান শফি উসমানির বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে বছরের শেষ দিকে উবায়দুল হক (রহ.) সহীহ বুখারীর শিক্ষাদান করতেন। পরে রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে তিনি নিজেও কিছুদিন শিক্ষাদান থেকে অব্যাহতি নেন।
এরপর ১৯৫৪ সালের আগস্টে তিনি পুনরায় বড় কাটরা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত তিনি ঢাকা আলিয়ার হেড মাওলানা ছিলেন। ১৯৮৫ সালের ২ মে তিনি সরকারি আলিয়া থেকে অবসর নেন। হেড মাওলানা থাকাকালীন ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব পদে নিয়োগ পান। আমৃত্যু তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। মাঝখানে শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদে বার্ধক্যের অজুহাতে এই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদানের প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা সফল হয় নি।
ঢাকা আলিয়া থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। প্রথমেই তিনি মাদ্রাসায়ে ইসলামিয়া ইসলামপুরের মুহতামিম নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মাদ্রাসায়ে ফয়জুল উলুম আজিমপুরের শায়খুল হাদিস পদে ছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিস এবং ১৯৮৭ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহে হজরত শাহজালাল (রহ.)–এর শায়খুল হাদিস ছিলেন। কয়েক বছর জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদের মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি।
শিক্ষকতা জীবনে তার ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন: তাকি উসমানি, রফি উসমানি, মতিউর রহমান নিজামী, মোঃ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
রাজনৈতিক জীবন:
দারুল উলুম করাচিতে শিক্ষকতাকালে তিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টির পশ্চিম পাকিস্তানের প্রচার সম্পাদক নিযুক্ত হন। তখন থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয়তা শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর যুক্তফ্রন্টের শরীক দল নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি আতহার আলী তাকে শিক্ষকতা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য শফি উসমানিকে অনুরোধ করলে তিনি তাকে অব্যাহতি দিতে সম্মত হন। এরপর তিনি পূর্ণকাল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে কিছুকাল শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন। তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্ব পান। তবে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার কয়েকমাস পর কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার ভেঙে দেয় এবং সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়।
সাহিত্য ও রচনাবলী:
আল্লাহ তায়ালা উনার লিখনীতে অনেক বরকত দিয়েছিলেন। ফলে তিনি বহু কিতাবাদি লিখেছেন। অনেক দুর্বোধ্য কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছেন তিনি। করেছেন অনেক উপকারী প্রাচীন কিতাবের সহজ বাংলায় অনুবাদ।
কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। লেখালেখির ক্ষেত্রে তিনি তার জন্মভূমি সিলেটের অপর নাম জালালাবাদকে নিজের নামের সাথে সংযুক্ত করে উবায়দুল হক জালালাবাদী ব্যবহার করতেন। তার অধিকাংশ কিতাবে এই নাম ব্যবহৃত হয়েছে। তার রচনাবলি দুই ধরনের-
পাঠ্যবই ও এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ এবং সাধারণ আরবি, বাংলা, উর্দু তিন ভাষায় তার রচনা পাওয়া যায়। তবে তুলনামূলক উর্দু ভাষায় বেশি।
সংগ্রামী জীবন
২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি হাইকোর্টের ২ জন বিচারপতিকে তওবা করার ঘোষণা দেন এবং হাইকোর্টের ফতোয়া বিরোধী রায় সম্পর্কে ইসলাম ধর্মে ফতোয়ার গুরুত্ব, মুসলিম পারিবারিক আইন ইত্যাদি বিষয়ে বয়ান পেশ করেন।
এরপর ২০০৭ সালে দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠে। এ পত্রিকার আলপিন ম্যাগাজিনে মুহাম্মাদ (স.)–এর কার্টুন অঙ্কন করা হলে এর প্রতিবাদে সারাদেশে আন্দোলন দাঁনা বাধে। তিনিও আন্দোলনকারীদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল তার সাথে সাক্ষাৎ করে এই ভুলের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আলপিন ম্যাগাজিন বন্ধ ঘোষণা করেন।
তিনি আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সভাপতি ছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারের প্রথম মেয়াদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
তিনি ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া কাউন্সিলের সভাপতি এবং সকল ইসলামি ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত শরিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। একইভাবে ইসলামি বীমা সংস্থাগুলোর সম্মিলিত কমিটিরও সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় শরিয়া কাউন্সিল নামে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯–৭০ সালে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত “কুরআনে হাকিম আওর হামারে জিন্দেগী” নামক অনুষ্ঠানে তিনি উর্দু ভাষায় নিয়মিত কথিকা পাঠ করতেন।
উবায়দুল হক (রহ.)-এর লিখিত কিছু রচনাবলী:
আজহারুল আজহার- এটি উসুলে ফিকহের উপর লিখিত পাঠ্যবই নুরুল আনওয়ারের ব্যাখ্যাগ্রন্থ।
নাশরুল ফাওয়াইদ খোলাসায়ে শারহিল আকাইদ- এটি শারহুল আকাইদের একটি নোট। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কিতাবি নোটের পক্ষপাতি ছিলেন না। যা তিনি এই কিতাবের শেষে উল্লেখ করেছেন। তবে বিষয়বস্তুর কাঠিন্য হওয়ায় তিনি বইটি রচনা করেন। এটি বাহ্যত একটি নোট হলেও আসলে শরহে আকাইদের ব্যাখ্যাগুলোর সারসংক্ষেপ।
আস সেকায়া শরহু শারহিল বেকায়া- এটি বাংলাদেশের কওমি ও আলিয়া উভয় মাদ্রাসার পাঠ্যবই শারহুল বেকায়ার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ। বিষয়বস্তুর গভীরতা, মাসআলা উপস্থাপনে উদাহরণের ব্যবহার, জটিল বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও ভাষাশৈলীর কারণে এটি অনন্য মর্যাদা লাভ করেছে।
তারিখে ইসলাম- এই গ্রন্থটি দুই খণ্ডে সমাপ্ত। সহস্রাধিক পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ থেকে শুরু করে সীরাতুন নবী ও তার পরবর্তী ইসলামি শাসনের প্রায় ১৪০০ শতাব্দী এতে আলোচিত হয়েছে। উর্দু ভাষায় রচিত এই গ্রন্থটি বাংলাদেশের সরকারি ও কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সীরাতে মোস্তফা অনুবাদ- ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স.)-কে নিয়ে রচিত জীবনীগ্রন্থ। সিরাত রচনার পাশাপাশি লেখক এতে সিরাত পাঠের উদ্দেশ্য, ধর্মের আবশ্যকতা, নবী-রাসুল আবির্ভাবের প্রয়োজনীয়তা, মানবজাতি ও প্রাচীন আরবের পরিচিতি, জাহেলিয়া যুগের অবস্থা ইত্যাদি বিষয় সন্নিবেশ করেছেন।
তাহসিলুল কাফিয়া- এটি ইবনে হাজারের রচিত আরবি ব্যাকরণ গ্রন্থ কাফিয়ার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ।
কুরআনে হাকিম আওর হামারি জিন্দেগি- এটি রেডিও পাকিস্তান ঢাকা থেকে ১৯৬৯ – ১৯৭০ পর্যন্ত “কুরআনে হাকিম আওর হামারি জিন্দেগি” নামে প্রচারিত কথিকার সংকলন। এতে ৫০টি কথিকা সংকলিত হয়েছে।
শিয়া সুন্নি ইখতেলাফ- গ্রন্থটি শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যকার পার্থক্য নিয়ে রচিত। তিনি গ্রন্থটিতে শিয়াদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অসারতা প্রমাণের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি মুহাম্মাদ ইকবালের শিকওয়া ও জাওয়াবে শিকওয়া অনুবাদ করেছেন।
সম্মাননা
তিনি ১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা থেকে ‘জমিয়তে লিসানুল কুরআন’ পাকিস্তানের অধীনে অনুষ্ঠিত আরবি বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান মজলিশে শুরা তাকে স্বর্ণপদক প্রদান করে। জাতীয় সিরাত কমিটি বাংলাদেশ তাকে ২০০৪ সালে বছরের সেরা ইসলামি ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত করে স্বর্ণপদক প্রদান করে। ২০০৫ সালে কুরআন ও হাদিসের শিক্ষকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কুরআন শিক্ষা সোসাইটি তাকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করে। হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে বিশেষ পদকে ভূষিত করে।
মৃত্যু
২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর রমজান মাসে মহান এই মনীষী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র:
১.খতিব মাওলানা উবায়দুল হক রহ. : স্মৃতিতে অম্লান
২. খতিবে মিল্লাত উবায়দুল হক জালালাবাদী
৩. খতিব উবায়দুল হক আমার বাবা
https://tinyurl.com/59wpfwy5
Comment