জান্নাতের সবুজ পাখী প্রিয় বাবাকে নিয়ে এক মুজাহিদ ভাইয়ের সৃতিচারণ।
'আত্মার আকুতি', 'জীবনের শূন্যতা', 'হৃদয়ের রক্তক্ষরণ', এ সব কথা সাহিত্যের পাতায় বহুবার পড়েছি। সেই আকুতি, সেই শূন্যতা, এবং সেই রক্তক্ষরণ শাহাদাত প্রেয়সী প্রিয় বাবাকে হারিয়ে। এখন অত্যন্ত বেদনাদায়কভাবে অনুভব করছি। সবার একজন বাবা আছেন, কিংবা ছিলেন এবং সবারই জন্য সবার বাবা স্নেহের একটি শীতল ছায়া। কিন্তু আমার বাবা শুধুই বাবা না তিনি উম্মাহর একজন স্নেহশীল রাহবার। তিনি আমার শিক্ষক, আমার ছাত্র এবং আমার বন্ধু, সবার মুখে শুনেছি একটি কথা, সন্তানের প্রতি স্নেহের আর্দ্রতায় এবং সন্তানের কল্যাণ সাধনের ব্যাকুলতায় আমার বাবা ছিলেন অন্যরকম বাবা।মৃত্যুশয্যায় এমনকি মৃত্যু যন্ত্রণার সময়ও তিনি ছিলেন আমাদের বাবা। আমাদের জন্য তখনো জারি ছিলো আল্লাহর কাছে তাঁর দুআ।কিন্তু আমি হলাম সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি যার কারণ হলো আমি একজন শহীদের সন্তান।
পৃথিবার জীবন। সব পাওয়ার এখানে শেষ আছে, সব তৃপ্তির এখানে সমাপ্তি আছে।আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, আমার আম্মা তার পঞ্চাশ বছরের জীবন-সঙ্গীকে হারিয়েছেন। হয়ত আগামীকাল আম্মাকেও হারাবো বা তিনি তার আদরের দুলাল প্রিয় সন্তানকে হারাবেন।
আমি আমার বাবার শেষ নিঃশ্বাসটুকু বের হতে দেখেছি খুব কাছ থেকে। সে দৃশ্যের বেদনা আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। আমেরিকান বিমান হামলায় ক্ষতবিক্ষত হওয়া বাবার নিথর লাশটুকু দেখে ভারি আশ্চর্য হয়েছিলাম। মুখে রক্তিম আবছা আবছা হাসিতে ভরপুর। যেন নিশ্চিত শাহাদাত লাভে ধন্য হয়ে আছেন। হুরগুলো তার মাথার পাশে বসে হাত বুলাচ্ছেন। জান্নাত তার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ঐ দৃশ্যটা এখনো আমার মনকে সান্ত্বনা দেয়।
বাবা চলে গিয়েছেন, মাও চলে যাবেন, আমিও যাবো। সান্ত্বনা শুধু এই যে, আমরা সবাই তাঁরই কাছে ফিরে যাই। তাঁর রহমতের ছায়ায় ইনশাআল্লাহ আবার আমাদের সবার মিলন হবে। সেখানে মিলনের সুখ আছে, বিচ্ছেদের বেদনা নেই।সেখানে আনন্দের অবগাহন আছে, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ নেই। তাই যেন হয় হে আল্লাহ! তাই যেন হয়!
কৃতজ্ঞতার তপ্ত অশ্রু দিয়ে সেই সান্ত্বনাকে আমি বরণ করলাম। এবং একটি মিনতি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহ! উপরে ঝিরঝির বাতাস এবং ভিতরে জান্নাতী হাওয়া এ কবরকে চিরকাল যেন শীতল রাখে। উপরে চাঁদের জোসনা এবং ভিতরের নূরের আলো এ কবরকে চিরকাল যেন স্নিগ্ধ রাখে। আমি সান্ত্বনা পেলাম এবং পরিতৃপ্ত হলামঃ আমি আশ্বাস পেলাম এবং কৃতার্থ হলাম, কিন্তু হৃদয়ের সেই ফোটা ফোটা রক্তক্ষরণ বন্ধ হলো না। অশ্রু চোখে এবং রক্ত ভেজা হৃদয়ে পাহাড়ের উপত্যকায় প্রিয় বাবাকে সমাধি করে আসলাম।
স্বপ্নের রহস্য মানুষ এখনো জানে না। আজ আমার মনে হলো স্বপ্ন আল্লাহর অতি বড় নেয়ামত। কেননা বিচ্ছেদের বেদনায় দগ্ধ হৃদয়ের জন্য স্বপ্ন হলো স্বর্গীয় সান্ত্বনা। স্বপ্নের বাতায়ন পথে মানুষ তার প্রিয়জনকে কাছে পায়। আমিও পেলাম আমার বাবাকে একান্ত কাছে। স্বপ্নের জগতেই আমি পুলকিত হলাম। শিহরিত হলাম এবং আনন্দে আত্মহারা হলাম। নূরের ঝলকে চোখ যেন ধাঁধিয়ে যায়।হাসির স্নিগ্নতায় প্রাণ যেন জুড়িয়ে যায়। বাবা আমাকে আলিঙ্গন করলেন। আমি সাথে সাথে জিজ্ঞাসা করলাম, বাবা আপনি কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!! বাবা আমি তো সবুজ পাখী হয়ে জান্নাতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আর বাবা! তুমি তোমার আম্মুকে নিয়ে জলদি চলে আসো আমরা জান্নাতে একসাথে ঘুরে বেড়াবো।
বাবা এই বলে চলে গেলেন। আমি ঘুম থেকে জেগে উঠলাম এবং স্বপ্নের ঘোরে অনেক্ষণ বসে থাকলাম। আর মনে হলো আমার চারপাশ কেমন যেন সুরভিত।
'আত্মার আকুতি', 'জীবনের শূন্যতা', 'হৃদয়ের রক্তক্ষরণ', এ সব কথা সাহিত্যের পাতায় বহুবার পড়েছি। সেই আকুতি, সেই শূন্যতা, এবং সেই রক্তক্ষরণ শাহাদাত প্রেয়সী প্রিয় বাবাকে হারিয়ে। এখন অত্যন্ত বেদনাদায়কভাবে অনুভব করছি। সবার একজন বাবা আছেন, কিংবা ছিলেন এবং সবারই জন্য সবার বাবা স্নেহের একটি শীতল ছায়া। কিন্তু আমার বাবা শুধুই বাবা না তিনি উম্মাহর একজন স্নেহশীল রাহবার। তিনি আমার শিক্ষক, আমার ছাত্র এবং আমার বন্ধু, সবার মুখে শুনেছি একটি কথা, সন্তানের প্রতি স্নেহের আর্দ্রতায় এবং সন্তানের কল্যাণ সাধনের ব্যাকুলতায় আমার বাবা ছিলেন অন্যরকম বাবা।মৃত্যুশয্যায় এমনকি মৃত্যু যন্ত্রণার সময়ও তিনি ছিলেন আমাদের বাবা। আমাদের জন্য তখনো জারি ছিলো আল্লাহর কাছে তাঁর দুআ।কিন্তু আমি হলাম সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি যার কারণ হলো আমি একজন শহীদের সন্তান।
পৃথিবার জীবন। সব পাওয়ার এখানে শেষ আছে, সব তৃপ্তির এখানে সমাপ্তি আছে।আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, আমার আম্মা তার পঞ্চাশ বছরের জীবন-সঙ্গীকে হারিয়েছেন। হয়ত আগামীকাল আম্মাকেও হারাবো বা তিনি তার আদরের দুলাল প্রিয় সন্তানকে হারাবেন।
আমি আমার বাবার শেষ নিঃশ্বাসটুকু বের হতে দেখেছি খুব কাছ থেকে। সে দৃশ্যের বেদনা আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। আমেরিকান বিমান হামলায় ক্ষতবিক্ষত হওয়া বাবার নিথর লাশটুকু দেখে ভারি আশ্চর্য হয়েছিলাম। মুখে রক্তিম আবছা আবছা হাসিতে ভরপুর। যেন নিশ্চিত শাহাদাত লাভে ধন্য হয়ে আছেন। হুরগুলো তার মাথার পাশে বসে হাত বুলাচ্ছেন। জান্নাত তার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ঐ দৃশ্যটা এখনো আমার মনকে সান্ত্বনা দেয়।
বাবা চলে গিয়েছেন, মাও চলে যাবেন, আমিও যাবো। সান্ত্বনা শুধু এই যে, আমরা সবাই তাঁরই কাছে ফিরে যাই। তাঁর রহমতের ছায়ায় ইনশাআল্লাহ আবার আমাদের সবার মিলন হবে। সেখানে মিলনের সুখ আছে, বিচ্ছেদের বেদনা নেই।সেখানে আনন্দের অবগাহন আছে, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ নেই। তাই যেন হয় হে আল্লাহ! তাই যেন হয়!
কৃতজ্ঞতার তপ্ত অশ্রু দিয়ে সেই সান্ত্বনাকে আমি বরণ করলাম। এবং একটি মিনতি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহ! উপরে ঝিরঝির বাতাস এবং ভিতরে জান্নাতী হাওয়া এ কবরকে চিরকাল যেন শীতল রাখে। উপরে চাঁদের জোসনা এবং ভিতরের নূরের আলো এ কবরকে চিরকাল যেন স্নিগ্ধ রাখে। আমি সান্ত্বনা পেলাম এবং পরিতৃপ্ত হলামঃ আমি আশ্বাস পেলাম এবং কৃতার্থ হলাম, কিন্তু হৃদয়ের সেই ফোটা ফোটা রক্তক্ষরণ বন্ধ হলো না। অশ্রু চোখে এবং রক্ত ভেজা হৃদয়ে পাহাড়ের উপত্যকায় প্রিয় বাবাকে সমাধি করে আসলাম।
স্বপ্নের রহস্য মানুষ এখনো জানে না। আজ আমার মনে হলো স্বপ্ন আল্লাহর অতি বড় নেয়ামত। কেননা বিচ্ছেদের বেদনায় দগ্ধ হৃদয়ের জন্য স্বপ্ন হলো স্বর্গীয় সান্ত্বনা। স্বপ্নের বাতায়ন পথে মানুষ তার প্রিয়জনকে কাছে পায়। আমিও পেলাম আমার বাবাকে একান্ত কাছে। স্বপ্নের জগতেই আমি পুলকিত হলাম। শিহরিত হলাম এবং আনন্দে আত্মহারা হলাম। নূরের ঝলকে চোখ যেন ধাঁধিয়ে যায়।হাসির স্নিগ্নতায় প্রাণ যেন জুড়িয়ে যায়। বাবা আমাকে আলিঙ্গন করলেন। আমি সাথে সাথে জিজ্ঞাসা করলাম, বাবা আপনি কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!! বাবা আমি তো সবুজ পাখী হয়ে জান্নাতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আর বাবা! তুমি তোমার আম্মুকে নিয়ে জলদি চলে আসো আমরা জান্নাতে একসাথে ঘুরে বেড়াবো।
বাবা এই বলে চলে গেলেন। আমি ঘুম থেকে জেগে উঠলাম এবং স্বপ্নের ঘোরে অনেক্ষণ বসে থাকলাম। আর মনে হলো আমার চারপাশ কেমন যেন সুরভিত।
Comment