বাংলায় সুলতানি এবং নবাবি আমলে অগণিত পীর, সুফি সাধক , ইসলাম প্রচারক আগমন করলেও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে তাদের মধ্যে হাতে গোণা কয়েকজনের মাজারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।সুলতানি আমলের মাজারগুলো অনেকটা ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছিল ।যেমনটা আমরা বিভিন্ন নবারের সমাধি সৌধ হিসাবে দেখতে পাই। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইংরেজদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলায় অগণিত মাজার এবং মাজার ভিত্তিক কুফর- শিরকের বিষবাষ্প সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, এসব মাজারের অধিকাংশ অনুমানের ভিত্তিতে নির্মান করা হয়েছিলো। উদাহরণ স্বরূপ, বায়েজিদ বোস্তামির মাজার, ইসমাইল গাজীর মাজার ইত্যাদি।
চট্টগ্রাম নগরীর বদর শাহের মাজারটি সুলতানি আমলে নির্মিত এবং চট্টগ্রামের সবচেয়ে পুরনো ইমারত।"ইন্টারনাল চিটাগাং" বইয়ের লেখক ও চট্টগ্রামের পুরাকীর্তি গবেষক শামসুল হোসেনের মতে* মাজারটি অন্তত ৭০০ বছরের পুরোনো।
অনেকে, বিহারের ছোট দরগায় সমাহিত বদর আলমের সাথে চট্টগ্রাম নগরীর বক্সিরহাটে অবস্থিত বদর পট্টির বদর শাহ এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন। [১]
বিহারের ছোট দরগাহ এ সমাহিত বদর আলমের জন্ম মিরাটে।তিনি হজরত শাহজালাল এর অনুরোধে নাসির উদ্দীন সিপাহ সালারের নেতৃত্বে তরফের সামন্ত রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন।১৩৪০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে বিহারের ছোট দরগাহ এ তাকে সমাহিত করা হয়। [৪]
অপরদিকে, বদর শাহ আরব হতে আরাকানে ইসলাম প্রচার করতে এসে বিতাড়িত হয়ে চট্টগ্রামের নির্জন এলাকায় অবস্থান নেন।জনশ্রুতি মতে তৎকালীন চট্টগ্রাম বসবাসের অযোগ্য এবং জ্বীন-পরী দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। তিনি জ্বীনদের কাছ থেকে এক প্রদীপের আলো সমান জায়গা চেয়ে নেন এবং অলৌকিক প্রদীপ দ্বারা জ্বীন-পরীদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রামকে বসবাসের উপযোগী করে তুলেন।[৩]
১৩৪০ খৃষ্টাব্দে বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারাক শাহ্ এর (১৩৩৮-১৩৪১) সময়ে প্রথমবারের মত চট্টগ্রামকে মুসলিম শাসনের অধীনে নিয়ে আসেন। এ অভিযানে সেনাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন প্রখ্যাত সুফি কদল খান গাজী। কদল খান বদর শাহকে চট্টগ্রামে পূর্ব হতে অবস্থান করতে দেখে আনন্দিত হন এবং বদর শাহ গাজীর অধীনে এ অভিযানে অংশগ্রহণ করে মগদের বিতাড়িত করেন।[১,২,৩]
আবার, অন্য মতে কদল খান গাজী চট্টগ্রামে ইসলাম প্রচারে এসে মগদের সাথে সংঘর্ষ হলে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।[১]
সপ্তদশ শতকে লিখিত, কবি মোহাম্মদ খানের বংশ লতিকা হতে জানা যায়, কবির পূর্ব পুরুষ মাহি আছোয়ার ও হাজী খলিল পীর আরব দেশ হতে যখন চট্টগ্রামে আসেন তখন তাদের সাথে কদল খান গাজী, বদর আলম ও আন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎ হয়।[১]
মোগল ঐতিহাসিক, শিহাব উদ্দিন তালিশের "ফতেয়া ই ইবরিয়া" হতে জানা যায় , " দুর্গের (আন্দরকিল্লা) মধ্যে টিলার উপর পীর বদরের আস্তানা নামে একটি কবর আছে। খাদেমরা এখানে নামাজ রোজা করেন। মগ শাসকরা কবরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকটি গ্রাম ওয়াকফ করে দিয়েছেন। "[১]
বি. দ্র.- শিহাবউদ্দিন তালিশ সুবাদার মীর জুমলার (১৬৬০-১৬৬৩) কর্মচারী ছিলেন। অপরদিকে, উক্ত সময়ে ১৬৬৬ সালে পুনরায় উদ্ধারের আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম আরাকানের মগ রাজাদের অধীনে ছিল। [৪]
তথ্যসূত্রঃ
১) চট্টগ্রামে ইসলাম। ড. আব্দুল করিম।
২)বাংলাদেশের সূফী-সাধক। ড. গোলাম সাকলায়েন।
৩) বঙ্গে সূফী প্রভাব। ড. এনামুল হক।
৪)উইকিপিডিয়া।
চট্টগ্রাম নগরীর বদর শাহের মাজারটি সুলতানি আমলে নির্মিত এবং চট্টগ্রামের সবচেয়ে পুরনো ইমারত।"ইন্টারনাল চিটাগাং" বইয়ের লেখক ও চট্টগ্রামের পুরাকীর্তি গবেষক শামসুল হোসেনের মতে* মাজারটি অন্তত ৭০০ বছরের পুরোনো।
অনেকে, বিহারের ছোট দরগায় সমাহিত বদর আলমের সাথে চট্টগ্রাম নগরীর বক্সিরহাটে অবস্থিত বদর পট্টির বদর শাহ এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন। [১]
বিহারের ছোট দরগাহ এ সমাহিত বদর আলমের জন্ম মিরাটে।তিনি হজরত শাহজালাল এর অনুরোধে নাসির উদ্দীন সিপাহ সালারের নেতৃত্বে তরফের সামন্ত রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন।১৩৪০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে বিহারের ছোট দরগাহ এ তাকে সমাহিত করা হয়। [৪]
অপরদিকে, বদর শাহ আরব হতে আরাকানে ইসলাম প্রচার করতে এসে বিতাড়িত হয়ে চট্টগ্রামের নির্জন এলাকায় অবস্থান নেন।জনশ্রুতি মতে তৎকালীন চট্টগ্রাম বসবাসের অযোগ্য এবং জ্বীন-পরী দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। তিনি জ্বীনদের কাছ থেকে এক প্রদীপের আলো সমান জায়গা চেয়ে নেন এবং অলৌকিক প্রদীপ দ্বারা জ্বীন-পরীদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রামকে বসবাসের উপযোগী করে তুলেন।[৩]
১৩৪০ খৃষ্টাব্দে বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারাক শাহ্ এর (১৩৩৮-১৩৪১) সময়ে প্রথমবারের মত চট্টগ্রামকে মুসলিম শাসনের অধীনে নিয়ে আসেন। এ অভিযানে সেনাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন প্রখ্যাত সুফি কদল খান গাজী। কদল খান বদর শাহকে চট্টগ্রামে পূর্ব হতে অবস্থান করতে দেখে আনন্দিত হন এবং বদর শাহ গাজীর অধীনে এ অভিযানে অংশগ্রহণ করে মগদের বিতাড়িত করেন।[১,২,৩]
আবার, অন্য মতে কদল খান গাজী চট্টগ্রামে ইসলাম প্রচারে এসে মগদের সাথে সংঘর্ষ হলে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।[১]
সপ্তদশ শতকে লিখিত, কবি মোহাম্মদ খানের বংশ লতিকা হতে জানা যায়, কবির পূর্ব পুরুষ মাহি আছোয়ার ও হাজী খলিল পীর আরব দেশ হতে যখন চট্টগ্রামে আসেন তখন তাদের সাথে কদল খান গাজী, বদর আলম ও আন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎ হয়।[১]
মোগল ঐতিহাসিক, শিহাব উদ্দিন তালিশের "ফতেয়া ই ইবরিয়া" হতে জানা যায় , " দুর্গের (আন্দরকিল্লা) মধ্যে টিলার উপর পীর বদরের আস্তানা নামে একটি কবর আছে। খাদেমরা এখানে নামাজ রোজা করেন। মগ শাসকরা কবরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকটি গ্রাম ওয়াকফ করে দিয়েছেন। "[১]
বি. দ্র.- শিহাবউদ্দিন তালিশ সুবাদার মীর জুমলার (১৬৬০-১৬৬৩) কর্মচারী ছিলেন। অপরদিকে, উক্ত সময়ে ১৬৬৬ সালে পুনরায় উদ্ধারের আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম আরাকানের মগ রাজাদের অধীনে ছিল। [৪]
তথ্যসূত্রঃ
১) চট্টগ্রামে ইসলাম। ড. আব্দুল করিম।
২)বাংলাদেশের সূফী-সাধক। ড. গোলাম সাকলায়েন।
৩) বঙ্গে সূফী প্রভাব। ড. এনামুল হক।
৪)উইকিপিডিয়া।
Comment