সতর্কতার মধ্যমপন্থা
হিজরতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ সামান্যতম ছাড়ও দেননি। খুঁটিনাটি সব বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
প্রথমত, রাসূলুল্লাহ (সা.) মুখ ঢেকে দুপুর বেলা আবু বকরের (রা.) বাসায় যান।
দ্বিতীয়ত, গোপনীয়তার স্বার্থে তিনি আবু বকরকে আলোচনার সময়ে বাড়িতে কে কে আছে সেটা জেনে নেন।
তৃতীয়ত, তিনি আলী বিন আবু তালিবকে তাঁর বিছানায় শুয়ে থাকার নির্দেশ দেন যাতে শত্রুরা তাঁর চলে যাওয়ার ব্যাপারটি আঁচ করতে না পারে।
চতুর্থত, হিজরতের যাত্রার জন্য আগে থেকেই উট প্রস্তুত রাখা ছিল।
পঞ্চমত, চারপাশ অন্ধকার হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) আবু বকরকে সাথে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়েছিলেন।
ষষ্ঠত, তাঁরা একজন গাইড বা পথপ্রদর্শক ভাড়া করেছিলেন।
সপ্তমত, মদীনা ছিল মক্কার উত্তরে, কিন্তু শত্রুদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রথমে দক্ষিণের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
অষ্টমত, তাঁরা একটি গুহায় তিনদিন লুকিয়ে ছিলেন।
নবমত, আবদুল্লাহ দিনের বেলা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মক্কায় থেকে যেতেন আর রাতের বেলা গুহায় ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) কে সব জানাতেন।
দশমত, আমির বিন ফুহায়রা তাদেরকে খাবার এনে দিতেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) জানতেন যে আল্লাহ তাআলা তাকে রক্ষা করার ওয়াদা করেছেন এবং আল্লাহ তা’আলার ওয়াদা সত্য। কিন্তু তারপরও তিনি মদীনাতে নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তিনি এর মাধ্যমে শিক্ষা দিলেন যে, মুসলিম হিসেবে জাগতিক প্রচেষ্টার সবটুকুই ঢেলে দিতে হবে। রাসূলুল্লাহর (সা.) দেখানো পথ অনুসারেই সকল প্রকার ইসলামী কাজকর্মের পরিকল্পনা করতে হবে ও সর্বোচ্চ শ্রম দিতে হবে। বিপদের ভয়ে প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা যাবে না বরং যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করে যেতে হবে।
(সীরাহ, প্রথম খণ্ড, হিজরত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়)
হিজরতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ সামান্যতম ছাড়ও দেননি। খুঁটিনাটি সব বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
প্রথমত, রাসূলুল্লাহ (সা.) মুখ ঢেকে দুপুর বেলা আবু বকরের (রা.) বাসায় যান।
দ্বিতীয়ত, গোপনীয়তার স্বার্থে তিনি আবু বকরকে আলোচনার সময়ে বাড়িতে কে কে আছে সেটা জেনে নেন।
তৃতীয়ত, তিনি আলী বিন আবু তালিবকে তাঁর বিছানায় শুয়ে থাকার নির্দেশ দেন যাতে শত্রুরা তাঁর চলে যাওয়ার ব্যাপারটি আঁচ করতে না পারে।
চতুর্থত, হিজরতের যাত্রার জন্য আগে থেকেই উট প্রস্তুত রাখা ছিল।
পঞ্চমত, চারপাশ অন্ধকার হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) আবু বকরকে সাথে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়েছিলেন।
ষষ্ঠত, তাঁরা একজন গাইড বা পথপ্রদর্শক ভাড়া করেছিলেন।
সপ্তমত, মদীনা ছিল মক্কার উত্তরে, কিন্তু শত্রুদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রথমে দক্ষিণের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
অষ্টমত, তাঁরা একটি গুহায় তিনদিন লুকিয়ে ছিলেন।
নবমত, আবদুল্লাহ দিনের বেলা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মক্কায় থেকে যেতেন আর রাতের বেলা গুহায় ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) কে সব জানাতেন।
দশমত, আমির বিন ফুহায়রা তাদেরকে খাবার এনে দিতেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) জানতেন যে আল্লাহ তাআলা তাকে রক্ষা করার ওয়াদা করেছেন এবং আল্লাহ তা’আলার ওয়াদা সত্য। কিন্তু তারপরও তিনি মদীনাতে নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তিনি এর মাধ্যমে শিক্ষা দিলেন যে, মুসলিম হিসেবে জাগতিক প্রচেষ্টার সবটুকুই ঢেলে দিতে হবে। রাসূলুল্লাহর (সা.) দেখানো পথ অনুসারেই সকল প্রকার ইসলামী কাজকর্মের পরিকল্পনা করতে হবে ও সর্বোচ্চ শ্রম দিতে হবে। বিপদের ভয়ে প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা যাবে না বরং যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করে যেতে হবে।
(সীরাহ, প্রথম খণ্ড, হিজরত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়)
Comment