[কিছু প্রাইমারি লেভেলের ভাইদের সাথে সিরাহ নিয়ে আলোচোনা করতে চাচ্ছিলাম । যার জন্য একটা খসরা প্রস্তুত করেছিলাম । এখানে আসলে আমি যাস্ট কিছু কি ওয়ার্ড লিখেছি যাতে এর উপর ভিত্তি করে আলোচোনা করা যায় । এখানে আরো অনেক বিস্তারিত আরো টপিক আনা যেত আমি বিষেশ কারনে আনি নি । এটা করার পর ভাবলাম ভাইদের সাথে শেয়ার করা যায় ।যাতে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে সংশোধন করা যায় কিংবা কোন ভায়ের উপকারে আসে । যাযাকাল্লাহু খাইরান ।]
কেনো আমরা সিরাহ সম্পর্কে পড়াশনা করব?
সংজ্ঞাঃ সিরাহ শব্দের আবিধানিক অর্থ পথ বা রাস্তা । আরবি সাইর শব্দের অর্থ হচ্ছে হাটা । যখন কেও এক জায়গা থেকে হেটে কোন জায়গায় যায় বলে হয় সাইরুন ফুলান ,অর্থত ওমুক হাঁটছে।
আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে সিরাহ বলতে বোঝায় জীবন ও কর্ম । সিরাহ শব্দ টা দ্বারা যে কারো জীবন কর্ম বোঝানো যেতে পারে। তবে সিরাহ শব্দ টা রাসুল (স) এর ক্ষেত্তে বেশী ব্যাবহার হয় দেখে সিরাহ বলতে রাসুল (স) এর জীবনী সামনে আসে।
কেনো পড়ব?
১/ইসলামের ইতিহাস সঠিক ভাবে জানা ; রাসুল (স) কে ঘিরেই ইসলামের ইতিহাস ।তিনি এ দ্বীনের ভিত্তি ।কাজেই ইসলাম কে সঠিক ভাবে জানতে উপলবদ্ধি করতে সিরাহের বিকল্প নেই।
সাহাবাদের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো তারা পরবর্তী প্রজন্ম কে সিরাহ খুবি গুরুত্ব সহকারে অধ্যায়ন করাতেন।
সাদ ইবকে আবি ওয়াক্কাস (রা) এর পুত্র মুহাম্মদ বিন সাদ বিন আবিওয়াক্কাস বলেন ,তার পিতা যখন তাদের রাসুল (স) এর যুদ্ধের ইতিহাস খুব জোর দিয়ে পরাতেন । বলতেন এগুলা তোমাদের বাপ দাদাদের ইতিহাস । তারা রাসুল (স) এর জীবনিকে মাগাজি বলতেন ।
আলী ইবেন আবি তালিবের নাতী আলি আলী বি হুসাইন ইবন আলী বিন আনি তালিব বলেছেন ,আমাদের কোরানের যেভাবে পড়ানো হতো সিরাহ একই ভাবে পড়ানো হতো ।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি । এই দ্বীনের ইতিহাসকে সঠিক ভাবে বুঝতে হলে সিরাহ অধ্যায়নের বিকল্প নেই ।
২/ রাসুল (স) এর প্রতি ভালোবাসাঃ রাসুল (স) কে ভালোবাসা মুমিন হবার শর্ত। উমার এর হাদিস ।
আল্লাহ্*র সুবহানু তায়লা কোরয়ানে বলেছেন,
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যা কে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। [ সুরা তাওবা ]
কাজেই আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি মুমিন হবার জন্য শর্ত হচ্ছে আল্লাহ্*র রসুল (স) ভালোবাসা।
আর ভালোবাসা তখনি যাবে যখন তার ব্যাপারে জানব । আর রাসুল (স) হচ্ছে এমন একজন ব্যাক্তি যার ব্যাপারে যত জানা যাবে ততই ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে ।
আমর ইবেন আসের কথাই ধরুন না। তিনি তার মৃত্যু সহ্যায় কেদে কেদে বলছিলেন । আমার জোবনের তিনটি অধ্যায় আছে । প্রথমে রাসুল (স) ছিল আমার কাছে সব থেকে ঘৃনীত ব্যাক্তি । তারপর আল্লাহ সুবহানু তায়লা আমার অন্তরে তার প্রতি ভালো বাসা সৃষ্টি করে দিলেন । সে হয়ে গেলো আমার কাছে সব থেকে প্রিয় ব্যাক্তি ।
আল্লাহু আকবর , চিন্তা করে দেখুন তিনি যখন রাসুল (স) এর কাছে গেলেন তার ব্যাপারে জানলেন তখন তিনি তার কাছে সব থেকে প্রিয় ব্যাক্তি হলেন । এমন অনেক ঘটনাই সিরাহ তে পাওয়া যায় যেখানে কন সাহাবি তার ব্যাপারে কুরাঈশ থেকে ভুল জানতেন কিন্তু যখন তারা আল্লাহ্*র (স) এর সহোবোতে এলেন । তারা অবাক হয়ে গেলেন ।তারা দ্বীন কবুল করলেন ।
৩/তিনি আমাদের জন্য উত্তম আদর্শঃ আল্লাহ সুবহানু তায়লা পবিত্র কোরয়ানে বলেন ,
অর্থ : 'নিশ্চয়ই মুহাম্মদ সা.-এর জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।' (সূরা আহজাব : ৩৩/২১)।
সুবাহান’আল্লাহ কতই উত্তম আমাদের আদর্শ । অথচ আজ আমাদের যুবকেরা আদর্শ খুজতে কথিত খেলোয়ার আর নায়ক কিংবা গায়কের মাঝে । তারা তাদের প্রিয় তারকার হেয়ার কাটিং থেকে দাড়ির ঈস্টাইল নকল করছে । এর একটা কারন বলা যায় মিডিয়া তাদের সামনে যেভাবে এইসব লোকদের তুলে ধরছে সেই ভাবে আমরা রাসুল (স) কে তুলে ধরতে পারছিনা। রাসুল (স) জীবনের আদর্শ ,তার সুন্নাহ আমরা ভাইদের সামনে যেভাবে তুলা ধরা উচিত সেভাবে তুলে ধরছি না। এটা খুবই কস্টের ব্যাপারে বাংল ভাষায় কন সিরাহ এর অডিও নেই। কাজেই আমাদের উচিত হবে সমাজের এই দিক গুলোকে বদলানোর চেষ্টা করা। তাদের সামনে রাসুল (স) সুন্নাহকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা। আর এই জন্য আমাদের উচিত সিরাহ এর উপর অধিক পড়াশনা যাতে করে আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষের সামনে ব্যাপ্র গুলা তুলে ধরতে পারি। ইনশা আল্লাহ
৪/কুরআন কে অনুধাবনঃ আম্মাজান আয়েশা (রা) কে রাসুল (স) এর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন তোমরা কি কুরয়ান পড়া না?
হ্যা রাসুল (স) ছিলেন কুরইয়ান এর প্যাকটিকাল উদাহারন । আল্লাহ সুবহানু তায়লা তার রাসুল (স) কে দিয়ে তার বানীকে বাস্তবে রুপান্তরিত করে আমাদের জন্য মেসাল হিসেবে দেখিয়ে দিয়েছেন । আমরা কিভাবে কোন ইবাদাত করব? রাসুল (স) কিভাবে আয়াতের ব্যাক্ষা বুঝছেন । কিভাবে ইবাদাত করেছেন ,কোন পদ্ধতি গ্রহন করেছেন । আমাদের সেই ভাবেই সেই গুলা করা লাগবে ।
এছাড়া কোরানের অনেক আয়াত আছে যা বিভিন্ন পেক্ষাপটে নাজিল ।সেই পেক্ষাপট না জানলে কোরয়ান কে অনুধাবন সম্ভন না। সেটা করতে হলে রাসুল (স) জীবনি পড়া লাগবে । উদাহারন স্বরুপ বলা যায়ঃ
সুরা আহযাবের আহযবের আয়াত বেশির ভাগ আয়াত খন্দক যুদ্ধের পেক্ষাপটে ,যা জানলে আয়াত গুলা বুঝা যাবেনা ।
৫/ সিরাহ আলাদা একটা ইবাদাহঃ সিরাহ অধ্যায়ন আসলে আলাদা একটা ইবাদাত । আল্লাহ সুবহানু তায়লা বলছেনঃ
"হে নবী! আপনি মুসলমানদের বলুন: যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালবাসবেন ও তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়।" (৩:৩১)
"আপনি বলুন: আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করো,যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ আনুগত্য না করে) তাহলে তাদের জানিয়ে দিন আল্লাহ অবিশ্বাসীদের ভালবাসেন না।" (৩:৩২)
রাসুল (স) এর ব্যাপারে জানা আলাদা একতা ইবাদাত । তার সুন্নাকে অনুসরণ করা আমাদের জন্য ইবাদাত । কাজেই তার ব্যাপারে না জানলে আমরা এই ইবাদাত থেকে বঞ্চিত হবো ।
কেনো আমরা সিরাহ সম্পর্কে পড়াশনা করব?
সংজ্ঞাঃ সিরাহ শব্দের আবিধানিক অর্থ পথ বা রাস্তা । আরবি সাইর শব্দের অর্থ হচ্ছে হাটা । যখন কেও এক জায়গা থেকে হেটে কোন জায়গায় যায় বলে হয় সাইরুন ফুলান ,অর্থত ওমুক হাঁটছে।
আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে সিরাহ বলতে বোঝায় জীবন ও কর্ম । সিরাহ শব্দ টা দ্বারা যে কারো জীবন কর্ম বোঝানো যেতে পারে। তবে সিরাহ শব্দ টা রাসুল (স) এর ক্ষেত্তে বেশী ব্যাবহার হয় দেখে সিরাহ বলতে রাসুল (স) এর জীবনী সামনে আসে।
কেনো পড়ব?
১/ইসলামের ইতিহাস সঠিক ভাবে জানা ; রাসুল (স) কে ঘিরেই ইসলামের ইতিহাস ।তিনি এ দ্বীনের ভিত্তি ।কাজেই ইসলাম কে সঠিক ভাবে জানতে উপলবদ্ধি করতে সিরাহের বিকল্প নেই।
সাহাবাদের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো তারা পরবর্তী প্রজন্ম কে সিরাহ খুবি গুরুত্ব সহকারে অধ্যায়ন করাতেন।
সাদ ইবকে আবি ওয়াক্কাস (রা) এর পুত্র মুহাম্মদ বিন সাদ বিন আবিওয়াক্কাস বলেন ,তার পিতা যখন তাদের রাসুল (স) এর যুদ্ধের ইতিহাস খুব জোর দিয়ে পরাতেন । বলতেন এগুলা তোমাদের বাপ দাদাদের ইতিহাস । তারা রাসুল (স) এর জীবনিকে মাগাজি বলতেন ।
আলী ইবেন আবি তালিবের নাতী আলি আলী বি হুসাইন ইবন আলী বিন আনি তালিব বলেছেন ,আমাদের কোরানের যেভাবে পড়ানো হতো সিরাহ একই ভাবে পড়ানো হতো ।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি । এই দ্বীনের ইতিহাসকে সঠিক ভাবে বুঝতে হলে সিরাহ অধ্যায়নের বিকল্প নেই ।
২/ রাসুল (স) এর প্রতি ভালোবাসাঃ রাসুল (স) কে ভালোবাসা মুমিন হবার শর্ত। উমার এর হাদিস ।
আল্লাহ্*র সুবহানু তায়লা কোরয়ানে বলেছেন,
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যা কে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। [ সুরা তাওবা ]
কাজেই আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি মুমিন হবার জন্য শর্ত হচ্ছে আল্লাহ্*র রসুল (স) ভালোবাসা।
আর ভালোবাসা তখনি যাবে যখন তার ব্যাপারে জানব । আর রাসুল (স) হচ্ছে এমন একজন ব্যাক্তি যার ব্যাপারে যত জানা যাবে ততই ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে ।
আমর ইবেন আসের কথাই ধরুন না। তিনি তার মৃত্যু সহ্যায় কেদে কেদে বলছিলেন । আমার জোবনের তিনটি অধ্যায় আছে । প্রথমে রাসুল (স) ছিল আমার কাছে সব থেকে ঘৃনীত ব্যাক্তি । তারপর আল্লাহ সুবহানু তায়লা আমার অন্তরে তার প্রতি ভালো বাসা সৃষ্টি করে দিলেন । সে হয়ে গেলো আমার কাছে সব থেকে প্রিয় ব্যাক্তি ।
আল্লাহু আকবর , চিন্তা করে দেখুন তিনি যখন রাসুল (স) এর কাছে গেলেন তার ব্যাপারে জানলেন তখন তিনি তার কাছে সব থেকে প্রিয় ব্যাক্তি হলেন । এমন অনেক ঘটনাই সিরাহ তে পাওয়া যায় যেখানে কন সাহাবি তার ব্যাপারে কুরাঈশ থেকে ভুল জানতেন কিন্তু যখন তারা আল্লাহ্*র (স) এর সহোবোতে এলেন । তারা অবাক হয়ে গেলেন ।তারা দ্বীন কবুল করলেন ।
৩/তিনি আমাদের জন্য উত্তম আদর্শঃ আল্লাহ সুবহানু তায়লা পবিত্র কোরয়ানে বলেন ,
অর্থ : 'নিশ্চয়ই মুহাম্মদ সা.-এর জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।' (সূরা আহজাব : ৩৩/২১)।
সুবাহান’আল্লাহ কতই উত্তম আমাদের আদর্শ । অথচ আজ আমাদের যুবকেরা আদর্শ খুজতে কথিত খেলোয়ার আর নায়ক কিংবা গায়কের মাঝে । তারা তাদের প্রিয় তারকার হেয়ার কাটিং থেকে দাড়ির ঈস্টাইল নকল করছে । এর একটা কারন বলা যায় মিডিয়া তাদের সামনে যেভাবে এইসব লোকদের তুলে ধরছে সেই ভাবে আমরা রাসুল (স) কে তুলে ধরতে পারছিনা। রাসুল (স) জীবনের আদর্শ ,তার সুন্নাহ আমরা ভাইদের সামনে যেভাবে তুলা ধরা উচিত সেভাবে তুলে ধরছি না। এটা খুবই কস্টের ব্যাপারে বাংল ভাষায় কন সিরাহ এর অডিও নেই। কাজেই আমাদের উচিত হবে সমাজের এই দিক গুলোকে বদলানোর চেষ্টা করা। তাদের সামনে রাসুল (স) সুন্নাহকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা। আর এই জন্য আমাদের উচিত সিরাহ এর উপর অধিক পড়াশনা যাতে করে আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষের সামনে ব্যাপ্র গুলা তুলে ধরতে পারি। ইনশা আল্লাহ
৪/কুরআন কে অনুধাবনঃ আম্মাজান আয়েশা (রা) কে রাসুল (স) এর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন তোমরা কি কুরয়ান পড়া না?
হ্যা রাসুল (স) ছিলেন কুরইয়ান এর প্যাকটিকাল উদাহারন । আল্লাহ সুবহানু তায়লা তার রাসুল (স) কে দিয়ে তার বানীকে বাস্তবে রুপান্তরিত করে আমাদের জন্য মেসাল হিসেবে দেখিয়ে দিয়েছেন । আমরা কিভাবে কোন ইবাদাত করব? রাসুল (স) কিভাবে আয়াতের ব্যাক্ষা বুঝছেন । কিভাবে ইবাদাত করেছেন ,কোন পদ্ধতি গ্রহন করেছেন । আমাদের সেই ভাবেই সেই গুলা করা লাগবে ।
এছাড়া কোরানের অনেক আয়াত আছে যা বিভিন্ন পেক্ষাপটে নাজিল ।সেই পেক্ষাপট না জানলে কোরয়ান কে অনুধাবন সম্ভন না। সেটা করতে হলে রাসুল (স) জীবনি পড়া লাগবে । উদাহারন স্বরুপ বলা যায়ঃ
সুরা আহযাবের আহযবের আয়াত বেশির ভাগ আয়াত খন্দক যুদ্ধের পেক্ষাপটে ,যা জানলে আয়াত গুলা বুঝা যাবেনা ।
৫/ সিরাহ আলাদা একটা ইবাদাহঃ সিরাহ অধ্যায়ন আসলে আলাদা একটা ইবাদাত । আল্লাহ সুবহানু তায়লা বলছেনঃ
"হে নবী! আপনি মুসলমানদের বলুন: যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালবাসবেন ও তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়।" (৩:৩১)
"আপনি বলুন: আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করো,যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ আনুগত্য না করে) তাহলে তাদের জানিয়ে দিন আল্লাহ অবিশ্বাসীদের ভালবাসেন না।" (৩:৩২)
রাসুল (স) এর ব্যাপারে জানা আলাদা একতা ইবাদাত । তার সুন্নাকে অনুসরণ করা আমাদের জন্য ইবাদাত । কাজেই তার ব্যাপারে না জানলে আমরা এই ইবাদাত থেকে বঞ্চিত হবো ।
Comment