মাওলানা আসেম উমার (আল্লাহ তাঁকে সুরক্ষিত রাখুন)
জন্ম, শৈশব ও কৈশোর...
মাওলানা আসেম উমার। "জামাত কাঈদাতুল জিহাদ ফি শিবহিল ক্বাররাতিল হিন্দিয়্যাহ" তথা Al Qaeda in the Indian Subcontinent(AQIS) এর সম্মানিত আমীর। সত্তরের দশকে তিনি ভারতের আহমেদাবাদ জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই পরিবারের সাথে দুবাই, অতঃপর পাকিস্তানে স্থানাতরিত হন।
লেখাপড়া : ‘University of Jihad’ নামে বিখ্যাত দারুল উলুম হাক্কানিয়্যাহ্*তে অধ্যয়ন...
কিশোর বয়সে করাচীর জামিয়াতুল উলুমুল ইস্লামিয়্যাহ্*তে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর খাইবার পাখতুনখোয়ার বিখ্যাত দারুল উলুম হাক্কানিইয়্যাহ মাদ্রাসায় দ্বীনী ইলম শিক্ষা সমাপ্ত করেন। দারুল উলুম হাক্কানিয়্যাহ...! সে তো এক বিরাট ইতিহাস। খাইবারের এই বিখ্যাত মাদ্রাসায়ই লেখাপড়া করেছিলেন আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমার মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ!!! আল্লাহর খাস রহমতধন্য এই মাদ্রাসা মোল্লা উমারের মত হাজার হাজার মুজাহিদ জন্ম দিয়েছে, যারা আজ তালেবান এবং আল কায়েদার মুজাহিদদের কাতারে শামিল হয়ে জিহাদের ময়দান তাজা রক্তে রাঙা করছে। সাধেই কি আর এই মাদ্রাসার নাম University of Jihad হয়েছে?? লেখাপড়া চলাকালীন তিনি প্রায়ই ভারতে, বিশেষ করে দারুল উলুম দেওবন্দে যেতেন। তাঁকে ৯০ দশকের শেষের দিকে দেওবন্দ মাদ্রাসার একটি সেমিনারে শনাক্ত করা যায়, যার কারণে AQIS প্রতিষ্ঠার পর ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ভারতীয় নাগরিক বলে সন্দেহ করে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জিহাদে অংশগ্রহণ...
পড়ালেখা সমাপ্ত করে মাওলানা আসেম উমার আফগানিস্তানে যান, যেখানে তিনি আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ উসামা বিন লাদেন (রহ.) এর সাথে দেখা করেন, এবং পরবর্তীতে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয়ের প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত জিহাদী সংগঠন 'হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী' এ যোগ দেন। অবশেষে মাওলানা আসেম উমার "গ্লোবাল জিহাদ" এর সূতিকাগার 'আল কায়েদা' তে যোগদাণ করেন। অবশ্য তাহরীকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সাথেও তাঁর ভাল যোগাযোগ ছিল। আসলে, আল কায়দা এবং তালেবান আলাদা কিছু নয়। একারণেই আল কায়েদার আস-সাহাব মিডিয়া ও পাকিস্তানি তালেবানের উমার মিডিয়া থেকে প্রায়ই তাঁর বিভিন্ন বার্তা ও বয়ান প্রকাশিত হত।
ইলমী খেদমত: লেখালেখি, বয়ানাত ও ইরশাদাত...
মাওলানা আসেম উমার জিহাদ, তাওহীদ, গণতন্ত্র, তাগুত, দাজ্জাল, ইমাম মাহদী ইত্যাদি বিষয়ে অসংখ্য কিতাব লিখেছেন। তবে তাঁর লেখা "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও দাজ্জাল", "ইমাম মাহদীর দোস্ত ও দুশমন", "দাজ্জাল ও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল", "দেশ বড় না দ্বীন বড়" এই কিতাবগুলো ব্যাপক প্রসিদ্ধি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তাঁর প্রদত্ত বয়ান ও লিখিত কিতাবাদি থেকে সহজেই তাঁর ইলমী মাকাম আন্দাজ করা যায়। তবে মাওলানা আসেম উমার (হাফিযাহুল্লাহ) কত বড় মাপের মুজাহিদ শায়খ এটা পরের বাক্য থেকে আরো ভাল মত বুঝতে পারবেন। তিনি আল কায়েদার শরীইয়াহ কমিটির সদস্য ছিলেন!!
AQIS এর আমীর...
অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় যখন সেপ্টেম্বরে আমীরুল মুজাহিদীন আইমান আল যাওয়াহিরী (হাফি.) AQIS প্রতিষ্ঠার মোবারকবাদ দেন, তখন তিনি নবপ্রতিষ্ঠিত এই জামাতের আমীর হিসেবে মাওলানা আসেম উমারের নাম ঘোষণা করেন।
গাযওয়াতুল হিন্দের সেনাপতি... (ইনশাআল্লাহ!)
ওয়াল্লাহি! (আল্লাহর শপথ) আল্লাহ তায়ালা মাওলানা আসেম উমারকে বয়ান করার এক অসামান্য যোগ্যতা দাণ করেছেন। বয়ান করার সময় তাঁর ইলমী ঝলক, ভাষার লয়, ছন্দময় বাকশৈলী, আবেগঘণ আবেদন প্রতিটি মুহুর্ত শ্রোতার অন্তরে এক আবেশের সৃষ্টি করে রাখে। ইমানদারদের সম্বোধনের সময় তিনি "আযিল্লাতুন আলাল মু'মিনীন" হলেও, কুফফারদের সম্বোধন করার সময় তাঁর বজ্রকন্ঠ, মুহুর্মুহু সিংহনাদ শুনে যেন তাঁকে "আশিদ্দাতুন আলাল কাফিরীন" এর মূর্ত প্রতীক মনে হয়।
আল্লাহর রাসুল মুসলিম উম্মাহকে গাযওয়াতুল হিন্দের সুসংবাদ দিয়েছেন, যাতে অংশগ্রহণকারীরা দোযখের আগুন থেকে চিরকালের জন্য নিরাপত্তাপ্রাপ্ত। আর গাযওয়াতুল হিন্দের আযান তো হয়েই গিয়েছে, এখন কেবল কাতারে দাঁড়ানো বাকি! AQIS প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ ছিল গাযওয়াতুল হিন্দের বাহিনী প্রস্তুত করা। আল্লাহর ইচ্ছায় মাওলানা আসেম উমারের জীবদ্দশায় যদি ঈমান ও কুফরের মধ্যকার এই মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, ইনশাআল্লাহ তিনিই হবেন এই যুদ্ধে মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রধান!!
আয় আল্লাহ! আপনি শায়খকে হেফাজত করুন। কাফের, মুশরিকদের ক্ষতি থেকে তাকে নিরাপদ রাখুন। তাঁর বরকতকে জারি রাখুন এবং তাঁর ছায়াকে আমাদের উপর প্রলম্বিত করে দিন। আমিন।
জন্ম, শৈশব ও কৈশোর...
মাওলানা আসেম উমার। "জামাত কাঈদাতুল জিহাদ ফি শিবহিল ক্বাররাতিল হিন্দিয়্যাহ" তথা Al Qaeda in the Indian Subcontinent(AQIS) এর সম্মানিত আমীর। সত্তরের দশকে তিনি ভারতের আহমেদাবাদ জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই পরিবারের সাথে দুবাই, অতঃপর পাকিস্তানে স্থানাতরিত হন।
লেখাপড়া : ‘University of Jihad’ নামে বিখ্যাত দারুল উলুম হাক্কানিয়্যাহ্*তে অধ্যয়ন...
কিশোর বয়সে করাচীর জামিয়াতুল উলুমুল ইস্লামিয়্যাহ্*তে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর খাইবার পাখতুনখোয়ার বিখ্যাত দারুল উলুম হাক্কানিইয়্যাহ মাদ্রাসায় দ্বীনী ইলম শিক্ষা সমাপ্ত করেন। দারুল উলুম হাক্কানিয়্যাহ...! সে তো এক বিরাট ইতিহাস। খাইবারের এই বিখ্যাত মাদ্রাসায়ই লেখাপড়া করেছিলেন আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমার মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ!!! আল্লাহর খাস রহমতধন্য এই মাদ্রাসা মোল্লা উমারের মত হাজার হাজার মুজাহিদ জন্ম দিয়েছে, যারা আজ তালেবান এবং আল কায়েদার মুজাহিদদের কাতারে শামিল হয়ে জিহাদের ময়দান তাজা রক্তে রাঙা করছে। সাধেই কি আর এই মাদ্রাসার নাম University of Jihad হয়েছে?? লেখাপড়া চলাকালীন তিনি প্রায়ই ভারতে, বিশেষ করে দারুল উলুম দেওবন্দে যেতেন। তাঁকে ৯০ দশকের শেষের দিকে দেওবন্দ মাদ্রাসার একটি সেমিনারে শনাক্ত করা যায়, যার কারণে AQIS প্রতিষ্ঠার পর ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ভারতীয় নাগরিক বলে সন্দেহ করে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জিহাদে অংশগ্রহণ...
পড়ালেখা সমাপ্ত করে মাওলানা আসেম উমার আফগানিস্তানে যান, যেখানে তিনি আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ উসামা বিন লাদেন (রহ.) এর সাথে দেখা করেন, এবং পরবর্তীতে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয়ের প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত জিহাদী সংগঠন 'হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী' এ যোগ দেন। অবশেষে মাওলানা আসেম উমার "গ্লোবাল জিহাদ" এর সূতিকাগার 'আল কায়েদা' তে যোগদাণ করেন। অবশ্য তাহরীকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সাথেও তাঁর ভাল যোগাযোগ ছিল। আসলে, আল কায়দা এবং তালেবান আলাদা কিছু নয়। একারণেই আল কায়েদার আস-সাহাব মিডিয়া ও পাকিস্তানি তালেবানের উমার মিডিয়া থেকে প্রায়ই তাঁর বিভিন্ন বার্তা ও বয়ান প্রকাশিত হত।
ইলমী খেদমত: লেখালেখি, বয়ানাত ও ইরশাদাত...
মাওলানা আসেম উমার জিহাদ, তাওহীদ, গণতন্ত্র, তাগুত, দাজ্জাল, ইমাম মাহদী ইত্যাদি বিষয়ে অসংখ্য কিতাব লিখেছেন। তবে তাঁর লেখা "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও দাজ্জাল", "ইমাম মাহদীর দোস্ত ও দুশমন", "দাজ্জাল ও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল", "দেশ বড় না দ্বীন বড়" এই কিতাবগুলো ব্যাপক প্রসিদ্ধি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তাঁর প্রদত্ত বয়ান ও লিখিত কিতাবাদি থেকে সহজেই তাঁর ইলমী মাকাম আন্দাজ করা যায়। তবে মাওলানা আসেম উমার (হাফিযাহুল্লাহ) কত বড় মাপের মুজাহিদ শায়খ এটা পরের বাক্য থেকে আরো ভাল মত বুঝতে পারবেন। তিনি আল কায়েদার শরীইয়াহ কমিটির সদস্য ছিলেন!!
AQIS এর আমীর...
অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় যখন সেপ্টেম্বরে আমীরুল মুজাহিদীন আইমান আল যাওয়াহিরী (হাফি.) AQIS প্রতিষ্ঠার মোবারকবাদ দেন, তখন তিনি নবপ্রতিষ্ঠিত এই জামাতের আমীর হিসেবে মাওলানা আসেম উমারের নাম ঘোষণা করেন।
গাযওয়াতুল হিন্দের সেনাপতি... (ইনশাআল্লাহ!)
ওয়াল্লাহি! (আল্লাহর শপথ) আল্লাহ তায়ালা মাওলানা আসেম উমারকে বয়ান করার এক অসামান্য যোগ্যতা দাণ করেছেন। বয়ান করার সময় তাঁর ইলমী ঝলক, ভাষার লয়, ছন্দময় বাকশৈলী, আবেগঘণ আবেদন প্রতিটি মুহুর্ত শ্রোতার অন্তরে এক আবেশের সৃষ্টি করে রাখে। ইমানদারদের সম্বোধনের সময় তিনি "আযিল্লাতুন আলাল মু'মিনীন" হলেও, কুফফারদের সম্বোধন করার সময় তাঁর বজ্রকন্ঠ, মুহুর্মুহু সিংহনাদ শুনে যেন তাঁকে "আশিদ্দাতুন আলাল কাফিরীন" এর মূর্ত প্রতীক মনে হয়।
আল্লাহর রাসুল মুসলিম উম্মাহকে গাযওয়াতুল হিন্দের সুসংবাদ দিয়েছেন, যাতে অংশগ্রহণকারীরা দোযখের আগুন থেকে চিরকালের জন্য নিরাপত্তাপ্রাপ্ত। আর গাযওয়াতুল হিন্দের আযান তো হয়েই গিয়েছে, এখন কেবল কাতারে দাঁড়ানো বাকি! AQIS প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ ছিল গাযওয়াতুল হিন্দের বাহিনী প্রস্তুত করা। আল্লাহর ইচ্ছায় মাওলানা আসেম উমারের জীবদ্দশায় যদি ঈমান ও কুফরের মধ্যকার এই মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, ইনশাআল্লাহ তিনিই হবেন এই যুদ্ধে মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রধান!!
আয় আল্লাহ! আপনি শায়খকে হেফাজত করুন। কাফের, মুশরিকদের ক্ষতি থেকে তাকে নিরাপদ রাখুন। তাঁর বরকতকে জারি রাখুন এবং তাঁর ছায়াকে আমাদের উপর প্রলম্বিত করে দিন। আমিন।
Comment