দি স্টোরি অব আবু রাবি আস-সাওয়াইরি
উৎসঃ ইন্সপায়ার ম্যাগাজিন, ইস্যুঃ ১৩
কক্ষটি ছিল নিস্তব্ধতায় পরিপূর্ণ । প্রাতঃরাশে এইরকম নিস্তব্ধতা ঐ পাঁচ জনের জন্যে ছিলো খুবই আস্বাভাবিক। তার গন্ডদেশ বেয়ে অনবরত অশ্রুর জলপ্রবাহ বইছিল। সে কিছু বলতে চাচ্ছিল , কিন্তু তার শ্বাসরুধ্বকর কন্ঠনিঃসৃত ধ্বনি কেউই বুঝতে পারছিল না। বাকি তিনজনের জন্যে এটা ছিলো বিব্রতকর পরিস্থিতি, কিন্তু পঞ্চম জন(আমির) জানতেন কী ঘটেছিল এই ধূসর চুলের বৃধ্বের। বৃধ্ব লোকটি সশব্দে শ্বাস নিলেন। তারপর নিরবতা আবার গ্রাস করলো। “”আবু রাবি,”” নিস্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে আমির বললেন, ““আপনার ঐখানে থাকার কোন প্রয়োজন নেই।”” ““ আমারই ঐখানে যাওয়া উচিৎ”।” আবু রাবি জোর দিয়ে বললেন(তার কম্পমান ঠোট থামছিলো না) ““আমাকেই ঐখানে প্রয়োজন….।”” আমির তার মাথা নিচু করলেন এবং মুচকি হাসলেন।
আবু রাবি আস-সাওয়াইরি ছিলেন ৬০ বছর বয়েসী মুজাহিদ। তার ধর্ম আর বিশ্বাসের কারনে তাকে সৌদিতে চার বছর জেল খাটতে হয়েছিলো। তাছাড়া, তার চারজন ছেলে শহীদ হয়েছেন (এর মধ্যে একজন হাযরামাওউতে আমেরিকান ড্রোন হামলায় শহিদ হয়েছেন)। তিনি জেল থেকে বের হয়ে ইয়েমেনের মুজাহিদিনদের সাথে যোগদান করেন( সেই নিঃস্তব্ধ প্রাতঃরাশের তিন বছর আগে)। মুকাল্লার রাজনৈতিক নিরাপত্বা জেল থেকে ৬৭ জন ভাইকে মুক্ত করতে তার ছেলে রাবি আস-সাওয়াইরির আত্নত্যাগের পরপরই তার উপনাম(আবু রাবি) মুজাহিদিনদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো। রাবি তাঁর বাবার কাছ থেকেই আত্নত্যাগের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন ।
এই বিশেষ দিনে, কাজটিতে অংশগ্রহনের জন্য আবু রাবিকে অনুমতি নিতে হয়েছিল। সেখানে আরেকটি রাজ্যের কিছু অঞ্চলে একটি সামরিক অভিযান এগিয়ে চলছিল। মুজাহিদিনরা শত্রুদের জন্যে কিছু ধারাবাহিক পোস্ট রেখেছিলেন এবং আবু রাবি একটি ভুমিকা পালন করতে চাইলেন। তিনি তার অস্র পরিস্কার করলেন, যন্ত্রপাতি প্যকেটে ভরলেন। আমির জানতেন এই লোককে থামানো সম্ভব নয়। তিনি ইতোমধ্যেই তার নাম ইস্তিশহাদি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন কিন্তু আমির তাকে এখন অনুমতি দেননি। তার তৃতীয় ছেলে দুই সপ্তাহ আগেই শহিদ হয়েছে; আমির ভাবলেন তার চলে যাওয়াটা তার স্ত্রীর জন্যে খুবই হৃদয়বিদারক হবে যার চোখের অশ্রু তখন শুকায় নি। এটাই ছিলো আমিরের সিধ্বান্ত এবং এই সিধ্বান্তটি ছিলো আবু রাবি’র জন্যেও হৃদয়বিদারক।
দুই মাস পর, ইয়েমেনের সেইওয়ান শহরে একটি বিশাল বিস্ফোরনে কেপে উঠেছিল যেটি সামরিক গোয়েন্দা ভবন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল। এক শহদি তামান্না অন্বেসনকারী ব্যক্তি একটি গাড়ী বোমা বিস্ফোরনের মাধ্যমে এই সামরিক গোয়েন্দা ভবনটি উড়িয়ে দিয়েছিলেন যেখানে একই সাথে তিন যায়গায় ড্রোন হামলা পরিচালিত হোতো; আরেকটি টর্গেট ছিল বিমানবন্দর যেটা ড্রোন সিগনাল পাঠাত এবং অন্যটি একটি যোগাযোগ কেন্দ্র যেটা আমেরিকান missile-precision system এর সাথে সংযুক্ত ছিল। এই অপারেশনটি মুজাহিদিন এবং সাধারন মুসলিমদের অনেক আনন্দ দিয়েছিল।
পরবর্তি দিন, অপরেশনের ভিডিও,ছবি এবং ভাইদের অন্তিম ইচ্ছা সংবলিত একটি কপি হাতে পেলাম, ভিডিও এবং লিখার মধ্যে আমি একটি পরিচিত মুখ দেখতে পেলাম। আমদের পিতা আবু রাবি সেই গাড়ির চালক ছিলেন। এখন আমার কান্নার পালা, উনার এই কর্ম এবং দৃষ্টিভঙ্গি আমকে দুটি আয়াতের মর্ম বুঝতে সাহায্য করে।
একটি তার ইহজীবনেরঃ
"আর না আছে তাদের উপর যারা এসেছে তোমার নিকট যেন তুমি তাদের বাহন দান কর এবং তুমি বলেছ, আমার কাছে এমন কোন বস্তু নেই যে, তার উপর তোমাদের সওয়ার করাব তখন তারা ফিরে গেছে অথচ তখন তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু বইতেছিল এ দুঃখে যে, তারা এমন কোন বস্তু পাচ্ছে না যা ব্যয় করবে।“ (সুরা তাওবাহ ৯:৯২)
আরেকটি তার আত্নত্যাগের পরেরঃ
“ মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি।" (সুরা আল আহযাব ৩৩:২৩)
আবু রাবি, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান নান করুন…
তিনি যেন আপনার ইশতেহাদি অপারেশন মুহাম্মাদ(সাঃ) এর উম্মাতের যুবক এবং বৃধ্বদের জন্যে একটি অনুপ্রেরন হিসেবে প্রেরন করেন। (আমীন)
উৎসঃ ইন্সপায়ার ম্যাগাজিন, ইস্যুঃ ১৩
কক্ষটি ছিল নিস্তব্ধতায় পরিপূর্ণ । প্রাতঃরাশে এইরকম নিস্তব্ধতা ঐ পাঁচ জনের জন্যে ছিলো খুবই আস্বাভাবিক। তার গন্ডদেশ বেয়ে অনবরত অশ্রুর জলপ্রবাহ বইছিল। সে কিছু বলতে চাচ্ছিল , কিন্তু তার শ্বাসরুধ্বকর কন্ঠনিঃসৃত ধ্বনি কেউই বুঝতে পারছিল না। বাকি তিনজনের জন্যে এটা ছিলো বিব্রতকর পরিস্থিতি, কিন্তু পঞ্চম জন(আমির) জানতেন কী ঘটেছিল এই ধূসর চুলের বৃধ্বের। বৃধ্ব লোকটি সশব্দে শ্বাস নিলেন। তারপর নিরবতা আবার গ্রাস করলো। “”আবু রাবি,”” নিস্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে আমির বললেন, ““আপনার ঐখানে থাকার কোন প্রয়োজন নেই।”” ““ আমারই ঐখানে যাওয়া উচিৎ”।” আবু রাবি জোর দিয়ে বললেন(তার কম্পমান ঠোট থামছিলো না) ““আমাকেই ঐখানে প্রয়োজন….।”” আমির তার মাথা নিচু করলেন এবং মুচকি হাসলেন।
আবু রাবি আস-সাওয়াইরি ছিলেন ৬০ বছর বয়েসী মুজাহিদ। তার ধর্ম আর বিশ্বাসের কারনে তাকে সৌদিতে চার বছর জেল খাটতে হয়েছিলো। তাছাড়া, তার চারজন ছেলে শহীদ হয়েছেন (এর মধ্যে একজন হাযরামাওউতে আমেরিকান ড্রোন হামলায় শহিদ হয়েছেন)। তিনি জেল থেকে বের হয়ে ইয়েমেনের মুজাহিদিনদের সাথে যোগদান করেন( সেই নিঃস্তব্ধ প্রাতঃরাশের তিন বছর আগে)। মুকাল্লার রাজনৈতিক নিরাপত্বা জেল থেকে ৬৭ জন ভাইকে মুক্ত করতে তার ছেলে রাবি আস-সাওয়াইরির আত্নত্যাগের পরপরই তার উপনাম(আবু রাবি) মুজাহিদিনদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো। রাবি তাঁর বাবার কাছ থেকেই আত্নত্যাগের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন ।
এই বিশেষ দিনে, কাজটিতে অংশগ্রহনের জন্য আবু রাবিকে অনুমতি নিতে হয়েছিল। সেখানে আরেকটি রাজ্যের কিছু অঞ্চলে একটি সামরিক অভিযান এগিয়ে চলছিল। মুজাহিদিনরা শত্রুদের জন্যে কিছু ধারাবাহিক পোস্ট রেখেছিলেন এবং আবু রাবি একটি ভুমিকা পালন করতে চাইলেন। তিনি তার অস্র পরিস্কার করলেন, যন্ত্রপাতি প্যকেটে ভরলেন। আমির জানতেন এই লোককে থামানো সম্ভব নয়। তিনি ইতোমধ্যেই তার নাম ইস্তিশহাদি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন কিন্তু আমির তাকে এখন অনুমতি দেননি। তার তৃতীয় ছেলে দুই সপ্তাহ আগেই শহিদ হয়েছে; আমির ভাবলেন তার চলে যাওয়াটা তার স্ত্রীর জন্যে খুবই হৃদয়বিদারক হবে যার চোখের অশ্রু তখন শুকায় নি। এটাই ছিলো আমিরের সিধ্বান্ত এবং এই সিধ্বান্তটি ছিলো আবু রাবি’র জন্যেও হৃদয়বিদারক।
দুই মাস পর, ইয়েমেনের সেইওয়ান শহরে একটি বিশাল বিস্ফোরনে কেপে উঠেছিল যেটি সামরিক গোয়েন্দা ভবন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল। এক শহদি তামান্না অন্বেসনকারী ব্যক্তি একটি গাড়ী বোমা বিস্ফোরনের মাধ্যমে এই সামরিক গোয়েন্দা ভবনটি উড়িয়ে দিয়েছিলেন যেখানে একই সাথে তিন যায়গায় ড্রোন হামলা পরিচালিত হোতো; আরেকটি টর্গেট ছিল বিমানবন্দর যেটা ড্রোন সিগনাল পাঠাত এবং অন্যটি একটি যোগাযোগ কেন্দ্র যেটা আমেরিকান missile-precision system এর সাথে সংযুক্ত ছিল। এই অপারেশনটি মুজাহিদিন এবং সাধারন মুসলিমদের অনেক আনন্দ দিয়েছিল।
পরবর্তি দিন, অপরেশনের ভিডিও,ছবি এবং ভাইদের অন্তিম ইচ্ছা সংবলিত একটি কপি হাতে পেলাম, ভিডিও এবং লিখার মধ্যে আমি একটি পরিচিত মুখ দেখতে পেলাম। আমদের পিতা আবু রাবি সেই গাড়ির চালক ছিলেন। এখন আমার কান্নার পালা, উনার এই কর্ম এবং দৃষ্টিভঙ্গি আমকে দুটি আয়াতের মর্ম বুঝতে সাহায্য করে।
একটি তার ইহজীবনেরঃ
"আর না আছে তাদের উপর যারা এসেছে তোমার নিকট যেন তুমি তাদের বাহন দান কর এবং তুমি বলেছ, আমার কাছে এমন কোন বস্তু নেই যে, তার উপর তোমাদের সওয়ার করাব তখন তারা ফিরে গেছে অথচ তখন তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু বইতেছিল এ দুঃখে যে, তারা এমন কোন বস্তু পাচ্ছে না যা ব্যয় করবে।“ (সুরা তাওবাহ ৯:৯২)
আরেকটি তার আত্নত্যাগের পরেরঃ
“ মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি।" (সুরা আল আহযাব ৩৩:২৩)
আবু রাবি, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান নান করুন…
তিনি যেন আপনার ইশতেহাদি অপারেশন মুহাম্মাদ(সাঃ) এর উম্মাতের যুবক এবং বৃধ্বদের জন্যে একটি অনুপ্রেরন হিসেবে প্রেরন করেন। (আমীন)
Comment