বর্তমানে খাজির আ. জিবিত না মৃত-পর্ব-২
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা। গত পর্বে আমি আপনাদের কাছে এ বিষয়ে লেখার জন্য দোয়া চেয়েছিলাম। আল-হামদুলিল্লাহ। আপানারা কেউ দোয়া দিয়েছেন। কেউ ভাল পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ আপনাদের ইলম ও আমলের মধ্যে বরকত দান করেন। আমিন।
এ পর্বে আলোচনা করবো, বর্তমানে এ বিষয়ে লেখালেখি কেন দরকার? এগুলো জানলে আমাদের কি হবে? এতে জিহাদের কি ফায়দা হবে?
এ বিষয়ে আমি বলবো, প্রথমে আমারও এ খেয়াল ছিল, এতে ফায়দা কি? কিন্তু কিছু কারণে, আমার ফায়দা বুঝে এসেছে। কারণগুলো নিম্নে লেখা হলো,
১. অনেকদিন আগে একভাই আমাকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ভাই শুধু জিহাদের ফিকির করবেন না সাথে সাথে মানুষের আকিদা ঠিক করারও ফিকির করবেন। কারণ, আকিদাগত গোমরা লোক আমাদের সাথে যোগ দিতে চায়না। যেমন, আমাদের দেশের বেরলভী মতাদর্শের মানুষ, আমার জানা মতে ঐ মতাদর্শের একজন মানুষও আমাদের সাথে কাজ করতে রাজি নয়। তারা সরকারের সাথে মিশে কাজ করে। সরকারের গুনগান গায় এবং গোলামী করে।
আমি ভাইয়ের কথা শুনে বুঝলাম আমাদের কাজ শুধু জিহাদ নয় বরং আরেকটি কাজ আসে সেটা হলো, মানুষের আকিদা দুরস্ত-ঠিক করা। তখন থেকে আকিদার পিছনে মেহনত শুরু করলাম।
তখন আমার দৃষ্টিগোচর হতে লাগলো, আমাদের সমাজে বিভ্রান্তীকর অনেক ঘটনা প্রচলিত আছে। যা মানুষকে গোমরাহ করে। যেমন, বড়পীর আ. কাদের জিলানী রহ. এর নামে, হাসান বসরী রহ. এর নামে, জোনায়েদ বাগদাদী রহ. প্রমুখ বড় বড় বুজুর্গের নামে। তবে তারা যেহেতু নবী নয় তাই তাদের বিষয়টা এতটা গুরুত্ব রাখেনা যতটা গুরুত্ব রাখে একজন নবীর বেলায়। হযরত খাজির আ. যেহেতু নবী ছিলেন। ( যদিও এ বিষয়ে ইখতেলাফ আছে বিস্তারিত আলোচনা অন্য পর্বে করবো।ইনশাআল্লাহ।) তাই তার বিষয়ে কোন আপত্তিকর ঘটনা কখনোই বরদাশত করার মত নয়। তার বিষয়ে আপত্তিকর ঘটনা আগামি পর্বে লিখবো. ইনশাআল্লাহ। তাই আমার ইচ্ছা হলো, দলিল দিয়ে খাজির আ. এর মৃত্যু প্রমান করা গেলে ঐ ঘটনাগুলো আপনা- আপনিই বাতিল বলে গণ্য হবে। এর বিরুদ্ধে আর কিছু করতে হবে না।
২. অনেক মানুষ যারা নামাজ-রোজার ধার ধরে না। তারা দাবি করে বসে উনাদের সাথে খাজির আ. সাক্ষাত করেন। এবং তারা যে গান-বাদ্য করে সেখানেও না কি শরীক হয় (নাউযুবিল্লাহ)। তাদের এ দাবি খন্ডন করাও আমাদের দায়িত্ব্য তাই আমি এ বিষয়ে লেখাকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছি।
৩. কোন জায়গায় অতিরিক্ত নদি ভাঙ্গলে অনেকে খাজির আ. দোষারোপ করে। (আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেন)। এটারও একটা সুরাহা দরকার। আরো অনেক কারণ আছে যেগুলো লেখলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আজকে এখানে শেষ করলাম।
আল্লাহ আমাদের সহায় হন। আমিন।
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা। গত পর্বে আমি আপনাদের কাছে এ বিষয়ে লেখার জন্য দোয়া চেয়েছিলাম। আল-হামদুলিল্লাহ। আপানারা কেউ দোয়া দিয়েছেন। কেউ ভাল পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ আপনাদের ইলম ও আমলের মধ্যে বরকত দান করেন। আমিন।
এ পর্বে আলোচনা করবো, বর্তমানে এ বিষয়ে লেখালেখি কেন দরকার? এগুলো জানলে আমাদের কি হবে? এতে জিহাদের কি ফায়দা হবে?
এ বিষয়ে আমি বলবো, প্রথমে আমারও এ খেয়াল ছিল, এতে ফায়দা কি? কিন্তু কিছু কারণে, আমার ফায়দা বুঝে এসেছে। কারণগুলো নিম্নে লেখা হলো,
১. অনেকদিন আগে একভাই আমাকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ভাই শুধু জিহাদের ফিকির করবেন না সাথে সাথে মানুষের আকিদা ঠিক করারও ফিকির করবেন। কারণ, আকিদাগত গোমরা লোক আমাদের সাথে যোগ দিতে চায়না। যেমন, আমাদের দেশের বেরলভী মতাদর্শের মানুষ, আমার জানা মতে ঐ মতাদর্শের একজন মানুষও আমাদের সাথে কাজ করতে রাজি নয়। তারা সরকারের সাথে মিশে কাজ করে। সরকারের গুনগান গায় এবং গোলামী করে।
আমি ভাইয়ের কথা শুনে বুঝলাম আমাদের কাজ শুধু জিহাদ নয় বরং আরেকটি কাজ আসে সেটা হলো, মানুষের আকিদা দুরস্ত-ঠিক করা। তখন থেকে আকিদার পিছনে মেহনত শুরু করলাম।
তখন আমার দৃষ্টিগোচর হতে লাগলো, আমাদের সমাজে বিভ্রান্তীকর অনেক ঘটনা প্রচলিত আছে। যা মানুষকে গোমরাহ করে। যেমন, বড়পীর আ. কাদের জিলানী রহ. এর নামে, হাসান বসরী রহ. এর নামে, জোনায়েদ বাগদাদী রহ. প্রমুখ বড় বড় বুজুর্গের নামে। তবে তারা যেহেতু নবী নয় তাই তাদের বিষয়টা এতটা গুরুত্ব রাখেনা যতটা গুরুত্ব রাখে একজন নবীর বেলায়। হযরত খাজির আ. যেহেতু নবী ছিলেন। ( যদিও এ বিষয়ে ইখতেলাফ আছে বিস্তারিত আলোচনা অন্য পর্বে করবো।ইনশাআল্লাহ।) তাই তার বিষয়ে কোন আপত্তিকর ঘটনা কখনোই বরদাশত করার মত নয়। তার বিষয়ে আপত্তিকর ঘটনা আগামি পর্বে লিখবো. ইনশাআল্লাহ। তাই আমার ইচ্ছা হলো, দলিল দিয়ে খাজির আ. এর মৃত্যু প্রমান করা গেলে ঐ ঘটনাগুলো আপনা- আপনিই বাতিল বলে গণ্য হবে। এর বিরুদ্ধে আর কিছু করতে হবে না।
২. অনেক মানুষ যারা নামাজ-রোজার ধার ধরে না। তারা দাবি করে বসে উনাদের সাথে খাজির আ. সাক্ষাত করেন। এবং তারা যে গান-বাদ্য করে সেখানেও না কি শরীক হয় (নাউযুবিল্লাহ)। তাদের এ দাবি খন্ডন করাও আমাদের দায়িত্ব্য তাই আমি এ বিষয়ে লেখাকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছি।
৩. কোন জায়গায় অতিরিক্ত নদি ভাঙ্গলে অনেকে খাজির আ. দোষারোপ করে। (আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেন)। এটারও একটা সুরাহা দরকার। আরো অনেক কারণ আছে যেগুলো লেখলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আজকে এখানে শেষ করলাম।
আল্লাহ আমাদের সহায় হন। আমিন।
Comment