আমিরুল মুমিনীন মোল্লা ওমর রহঃ এর মৃত্যুর খবর কেন গোপন করা হয়েছিল..?
(মোল্লা উমর রাহঃ এর মৃত্যুর খবর দেরিতে প্রকাশ করা নিয়ে খারিজী আইএস সমর্থকদের প্রোপাগান্ডার জবাব)
আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমর রাহঃ এর মৃত্যুর খবর গোপন রাখার কারণ ছিলো সেবছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের শেষের দিকে আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা ছিলো। মোল্লা উমর রাহঃ এর মৃত্যুর খবর জানতে পারলে আমেরিকা হয়তো নিজেকে বিজয়ী হিসেবে প্রচার করতো,তাই কৌশলগত কারণে এটি ইমারাতের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছিলো।
.
আর ইসলামী রাষ্ট্রের আমীরের মৃত্যুর সংবাদ গোপন রাখা এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। ইসলামের ইতিহাসে বহু মুসলিম আমীরের মৃত্যুর সংবাদ গোপন রাখা হয়েছে। প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার মুসলিম আমীর আমিরুল মুসলিমীন আলী বিন ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ (ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ এর ছেলে) এর মৃত্যুর পর কৌশলগত কারণে ৩ মাস মৃত্যুর সংবাদ গোপন রাখা হয়েছিলো। (সূত্রঃ দাওলাতুল ইসলাম ফিল-উনদুলুস, ৩/২৪১)
.
শুধু তাই নয় এরকম আরো দশজন মুসলিম আমীরের মৃত্যুর খবর গোপন রাখার প্রমাণ নিয়ে শাইখ আবুল মুনযির আশ-শানক্বিতী হাফিঃ এর আর্টিকেলটি এখানে পাবেন....... https://justpaste.it/mzwl
.
প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার মুসলিম দিগ্বিজয়ী আমীর আমিরুল মুসলিমীন আলী বিন ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ এর মৃত্যুর সংবাদ গোপন করা গেলে তার ৫০ ভাগের একভাগ বা তারও কম এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমার রাহঃ এর ইন্তেকালের সংবাদ গোপন রাখাতে সমস্যা কোথায় !!!!! (আফগানে মোল্লা উমার রাহঃ এর ইন্তেকালের সময় ইসলামী ইমারত বর্তমানের চেয়ে অনেক কম ভূমি নিয়ন্ত্রণ করতো। বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ্*, তালিবান মুজাহিদরা আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন।সম্প্রতি বিবিসির এক জরিপে এসেছে, তালিবান মুজাহিদগণ আফগানিস্তানের প্রায় ৭০ ভাগ এলাকায় প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছেন। )
.
মুসলিম উম্মাহর কোনো আলিম ও ফকীহ আমিরুল মুসলিমীন আলী বিন ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ এর মৃত্যুর সংবাদ গোপন করাকে হারাম বা না-জায়েয বলেনি এবং কেউ তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেনি। তাহলে আজ আইএসের নেতা ও অনুসারীরা কোন নতুন শরীয়ত নিয়ে এসেছে,যেখানে এই বিষয়টি না-জায়েয হওয়ার প্রশ্ন তুলছে !!!
.
জিহাদ ও মুজাহিদদের ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টিকারী খারিজী আইএসের সমর্থকরা এবার হয়তো বলবে, তাহলে মৃত ব্যক্তির নামে বার্তা দিলো কীভাবে ???
.
ইসলামের ইতিহাসের এক দিগ্বিজয়ী বীর তাতারদের পরাজয় ধরিয়ে দেওয়া মহান সেনাপতি রুকনুদ্দীন বাইবার্স রাহঃ এর মৃত্যুর পর উনার নায়েব তথা নায়েবে আমীর ইসলামী রাষ্ট্রের সৈনাবাহিনীকে রুকনুদ্দীন বাইবার্সের নামে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বাইবার্সের নামে বিভিন্ন বার্তা প্রদান করে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুসলিম সেনাবাহিনীকে পরিচালিত করেন। (" السلوك لمعرفة دول الملوك (1/ 216))
.
তৎকালীন ইসলামী রাষ্ট্রের নায়েবে আমীরের এই কাজটিকে মুসলিম উম্মাহর আলিম ও ফুকাহায়ে কিরাম হারাম ফাতাওয়া দেননি, তাহলে ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের তৎকালীন নায়েবে আমীর মোল্লা আখতার মানসূর রাহিঃ ক্রুসেডার খ্রিস্টানদেরকে পরাজিত ও নাস্তানাবুদ করার কৌশলের অংশ হিসেবে আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমার রাহঃ এর মৃত্যুর সংবাদ গোপন করা নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো ব্যক্তিরা চরমতম জাহেল এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইসলাম সম্পর্কে যাদের মৌলিক জ্ঞান নেই,প্রোপাগান্ডাই তাদের প্রধান পূঁজি। তারা যে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে চরমতম জাহেল আশা করি এটিও পরিষ্কার হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্*।
(মোল্লা উমর রাহঃ এর মৃত্যুর খবর দেরিতে প্রকাশ করা নিয়ে খারিজী আইএস সমর্থকদের প্রোপাগান্ডার জবাব)
আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমর রাহঃ এর মৃত্যুর খবর গোপন রাখার কারণ ছিলো সেবছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের শেষের দিকে আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা ছিলো। মোল্লা উমর রাহঃ এর মৃত্যুর খবর জানতে পারলে আমেরিকা হয়তো নিজেকে বিজয়ী হিসেবে প্রচার করতো,তাই কৌশলগত কারণে এটি ইমারাতের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছিলো।
.
আর ইসলামী রাষ্ট্রের আমীরের মৃত্যুর সংবাদ গোপন রাখা এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। ইসলামের ইতিহাসে বহু মুসলিম আমীরের মৃত্যুর সংবাদ গোপন রাখা হয়েছে। প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার মুসলিম আমীর আমিরুল মুসলিমীন আলী বিন ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ (ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ এর ছেলে) এর মৃত্যুর পর কৌশলগত কারণে ৩ মাস মৃত্যুর সংবাদ গোপন রাখা হয়েছিলো। (সূত্রঃ দাওলাতুল ইসলাম ফিল-উনদুলুস, ৩/২৪১)
.
শুধু তাই নয় এরকম আরো দশজন মুসলিম আমীরের মৃত্যুর খবর গোপন রাখার প্রমাণ নিয়ে শাইখ আবুল মুনযির আশ-শানক্বিতী হাফিঃ এর আর্টিকেলটি এখানে পাবেন....... https://justpaste.it/mzwl
.
প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার মুসলিম দিগ্বিজয়ী আমীর আমিরুল মুসলিমীন আলী বিন ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ এর মৃত্যুর সংবাদ গোপন করা গেলে তার ৫০ ভাগের একভাগ বা তারও কম এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমার রাহঃ এর ইন্তেকালের সংবাদ গোপন রাখাতে সমস্যা কোথায় !!!!! (আফগানে মোল্লা উমার রাহঃ এর ইন্তেকালের সময় ইসলামী ইমারত বর্তমানের চেয়ে অনেক কম ভূমি নিয়ন্ত্রণ করতো। বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ্*, তালিবান মুজাহিদরা আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন।সম্প্রতি বিবিসির এক জরিপে এসেছে, তালিবান মুজাহিদগণ আফগানিস্তানের প্রায় ৭০ ভাগ এলাকায় প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছেন। )
.
মুসলিম উম্মাহর কোনো আলিম ও ফকীহ আমিরুল মুসলিমীন আলী বিন ইউসুফ বিন তাশফীন রাহঃ এর মৃত্যুর সংবাদ গোপন করাকে হারাম বা না-জায়েয বলেনি এবং কেউ তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেনি। তাহলে আজ আইএসের নেতা ও অনুসারীরা কোন নতুন শরীয়ত নিয়ে এসেছে,যেখানে এই বিষয়টি না-জায়েয হওয়ার প্রশ্ন তুলছে !!!
.
জিহাদ ও মুজাহিদদের ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টিকারী খারিজী আইএসের সমর্থকরা এবার হয়তো বলবে, তাহলে মৃত ব্যক্তির নামে বার্তা দিলো কীভাবে ???
.
ইসলামের ইতিহাসের এক দিগ্বিজয়ী বীর তাতারদের পরাজয় ধরিয়ে দেওয়া মহান সেনাপতি রুকনুদ্দীন বাইবার্স রাহঃ এর মৃত্যুর পর উনার নায়েব তথা নায়েবে আমীর ইসলামী রাষ্ট্রের সৈনাবাহিনীকে রুকনুদ্দীন বাইবার্সের নামে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বাইবার্সের নামে বিভিন্ন বার্তা প্রদান করে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুসলিম সেনাবাহিনীকে পরিচালিত করেন। (" السلوك لمعرفة دول الملوك (1/ 216))
.
তৎকালীন ইসলামী রাষ্ট্রের নায়েবে আমীরের এই কাজটিকে মুসলিম উম্মাহর আলিম ও ফুকাহায়ে কিরাম হারাম ফাতাওয়া দেননি, তাহলে ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের তৎকালীন নায়েবে আমীর মোল্লা আখতার মানসূর রাহিঃ ক্রুসেডার খ্রিস্টানদেরকে পরাজিত ও নাস্তানাবুদ করার কৌশলের অংশ হিসেবে আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমার রাহঃ এর মৃত্যুর সংবাদ গোপন করা নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো ব্যক্তিরা চরমতম জাহেল এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইসলাম সম্পর্কে যাদের মৌলিক জ্ঞান নেই,প্রোপাগান্ডাই তাদের প্রধান পূঁজি। তারা যে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে চরমতম জাহেল আশা করি এটিও পরিষ্কার হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্*।
Comment