ছোট মুজাহিদ:
গতকাল শহীদ হওয়ার আগে শহীদ হাফেজে কুরআন আব্দুল্লাহ ও তাঁর মায়ের কথোপকথন ৷
আল্লাহর ক্বসম! চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেননা ৷
===============================
কোন প্রকার ভূমিকা ছাড়াই বলছি ৷
শহীদঃ- "মুর জানে মুরে" আম্মু আমার কথা শুনতে পারছ?
মাঃ- "ওয়া বাছিয়া" বল আব্বু তোমার কথা শুনছি ৷
শহীদঃ- "মুরে পেহ তামু যিরাহ দাহ" আম্মু আমি তোমাকে একটি সুসংবাদ শোনাতে চাচ্ছি ৷
মাঃ- "সেহ দি কোর তাহ রাযে?" বাড়ীতে আসবা নাকি?
শহিদঃ- "নাহ মোরে মন হাফেয শুদম মোরে মোরে যেমা দস্তারবন্দী দাহ" আরে না, বরং সুসংবাদ হল আমি হাফেজ হয়ে গেছে আমাকে পাগড়ী দেওয়া হবে ৷
এই খবর শুনে মা এমন খুশী হলেন যেন তিনি সাত রাজার ধন পেয়ে গেছেন ৷ খুশীতে চোখ দিয়ে অশ্রু বের হচ্ছিল, আর সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, "ওয়ায়ে বাচ্ছেয়া! বাছরে মা সাদকে জায়ে?" তাহলে তো তুমি এই বৎসর তারাবীর নামাযে কুরআন খতম করে শুনাবে?
শহীদঃ- "আও কুনাহ মোরে নামা ইনশাআল্লাহ" হ্যাঁ মা এই বৎসর তোমার ছেলে তারাবীর নামাযের জায়নামাযে দাঁড়িয়ে কুরআন শুনাবে ইনশাআল্লাহ ৷
এই কথা শোনার পর মা খুশীতে আত্মহারা হয়ে ছেলে হাফেজ হওয়ার সংবাদ বাড়ীর সবাইকে শুনালেন এবং বললেন তাঁর বাপ বেঁচে থকলে কতই না খুশী হতেন (কিছুদিন পূর্বে তার পিতাও আমেরিকান সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ক্ষেতে কাজ করার সময় শহীদ হয়ে যান)
এরপর তাঁর মা ট্রাংক খুললেন এবং তিলে তিলে জমিয়ে রাখা টাকার থলেটা বের করে সব টাকা একত্রিত করে তাঁর ভাই তথা শহীদ ছেলের মামাকে ডেকে পাঠালেন এবং তার হাতে টাকা দিয়ে বললেন, ছেলের জন্য সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী এবং তার উস্তাদগণের জন্য মিষ্টি কিনে নিয়ে যাও, এবং দস্তারবন্দীর আগে ছেলেকে এই নতুন জামা পরিধান করিয়ে দিবা ৷
ঐ দিন রাতভর মা খুশীর কান্না কাঁদছিলেন আর যখনই ছেলে হাফেজ হয়ে গেছে মনে হত সাথে সাথে হাসি চলে আসত ৷
হাফেজে কুরআনের মাতা-পিতার সম্মান নিয়ে তাঁর স্বামী থেকে যতগুলো হাদীস শুনেছিল, সব গুলো হাদীস স্বরণ হচ্ছিল ৷
এই ভাবে কাঁদতে কাঁদতে আর হাসতে হাসতে রাত কাটালেন,
সকালে স্বামীর কবর যিয়ারত করতে গেলেন, এবং স্বামীকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি তোমার কাছে অতিসত্বর এমন রাজমুকুট নিয়ে আসব যার আলো সূর্যের আলো থেকেও উত্তম ৷
অতপর তিনি তাঁর ঘরকে সাজাতে থাকেন এবং বলতে থাকেন যে, আমার ছেলে মাথায় পাগড়ি নিয়ে ঘরে আসবে ৷
ইতিমধ্যে হঠাৎ ঐ শহীদের মার কাছে কল আসল তার ভাইয়ের ফোন থেকে, তাঁর ভাই কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, আপু তোমার ছেলে আর নেই? মা বললেনঃ- "সেহ উশু লালা?" তাঁর কি হয়েছে, জবাবে ছেলের মামা বললেন, তোমার ছেলে আর বেঁচে নেই আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেছে ৷
এই কথা শুনা মাত্র মা'র পায়ের নিচ থেকে যেন যমিন সরে গেল, আর মাথার উপর থেকে যেন তাঁর আসমানটা কেউ কেড়ে নিল ৷
ইতিমধ্যে বাড়ীর সবাই এসে ভীর করে বলল যে, তোমার ছেলের কি হয়েছে?
তখন মা চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে দৃঢ় কন্ঠে জবাব দিলেন, আমার ছেলের দস্তারবন্দী হয়ে গেছে আমার ছেলে কামিয়াব, আমার ছেলেকে জান্নাতে মুল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ দস্তার প্রধান করবেন তাই সে জান্নাতে চলে গেছে ৷
তাঁরপর ছেলের মামা হাসপাতাল থেকে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ফিরল, তখন ছেলের মা বললেন, ভাই! তুমি আমাকে ঐ জায়গায় নিয়ে যাও যেখান থেকে আমার ছেলের জান্নাতে যাওয়ার সফর শুরু হয়েছে ৷
তারপর মা সেখানে গিয়ে দেখলেন তার দুলালের গায়ে সাদা নতুন জামাটা ঠিকই আছে তবে জামাটা লালিমা বর্ণের হয়ে গেছে ৷
এই হল একজন আফগান মায়ের ঈমান!
একটু পরিক্ষা করে নেই যে, এই আফগান মায়ের ঈমানের ষোল আনার এক আনাও আমাদের মাঝে আছে কি না?
আল্লাহ তাঁর নেকবখ্ত মা সহ সকল আত্মীয়দেরকে সবরে জামীল দান করুন ৷ এবং এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের ঈমানকে তাজা করুন ৷আমীন ৷👇😢
গতকাল শহীদ হওয়ার আগে শহীদ হাফেজে কুরআন আব্দুল্লাহ ও তাঁর মায়ের কথোপকথন ৷
আল্লাহর ক্বসম! চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেননা ৷
===============================
কোন প্রকার ভূমিকা ছাড়াই বলছি ৷
শহীদঃ- "মুর জানে মুরে" আম্মু আমার কথা শুনতে পারছ?
মাঃ- "ওয়া বাছিয়া" বল আব্বু তোমার কথা শুনছি ৷
শহীদঃ- "মুরে পেহ তামু যিরাহ দাহ" আম্মু আমি তোমাকে একটি সুসংবাদ শোনাতে চাচ্ছি ৷
মাঃ- "সেহ দি কোর তাহ রাযে?" বাড়ীতে আসবা নাকি?
শহিদঃ- "নাহ মোরে মন হাফেয শুদম মোরে মোরে যেমা দস্তারবন্দী দাহ" আরে না, বরং সুসংবাদ হল আমি হাফেজ হয়ে গেছে আমাকে পাগড়ী দেওয়া হবে ৷
এই খবর শুনে মা এমন খুশী হলেন যেন তিনি সাত রাজার ধন পেয়ে গেছেন ৷ খুশীতে চোখ দিয়ে অশ্রু বের হচ্ছিল, আর সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, "ওয়ায়ে বাচ্ছেয়া! বাছরে মা সাদকে জায়ে?" তাহলে তো তুমি এই বৎসর তারাবীর নামাযে কুরআন খতম করে শুনাবে?
শহীদঃ- "আও কুনাহ মোরে নামা ইনশাআল্লাহ" হ্যাঁ মা এই বৎসর তোমার ছেলে তারাবীর নামাযের জায়নামাযে দাঁড়িয়ে কুরআন শুনাবে ইনশাআল্লাহ ৷
এই কথা শোনার পর মা খুশীতে আত্মহারা হয়ে ছেলে হাফেজ হওয়ার সংবাদ বাড়ীর সবাইকে শুনালেন এবং বললেন তাঁর বাপ বেঁচে থকলে কতই না খুশী হতেন (কিছুদিন পূর্বে তার পিতাও আমেরিকান সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ক্ষেতে কাজ করার সময় শহীদ হয়ে যান)
এরপর তাঁর মা ট্রাংক খুললেন এবং তিলে তিলে জমিয়ে রাখা টাকার থলেটা বের করে সব টাকা একত্রিত করে তাঁর ভাই তথা শহীদ ছেলের মামাকে ডেকে পাঠালেন এবং তার হাতে টাকা দিয়ে বললেন, ছেলের জন্য সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী এবং তার উস্তাদগণের জন্য মিষ্টি কিনে নিয়ে যাও, এবং দস্তারবন্দীর আগে ছেলেকে এই নতুন জামা পরিধান করিয়ে দিবা ৷
ঐ দিন রাতভর মা খুশীর কান্না কাঁদছিলেন আর যখনই ছেলে হাফেজ হয়ে গেছে মনে হত সাথে সাথে হাসি চলে আসত ৷
হাফেজে কুরআনের মাতা-পিতার সম্মান নিয়ে তাঁর স্বামী থেকে যতগুলো হাদীস শুনেছিল, সব গুলো হাদীস স্বরণ হচ্ছিল ৷
এই ভাবে কাঁদতে কাঁদতে আর হাসতে হাসতে রাত কাটালেন,
সকালে স্বামীর কবর যিয়ারত করতে গেলেন, এবং স্বামীকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি তোমার কাছে অতিসত্বর এমন রাজমুকুট নিয়ে আসব যার আলো সূর্যের আলো থেকেও উত্তম ৷
অতপর তিনি তাঁর ঘরকে সাজাতে থাকেন এবং বলতে থাকেন যে, আমার ছেলে মাথায় পাগড়ি নিয়ে ঘরে আসবে ৷
ইতিমধ্যে হঠাৎ ঐ শহীদের মার কাছে কল আসল তার ভাইয়ের ফোন থেকে, তাঁর ভাই কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, আপু তোমার ছেলে আর নেই? মা বললেনঃ- "সেহ উশু লালা?" তাঁর কি হয়েছে, জবাবে ছেলের মামা বললেন, তোমার ছেলে আর বেঁচে নেই আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেছে ৷
এই কথা শুনা মাত্র মা'র পায়ের নিচ থেকে যেন যমিন সরে গেল, আর মাথার উপর থেকে যেন তাঁর আসমানটা কেউ কেড়ে নিল ৷
ইতিমধ্যে বাড়ীর সবাই এসে ভীর করে বলল যে, তোমার ছেলের কি হয়েছে?
তখন মা চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে দৃঢ় কন্ঠে জবাব দিলেন, আমার ছেলের দস্তারবন্দী হয়ে গেছে আমার ছেলে কামিয়াব, আমার ছেলেকে জান্নাতে মুল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ দস্তার প্রধান করবেন তাই সে জান্নাতে চলে গেছে ৷
তাঁরপর ছেলের মামা হাসপাতাল থেকে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ফিরল, তখন ছেলের মা বললেন, ভাই! তুমি আমাকে ঐ জায়গায় নিয়ে যাও যেখান থেকে আমার ছেলের জান্নাতে যাওয়ার সফর শুরু হয়েছে ৷
তারপর মা সেখানে গিয়ে দেখলেন তার দুলালের গায়ে সাদা নতুন জামাটা ঠিকই আছে তবে জামাটা লালিমা বর্ণের হয়ে গেছে ৷
এই হল একজন আফগান মায়ের ঈমান!
একটু পরিক্ষা করে নেই যে, এই আফগান মায়ের ঈমানের ষোল আনার এক আনাও আমাদের মাঝে আছে কি না?
আল্লাহ তাঁর নেকবখ্ত মা সহ সকল আত্মীয়দেরকে সবরে জামীল দান করুন ৷ এবং এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের ঈমানকে তাজা করুন ৷আমীন ৷👇😢
Comment