ইমেইল সিকিউরিটি
" ফ্রিতে আজকাল কিছুই পাওয়া যায় না। যদি কোন জিনিস ফ্রিতে পাওয়া যায় তাহলে ভেবে নিন আপনিই তার পন্য।"
আমরা অধিকাংশ সময় ইমেইল গুগল ইয়াহু হটমেইল ও আইক্লাউডই ব্যবহার করি । একথা স্মরণ রাখবেন আপনি যে ইমেলই পাঠান বা ইমেলের মধ্যে যা কিছুই এটাচ থাকে এর সব কিছুই ঔ ইমেইলের কম্পানীর মালিকানা হয়ে যায়। চাই সে তা বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছে বিক্রি করুক বা সরকারের কাছে বিক্রি করুক। কেননা সে যখন আপনাকে ফ্রিতে সার্ভিস দিচ্ছে তখন এটা স্পষ্ট যে আপনি এবং আপনার ডেটাই তার পণ্য। ফ্রিতে কোন কম্পানিই আপনাকে সার্ভিস দিবেনা। আর চারটি ইমেইল প্রাউডিটরের কথা আমরা পিছনে আলোচনা করেছি, এডওয়ার্ড স্নোডেন এই কোম্পানিগুলো কে প্রিজম প্রোগামের অংশ বলেছেন যে, এগুলো আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্হাগুলোর জন্য তথ্য একত্র করে।
এর থেকেও বেশি সরলতা হলো আমরা আইক্লাউড ও গুগলে আমাদের পার্সোনাল সকল ফটো ব্যাকআপ করি এর থেকে আরো একধাপ এগিয়ে আমরা হোয়াটসআপ চ্যাটের ব্যাকআপও এগুলোর উপর করি যা কিনা আন-ক্রিপডেট এবং ইমেল প্রোভাইডর পড়তে সক্ষম।
এই ইমেল সার্ভিসগুলো এত নিরাপদ নয়, ইয়াহুর প্রায় অর্ধেকেরও বেশি আইডি হ্যাক হয়েছে। এছাড়াও এগুলোর ইনক্রাপশন বিশেষ কিছু নয়।
এজন্য এগুলো কোনমতেই ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে যদি কেহ নিজের পার্সোনাল আইডি আলাদা ল্যাপটপ বা মোবাইলে ব্যবহার করে আর তাতে কোন সন্দহজনক জিনিষ না থাকে তাহলে সুযোগ রয়েছে।
শুধু সেই ইমেইল ব্যবহার করুন যার ইনক্রিপশন বেশ ভালো থাকেঃ
1.protonmail
2. Tutanota
3.Mailfence
এর বিশেষত্ব এটাও যে proton ছাড়া বাকি দুটো এড্রেস করতে ফোন নাম্বারও চায় না । অধিকাংশ ব্যক্তি এরপর এই প্রশ্নটা করে যে আপনি বলেছেন ফ্রিতে কোন কেহ সার্ভিস দেয় না তো এরা কেন দিচ্ছে ??
প্রথম কথা হলো এরা ফ্রিতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সংখায় কিছু ফিচার দেয়। যাতে আমরা অন্যান্য ফিচার ব্যবহারের জন্য তাকে ক্রয় করি আর তাও 250 বা 500 এমবি ফ্রি দেয় বাকি গুলো টাকায় বিক্রী করে। এছাড়া মানুষ তাদেরকে ডোনেশন করে, আপনি ওদের ওয়েবসাইটে যান ওখানে আপনি ডোনেশন অপশন দেখতে পাবেন এতে ওদের পর্যাপ্ত অর্থের যোগান হয়ে যায়।
এছাড়াও আরো ইমেল ব্যবহার করেন যেগুলোতে ভেরিফেকেশনের জন্য নাম্বার চায় না। যেমন Yandex ইত্যাদি। এগুলো যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। যদি কোথাও একাউন্ট ভেরিফেকেশন করাতে হয় সেখানে Yandex এর ব্যবহার ঠিক আছে কিন্ত ইয়ানাডেক্স রুশদের কম্পানি। আর গুগল যেভাবে আমিরিকার জন্য কাজ করে, এই কম্পানির এমন নজির মিলেছে যাতে বুঝা যায় এই কম্পানি রুশদের জন্য গোয়েন্দাগিরি করে।
অনেকেই ভিবিন্ন জায়গায় একাউন্ট তৈরির জন্য ফেইক মেইল বা অস্হায়ী মেইল ব্যবহার করেন। যেমন ফেসবুকের এর একাউন্ট খোলার জন্য, সেখানে নিচেরগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এগুলোতে গিয়ে একটা অস্হায়ী আইডি বানিয়ে ফেসবুকে ব্যবহার করুন। একথা স্মরণ রাখুন এই ধরণের ইমেল দ্বারা তৈরী একাউন্ট খুব সহজেই হ্যাক হতে পারে এজন্য এই ধরণের অস্হায়ী ইমেল দিয়ে কোন বিশেষ একাউন্ট তৈরী করবেন না। হ্যা যেখানে আপনাকে কোন অস্হায়ি একাউন্ট বানানোর প্রয়োজন সেখানে আপনি এমনটা করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ ডার্ক ওয়েবের বাহিরে ওপেন নেটে যত ইমেইল সার্ভিস আছে তার কোনটাই পূর্ন নিরাপত্তা রক্ষার প্রমান দিতে পারে নি। যতই সিকিউর বা PGP/GPG ইঙ্ক্রিপ্টেড মেইল দাবী করা হোক না কেন, প্রায় সবগুলোই হ্যাক করা সম্ভব। তাই গুরুত্বপূর্ন কথাবার্তা মেইলে স্বাভাবিক ভাবে না বলে আলাদা ভাবে ইঙ্ক্রিপশন ব্যবহার করা উচিত।
Comment