ভিপিএন ব্যবহার করার উপকারিতা
১/ ইন্টারনেটে আপনার আইপি এড্রেস এবং লোকেশন প্রকাশ পায়না। ট্রাফিক ইনক্রেপ্টেড থাকবে, ইনক্রিপশনের কারনে আপনার সিকিউরিটি আরো জোরদার ও উত্তম হবে। ইন্টারনেটে যা করবে তা এজেন্সি, হ্যাকার, এবং আই.এস.পি এর দৃষ্টিতে আসবেনা।
৩/ ব্লক লিস্টে থাকা জিনিষ সমুহের বার্তা পর্যন্ত আদান প্রদান সম্ভব হয়ে যায়। যেমন: বর্তমানে পাকিস্থানে টেলিগ্রাম ব্লক লিস্টে আছে। তবে ভিপিএন এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে।
৪/ পাব্লিক ওয়াই ফাই ব্যবহার করার সময় হ্যকিং এর আশংকা থাকে কিন্ত আপনি পাব্লিক ওয়াই ফাই ভিপিএন এর সাহায্যে কোন ধরনের ভয় ভীতি ছাড়াই চালাতে পারবেন।
৫/ যেভাবে মন চায় সেভাবে ই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে, কারো ভয় হবে না।
ভিপিএন অথবা গোয়েন্দা সফটওয়্যার
এন্ড্রয়েড ভিপিএন এর ব্যপারে একটা রিসার্চ হয়েছে। তার মধ্যে এন্ড্রয়েড ভিপিএন গুলোকে অসংখবার টেস্ট করা হয়েছে। ফলাফল এই যে, মোবাইল ভিপিএন এর ৭৫% আপনার উপর গোয়েন্দাগিরি করে। আর ৮২ % আপনার ডাটা পারমিশন চায়। এবং ৪০% মুবাইলে ম্যালাওয়ার, ভাইরাস এবং গোয়েন্দা সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে। তার মধ্যে প্রশিদ্ধ নাম করা ভিপিএন এর নাম রয়েছে যেগুলো ম্যালাওয়ার প্রমাণিত হয়েছে। যা লাখ নয় বরং কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে।
তার মধ্যে Betternet VPN কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে। টেস্টে গোয়েন্দা ম্যালাওয়ার যুক্ত দশ ভিপিএন এর মধ্যে তার নাম রয়েছে। এ ছাড়া ও প্রশিদ্ধ ভিপিএন এর মধ্যে Cyberghost, CM Data Manager, Easv VPN, VPN Master ইত্যাদি রয়েছে।
বিস্তারিত রিপোর্ট পড়ার জন্য আমরা ইংরেজি রিপোর্ট এবং তার লিংক এখানে শেয়ার করছি। যাদের পুরো সূচি এবং বিস্তারিত পড়ার প্রয়োজন তারা এখান থেকে পড়ে নিবে।
এটা অধিকাংশ ফ্রি ভিপিএন এর মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু আফসুসের বিষয় হল, টাকা দিয়ে ক্রয় করা কিছু ভিপিএনও গোয়েন্দাগিরি করে। এবং আমাদের ডাটা ও তথ্য সমুহের পারমিশন নিয়ে নেয়। অর্থাৎ আমরা টাকা দিব আবার গোয়েন্দাগিরির শিকার হব।
এই রিপোর্ট আপনাদের সামনে পেশ করার উদ্দেশ্য হল এন্ড্রয়েড ভিপিএন ব্যবহার করার ব্যপারে সতর্কতা। এবং শুধু নির্ভরযোগ্য ভিপিএন ব্যবহার করা। আর বিশেষ ভাবে ফ্রি ভার্সন তো কোন ভাবেই ব্যবহার করবে না।
শরি'য়ার জন্যে উৎসর্গিত
Comment