আল্লামা যাহেদ কাউছারী রহ.-এর কাছে সিরিয়ার একজন সম্মানিত আলেম প্রশ্ন করেছিলেন, যে ব্যক্তি রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করতে চায়, ইসলামী আইনের পরিবর্তে মানবরচিত আইন দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়, তার ব্যাপারে শরীয়তের বিধান কি? আর এ ধরণের পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি সত্যের সাহায্য না করে নিরবতা অবলম্বন করে, তারই বা হুকুম কি?
উত্তরে তিনি লিখেছিলেন-
"إن هذه هي أدهى الدواهي وأعظم المصائب، يذوب لهولها قلب كل مؤمن صادق الإيمان، ولا سيما في مثل بلاد الشام التي لها ماض مجيد في خدمة الإسلام، فالمسلم إذا طالب بمثل ذلك في سلامة عقله يجري عليه حكم الردة في بلد يكون فيه الإسلام نافذ الأحكام، وفي غيره يهجر هذا المطالب هجرا كليا فلا يكلم ولا يعامل في أمر أصلا حتى تضيق عليه الأرض بما رحبت ويتوب وينيب. وقد دلت نصوص الكتاب والسنة على أن دين الإسلام جامع لمصلحتي الدنيا والآخرة، ولأحكامها دلالة واضحة لا ارتياب فيها، فتكون محاولة فصل الدين من الدولة كفرا صارخا منابذا لإعلاء كلمة الله، وعداء موجها إلى الدين الإسلامي في صميمه، ويكون هذا الطلب من هذا المطالب إقرار منه بالانتبار والانفصال فيلزمه بإقراره، فنعده عضوا مبتورا من جسم جماعة المسلمين وشخصا منفصلا عن عقيدة الإسلام، فلا تصح مناكحته ولا تحل ذبيحته، لأنه ليس من المسلمين ولا من أهل الكتاب.
‘নিশ্চয়ই এটা চরম বিপরযয়, কঠিন মুসীবত, যা সত্য ঈমানের অধিকারী প্রতিটি মুমিনের অন্তরকে ক্ষত-বিক্ষত করে। বিশেষ করে সিরিয়ার মতো দেশে। যার রয়েছ এক গৌরবময় অতীত। সুতরাং আকল সুস্থ থাকা সত্ত্বেও যখন কোন মুসলমান এ ধরণের চেষ্টা চালাবে তার উপর রিদ্দার বিধান জারী হবে, যদি সে এমন দেশে বসবাস করে যেখানে ইসলমের বিধিবিধান চালু রয়েছে। আর অন্য দেশে হলে তার সাথে সম্পূর্ণ বয়কট করা হবে। তার সাথে কোন ধরণের কতাবার্তা ও লেনদেন করা হবে না, যতক্ষণ না যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তার উপর সংকীর্ণ হয়ে আসে এবং তাওবা করে ফিরে আসে।
কুরআন-সুন্নাহর ভাষ্যগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করে যে, ইসলাম ধর্ম দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণ ও বিধিবিধানকে শামিল করে। তাই রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথক করার চেষ্টা করা জঘন্য কুফর এবং আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার বিরুদ্ধে কঠিন শত্রুতা ও দ্বীনে ইসলামের সাথে চরম দুশমনি। আর এ লোক দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে তার এ চেষ্টাই স্বীকারোক্তি হিসেবে গণ্য হবে। ফলে আমরা তাকে জামাতুল মুসলিমীনের শরীর থেকে কর্তিত অঙ্গ ও ইসলামী আকীদা থেকে বিচ্ছিন্ন একব্যক্তি হিসেবে গণ্য করবো। সুতরাং তার সাথে বিবাহ বৈধ হবে না, তার যাবাইকৃত পশুর গোশত হালাল হবে না। কারণ সে মুসলিমও নয়, আহলে কিতাবও নয়...।’
وأما الساكت من أهل الشان عن تأييد الحق في مثل تلك الكارثة فإنما هو شيطان أخرس وردء لأهل الردة.
‘মরযাদপূর্ণ অবস্থানের অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি এ ধরণে দুঃখজনক পরিস্থিতিতে সত্যের সাহায্য না করে নিরবতা অবলম্বন করে, সে হচ্ছে মুরতাদদের সহযোগী ও বোবা শয়তান। (মাকালাতুল কাউছারী, অধ্যায়ঃ হুকমু মুহাওয়ালাতি ফাসলিদ দ্বীন আনিদ দাওলা- ৩৩০-৩৩১)
উত্তরে তিনি লিখেছিলেন-
"إن هذه هي أدهى الدواهي وأعظم المصائب، يذوب لهولها قلب كل مؤمن صادق الإيمان، ولا سيما في مثل بلاد الشام التي لها ماض مجيد في خدمة الإسلام، فالمسلم إذا طالب بمثل ذلك في سلامة عقله يجري عليه حكم الردة في بلد يكون فيه الإسلام نافذ الأحكام، وفي غيره يهجر هذا المطالب هجرا كليا فلا يكلم ولا يعامل في أمر أصلا حتى تضيق عليه الأرض بما رحبت ويتوب وينيب. وقد دلت نصوص الكتاب والسنة على أن دين الإسلام جامع لمصلحتي الدنيا والآخرة، ولأحكامها دلالة واضحة لا ارتياب فيها، فتكون محاولة فصل الدين من الدولة كفرا صارخا منابذا لإعلاء كلمة الله، وعداء موجها إلى الدين الإسلامي في صميمه، ويكون هذا الطلب من هذا المطالب إقرار منه بالانتبار والانفصال فيلزمه بإقراره، فنعده عضوا مبتورا من جسم جماعة المسلمين وشخصا منفصلا عن عقيدة الإسلام، فلا تصح مناكحته ولا تحل ذبيحته، لأنه ليس من المسلمين ولا من أهل الكتاب.
‘নিশ্চয়ই এটা চরম বিপরযয়, কঠিন মুসীবত, যা সত্য ঈমানের অধিকারী প্রতিটি মুমিনের অন্তরকে ক্ষত-বিক্ষত করে। বিশেষ করে সিরিয়ার মতো দেশে। যার রয়েছ এক গৌরবময় অতীত। সুতরাং আকল সুস্থ থাকা সত্ত্বেও যখন কোন মুসলমান এ ধরণের চেষ্টা চালাবে তার উপর রিদ্দার বিধান জারী হবে, যদি সে এমন দেশে বসবাস করে যেখানে ইসলমের বিধিবিধান চালু রয়েছে। আর অন্য দেশে হলে তার সাথে সম্পূর্ণ বয়কট করা হবে। তার সাথে কোন ধরণের কতাবার্তা ও লেনদেন করা হবে না, যতক্ষণ না যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তার উপর সংকীর্ণ হয়ে আসে এবং তাওবা করে ফিরে আসে।
কুরআন-সুন্নাহর ভাষ্যগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করে যে, ইসলাম ধর্ম দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণ ও বিধিবিধানকে শামিল করে। তাই রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথক করার চেষ্টা করা জঘন্য কুফর এবং আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার বিরুদ্ধে কঠিন শত্রুতা ও দ্বীনে ইসলামের সাথে চরম দুশমনি। আর এ লোক দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে তার এ চেষ্টাই স্বীকারোক্তি হিসেবে গণ্য হবে। ফলে আমরা তাকে জামাতুল মুসলিমীনের শরীর থেকে কর্তিত অঙ্গ ও ইসলামী আকীদা থেকে বিচ্ছিন্ন একব্যক্তি হিসেবে গণ্য করবো। সুতরাং তার সাথে বিবাহ বৈধ হবে না, তার যাবাইকৃত পশুর গোশত হালাল হবে না। কারণ সে মুসলিমও নয়, আহলে কিতাবও নয়...।’
وأما الساكت من أهل الشان عن تأييد الحق في مثل تلك الكارثة فإنما هو شيطان أخرس وردء لأهل الردة.
‘মরযাদপূর্ণ অবস্থানের অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি এ ধরণে দুঃখজনক পরিস্থিতিতে সত্যের সাহায্য না করে নিরবতা অবলম্বন করে, সে হচ্ছে মুরতাদদের সহযোগী ও বোবা শয়তান। (মাকালাতুল কাউছারী, অধ্যায়ঃ হুকমু মুহাওয়ালাতি ফাসলিদ দ্বীন আনিদ দাওলা- ৩৩০-৩৩১)
Comment