বাড়ির মূল দরজায় নিরাপত্তার জন্য কখনোই কেউ প্লাস্টিকের তালা ব্যবহার করেন না। রবার ব্যান্ড বা রশি দিয়েও কেউ দরজা বেঁধে রাখেন না। অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয়টিও একই রকমের গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দৈনন্দিন জীবনে এখন নানা রকমের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যেগুলোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা জরুরি। মোবাইলের পিন (পারসোনাল আইডেনটিফিকেশন নম্বর) থেকে শুরু করে কম্পিউটার, অনলাইনের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের পিন—সব ক্ষেত্রেই সর্তকতা প্রয়োজন।
‘বি শিওর টু ইউজ আ স্ট্রং পাসওয়ার্ড’—এই বার্তাটি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নিয়মিতভাবেই দেখা যায়। একটি শক্তিশালী ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীকে অনলাইনে বিচরণের ক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপদ রাখতে পারে। তবে শুধু পাসওয়ার্ড তৈরি করলেই হবে না, এটি যেন মনে রাখা যায়, সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। পাসওয়ার্ড যাতে বেহাত না হয়, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কার্যকর পাসওয়ার্ড আসলে কোনগুলো আর দুর্বলগুলোই বা কী, তা নিয়ে এ প্রতিবেদন।
সহজেই খুঁজে পাওয়া: অনেকেই ডায়েরি বা নোটবুকে পাসওয়ার্ড লিখে রাখেন। কেউ কেউ আবার মনিটর বা কিবোর্ডের নিচে কাগজে লিখে রাখেন। অনেকে মোবাইল ফোনেও সেভ করে রাখেন ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড। এমন কাজগুলো যদি আপনি করে থাকেন, তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে অন্য কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জেনে ফেলেছে অথবা শিগগিরই জেনে ফেলতে পারে।
পাসওয়ার্ড লিখে রাখা যদি সত্যি খুব জরুরি হয়, তবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অনেকে ব্যবহার করে এমন কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনার প্রোগ্রাম ব্যবহার করা উচিত নয়।
খুবই সাধারণ পাসওয়ার্ড: কখনো খুবই সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত নয়। অভিধানে রয়েছে এমন শব্দ, শব্দাংশ বা একাধিক শব্দের সমন্বয় করেও পাসওয়ার্ড তৈরি করা উচিত নয়।
ব্যক্তিগত তথ্যভিত্তিক পাসওয়ার্ড: কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নিজের, প্রিয়জনের নাম বা নামের একাংশ, জন্ম তারিখ, জন্ম সাল, ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা ইত্যাদি কখনোই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এসব তথ্যের আংশিক ব্যবহারও নিরাপদ নয়।
সহজে অনুমেয় এমন পাসওয়ার্ড: ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা না হলেও সহজে অনুমান করা যায় এমন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড নাম, পছন্দের জায়গার নাম, প্রিয় খাবারের নাম ইত্যাদি। এ ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে পরিচিত বা নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এমন যে কেউই পাসওয়ার্ডটি জেনে ফেলতে পারে।
শুধু অক্ষর দিয়ে তৈরি পাসওয়ার্ড নয়: নিরাপদ পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য সাধারণ অক্ষরের পাশাপাশি বিশেষ অক্ষর, বিভিন্ন চিহ্ন, নম্বরের সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।
অতি ক্ষুদ্র পাসওয়ার্ড: পাসওয়ার্ড ন্যূনতম ৮ অক্ষরের হওয়া উচিত। ছোট পাসওয়ার্ড সহজেই অনুমান করা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান বা অ্যাপলিকেশনে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম একটি দৈর্ঘ্যের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়।
অতি পুরোনো: দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করা হলে অনেক সময় জটিল পাসওয়ার্ডগুলোও অনুমান করা
সম্ভব হয়। আর তাই প্রতি ৯০ দিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
করা ভালো।
সব ক্ষেত্রে এক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা: অনেকেই আছেন মনে রাখার সুবিধার্থে সব ধরনের কাজের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি একটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে, তবে অন্য সব অ্যাকাউন্টের জন্যই সেটি ব্যবহার করতে পারবে। বরং প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্যই আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
কিছু পরামর্শ
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করা : জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মোজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অপেরায় পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে এবং একই সঙ্গে অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনে স্থানান্তরের সুবিধা রয়েছে। এই পাসওয়ার্ডগুলো দেখা ও ব্যবহার করার জন্য ‘মাস্টার পাসওয়ার্ড’ বৈশিষ্ট্যটি সক্রিয় করা থাকলে অন্য ব্যবহারকারীরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার থেকে এটি দেখতে পারবে না। এটি ছাড়াও একাধিক অ্যাড-অন, অ্যাপ ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে পাসওয়ার্ড রাখার জন্য।
পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার পদ্ধতি সক্রিয় রাখা: অনলাইন সব অ্যাপলিকেশনেই ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত থাকে। কখনো পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে পুনরুদ্ধার পদ্ধতিটি কার্যকর রয়েছে কি না।
দ্বিস্তরের পাসওয়ার্ড: বর্তমানে গুগল, ফেসবুক, ইয়াহুর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বিস্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে অ্যাপলিকেশনে ঢোকার জন্য পাসওয়ার্ডের ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইলে কোড তৈরি করে লিখতে হয়।
পাসওয়া
‘বি শিওর টু ইউজ আ স্ট্রং পাসওয়ার্ড’—এই বার্তাটি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নিয়মিতভাবেই দেখা যায়। একটি শক্তিশালী ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীকে অনলাইনে বিচরণের ক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপদ রাখতে পারে। তবে শুধু পাসওয়ার্ড তৈরি করলেই হবে না, এটি যেন মনে রাখা যায়, সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। পাসওয়ার্ড যাতে বেহাত না হয়, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কার্যকর পাসওয়ার্ড আসলে কোনগুলো আর দুর্বলগুলোই বা কী, তা নিয়ে এ প্রতিবেদন।
সহজেই খুঁজে পাওয়া: অনেকেই ডায়েরি বা নোটবুকে পাসওয়ার্ড লিখে রাখেন। কেউ কেউ আবার মনিটর বা কিবোর্ডের নিচে কাগজে লিখে রাখেন। অনেকে মোবাইল ফোনেও সেভ করে রাখেন ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড। এমন কাজগুলো যদি আপনি করে থাকেন, তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে অন্য কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জেনে ফেলেছে অথবা শিগগিরই জেনে ফেলতে পারে।
পাসওয়ার্ড লিখে রাখা যদি সত্যি খুব জরুরি হয়, তবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অনেকে ব্যবহার করে এমন কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনার প্রোগ্রাম ব্যবহার করা উচিত নয়।
খুবই সাধারণ পাসওয়ার্ড: কখনো খুবই সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত নয়। অভিধানে রয়েছে এমন শব্দ, শব্দাংশ বা একাধিক শব্দের সমন্বয় করেও পাসওয়ার্ড তৈরি করা উচিত নয়।
ব্যক্তিগত তথ্যভিত্তিক পাসওয়ার্ড: কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নিজের, প্রিয়জনের নাম বা নামের একাংশ, জন্ম তারিখ, জন্ম সাল, ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা ইত্যাদি কখনোই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এসব তথ্যের আংশিক ব্যবহারও নিরাপদ নয়।
সহজে অনুমেয় এমন পাসওয়ার্ড: ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা না হলেও সহজে অনুমান করা যায় এমন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড নাম, পছন্দের জায়গার নাম, প্রিয় খাবারের নাম ইত্যাদি। এ ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে পরিচিত বা নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এমন যে কেউই পাসওয়ার্ডটি জেনে ফেলতে পারে।
শুধু অক্ষর দিয়ে তৈরি পাসওয়ার্ড নয়: নিরাপদ পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য সাধারণ অক্ষরের পাশাপাশি বিশেষ অক্ষর, বিভিন্ন চিহ্ন, নম্বরের সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।
অতি ক্ষুদ্র পাসওয়ার্ড: পাসওয়ার্ড ন্যূনতম ৮ অক্ষরের হওয়া উচিত। ছোট পাসওয়ার্ড সহজেই অনুমান করা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান বা অ্যাপলিকেশনে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম একটি দৈর্ঘ্যের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়।
অতি পুরোনো: দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করা হলে অনেক সময় জটিল পাসওয়ার্ডগুলোও অনুমান করা
সম্ভব হয়। আর তাই প্রতি ৯০ দিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
করা ভালো।
সব ক্ষেত্রে এক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা: অনেকেই আছেন মনে রাখার সুবিধার্থে সব ধরনের কাজের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি একটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে, তবে অন্য সব অ্যাকাউন্টের জন্যই সেটি ব্যবহার করতে পারবে। বরং প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্যই আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
কিছু পরামর্শ
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করা : জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মোজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অপেরায় পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে এবং একই সঙ্গে অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনে স্থানান্তরের সুবিধা রয়েছে। এই পাসওয়ার্ডগুলো দেখা ও ব্যবহার করার জন্য ‘মাস্টার পাসওয়ার্ড’ বৈশিষ্ট্যটি সক্রিয় করা থাকলে অন্য ব্যবহারকারীরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার থেকে এটি দেখতে পারবে না। এটি ছাড়াও একাধিক অ্যাড-অন, অ্যাপ ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে পাসওয়ার্ড রাখার জন্য।
পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার পদ্ধতি সক্রিয় রাখা: অনলাইন সব অ্যাপলিকেশনেই ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত থাকে। কখনো পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে পুনরুদ্ধার পদ্ধতিটি কার্যকর রয়েছে কি না।
দ্বিস্তরের পাসওয়ার্ড: বর্তমানে গুগল, ফেসবুক, ইয়াহুর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বিস্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে অ্যাপলিকেশনে ঢোকার জন্য পাসওয়ার্ডের ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইলে কোড তৈরি করে লিখতে হয়।
পাসওয়া
Comment