আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সকলে আল্লাহ তায়ালার দয়ায় ভাল আছেন।
[মনে রাখবেনঃ প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে নির্দিষ্ট একটি লক্ষ নির্ধারণ করে কাজটি শুরু করুন]
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
আজকের বিষয়ঃ হ্যাকিং শুরুর পূর্বে প্রস্ততি গ্রহণ।
হ্যাকিং কোনো গেইমস খেলার মত সহজ বিষয় না। ইচ্ছা হলো, দুই একটা ক্লিক করলাম, বাস!! হ্যাক হয়ে গেলো!!
যেসব ভাইয়েরা হ্যাকিং সম্বন্ধে এরকম ধারণা রাখেন তাদের বলছি, হ্যাকিং নিয়ে আরো ঘাটাঘাটি করতে থাকুন। ইউটিউবে সার্চ করুন, গুগলে সার্চ করুন, দেখবেন দিন দিন বিষয়টি কঠিন মনে হতে থাকবে।
তবে চিন্তার কারন নেই, যেকোন জিনিস যত বেশি চর্চা করা যায় তা অতি সহজেই আয়ত্তে চলে আসে।
হ্যাকিং শুরুর পূর্বে কিছু প্রস্ততি নিচে দেওয়া হলঃ
প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা বুদ্ধিমানদের বৈশিষ্ট। হ্যাকিং যেহেতু খুবই জটিল একটা বিষয়, তাই হ্যাকিং শুরু করার পূর্বে আপনাকে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। একজন দক্ষ হ্যাকার হয়ে ওঠার জন্য অবশ্যই নিম্নক্ত বিষয়গুলো খুবই প্রয়োজনীয়।
০১. মানসিক প্রস্তুতিঃ
প্রথমেই নিজের মনটাকে এ কাজের জন্য স্থির করুন। নিজের মস্তিষ্ককে বার বার বোঝাতে থাকুন আপনি নতুন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করার উদ্যেগ নিতে চলেছেন। এ ব্যাপারে কোনো রকম গাফিলতি করা চলবে না। তবে মুমিনদের জন্য যে কোন কাজ নিয়তকে সহি রেখে আল্লাহর জন্য
হওয়া * খুবই জরুরী। নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন আপনি হ্যাকিং শিখতে চাচ্ছেন। উত্তর যদি নিজের মনকে তৃপ্ত করে তবে অগ্রসর হতে পারেন অন্যথায় একটু অপেক্ষা করুন, নিয়তকে খালেস করুন, এরপর আবার হ্যাকিংয়ে মনযোগ দিতে পারেন।
০২. লক্ষ নির্ধারণঃ
প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে কাজটির নির্দিষ্ট একটি লক্ষ নির্ধারণ করে কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় কাজের মাঝামাঝি পৌছালে অথবা কাজটি শুরু করার পর কাজটি করতে আর ভালো লাগবে না। এজন্য পরিকল্পনা করুন কিভাবে, কত দিনের মধ্যে কাজটি শিখতে হবে। অথবা নিয়মিত
হ্যাকিংয়ের পেছনে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন। এভাবে রুটিন কররে নিলে কাজটি করা সহজ হবে এবং খুব অল্প সময়ের মাঝেই হ্যাকিং সম্বন্ধে আপনার ধারণা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
০৩. হ্যাকিংয়ের জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
হ্যাকিংয়ের জন্য খুব বেশি সরঞ্জাম দরকার পরে না। ভালো একটি কম্পিউটার হলেই যথেষ্ট। তবে মোবাইল দিয়েও হ্যাকিং সম্ভব। তবে কম্পিউটার দিয়ে এমন এমন কিছু কাজ করতে পারবেন যা মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না। এজন্য হ্যাকিংয়ের প্রস্তুতির জন্য ভালো মানের একটি
কম্পিউটার হলে খুবই ভালো হয়। কম্পিউটারটিতে যে কোনো অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল দেওয়া থাকলেই হবে। তবে হ্যাকিং সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা চলে আসার পর আপনার কম্পিউটারটিতে Linux অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করে নিতে পারেন। তাতে হ্যাকিংয়ের কাজগুলো আরো
সহজ হয়ে যাবে।
০৪. গোপনীয়তাঃ
হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে সর্বচ্চ গোপনীয়তা অবলম্বন করা আবশ্যক। কেননা হ্যাকিং কোনো সাধারণ বিষয় না। এর অপব্যবাহারের ফলে আপনাকে জেল খাটতেও হতে পারে। তাই সাবধান হোন। আগে থেকে নিজের নিরপত্তার কথা চিন্তা করুন। অনলাইনে হ্যাকিং শেখার ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার
করুন। ভিপিএন এর ফলে আপনার অবস্থান বের করা দুষ্কর হয়ে পরবে।
বিষয়গুলো খুবই সাধারণ মনে হতে পারে। তবে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এসব বিষয়গুলো ছোট করে দেখলে অন্তরে হ্যাকিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন কমে যেতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিন।
কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করবেন। ইনশাআল্লাহ যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করব।
পরবর্তি পর্বে হ্যাকার কাকে বলে এ বিষয়ে পোষ্ট করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সকলের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মেহনত কে কবুল করুন।
আমিন।
মাআসসালাম।
[যারা হ্যাকিং শিখতে চান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা | হ্যাকিং পর্ব ০১]
[হ্যাকিং শুরুর পূর্বে প্রস্ততি গ্রহণ | হ্যাকিং পর্ব ০২]
আশা করি সকলে আল্লাহ তায়ালার দয়ায় ভাল আছেন।
[মনে রাখবেনঃ প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে নির্দিষ্ট একটি লক্ষ নির্ধারণ করে কাজটি শুরু করুন]
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
আজকের বিষয়ঃ হ্যাকিং শুরুর পূর্বে প্রস্ততি গ্রহণ।
হ্যাকিং কোনো গেইমস খেলার মত সহজ বিষয় না। ইচ্ছা হলো, দুই একটা ক্লিক করলাম, বাস!! হ্যাক হয়ে গেলো!!
যেসব ভাইয়েরা হ্যাকিং সম্বন্ধে এরকম ধারণা রাখেন তাদের বলছি, হ্যাকিং নিয়ে আরো ঘাটাঘাটি করতে থাকুন। ইউটিউবে সার্চ করুন, গুগলে সার্চ করুন, দেখবেন দিন দিন বিষয়টি কঠিন মনে হতে থাকবে।
তবে চিন্তার কারন নেই, যেকোন জিনিস যত বেশি চর্চা করা যায় তা অতি সহজেই আয়ত্তে চলে আসে।
হ্যাকিং শুরুর পূর্বে কিছু প্রস্ততি নিচে দেওয়া হলঃ
প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা বুদ্ধিমানদের বৈশিষ্ট। হ্যাকিং যেহেতু খুবই জটিল একটা বিষয়, তাই হ্যাকিং শুরু করার পূর্বে আপনাকে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। একজন দক্ষ হ্যাকার হয়ে ওঠার জন্য অবশ্যই নিম্নক্ত বিষয়গুলো খুবই প্রয়োজনীয়।
০১. মানসিক প্রস্তুতিঃ
প্রথমেই নিজের মনটাকে এ কাজের জন্য স্থির করুন। নিজের মস্তিষ্ককে বার বার বোঝাতে থাকুন আপনি নতুন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করার উদ্যেগ নিতে চলেছেন। এ ব্যাপারে কোনো রকম গাফিলতি করা চলবে না। তবে মুমিনদের জন্য যে কোন কাজ নিয়তকে সহি রেখে আল্লাহর জন্য
হওয়া * খুবই জরুরী। নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন আপনি হ্যাকিং শিখতে চাচ্ছেন। উত্তর যদি নিজের মনকে তৃপ্ত করে তবে অগ্রসর হতে পারেন অন্যথায় একটু অপেক্ষা করুন, নিয়তকে খালেস করুন, এরপর আবার হ্যাকিংয়ে মনযোগ দিতে পারেন।
০২. লক্ষ নির্ধারণঃ
প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে কাজটির নির্দিষ্ট একটি লক্ষ নির্ধারণ করে কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় কাজের মাঝামাঝি পৌছালে অথবা কাজটি শুরু করার পর কাজটি করতে আর ভালো লাগবে না। এজন্য পরিকল্পনা করুন কিভাবে, কত দিনের মধ্যে কাজটি শিখতে হবে। অথবা নিয়মিত
হ্যাকিংয়ের পেছনে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন। এভাবে রুটিন কররে নিলে কাজটি করা সহজ হবে এবং খুব অল্প সময়ের মাঝেই হ্যাকিং সম্বন্ধে আপনার ধারণা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
০৩. হ্যাকিংয়ের জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
হ্যাকিংয়ের জন্য খুব বেশি সরঞ্জাম দরকার পরে না। ভালো একটি কম্পিউটার হলেই যথেষ্ট। তবে মোবাইল দিয়েও হ্যাকিং সম্ভব। তবে কম্পিউটার দিয়ে এমন এমন কিছু কাজ করতে পারবেন যা মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না। এজন্য হ্যাকিংয়ের প্রস্তুতির জন্য ভালো মানের একটি
কম্পিউটার হলে খুবই ভালো হয়। কম্পিউটারটিতে যে কোনো অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল দেওয়া থাকলেই হবে। তবে হ্যাকিং সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা চলে আসার পর আপনার কম্পিউটারটিতে Linux অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করে নিতে পারেন। তাতে হ্যাকিংয়ের কাজগুলো আরো
সহজ হয়ে যাবে।
০৪. গোপনীয়তাঃ
হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে সর্বচ্চ গোপনীয়তা অবলম্বন করা আবশ্যক। কেননা হ্যাকিং কোনো সাধারণ বিষয় না। এর অপব্যবাহারের ফলে আপনাকে জেল খাটতেও হতে পারে। তাই সাবধান হোন। আগে থেকে নিজের নিরপত্তার কথা চিন্তা করুন। অনলাইনে হ্যাকিং শেখার ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার
করুন। ভিপিএন এর ফলে আপনার অবস্থান বের করা দুষ্কর হয়ে পরবে।
বিষয়গুলো খুবই সাধারণ মনে হতে পারে। তবে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এসব বিষয়গুলো ছোট করে দেখলে অন্তরে হ্যাকিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন কমে যেতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিন।
কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করবেন। ইনশাআল্লাহ যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করব।
পরবর্তি পর্বে হ্যাকার কাকে বলে এ বিষয়ে পোষ্ট করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সকলের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মেহনত কে কবুল করুন।
আমিন।
মাআসসালাম।
[যারা হ্যাকিং শিখতে চান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা | হ্যাকিং পর্ব ০১]
[হ্যাকিং শুরুর পূর্বে প্রস্ততি গ্রহণ | হ্যাকিং পর্ব ০২]
Comment