Announcement

Collapse
No announcement yet.

ল্যাপটপ/কম্পিউটার দীর্ঘদিন সুস্থ রাখার উপায়

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ল্যাপটপ/কম্পিউটার দীর্ঘদিন সুস্থ রাখার উপায়

    মিডিয়া জিহাদে ল্যাপটপ/কম্পিউটার অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। যদি কয়েকটি উপায় মেনে চলতে পারেন তাহলে অনেকদিন ভালো থকবে আপনার ল্যাপটপ।


    ১. স্ক্রিন প্রটেক্টর:

    প্রথমে ‘স্ক্রিন প্রটেক্টর’ ও ‘কি-বোর্ড প্রটেক্টর’ এই দুটি জিনিস অবশ্যই কিনে নিন। ‘স্ক্রিন প্রটেক্টর’ হচ্ছে আমরা টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনে যে স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করি, সেই একই জিনিস। এটি ব্যবহারে আপনার ল্যাপটপের স্ক্রিনে কোনো দাগ লাগবে না, যদি কোনো দাগ বা ছোটখাটো আঘাত লাগে সেটি লাগবে প্রটেক্টরের ওপর। আপনার মূল স্ক্রিন থাকবে দাগমুক্ত।

    ২. কিবোর্ড প্রটেক্টর :

    ‘কি-বোর্ড প্রটেক্টর’ হচ্ছে স্বচ্ছ রবারের একটি পর্দার মত। এটি ব্যবহারে আপনার ল্যাপটপের কি-বোর্ড থাকবে নিরাপদ ও ধুলামুক্ত। প্রায়ই আমাদের ল্যাপটপের কি-বোর্ড ধুলায় আক্রান্ত হয় এবং পরিস্কার করতে সমস্যা হয়। আর এটি ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা আছে। ধরুন আপনি ল্যাপটপে কাজ করছেন এবং চা-কফি খাচ্ছেন। বেখায়ালি হবার কারণে গ্লাসটি বা কাপটি উল্টে পড়লো আপনার ল্যাপটপের কি-বোর্ডের ওপর। ব্যাস, হলো তো ঝামেলা! ‘কি-বোর্ড প্রটেক্টর’ ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি হবে না। কারণ এটি ব্যবহার করলে কি-বোর্ডে পানি, চা, কফি কিছুই ঢুকতে পারবে না।

    ৩. কুলিং ফ্যান :

    ল্যাপটপে অনেক ছোট পরিসরে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় মাদারবোবোর্ড, প্রসেসর, র*্যাম, হার্ডডিস্ক এবং অন্যান্য সবকিছুই থাকে। সে কারণে কাজ করতে করতে ল্যাপটপ কিছুটা গরম হবে এটাই স্বাভাবিক। এটির সমাধান হচ্ছে কুলিং ফ্যান। কুলিং ফ্যানের ওপর ল্যাপটপ রেখে ব্যবহার করলে ল্যাপটপ গরমও কম হবে এবং ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফও বাড়বে।

    ৪. ভেন্টিলেটর পরিস্কার :

    ল্যাপটপের ব্যাকসাইডে এবং পাশে বাতাস চলাচলের জন্য যে ভেন্টিলেটরগুলো থাকে, সেগুলো সবসময় পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার ল্যাপটপের ভেতরের কুলিং ফ্যান ধুলামুক্ত থাকবে এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে।

    ৫. বিছানা বা বালিশের উপরে ব্যবহার করবেন না :

    বিছানা বা বালিশের ওপর রেখে কখনো ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। এটি করলে ল্যাপটপের চেম্বারে খুব দ্রুত গরম বাতাস তৈরি হয় এবং তা ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হতে পারে না। প্রতিনিয়ত এমনটি ঘটতে থাকলে যেকোনো দিন আপনার ল্যাপটপ কোমায় চলে যেতে পারে। তবে ভালো মানের কুলিং ফ্যান ব্যবহার করলে আপনি বিছানায় বসেও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন।

    ৬. বিদ্যুৎ সংযোগে সতর্কতা :

    ল্যাপটপে বিদ্যুতের সংযোগ দেবার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। বৈদ্যুতিক বোর্ডের সুইচ অন থাকা অবস্থায় ল্যাপটপের প্লাগ ঢোকাবেন না এবং হঠাৎ করে অ্যাডাপ্টারের তারটি খুলেও ফেলবেন না। এতে করে ল্যাপটপের পাওয়ার কানেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।

    ৭. চার্জ শেষ করুন :

    সব সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে অন্তত দু’বার আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ শেষ করুন। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অথবা বাইরে ব্যবহার করলে ল্যাপটপের চার্জ হয়তো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শেষ হয়। কিন্তু চার্জ শেষ না হলে ব্যাটারির সবগুলো ‘সেল’ ব্যবহার হয় না। সবগুলো ‘সেল’ ব্যবহার না হলে ব্যাটারি তার সম্পূর্ণ কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে না।

    ৮. সফটওয়্যার ইনস্টল :

    আপনার ল্যাপটপে হয়তো এমন অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে যেগুলো আপনি কখনও ব্যবহারই করেননি। এমন সফটওয়্যারগুলো আনইনস্টল করে দিন এবং অপ্রয়োজনীয় কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না। এতে করে আপনার ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেমের ওপর চাপ কম পড়বে এবং গতি কিছুটা বাড়বে।

    ৯. অ্যান্টিভাইরাস :

    আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই লাইসেন্সড অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ল্যাপটপ ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত থাকবে। ইন্টারনেটে যেসব ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস পাওয়া যায় সেগুলো ভাইরাস রুখতে ক্ষেত্রে আংশিক কাজ করে, পুরোপুরি নয়।

    ১০. স্ক্রিনের রেজুলিউশন :
    আপনি যখন ল্যাপটপ ব্যাটারিতে চালাবেন তখন স্ক্রিনের রেজোলিউশন যথাসম্ভব কমিয়ে রাখুন। এতেও আপনার ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ ব্যাটারিতে চলার সময় কম রেজোলিউশনে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ব্যাপআপ টাইম বেশি পাবেন।

    ## ল্যাপটপ দীর্ঘদিন সুস্থ রাখার আরো অন্যন্য উপায় থাকলে এবং ল্যাপটপের গতি বাড়াতে ভিন্ন কোন পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্টের অনুরোধ রইলো।

    সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোযা, প্রতিদিন অন্তত এক পারা কোরআন তেলাওয়াত - এইগুলো হচ্ছে মুজাহিদিনের অন্তরের খোরাক; আমরা আমল করছি তো?

  • #2
    ভাই, মোবাইলের কথা বলা যাবে???
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      বহুত বহুত শুকরিয়া সম্মানিত ভাই...
      এ জাতীয় মূল্যবান পোষ্ট সর্বদা চলমান রাখবেন..ইনশা আল্লাহ
      আল্লাহ তা‘আলা আপনার খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment

        Working...
        X