Announcement

Collapse
No announcement yet.

স্টুডেন্ট ভাইয়াদের উদ্যেশ্যে একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন,

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    প্রকৃত উত্তরসূরী

    বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সাইয়েদুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু ্আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীতে শান্তির বার্তাবাহক হিসাবে প্রেরণ করেন। পৃথিবীতে যখন অনাচার-অবিচার ছেয়ে গেছে, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে কুফর-শিরক ও কুসংস্কারের মতো ইমান বিধ্বংসী ব্যধি, মানুষ মানুষত্ব হারিয়ে পেলেছে, পশুত্বের স্বভাবগুলো তাদের মাঝে প্রকাশিত হয়েছে। সমাজ শিক্ষা দীক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে মূর্খতার সমাজে পরিণত হলো। এমনকি সেই যুগ মূর্খতার যুগ হিসাবে প্রশিদ্ধিও লাভ করল। তখন মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অন্যায়-অবিচার, শিরক-বিদআত, কুসংস্কার ও মূর্খতাকে দূর করতে আরবের পবিত্র ভূমিতে প্রেরণ করেন।
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি হিসাবে দুনিয়াতে আগমনের পর আল্লাহর নির্দেশে মানুষের নিকট আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে প্রচার প্রসার শুরু করেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহর নিকট মনোনীত ধর্ম হলো ইসলাম। (সূরা আল-ইমরান, ১৯)
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিঃস্বার্থ মেহনত ও অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে সে মূর্খতার যুগ সোনালী যুগের রূপ নেয়। পশুত্বের স্বভাব দূরীভূত হয়ে মানুষত্বেও স্বভাব ফিরে আসে। অন্যায়, অনাচার, অবিচার দূর হয়ে সমাজে ফিরে আসে শান্তি-শৃঙ্খলা। শিরক, বিদআতকে সমূলে উপড়ে ফেলে সকলেই সমবেত হয় ইসলামের সূশীতল শান্তির নিড়ে। সত্যের আলো দূরকরে কুফুর ও শিরকের সকল অন্ধকার কালো।
    প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় আরবের মাটিতে ইসলামকে পরিপূর্ণ দ্বীনরূপে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর জীবন সায়াহ্নে উম্মতের উলামায়ে কেরামগণকে তার উত্তরসূরী বানিয়ে দেন। তিনি ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই উলামায়ে কেরাম হলেন নবীদের উত্তরসূরী। (সূনানু আবী দাউদ,৩৬৪১)
    আর উত্তরসূরীদের জিম্মাদারী হলো, পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া দায়িত্বকে পরিপূর্ণভাবে আদায় করা। সকলের জানা আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পুরো জীবনে ৪টি মৌলিক কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। তা হলো যথাক্রমে দাওয়াত, তা’লীম, তাযকিয়া ও জিহাদ ফি সাবীলিল্লাহ। রাসূলের উত্তরসূরী হিসাবে এইচারটি কাজের জিম্মাদারী আমাদের উপর বর্তায়। তাই আমরা উলামায়ে কেরামগণ রাসূলের প্রদত্ব দায়িত্ব তা’লিম সকলেই যথাযথভাবে আদায় করছি। দাওয়াত ও তাযকিয়ার মত গুরু দায়িত্ব আদায়েও অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু যে কাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তা আমরা ছেড়ে দিয়ে রাসূলের উত্তরসূরী হওয়ার দাবি করছি। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: আমি যোদ্ধা নবী। (বায়হাকী, শুআবুল ইমান: ১৩৪১ ) সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম আলেম ছিলেন না, মুফতি, মুহাদ্দিস কিংবা মুযাক্কি তথা পীর ছিলেন না, কিন্তু সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম মুজাহিদ ছিলেন। আর তারাই ছিলেন সর্বোত্তম উত্তরসূরী। উত্তরসূরী তো তারাই যারা পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে আদায় করে। যা সাহাবায়ে কেরাম রা. করে দেখিয়েছেন। তাহলে আমরা কিভাবে আমরা কিভাবে নিজেদেরকে রাসূলের উত্তরসূরী ভেবে ভেবে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর খাচ্ছি। অথচ আমরা তাঁর রেখে যাওয়া দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে আদায় করতে পারছিনা। ফলে আমরা আমাদের ইজ্জত সম্মান ও আত্মমর্যাদা বিষর্জন দিয়ে লাঞ্চনা আর জিল্লতিকে গ্রহণ করে নিয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে বেচাকেনা করবে, গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকবে, ক্ষেত-খামার নিয়ে খুশি থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্চনা চাপিয়ে দিবেন। যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে ততক্ষণ তিনি তোমাদের থেকে ঐ লাঞ্চনা দূর করবেন না। ( আবু দাউদ: ৩৪৬২)
    আজ আমরা তাগুতের ভয়ে নিজেদের দায়িত্বের কথা ভুলতে বসেছি, নিজেদেরকে দুর্বল ভেবে রাসূলের প্রদত্ব দায়িত্বকে অবহেলা করছি। অথচ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহ শক্তিশালী, পরাক্রমশালী। (মুযাদালা:২১) অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন, সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আর বিজয়ী অতি সন্নিকটে। (সূরা ছফ:১৩)
    আল্লাহকে ভয় না করে আমরা তাগুতকে ভয় করছি, আল্লাহ ও তার রাসূলের দুশমন এবং ইসলাম ও মুসলমানের শত্রæদেরকে ভয় পাচ্ছি। তাহলে আমরা কি নিজেদেরকে আলেম বলে দাবী করতে পারবো? আমরা কি নিজেদেরকে রাসূলের উত্তরসূরী হিসাবে দাবী করতে পারবো? আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয় উলামায়ে কেরাম আমাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে। (সূরা ফাতির:২৮) আর রাসূল সাঃ বলেন, উলামায়ে কেরাম আমার উত্তরসূরী। (সূনানু আবী দাউদ,৩৬৪১)
    সুতরাং কুরআন ও হাদীসের আলোকে এই কথা প্রতিয়মান হয় যে, রাসূলের উত্তরসূরী হলো সেই আলেম যে আল্লাহ তায়ালাকে বেশি ভয় করবেন। ইসলাম ও মুসলমানের শত্রæদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন। শুধু তা’লীম,তাযকিয়া ও দাওয়াত নিয়ে ব্যস্ত থাকবেনা বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রাপ্ত দায়িত্বের সবগুলো পালন করবেন। এছাড়া যারা ইসলাম ও মুসলমানের শত্রæদের ভয় পাবে এবং রাসূলের প্রদত্ব জিম্মাদারী আদায় না করে লাঞ্চনা আর জিল্লতির জীবনকে গ্রহন করে নিয়েছে তারা কখনো প্রকৃত আলেম হতে পারেন না। আর যে আলেম নয় সে নবীর উত্তরসূরী হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। নবীর উত্তরসূরী দাবি করলেও লাভ হবেনা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস শুধু বয়ানের জন্য নয় তা আমলে পরিণত করার জন্যেও বটে। তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ আ:কে বলেছেন, যখন তিনি তার ছেলের জন্য দোয়া করছেন। ”যে সে আপনার আহল নয়, সে সৎকর্মশীল নয়” (সূরা হুদ:৪৬)। এতে বুঝা যায় যে, রাসূলের উত্তরসূরী হতে হলে তার প্রদত্ব সকল জিম্মাদারী আদায় করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রকৃত আলেম হওয়ার ও নবীর প্রকৃত উত্তরসূরী হওয়ার তাওফিক দান করুক। আমীন
    ওয়ার ও নবীর প্রকৃত উত্তরসূরী হওয়ার তাওফিক দান করুক। আমীন
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 06-21-2022, 03:44 PM.
    আমরা তো শাহাদাতের জন্যই মায়ের উদর থেকে জন্ম নিয়েছি।

    Comment


    • #17
      Jajhakallahu Kahir bhai

      Comment


      • #18
        জাযাকাল্লাহু খায়রান।
        খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট ।

        Comment


        • #19
          আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযা দান করুন। সুন্দর পরামর্শ। আল্লাহ সকলকে আমল করার তাওফিক দিন। আমীন।

          Comment


          • #20
            জাজাকাল্লাহ, আখী! অনেক সুন্দর উপদেশ। আমার মনের কথাগুলা যেন বলা হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
            As salamo wa wa rah matullah

            Comment

            Working...
            X