আস্ সালামু আলাইকুম
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, স্মার্টটিভিও
আপনার ওপর গোয়েন্দাগিরি চালাতে
পারে। অন্তত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের
প্রযুক্তিপণ্য আপনার চারপাশে রয়েছে
যেগুলো আপনি ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর
থেকে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত
আপনার ওপর নজরদারি করছে। কোনো
কোনো প্রতিষ্ঠান তো বলেও দিচ্ছে
‘টেলিভিশনের সামনে সংবেদনশীল,
গোপনীয় কিছু বলবেন না’।
আরো অস্বস্তিকর তথ্য হচ্ছে, আপনি যে
সেবা বা পণ্য গ্রহণ করছেন, তার বিনিময়ে
যদি অর্থ না দেন, তাহলে আপনাকে
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হারাতে হবে। ২০১০
সালে একটি কথার প্রচলন হয়েছিল :
‘আপনি পণ্যের দাম না দিলে আপনি
ক্রেতা নন, তখন আপনি নিজেই হবেন পণ্য।’
আসলে, আমি গোয়েন্দা নই
১. ফেসবুকে লাইক
আপনি যেকোনো কোম্পানি, ব্যক্তি,
ব্র্যান্ডের ফেসবুক পেইজে গিয়ে ‘লাইক’
বাটনে ক্লিক করতে পারেন। অহরহ করেনও।
কিন্তু হয়তো জানেন না, লাইক করার পর
থেকে সেই কোম্পানি আপনার ওপর
নজরদারি করতে পারবে। আপনি কোন কোন
ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তা জানতে
পারবে।
আপনি সেই কোম্পানি বা ব্যক্তির
ওয়েবসাইটে যাননি তো সমস্যা নেই,
আপনি কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন
তা তারা জেনে যাবে। এই তথ্য ব্যবহার
করে সেসব সাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া
যাবে।
তাই কাজ হয়ে গেলে ফেসবুক থেকে
লগআউট করুন, সেই সাইটের পক্ষে আপনাকে
অনুসরণ করা মুশকিল হবে।
২. মোবাইল ফোনে লোকেশন
আইফোন ব্যবহার করলে সেটিংসে যান,
এরপর প্রাইভেসি, তারপর লোকেশন
সার্ভিস, সিস্টেম সার্ভিস ও ফ্রিকোয়েন্ট
লোকেশনস। দেখবেন আপনি যেসব শহরে
বেশি ঘুরেছেন সেগুলোর নাম ভেসে উঠবে।
কোনো শহরের ওপর ক্লিক করলে বেরিয়ে
আসবে আপনি সেই শহরে কতবার গেছেন।
তাই বলে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের
আত্মতৃপ্তির কারণ নেই। আপনার ভ্রমণ করা
স্থান সম্পর্কেও গুগল পর্যাপ্ত সংরক্ষণ
করে। তথ্য জমা হয় ক্লাউড সার্ভারে।
এখানে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে।
৩. উবার
অ্যাপ-ভিত্তিক পরিবহন কোম্পানি উবার।
এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় বেশ
কয়েকটি দেশে ট্যাক্সিক্যাব সেবা দিয়ে
থাকে কোম্পানিটি। ভ্রমণের সময় এর
ক্যাবগুলো যাত্রীর ভ্রমণ তথ্য সংরক্ষণ
করে। যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও সব সময়
গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় না। সুতরাং
বিদেশে উবার এড়িয়ে চলুন।
৪. মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক
মোবাইল ফোন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার
করে যোগাযোগ করে, এগুলো ‘সেল’ নামে
পরিচিত। কোনো ঘনবসতি এলাকায় একটি
নির্দিষ্ট সময়ে একই পরিধির মধ্যে
একাধিক সেল থাকতে পারে, গোলমালটা
পাকে ঠিক তখনই, যখন একই সময়ে সব সেল
কল করার চেষ্টা করে। এই সময় আপনার
ফোনটি বিশেষ একটি সেলের সঙ্গে জুড়ে
যায়। খেয়াল করলে দেখবেন, আপনি
কোথায় গেলেন তার একটি রেকর্ড আপনার
মোবাইল ফোনে থেকে যায়, অন্তত যে
টাওয়ারের পাশে আপনি থাকেন সেই
জায়গার নাম।
এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো মোবাইল ফোন
ব্যবহার না করা। যদিও বাস্তবত তা অসম্ভব।
ফোনের ব্যাটারি খুলে রাখলে সাময়িক
সুবিধা আপনি পেতে পারেন।
৫. এক্সিফ ডেটা
ডিজিটাল ফটোগ্রাফে যে তথ্য থাকে তা
এক্সিফ (এক্সচেঞ্জেবল ইমেজ ফরম্যাট)
নামে পরিচিত। এতে ছবির পাশাপাশি
ফটোগ্রাফাররা ফোকাল লেংথ,
অ্যাপার্চারসহ নানা ধরনের তথ্য ঢুকিয়ে
রাখেন। পেশাদাররা যোগাযোগের তথ্য,
কপিরাইট ইত্যাদি তথ্যও জুড়ে দেন।
এখন এক্সিফ ডেটা আরো বেশি তথ্য
সংরক্ষণ করে। আপনি স্মার্টফোন অথবা
মডার্ন ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি
তোলেন, ছবিটা কোথায় নেওয়া হয়েছে
তা জিপিএসের মাধ্যমে জানার সুযোগ
রয়েছে। ছুটির দিনে কোথায় ঘুরলেন তা
স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য ভালো হলেও,
অপরিচিত যে লোক আপনার ব্যবসায়ী
অংশীদার তিনি জেনে যেতে পারেন।
বেশির ভাগ ক্যামেরাতেই ছবির লোকেশন-
সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়ার অপশন রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াও এদিক থেকে এগিয়ে।
ছবি আপলোডের সময় ফেসবুক ও টুইটার
থেকে বড় বড় তথ্য মুছে ফেলা হয়।
৬. চেহারা পরিচিতি
ফেসবুকে ট্যাগ সাজেশনের অপশনটার কথা
মনে আছে? সামাজিক সাইটটি আপলোড
করা ফটো স্ক্যান করে ট্যাগ না হওয়া
বন্ধুদের খোঁজ করতে পারে এবং আপনাকে
পরামর্শ দেয় কাকে ট্যাগ করা যায়।
ফেসবুক ও টুইটারে একই রকম ফিচার আছে,
বহু বছর ধরে আপলোড হওয়া ফটোর ওপর মুখ
চেনার (ফেসিয়াল রিকগনিশন) সফটওয়্যার
ব্যবহার করছে। ২০১২-এর সেপ্টেম্বরে
আইরিশ তথ্য সংরক্ষণ কমিশনারের
ভর্ৎসনার মুখে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই অপশনটি
ডিজ্যাবল করতে বাধ্য হয়।
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, স্মার্টটিভিও
আপনার ওপর গোয়েন্দাগিরি চালাতে
পারে। অন্তত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের
প্রযুক্তিপণ্য আপনার চারপাশে রয়েছে
যেগুলো আপনি ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর
থেকে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত
আপনার ওপর নজরদারি করছে। কোনো
কোনো প্রতিষ্ঠান তো বলেও দিচ্ছে
‘টেলিভিশনের সামনে সংবেদনশীল,
গোপনীয় কিছু বলবেন না’।
আরো অস্বস্তিকর তথ্য হচ্ছে, আপনি যে
সেবা বা পণ্য গ্রহণ করছেন, তার বিনিময়ে
যদি অর্থ না দেন, তাহলে আপনাকে
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হারাতে হবে। ২০১০
সালে একটি কথার প্রচলন হয়েছিল :
‘আপনি পণ্যের দাম না দিলে আপনি
ক্রেতা নন, তখন আপনি নিজেই হবেন পণ্য।’
আসলে, আমি গোয়েন্দা নই
১. ফেসবুকে লাইক
আপনি যেকোনো কোম্পানি, ব্যক্তি,
ব্র্যান্ডের ফেসবুক পেইজে গিয়ে ‘লাইক’
বাটনে ক্লিক করতে পারেন। অহরহ করেনও।
কিন্তু হয়তো জানেন না, লাইক করার পর
থেকে সেই কোম্পানি আপনার ওপর
নজরদারি করতে পারবে। আপনি কোন কোন
ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তা জানতে
পারবে।
আপনি সেই কোম্পানি বা ব্যক্তির
ওয়েবসাইটে যাননি তো সমস্যা নেই,
আপনি কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন
তা তারা জেনে যাবে। এই তথ্য ব্যবহার
করে সেসব সাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া
যাবে।
তাই কাজ হয়ে গেলে ফেসবুক থেকে
লগআউট করুন, সেই সাইটের পক্ষে আপনাকে
অনুসরণ করা মুশকিল হবে।
২. মোবাইল ফোনে লোকেশন
আইফোন ব্যবহার করলে সেটিংসে যান,
এরপর প্রাইভেসি, তারপর লোকেশন
সার্ভিস, সিস্টেম সার্ভিস ও ফ্রিকোয়েন্ট
লোকেশনস। দেখবেন আপনি যেসব শহরে
বেশি ঘুরেছেন সেগুলোর নাম ভেসে উঠবে।
কোনো শহরের ওপর ক্লিক করলে বেরিয়ে
আসবে আপনি সেই শহরে কতবার গেছেন।
তাই বলে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের
আত্মতৃপ্তির কারণ নেই। আপনার ভ্রমণ করা
স্থান সম্পর্কেও গুগল পর্যাপ্ত সংরক্ষণ
করে। তথ্য জমা হয় ক্লাউড সার্ভারে।
এখানে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে।
৩. উবার
অ্যাপ-ভিত্তিক পরিবহন কোম্পানি উবার।
এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় বেশ
কয়েকটি দেশে ট্যাক্সিক্যাব সেবা দিয়ে
থাকে কোম্পানিটি। ভ্রমণের সময় এর
ক্যাবগুলো যাত্রীর ভ্রমণ তথ্য সংরক্ষণ
করে। যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও সব সময়
গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় না। সুতরাং
বিদেশে উবার এড়িয়ে চলুন।
৪. মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক
মোবাইল ফোন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার
করে যোগাযোগ করে, এগুলো ‘সেল’ নামে
পরিচিত। কোনো ঘনবসতি এলাকায় একটি
নির্দিষ্ট সময়ে একই পরিধির মধ্যে
একাধিক সেল থাকতে পারে, গোলমালটা
পাকে ঠিক তখনই, যখন একই সময়ে সব সেল
কল করার চেষ্টা করে। এই সময় আপনার
ফোনটি বিশেষ একটি সেলের সঙ্গে জুড়ে
যায়। খেয়াল করলে দেখবেন, আপনি
কোথায় গেলেন তার একটি রেকর্ড আপনার
মোবাইল ফোনে থেকে যায়, অন্তত যে
টাওয়ারের পাশে আপনি থাকেন সেই
জায়গার নাম।
এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো মোবাইল ফোন
ব্যবহার না করা। যদিও বাস্তবত তা অসম্ভব।
ফোনের ব্যাটারি খুলে রাখলে সাময়িক
সুবিধা আপনি পেতে পারেন।
৫. এক্সিফ ডেটা
ডিজিটাল ফটোগ্রাফে যে তথ্য থাকে তা
এক্সিফ (এক্সচেঞ্জেবল ইমেজ ফরম্যাট)
নামে পরিচিত। এতে ছবির পাশাপাশি
ফটোগ্রাফাররা ফোকাল লেংথ,
অ্যাপার্চারসহ নানা ধরনের তথ্য ঢুকিয়ে
রাখেন। পেশাদাররা যোগাযোগের তথ্য,
কপিরাইট ইত্যাদি তথ্যও জুড়ে দেন।
এখন এক্সিফ ডেটা আরো বেশি তথ্য
সংরক্ষণ করে। আপনি স্মার্টফোন অথবা
মডার্ন ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি
তোলেন, ছবিটা কোথায় নেওয়া হয়েছে
তা জিপিএসের মাধ্যমে জানার সুযোগ
রয়েছে। ছুটির দিনে কোথায় ঘুরলেন তা
স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য ভালো হলেও,
অপরিচিত যে লোক আপনার ব্যবসায়ী
অংশীদার তিনি জেনে যেতে পারেন।
বেশির ভাগ ক্যামেরাতেই ছবির লোকেশন-
সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়ার অপশন রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াও এদিক থেকে এগিয়ে।
ছবি আপলোডের সময় ফেসবুক ও টুইটার
থেকে বড় বড় তথ্য মুছে ফেলা হয়।
৬. চেহারা পরিচিতি
ফেসবুকে ট্যাগ সাজেশনের অপশনটার কথা
মনে আছে? সামাজিক সাইটটি আপলোড
করা ফটো স্ক্যান করে ট্যাগ না হওয়া
বন্ধুদের খোঁজ করতে পারে এবং আপনাকে
পরামর্শ দেয় কাকে ট্যাগ করা যায়।
ফেসবুক ও টুইটারে একই রকম ফিচার আছে,
বহু বছর ধরে আপলোড হওয়া ফটোর ওপর মুখ
চেনার (ফেসিয়াল রিকগনিশন) সফটওয়্যার
ব্যবহার করছে। ২০১২-এর সেপ্টেম্বরে
আইরিশ তথ্য সংরক্ষণ কমিশনারের
ভর্ৎসনার মুখে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই অপশনটি
ডিজ্যাবল করতে বাধ্য হয়।
Comment