Announcement

Collapse
No announcement yet.

পেগাসাসের পর নতুন আড়ি পাতার যন্ত্র কিনছে মোদি সরকার

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পেগাসাসের পর নতুন আড়ি পাতার যন্ত্র কিনছে মোদি সরকার

    পেগাসাসের পর নতুন আড়ি পাতার যন্ত্র কিনছে মোদি সরকার [1]

    ভারতের জনগণের ওপর নজরদারি করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন এক আড়ি পাতার যন্ত্র কিনছে বলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে। দলের মুখপাত্র পবন খেরা সোমবার ( ১০ এপ্রিল ২০২৩ ) সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলের স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’–এর মতো এই প্রযুক্তির নাম ‘কগনাইট’। ৯৮৬ কোটি রুপি খরচে সরকার এই প্রযুক্তি কিনতে চলেছে। এই প্রযুক্তিও রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) ওপর নজরদারি করতে ব্যবহৃত হবে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নাম না করে খেরা বলেন, দেশের দুই গুপ্তচর কাউকেই বিশ্বাস করেন না। আইন বা গণমাধ্যম—কাউকেই নয়। সে জন্য তাঁরা কর দাতাদের কোটি কোটি টাকা খরচ করে আড়ি পাতার যন্ত্র কিনছেন। মিথ্যার প্রাসাদ তাসের ঘরের মতো ধ্বংস হতে পারে, এই শঙ্কা তাঁদের আছে। সেই ভয়ে তাঁরা ভীত। তাই আড়ি পাতার যন্ত্র কিনছেন।

    লন্ডনের একটি সংবাদপত্রে এ–সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র জয়রাম রমেশ সেই খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, আগের ভোটের সময় মোদি সরকার পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়েছিল। ২০২৪ সালের ভোটের আগে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চলেছে।

    কগনাইটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে বিশ্বের ১০০+ দেশে তাদের ১০০ কাস্টমার আছে।
    এর আগে ২০১৭ সালে মোদির বিরুদ্ধে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেনার অভিযোগ ওঠে।

    দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এর ‘দ্য ব্যাটল ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’স মোস্ট পাওয়ারফুল সাইবারওয়েপন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে মোদীর সফরের সময়ই ইজরায়েল থেকে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা নজরদারি সরঞ্জাম কিনতে ২০০ কোটি ডলারের (প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকার) দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছিল। ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি সেই ‘প্রতিরক্ষা চুক্তির’ তালিকায় অন্যতম ছিল ফোনে আড়ি পাতার স্পাইঅয়্যার পেগাসাস। এই পেগাসাস ব্যবহার করেই কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী নেতানেত্রীদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। [2]

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সংস্থা এনএসও এক দশক ধরে ওই প্রযুক্তি বিভিন্ন দেশের সরকার ও সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে আসছে। ২০১৭ সালে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদের’ জোয়ারে ভেসে প্রধানমন্ত্রী হয়ে নরেন্দ্র মোদি ইসরায়েল সফরে যান।
    কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সেটাই ছিল প্রথম ইসরায়েল সফর। সেই সফরে দুই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও নেতানিয়াহুকে খালি পায়ে সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল।

    ওই সফরেই চুক্তি সম্পাদিত হয় বলে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘দ্য ব্যাটল ফর দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট পাউয়ারফুল সাইবারওয়েপন’। লেখক রণেন বার্গম্যান ও মার্ক মাজেট্টি। তাঁরা লিখেছেন, চুক্তি সইয়ের মাস কয়েকের মধ্যেই নেতানিয়াহু ভারত সফরে আসেন। তারপর ২০১৯ সালের জুন মাসে জাতিসংঘে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভারত ভোট দেয়। [3]

    ২০১৯ সালে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিল, চারটি মহাদেশের এক হাজার ৪০০ জনের মোবাইল পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে। তখন হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ভারতে ২০ জনের ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। সেসময় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, সরকার আড়িপাতার কোনো নির্দেশ দেয়নি। [4]

    গনতন্ত্রিক নির্বচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার মূলত পুতুল হয়ে থাকে। পর্দার আড়ালে মূলত তাদের আসল প্রভু লুকিয়ে থাকে। তাদের সেই প্রভুরা তাদেরকে যেভাবে নাচতে বলে তারা সেভাবেই নাচে। তথ্য প্রযুক্তির এই বিপ্লবের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেক কঠিন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
    তাই সকল ভাইদের উচিত যথাসাধ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সতর্ক থাকা এবং এই সৃষ্ট জগতের স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে দোয়া করা। ময়দান এ লড়াইরত মুজাহিদ ভাইদের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্থতার দোয়া করি। আল্লাহ তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা দান করুক, তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা দান করুক।
    তথ্যসূত্রঃ

    [1]
    1.1
    https://tinyurl.com/2m4ds8ja
    1.2
    https://tinyurl.com/2nzb77tt
    [2]
    https://tinyurl.com/4vsu43cf
    [3]
    https://tinyurl.com/yz36bs2n
    [4]
    https://tinyurl.com/ymxap4up


  • #2
    ধ্বংস যাদের ললাট লিখন, তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক, টিকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X