আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ভাইয়েরা।
ফোরামের সকল সম্মানিত দায়িত্বশীল, মডারেটর, মুজাহিদীন, সাংবাদিক, দায়ী,আলিম ও তালিবুল ইলম ভাইদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ।
অনেক ভাই আছেন যারা ফোরামেরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখিগুলো ফেসবুকে শেয়ার করেন, আল ফিরদাউস নিউজগুলো প্রচার করেন। বারকআল্লাহু লানা, ইহা নিশসন্দেহে একটি অসাধারণ কাজ.. তবে আপনি এই কাজ করতে গিয়ে ফিতনায় ডুবে যাচ্ছেন নাতো?
আপনার ইলম ও আমলের জন্য ব্যায় করতে পারতেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট করে ফেলছেন নাতো..? আপনি কি আসক্ত হয়ে যাচ্ছেন বা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য হতাশা ও আফসোস জমাচ্ছেন..?
তাহলে অতি তাড়াতাড়ি ফেসবুক নামক প্ল্যাটফর্মটি ত্যাগ করুন।
সাধারণ ফেসবুকে আমরা যেসকল ফিতনায় পড়ে যাইঃ
১/ অতিরিক্ত মাত্রায় ম্যাসেন্জার ব্যবহার করা।
২/ অতিরিক্ত স্ক্রলিং করা।
৩/ ফেসবুকের জন্য জামায়াতের সাথে সালাত ত্যাগ করা।
৪/ অনলাইনে নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া।
৫/ সামান্য ইলম নিয়ে ম্যাসেন্জারে আলেমদের মতো ফতোয়া দিতে শুরু করা।
৬/ দলীল ব্যাতিত অনেক সময় যিদের কারণে নিজের মতকে শরীয়ত বলে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা।
৭/ গাইরে মাহরামদের ফিতনা। যে কারণে অনেক ভাই কারারুদ্ধ হয়েছেন।
৮/ মানুষের সংশয় নিরসন করার জন্য তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পিডিএফ, ডকুমেন্টারি এর লিংক না দিয়ে নিজে ম্যাসেন্জারে চ্যাটিং করে সময় কাটানো
৯/ অমুক তমুকের পোস্টে রিয়্যাক্টের ওয়াদা রক্ষা করতে গিয়ে টর ব্রাউজার ও ভিপিএনসহ ফেসবুক ব্যবহার করা বাদ দেও এবং আবার এ্যাপে ফিরে আসা।
১০/পড়াশোনাকে ইগনোর করা এবং নিজের জন্য দূর্গতি ডেকে আনা।
১১/ ফেসবুকের আসক্তির জন্য ইদাদ থেকেই বিরত থেকে যাওয়া।
১২/ যার তার সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া।
১৩/ গণতান্ত্রিক আলেমদের ও তাদের অনুসারীদের সাথে বাহাস করতে গিয়ে গালাগালি করে বসা, তাদেরকে হেয় করা। পরে এগুলোর স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়।
১৪/ জিহাদের দাওয়াত দিতে গিয়ে হানাফি-সালাফি মারামারিতে জড়িয়ে পরা।
১৫/ রেফারেন্স ব্যাতীত ও কোন আলেম দ্বারা স্বীকৃত নয় বা শরীয়াতে প্রমাণিত নয় এমন ব্যাক্তির রক্তকে হালাল বলা, তাকফির করা, মুরতাদ আখ্যা দেওয়া।
১৬/ সারাদিন বিবাহ ও স্ত্রী সম্পর্কিত সুন্নাত নিয়ে পড়ে থাকা। (আল্লাহুমা ইন্নি আউজুবিকা মিনান ফিতনাতিন নিসা)
১৭/ অশ্লীল পোস্টে বা লিংকে ক্লিক করে বসা।
১৮/দ্বীনের নামে ভাঁওতাবাজি করে এমন ফালতু পেজ,গ্রুপ ও ব্যাক্তিদের সাথে যুক্ত থাকা।
১৯/উলামায়ে ইকরাম, জিহাদি নিউজ,ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখি, ইদাদ সম্পর্কিত পোস্ট ও তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান শেয়ার করা হতে বিরত থাকা।
২০/ সারাদিন একটা ফটো একটা আবেগী ক্যাপশন দিয়ে অনর্থক পোস্ট করতে থাকা।
২১/ মানহাজের দাওয়াতকে নির্দিষ্ট সার্কেলের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা। যার ফলে সদ্য দ্বীনের পথে ফিরে আসা অনেক ভাইদের পর্যন্ত দাওয়াত পৌছায় না।
২২/ পড়াশোনা ব্যাতীত ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে বাহসে লিপ্ত হওয়া।
২৩/শায়েখ অন্ধত্ব পরিহার করতে না পারা।
২৪/হুজুগে সকলের দেখাদেখি পোস্ট কপি করতে থাকা।
২৫/ অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে ভাঁওতাবাজি করা। [এটার কারণে মুয়াহহিদদরে বদনাম হয়]
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হিফাজত করুন।
যদি কেও এরকম ফিতনায় পতিত হন। তার উচিত নিজে ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ করে ফেলা। এবং অন্তত ৬০-৯০ দিনের জন্য ফেসবুক ব্যবহার না করা। এতে সেই ব্যাক্তি নিজের আসক্তি কাটাতে পারবে।ইবাদতে নিজেকে সময় দিতে পারবে ও ইলম অধ্যয়নে মনোযোগী হতে পারবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করুন।
আমিন।
ইয়া রব্বাল আলামিন
ফোরামের সকল সম্মানিত দায়িত্বশীল, মডারেটর, মুজাহিদীন, সাংবাদিক, দায়ী,আলিম ও তালিবুল ইলম ভাইদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ।
অনেক ভাই আছেন যারা ফোরামেরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখিগুলো ফেসবুকে শেয়ার করেন, আল ফিরদাউস নিউজগুলো প্রচার করেন। বারকআল্লাহু লানা, ইহা নিশসন্দেহে একটি অসাধারণ কাজ.. তবে আপনি এই কাজ করতে গিয়ে ফিতনায় ডুবে যাচ্ছেন নাতো?
আপনার ইলম ও আমলের জন্য ব্যায় করতে পারতেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট করে ফেলছেন নাতো..? আপনি কি আসক্ত হয়ে যাচ্ছেন বা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য হতাশা ও আফসোস জমাচ্ছেন..?
তাহলে অতি তাড়াতাড়ি ফেসবুক নামক প্ল্যাটফর্মটি ত্যাগ করুন।
সাধারণ ফেসবুকে আমরা যেসকল ফিতনায় পড়ে যাইঃ
১/ অতিরিক্ত মাত্রায় ম্যাসেন্জার ব্যবহার করা।
২/ অতিরিক্ত স্ক্রলিং করা।
৩/ ফেসবুকের জন্য জামায়াতের সাথে সালাত ত্যাগ করা।
৪/ অনলাইনে নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া।
৫/ সামান্য ইলম নিয়ে ম্যাসেন্জারে আলেমদের মতো ফতোয়া দিতে শুরু করা।
৬/ দলীল ব্যাতিত অনেক সময় যিদের কারণে নিজের মতকে শরীয়ত বলে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা।
৭/ গাইরে মাহরামদের ফিতনা। যে কারণে অনেক ভাই কারারুদ্ধ হয়েছেন।
৮/ মানুষের সংশয় নিরসন করার জন্য তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পিডিএফ, ডকুমেন্টারি এর লিংক না দিয়ে নিজে ম্যাসেন্জারে চ্যাটিং করে সময় কাটানো
৯/ অমুক তমুকের পোস্টে রিয়্যাক্টের ওয়াদা রক্ষা করতে গিয়ে টর ব্রাউজার ও ভিপিএনসহ ফেসবুক ব্যবহার করা বাদ দেও এবং আবার এ্যাপে ফিরে আসা।
১০/পড়াশোনাকে ইগনোর করা এবং নিজের জন্য দূর্গতি ডেকে আনা।
১১/ ফেসবুকের আসক্তির জন্য ইদাদ থেকেই বিরত থেকে যাওয়া।
১২/ যার তার সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া।
১৩/ গণতান্ত্রিক আলেমদের ও তাদের অনুসারীদের সাথে বাহাস করতে গিয়ে গালাগালি করে বসা, তাদেরকে হেয় করা। পরে এগুলোর স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়।
১৪/ জিহাদের দাওয়াত দিতে গিয়ে হানাফি-সালাফি মারামারিতে জড়িয়ে পরা।
১৫/ রেফারেন্স ব্যাতীত ও কোন আলেম দ্বারা স্বীকৃত নয় বা শরীয়াতে প্রমাণিত নয় এমন ব্যাক্তির রক্তকে হালাল বলা, তাকফির করা, মুরতাদ আখ্যা দেওয়া।
১৬/ সারাদিন বিবাহ ও স্ত্রী সম্পর্কিত সুন্নাত নিয়ে পড়ে থাকা। (আল্লাহুমা ইন্নি আউজুবিকা মিনান ফিতনাতিন নিসা)
১৭/ অশ্লীল পোস্টে বা লিংকে ক্লিক করে বসা।
১৮/দ্বীনের নামে ভাঁওতাবাজি করে এমন ফালতু পেজ,গ্রুপ ও ব্যাক্তিদের সাথে যুক্ত থাকা।
১৯/উলামায়ে ইকরাম, জিহাদি নিউজ,ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখি, ইদাদ সম্পর্কিত পোস্ট ও তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান শেয়ার করা হতে বিরত থাকা।
২০/ সারাদিন একটা ফটো একটা আবেগী ক্যাপশন দিয়ে অনর্থক পোস্ট করতে থাকা।
২১/ মানহাজের দাওয়াতকে নির্দিষ্ট সার্কেলের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা। যার ফলে সদ্য দ্বীনের পথে ফিরে আসা অনেক ভাইদের পর্যন্ত দাওয়াত পৌছায় না।
২২/ পড়াশোনা ব্যাতীত ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে বাহসে লিপ্ত হওয়া।
২৩/শায়েখ অন্ধত্ব পরিহার করতে না পারা।
২৪/হুজুগে সকলের দেখাদেখি পোস্ট কপি করতে থাকা।
২৫/ অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে ভাঁওতাবাজি করা। [এটার কারণে মুয়াহহিদদরে বদনাম হয়]
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হিফাজত করুন।
যদি কেও এরকম ফিতনায় পতিত হন। তার উচিত নিজে ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ করে ফেলা। এবং অন্তত ৬০-৯০ দিনের জন্য ফেসবুক ব্যবহার না করা। এতে সেই ব্যাক্তি নিজের আসক্তি কাটাতে পারবে।ইবাদতে নিজেকে সময় দিতে পারবে ও ইলম অধ্যয়নে মনোযোগী হতে পারবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করুন।
আমিন।
ইয়া রব্বাল আলামিন
Comment