ফেসবুকে ও ইউটিউব পরিচালনাকারী ভাইদের মধ্যে দেখলাম বেশ তর্কাতর্কি হচ্ছে। কে গোয়েন্দা কে নয় তা নিয়ে আরকি। তাই আপাতত কিছু জিনিস না জানালেই নয়।
১)ইন্টারনেটে হয় আপনি ক্রেতা নতুবা পণ্য! টাকা দিয়েও তো নিস্তার পায়নি। টপ টেন গ্রেডের পেইড ভিপিএন পর্যন্ত মার্কিন পুলিশের কাছে ইনফো দিয়েছে(IPVanish) এবং অনেকে সকল গ্রাহকদের তথ্য মার্কিন বাহিনীর কাছে তুলে দিয়েছে(Zenmate)! এই ব্যাপারে নেক্সটে লেখা হবে ইনশাল্লাহ।
তারপরেও ভিপিএন ইউস করতে হলে নিজে নিজে অনলাইন ঘেঁটে তারপর ভালো ভিপিএন চয়েস করা উচিত। এই বিষয়ে ইন্টারনেটে সাইবার প্রফেশনালদের অনেক লেখা পাবেন। কারণ আপনার ন্যায় অনেকই তা খোঁজ করেছে।
নেটে কেউ এসব বিষয়ে লিখলে আগে যাচাই করা উচিত।
২) অমুক ভিপিএন ভালো, তমুকটা খারাপ---- এ নিয়ে তর্ক করার আগে দেখতে হবে ভিপিএন জিনিসটাই ভালো কিনা। আমরা যদি Taghoot State এর বিরুদ্ধে সাইবার জিহাদের কথা চিন্তা করি তাহলে ভিপিএন কিছুই নাহ!!
ধরুন, ভিপিএন অন করে আপনি ফায়ারফক্স দিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছেন। আপনার ভিপিএন IP এখন **********
ফেসবুক আপনার ভিপিএন আইপি দেখলো। অপরদিকে ফোনে থাকা হোয়াটসএপও সেইম আইপি দেখলো। ব্যস, ফেসবুক জেনে গেলো 'মুই কিন্তু উনিও!!'
৩) ফেসবুকে বা ইউটিউবে দাওয়াহের কাজ সাধারণভাবেই করুন। সেলিব্রিটিজমের পিছনে দৌড়াবেন না। সাইবার বিষয়ে বিশদ জ্ঞান না থাকলে কাউকে নিজে থেকে নিরাপত্তার ওয়ারেন্টি দিতে যাবেন না। দাওয়াহের কাজ করতে এসেছেন তাই করুন। হাকডাক দিয়ে তাগুতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেন না। নেশন স্টেট আপনার পিছু নেয় তাহলে আপনি হয়তো একটা সময় তাদের ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নিচে পাবেন। কারণ তারা লাখ লাখ টাকার টুলস কিনছে টার্গেটকে ধরার জন্য। তাদের রয়েছে বেতনভোগী প্রফেশনাল লোক।
৪) এই মুহূর্তে হাজার হাজার লোক ভিপিএন ইউস করছে তাই হয়তো আপনার ইউস করায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যদি মনে করা হয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার ওয়ারফেয়ার হিসেবে দীর্ঘমেয়াদে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো প্লাটফর্ম ইউস করা হবে তখন ১০০% টর-বেইসড হলেই আল্লাহর ইচ্ছায় নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
৫) সর্বদা 'আমাকে কেউ দেখছে' এই ভয়েও ভোগার দরকার নাই। গণনজরদারি অনেক জটিল বিষয় এবং এর জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ, যন্ত্রপাতি ও লোকবল। যা বাংলাদেশের তাগুতের খুব বেশি নয়।
৬) অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের কাছে প্রতি বছর শতাধিক লোকের আইপি এড্রেস চেয়ে লিগ্যাল রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। অধিকাংশতেই ফেসবুক সাড়া দিয়েছে। এগুলো খোঁজখবর রাখা উচিত। তবে আম্রিকার সাথে হাসিনার দিনকাল ভালো যাচ্ছে না তাই হয়তো ফেসবুক সাড়া দেয়া কমিয়ে দেবে। এটি আমাদের জন্য সুখকর।
৭)ফেসবুকের আইডি খোলা থেকে শুরু করে সবকিছু যদি ১০০% টর-চ্যানেলের ভিতর দিয়ে হয় তাহলেই ধরা যায় সর্বোচ্চ নিরাপদ। এটি করতে হলে অনেক কৌশলে ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বোকা বানাতে হবে। এটি চেষ্টাসাধ্য কিন্তু অসম্ভব না।
৮) কথা উঠছে ফোরাম কোন ভিপিএন দিয়ে মেইনটেইন করা হয়। জেনে রাখা ভালো, যেহেতু ফোরামের শত্রুরা অনেক শক্তিশালী তাই এসব ভিপিএন বা মুড়ির টিন দিয়ে ফোরাম চালানো হয়না হয়তো। ফোরাম কি দিয়ে মেইনটেইন করা হয় সেটা ফোরামের প্রফেশনাল ভাইদের ব্যাপার। আমরা সেটার পিছনে না দৌড়ে নিজেদের সাইবার নলেজ বাড়ানোর পিছনে সময় দেয়া উচিত। তাহলে একসময় ঠিকই বুঝতে পারবো ভাইদের কি পরিশ্রম করতে হচ্ছে ফোরাম দাঁড় করিয়ে রাখতে।
৯) মডারেটর ভাইয়েরা বারবার সতর্ক করেছেন অনলাইনে কেউ সাদাকা কালেকশনের চেষ্টা করলে বহু বছরের দ্বায়ী হলেও তাকে অবিশ্বাস করতে। আমাদের মাছের বুদ্ধি না থাকলে এই ফাঁদে পা দিতাম না। আরে! মাছের বুদ্ধি তো এই যে, প্রথমবার বড়শী টোপ গিলতে গিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলো। কিছুক্ষণ পর সব ভুলে আবার মুখ দিলো এবং ধরা পড়লো।
১০) অনলাইনে কাউকেই আলকায়েদার দায়িত্বশীল ভাবা নিঃসন্দেহে অনেক বড় ভুল।
১১) জিহাদের চিন্তা করলে নিজের বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিক্স করেই চিন্তা করা উচিত। অযথা ফ্যান্টাসিতে ভুগে পালবিহীন নৌকার ন্যায় কয়েক বছর এর পিছনে দৌড়ে এরপর জীবনের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।
১২) পরিশেষে জেনে রাখা উচিত, কোনো ভয়ই কবরের ভয়ের চেয়ে বেশি নয়।কোনো কষ্টই কবরের আযাবের চেয়ে কঠিন নয়।আর রব্বে কারিম যা লিখে রেখেছেন তাই হবে।
১)ইন্টারনেটে হয় আপনি ক্রেতা নতুবা পণ্য! টাকা দিয়েও তো নিস্তার পায়নি। টপ টেন গ্রেডের পেইড ভিপিএন পর্যন্ত মার্কিন পুলিশের কাছে ইনফো দিয়েছে(IPVanish) এবং অনেকে সকল গ্রাহকদের তথ্য মার্কিন বাহিনীর কাছে তুলে দিয়েছে(Zenmate)! এই ব্যাপারে নেক্সটে লেখা হবে ইনশাল্লাহ।
তারপরেও ভিপিএন ইউস করতে হলে নিজে নিজে অনলাইন ঘেঁটে তারপর ভালো ভিপিএন চয়েস করা উচিত। এই বিষয়ে ইন্টারনেটে সাইবার প্রফেশনালদের অনেক লেখা পাবেন। কারণ আপনার ন্যায় অনেকই তা খোঁজ করেছে।
নেটে কেউ এসব বিষয়ে লিখলে আগে যাচাই করা উচিত।
২) অমুক ভিপিএন ভালো, তমুকটা খারাপ---- এ নিয়ে তর্ক করার আগে দেখতে হবে ভিপিএন জিনিসটাই ভালো কিনা। আমরা যদি Taghoot State এর বিরুদ্ধে সাইবার জিহাদের কথা চিন্তা করি তাহলে ভিপিএন কিছুই নাহ!!
ধরুন, ভিপিএন অন করে আপনি ফায়ারফক্স দিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছেন। আপনার ভিপিএন IP এখন **********
ফেসবুক আপনার ভিপিএন আইপি দেখলো। অপরদিকে ফোনে থাকা হোয়াটসএপও সেইম আইপি দেখলো। ব্যস, ফেসবুক জেনে গেলো 'মুই কিন্তু উনিও!!'
৩) ফেসবুকে বা ইউটিউবে দাওয়াহের কাজ সাধারণভাবেই করুন। সেলিব্রিটিজমের পিছনে দৌড়াবেন না। সাইবার বিষয়ে বিশদ জ্ঞান না থাকলে কাউকে নিজে থেকে নিরাপত্তার ওয়ারেন্টি দিতে যাবেন না। দাওয়াহের কাজ করতে এসেছেন তাই করুন। হাকডাক দিয়ে তাগুতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেন না। নেশন স্টেট আপনার পিছু নেয় তাহলে আপনি হয়তো একটা সময় তাদের ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নিচে পাবেন। কারণ তারা লাখ লাখ টাকার টুলস কিনছে টার্গেটকে ধরার জন্য। তাদের রয়েছে বেতনভোগী প্রফেশনাল লোক।
৪) এই মুহূর্তে হাজার হাজার লোক ভিপিএন ইউস করছে তাই হয়তো আপনার ইউস করায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যদি মনে করা হয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার ওয়ারফেয়ার হিসেবে দীর্ঘমেয়াদে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো প্লাটফর্ম ইউস করা হবে তখন ১০০% টর-বেইসড হলেই আল্লাহর ইচ্ছায় নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
৫) সর্বদা 'আমাকে কেউ দেখছে' এই ভয়েও ভোগার দরকার নাই। গণনজরদারি অনেক জটিল বিষয় এবং এর জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ, যন্ত্রপাতি ও লোকবল। যা বাংলাদেশের তাগুতের খুব বেশি নয়।
৬) অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের কাছে প্রতি বছর শতাধিক লোকের আইপি এড্রেস চেয়ে লিগ্যাল রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। অধিকাংশতেই ফেসবুক সাড়া দিয়েছে। এগুলো খোঁজখবর রাখা উচিত। তবে আম্রিকার সাথে হাসিনার দিনকাল ভালো যাচ্ছে না তাই হয়তো ফেসবুক সাড়া দেয়া কমিয়ে দেবে। এটি আমাদের জন্য সুখকর।
৭)ফেসবুকের আইডি খোলা থেকে শুরু করে সবকিছু যদি ১০০% টর-চ্যানেলের ভিতর দিয়ে হয় তাহলেই ধরা যায় সর্বোচ্চ নিরাপদ। এটি করতে হলে অনেক কৌশলে ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বোকা বানাতে হবে। এটি চেষ্টাসাধ্য কিন্তু অসম্ভব না।
৮) কথা উঠছে ফোরাম কোন ভিপিএন দিয়ে মেইনটেইন করা হয়। জেনে রাখা ভালো, যেহেতু ফোরামের শত্রুরা অনেক শক্তিশালী তাই এসব ভিপিএন বা মুড়ির টিন দিয়ে ফোরাম চালানো হয়না হয়তো। ফোরাম কি দিয়ে মেইনটেইন করা হয় সেটা ফোরামের প্রফেশনাল ভাইদের ব্যাপার। আমরা সেটার পিছনে না দৌড়ে নিজেদের সাইবার নলেজ বাড়ানোর পিছনে সময় দেয়া উচিত। তাহলে একসময় ঠিকই বুঝতে পারবো ভাইদের কি পরিশ্রম করতে হচ্ছে ফোরাম দাঁড় করিয়ে রাখতে।
৯) মডারেটর ভাইয়েরা বারবার সতর্ক করেছেন অনলাইনে কেউ সাদাকা কালেকশনের চেষ্টা করলে বহু বছরের দ্বায়ী হলেও তাকে অবিশ্বাস করতে। আমাদের মাছের বুদ্ধি না থাকলে এই ফাঁদে পা দিতাম না। আরে! মাছের বুদ্ধি তো এই যে, প্রথমবার বড়শী টোপ গিলতে গিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলো। কিছুক্ষণ পর সব ভুলে আবার মুখ দিলো এবং ধরা পড়লো।
১০) অনলাইনে কাউকেই আলকায়েদার দায়িত্বশীল ভাবা নিঃসন্দেহে অনেক বড় ভুল।
১১) জিহাদের চিন্তা করলে নিজের বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিক্স করেই চিন্তা করা উচিত। অযথা ফ্যান্টাসিতে ভুগে পালবিহীন নৌকার ন্যায় কয়েক বছর এর পিছনে দৌড়ে এরপর জীবনের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।
১২) পরিশেষে জেনে রাখা উচিত, কোনো ভয়ই কবরের ভয়ের চেয়ে বেশি নয়।কোনো কষ্টই কবরের আযাবের চেয়ে কঠিন নয়।আর রব্বে কারিম যা লিখে রেখেছেন তাই হবে।
Comment