Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৪ || নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?|| -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ || শেষ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৪ || নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?|| -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ || শেষ পর্ব


    আন নাসর মিডিয়া
    কর্তৃক প্রকাশিত
    নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?
    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ||
    এর থেকে
    শেষ পর্ব

    ==================================================
    ===============================

    সর্বশেষ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়


    এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আলোচনা করার পর আমার আজকের আলোচনার সমাপ্তি টানব, ইনশা আল্লাহ।

    আমার ভাইয়েরা! তা হলো: আমরা যে জিহাদে আছি, এখানে দুশমন প্রতিটি মুজাহিদের পিছনে লেগে আছে। তাদের উদ্দেশ্য প্রত্যেককে শহীদ করা এবং যাদেরকে সম্ভব জীবিত গ্রেফতার করা। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন এবং আমাদের বন্দী ভাইদের মুক্তি দান করুন (আমীন)। যুদ্ধে মালুমাত তথা তথ্য জানার গুরুত্ব অনেক। তথ্য-উপাথ্য অর্জন করা আমাদের দুশমনদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি যখন আফগানিস্তানে এসেছি, তখন আমেরিকান একজন লোক কোন এক টিভি চ্যানেলকে ইন্টারভিউ দিয়েছিল, যা আমি শুনেছি। ইন্টারভিউতে সে বলেছিল, আমরা যদি প্রথমেই তাদের ড্রোন মেরে হত্যা করি, তাহলে তারা মারা যায় তবে এর চেয়ে একটু পিছনে গেলে (অর্থাৎ জীবিত গ্রেফতার করতে পারলে) আমাদের লাভ বেশী। অর্থাৎ তখন তাদের থেকে আমরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। এর উদাহরণ হলো এই যে, কম্পিউটার ইত্যাদি যা কিছুই তারা জব্দ করতে পারে, তা থেকেই তাদের বিভিন্ন প্রকারের তথ্য-ভান্ডার অর্জিত হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? ব্যাপারে এই হাদিসটি আমাদের ভাইদের সামনে থাকা উচিত-


    من حسن إسلام المرء تركه مالا يعنيه.

    “ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো: অহেতুক সব বিষয় বর্জন করা।”(সুনানে তিরমিযী)

    একটি কথা খুব ভালো করে স্মরণ রাখতে হবে, যে বিষয়ের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, সে বিষয়ে তথ্য না নেওয়া। যে কথার সাথে আমার কাজের কোন সম্পর্ক নেই, তা শুনব কেন? তা পড়ব কেন? এটাই উত্তম ইসলাম, এর উপরই আমাদের সকলের আমল করা উচিতলক্ষ্য করুন! আমরা কি করি? আমরা সমস্ত তথ্যভান্ডার জমা করিঅথচ নিরাপত্তা নিশ্চিত করি নাআর যদিওবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। তারপরও তা জিহাদের ক্ষতি-ই করে। তাই আমাদের বিভিন্ন তথ্য জমা করার আগ্রহকে অন্তর থেকে বিদায় করে দিতে হবে।

    দ্বিতীয়ত: ব্যাপকভাবে আমাদের মাঝে একটা মূলনীতির চর্চা হয়ে আসছে, যা শতভাগ ভুল। যত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা তাদের বই-পুস্তকে মূলনীতিটি এভাবে লিখেছেন যে, আমি আমার সাথীকে সব বিষয় বলতে পারব শুধু সে বিষয় ব্যতীত যা খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা ভুল মূলনীতি, যা শতভাগ ভুল। অথচ আমরা সবাই এই মূলনীতির উপর চলি। আমি তাকে পুরো ঘটনা খুলে বলেছি। এও বলেছি যে, আমি কোথা থেকে এসেছি। সেখানে আমার সাথে কি হয়েছে? আর কে ছিলো? শুধু এতটুকু বলিনি যে, আমার বাড়ি কোথায়। আমি এটা সেটা সব বলব কিন্তু শুধু এটা বলব না যে, আমি কোন এলাকা থেকে এসেছি। সে তো আমার নিকট থেকে সবই শুনেছে, তখন মনে মনে সে তো আমাকে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পাচ্ছে যে, আমি কোথা থেকে এসেছি? আমি না বললেও, সে পূর্বাপর বিবেচনা করে বলে দেয় যে, আমার বিশ্বাস আপনি অমুক এলাকা থেকে এসেছেন। এখানে আমি এই উসূলের আমল করেছি যে, আমি সব বলতে পারব, শুধু একটি বিষয় ব্যতিত কিন্তু মূল উসূল বা মূলনীতির উপর যদি আমল করি, তাহলে আশা করি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আসল মূলনীতি হলো: আমি আমার সাথীকে শুধু ততটুকুই বলব, যতটুকু জানা তার জরুরত বা প্রয়োজন। বুঝতে পেরেছেন? নিজ তথ্যভান্ডার নিজের কাছেই রেখে দিব। এই উসূলটির উপর আমল করব। কিন্তু এ মূলনীতির উপর আমল করতে গিয়ে আমাদের সামনে একটা সমস্যা এসে দাঁড়ায় তা হলো- (মাশা-আল্লাহ) দেখা যায় ১৮ বা ২০/২৫ জন সাথী এক স্থানে বসে আছেকিন্তু কেউ কোন কথা না বলে মুখ বন্ধ করে রাখে। বসে বসে একজন আরেকজনকে শুধু দেখে! এমনটি হওয়া উচিত নয়। বরং কথা বলার তো কত বিষয়ই আছে? সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলুন। জিহাদের মধ্যে একজন অন্যজনকে খুশি করাও অনেক বড় ইবাদত। এমন যেন না হয় যে, আমি খামুশ/চুপ হয়ে বসে থাকি। অনেক ঘটনাই তো আছে? আমরা সেগুলো বলব। তাই আপনারা এই মূলনীতিটি খুব খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এই মূলনীতির উপর চলার তাওফীক দান করুন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই জিহাদকে আমাদের জন্য সহজ করে দেন। (আমীন)

    এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি বিষয়: যে সব ভাইকে আমরা আমাদের পরিবারভুক্ত মনে করি, তাদের সামনে একটি দরখাস্ত। যদিও কাজটা অনেক মুশকিল, মূলত: সব কাজই মুশকিল। আল্লাহ তা‘আলা মুশকিলগুলোকে আমাদের জন্য সহজ করে দিনআমরা যেন এ উসূলগুলো সামনে রেখে আমল করতে পারি এবং অন্যদেরও যেন এই মূলনীতি অনুযায়ী আমল করানো যায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই মূলনীতিগুলো আমরা আমাদের ঘরোয়া লোকদেরকেও বলবো এবং শেখাবো। আমরা সকল মুজাহিদ একই পরিবারভুক্ত। আমাদের ভাইদের অসচেতনতার কারণে আমাদের বোনদেরও কষ্ট হতে পারে। এখানে যেহেতু আমরা সবাই এক দেহের মত এবং আমাদের এ দেহ এখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে। তাই আমাদের কোন সদস্য কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছে? কোথায় আছে? এভাবে তারা আমাদের খবর নিয়ে নিবে। যখন এ মূলনীতিগুলো আমাদের বোনদের সামনে আসবে। আল্লাহ তা‘আলার দরবারে খুব মজবুতভাবে আশা করা যায় যে, আমাদের বোনগণ নিরাপত্তার ব্যাপারে আরও বেশী সচেতন হবেন। এটা একটা অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয় যে, জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ে বোনেরা, নিজের ভাইদেরকে এবং স্বামীদেরকে বেশী নসীহত করেন, যেন তাদের কোন ক্ষতি না হয়। তাই বোনদের প্রতি দরখাস্ত হলো: যে ক্ষতি হবে, তা জিহাদেরই ক্ষতি। যখন এটা স্পষ্ট হলো যে, এ যুদ্ধ হচ্ছে: তথ্য যুদ্ধ। তারাও তথ্য নেওয়ার জন্য ঘুরে, আমাদের ভাইয়েরাও তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করে। যদি আল্লাহ না করুন! এ তথ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের হাতে চলে যায়। তাহলে আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদেরকে সহযোগিতা করলাম।

    আরও একটি কথা বলি। একজন সম্মানিত ব্যক্তি বলেন, “যখন মানুষ একটা অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে চায়, তখন চল্লিশ দিন পর্যন্ত সে অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করা উচিত” আপনি নিজে নিজের উপর আবশ্যক করে নিন যে, আমি চল্লিশ দিন এ আমলটি করব। ভাই-বোন আমরা সবাই চল্লিশ দিন এ আমল করে দেখব। চল্লিশ দিন পর্যন্ত বোন বোনকে বলবে না, ভাই ভাইকে বলবে না। আমার কাছে কোন তথ্য থাকলে, তা আমি চল্লিশ দিন পর্যন্ত কাউকে বলবো না। যদি আমি চল্লিশ দিন পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং নিজেই নিজের হিসেব গ্রহণ করি। প্রত্যেক সকাল-সন্ধ্যা এ হিসাব করি যে, আমি আজ নিরাপত্তা বিষয়ে কি কি ভুল করেছি? আমরা যদি ৪০ দিন এমনটি করি। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তা অবলম্বন করা, আমার পক্ষে সহজ হয়ে যাবে। তাছাড়া হাদীসে এ কথাও আছে- من صمت نجا“যে চুপ থাকে, সে নাজাত পায়।” তাও হয়ে যাবে। আমরা আমাদেরকে এমন সব কথা থেকে বিরত রাখব, যার কারণে নিরাপত্তা নষ্ট হয়। তাহলে এই নিরাপত্তা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করবে না বরং ভালবাসা এবং আন্তরিকতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি আমরা একে অপরের সংশোধনের মাধ্যম হব এবং এই জিহাদের সহযোগিতার মাধ্যম হব। আর আমার ভিতরে এতটুকু অনুভূতি থাকতে হবে যে, আমার অসতর্কতার কারণে জিহাদের এত বড় ক্ষতি হতে পারে। তাহলে সতর্কতা বেড়ে যাবে। একজন সম্মানিত লোক বলেন, যখন মানুষ নিজের উপর আবশ্যক করে নিবে যে, আমি নিরাপত্তা অবলম্বন করব। তখন তার এই নিরাপত্তা অবলম্বনের মধ্যস্ততায় অনেক কিছু শেখা হবে। জিহাদে মুজাহিদীনের যে একতা, এটা ইনশা আল্লাহ নিরাপত্তা অবলম্বনের মাধ্যমে হবে। পুনরায় একটি কথা বলব- কোন জায়গায় দেখা গেলো যে, কয়েকজন ভাই শহীদ হয়েছেন। তারপর আমাদের উপর অনেক পরিমাণ বোমা বর্ষণ হয়েছে। তার কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, কারণ একটাইতা হলো: হয়তো দূর থেকে কোন মেহমান সাথীকে ওখানে আনা হয়েছে। যিনি নিজেও শহীদ হয়ে গেছেন। আর তার কাছে মোবাইল ছিল।

    ভাইয়েরা আমার! যিনি মেহমান তার জন্য তো উসূল বাতিল হয়নি। মেহমানের জন্য যেহেতু উসূল বাতিল হয়নি। তাই মেহমানকে নিজেদের প্রসিদ্ধ স্থানসমূহে আনা ঠিক হয়নি। আলহামদু লিল্লাহ্! আফগানিস্তানে প্রতিটি ঘর আপনাদের মেহমানখানা। কোন ঘরের দরজাই আপনাদের জন্য বন্ধ নেই যেখানেই কয়েকজন মেহমান মিলে যায়, তাদের ইজ্জত ও সম্মান করে বলা হয়- আরে! ওনাদেরকে ওখানে বসাও। ভালো করে মেহমানদারী করাও। অন্যান্য সাথীদের সংবাদ দিয়ে দাও যে, অমুক সাথী এসেছেন। যখন মেহমান আসে ও তার হাতে মোবাইল থাকে এবং তিনি প্রথম থেকেই নজরদারীর ভিতরে থাকেনতখন যেহেতু তিনি প্রথম থেকেই নজরদারীতে আছেন, তাই তারা সেখানে চলে আসে। এজন্যই যখন আমরা আমাদের মুজাহিদ মেহমানদেরকে মুহাব্বত এবং আন্তরিকতার সাথে বলব যে, আমার মনে হয় আপনাকে ওদিকে নিয়ে গেলে এবং ও দিকেই আপনার সাথে সবাই একত্রিত হলে ভালো হবে।

    আর খোদ যারা আমাদের পরিবারভুক্ত ভাই! এটা তো খুবই আফসোসের বিষয় যে, আমরা এমন পরিবেশেও একজন অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি যে, সে আমাকে তার ঘর দেখায়নি কেন? এই মূলনীতি সবাই নিজের জন্য আবশ্যক করে নিতে হবে যে, নিজের ঘর কাউকে দেখানো যাবে না। এটাকে যদি কেহ ভয় করে অথবা এতে যদি কেহ অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে যিম্মাদারের উচিত, তার এ অসন্তুষ্টি দূর করাকিন্তু খুব খেয়াল রাখতে হবে যে, একে অন্যকে নিজের ঘর দেখানো যাবে না। এতে অবশ্যই আমাদের বোনদের কষ্ট হয়, সাথীদের কষ্ট হয়। আমাদের ভাইদেরও কষ্ট হয়। সুতরাং যিম্মাদার ভাইদের জন্য উচিত, এমন ভাইদের জন্য এমন কোন জায়গা ঠিক রাখা, যেখানে তাদের আরাম হবে। সেখানে যদি কোন ফ্যামিলি থাকে এবং ঐ ফ্যামিলি তার খেদমতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে ভালো। কিন্তু মেহমান সাথী ভাই অবশ্যইঅবশ্যই এমন ইচ্ছা দেখাতে পারবে না যে, আমাকে ফ্যামিলি থাকে, এমন ঘরে রাখা হোক। যা কিছু বলার ইচ্ছে ছিলো তা বলা হয়ে গেছে, আলহামদুলিল্লাহযদি আমরা এ কথাগুলোর উপর আমল করি, তাহলে আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গরূপে নিরাপত্তা অবলম্বন করা সহজ হবে, (ইনশা আল্লাহ) আল্লাহ তা‘আলা এ কথাগুলোর উপর আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দিন। (আল্লাহুম্মা আমীন)


    وأخر دعوانا أن الحمد لله رب العلمين، سبحانك اللهم وبحمدك وأشهد أن لااله إلا الله واستغفرك وأتوب إليك
    .


    আরও পড়ুন


  • #2
    আল্লাহ আপনাদের উওম জাযাহ খাইর দান করুন !
    আমিন

    Comment


    • #3
      কারো প্যামিলিতে না যাওয়াই ভালো। এতে পর্দার খেলাফ হয়। এবং সেখানে অনেক মুল্যবান জিনিস পত্র থাকে। তখন কিছু যদি হারা যায় তাহলে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। অথবা আল্লাহ না করুক যদি কেউ শয়তানের কুমন্ত্রনার স্বীকার হয়। তখন সে আর মেহমান থাকবে না। তখন সে হয়ে যাবে অপরাধী। তখন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গোল্লায় যাবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        > যে বিষয়ের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, সে বিষয়ে তথ্য না নেওয়া। যে কথার সাথে আমার কাজের কোন সম্পর্ক নেই, তা শুনব কেন? তা পড়ব কেন? এটাই উত্তম ইসলাম, এর উপরই আমাদের সকলের আমল করা উচিত।

        > আমি আমার সাথীকে শুধু ততটুকুই বলব, যতটুকু জানা তার জরুরত বা প্রয়োজন।

        > নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই মূলনীতিগুলো আমরা আমাদের ঘরোয়া লোকদেরকেও বলবো এবং শেখাবো।

        > “যে চুপ থাকে, সে নাজাত পায়।” আমরা আমাদেরকে এমন সব কথা থেকে বিরত রাখব, যার কারণে নিরাপত্তা নষ্ট হয়।

        > যখন মানুষ একটা অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে চায়, তখন চল্লিশ দিন পর্যন্ত সে অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করা উচিত। আমার কাছে কোন তথ্য থাকলে, তা আমি চল্লিশ দিন পর্যন্ত কাউকে বলবো না। যদি আমি চল্লিশ দিন পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং নিজেই নিজের হিসেব গ্রহণ করি। প্রত্যেক সকাল-সন্ধ্যা এ হিসাব করি যে, আমি আজ নিরাপত্তা বিষয়ে কি কি ভুল করেছি? আমরা যদি ৪০ দিন এমনটি করি। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তা অবলম্বন করা, আমার পক্ষে সহজ হয়ে যাবে।

        আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল করার তাওফিক দিন, আমীন

        Comment

        Working...
        X