ক | যদিও মূল এন্ড্রয়েড ওপেনসোর্স,
কিন্তু বাজারে পাওয়া যায় এমন এন্ড্রয়েড
গুলোর সবগুলোতেই অনেক
ক্লোজ সোর্স এপস আছে।
খ। ক্লোজ সোর্স এপস মানে হচ্ছে সেই এপস
কীভাবে কাজ করে, কী কী কাজ করে--
এগুলো অন্যরা দেখার/বুঝার/জানার সুযোগ নেই ৷
যেমন: গুগলের কী-বোর্ড (Gboard), ক্যামেরা এপস ইত্যাদি ক্লোজ সোর্স।
তাই গুগল আপনার টাইপ করা সবকিছু নিজের
কাছে জমা রাখছে কিনা, অজান্তেই আপনার ছবি, আশেপাশের ছবি তুলে নিচ্ছে কিনা--
এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
গ। ফেসবুকে আইটি এক্সপার্ট কিছু কিছু মুসলিম ভাই এটিও জানিয়েছেন যে, উনারা যে দ্রব্য কেনার আলাপ বন্ধু-দ্বীনি ভাইদের সাথে করেছেন
সেগুলোর এড একটু পর থেকে উনাদের ফেসবুক নিউজ ফিডে আসা শুরু হয়েছে। এগুলো একাধিকবার হয়েছে। অর্থাৎ গুগল, ফেসবুক এরা আপনার-আমার কথাগুলো তাদের কাছে নিয়ে, সেগুলো এনালাইসিস করে যে দ্রব্য আমরা কিনতে চাচ্ছি__
সেই দ্রব্যের এড নিজেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাহলে আরও কী কী কথা তারা শুনছেচিন্তার ব্যাপার ।
অনেকগুলো এপ যেহেতু ক্লোজ সোর্স যার ভিতরে কীভাবে কাজ করে-_ তা অন্যরা দেখার-যাচাই করার উপায় নেই, তাই আসলেই কী ঘটছে-- তা বুঝার কোনো উপায় নেই।
ঘ। আমাদের এন্ড্রয়েড ব্যবহারে খুবই সতর্ক হওয়া জরুরি । যাদের সুযোগ আছে তাদের জন্য সর্বাত্মকভাবে এন্ড্রয়েড ব্যবহার কমিয়ে দেয়া উচিত। (আল্লাহু আলাম)
১| আমরা জানি, এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে বানানো ।
সেখান থেকে আমাদের কারো কারো ধারণা হচ্ছে এন্ড্রয়েডও লিনাক্সের মতো ওপেন সোর্স*।
আসলে কথাটা পুরোপুরি ভুল না হলেও সঠিকও না।
২। এন্ড্রয়েড প্রজেক্টটি ২০০৫ সালে android inc. নামের একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করে।
যেটা ২ বছর পর ২০০৭ সালে গুগল এর অধীনে চলে আসে । গুগল প্রজেক্টটিকে ফ্রি এবং ওপেন সোর্স
2. ওপেন সোর্স বলতে এমন সফটওয়্যারকে বোঝায় যা লোকেরা পরিবর্তন এবং ইচ্ছেমত বিতরণ করতে পারে কারণ এর সবকিছুই সর্বজনীনভাবে প্রকাশিত
(FOSS) করে রাখে |
এর মানে যে কেউ এই কোড দেখতে পারবে, নিজের মত এডিটও করতে পারবে। ইচ্ছে করলে মূল কোডে অবদানও রাখতে পারবে ।
কিন্তু এই প্রজেক্টটি আসলে অন্যান্য লিনাক্স ভিত্তিক প্রজেক্টের মত কমিউনিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়নি। গুগল প্রজেক্টেটির উপর তার পুরো কর্তৃত্ব বাজায় রেখেছে।
৩। এছাড়াও এই প্রজেক্টের লাইসেস, এটার থেকে তৈরি যেকোনো প্রজেক্টকে ক্লোজ সোর্স করার অনুমতি দেয়।
এর ফলে দেখা যায় বড় বড় অনেক কোম্পানি এই প্রজেক্ট এর উপর কাজ করে নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে সেগুলোকে ক্লোজসোর্স করে ফেলে মজার কথা হচ্ছে আমাদের হাতের প্রায় সকল এন্ড্রয়েডই এইরকম ক্লোজসোৰ্স এন্ড্রয়েড ৷
স্যামসাং, শাওমি থেকে শুরু করে যা আছে প্রায় সবই এরকম ক্লোজসোর্স এন্ড্রয়েড |
৪। গুগলের অধীনে এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট যখন শুরু হয় তখন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গুগলের মার্কেট শেয়ার ছিল শূন্যের কোঠায়।
তাই গুগল তখন একে ফ্রি এবং ওপেনসোর্স প্রজেক্ট হিসেবেই রিলিজ করে।
এতে করে অনেক ভেন্ডর এই প্রজেক্টের উপর ভিত্তি করে স্মার্টফোন তৈরি করার সুযোগ পায়।
ফলে এন্ড্রয়েডের জন্য অনেক ডেভলপার এবং এপস তৈরি হয়ে যায়। অবস্থা এমন হয় যে, এন্ড্রয়েডের সামনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দী টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে।
৫ ৷ কিন্তু এন্ড্রয়েড যেহেতু ওপেনসোর্স, তাই যে কেউ এটার উপর কাজ করে নিজের ওপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে পারবে ।
অর্থাৎ কোনো কোম্পানি ইচ্ছে করলে AOSP থেকে গুগলে সার্ভিসগুলো বাদ দিয়ে নিজেদের সার্ভিস এড করে মোবাইল মার্কেটে ছাড়ার অধিকার রাখে ।
আর এটি এন্ড্রয়েড হওয়ায় ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া মিলিয়ন মিলিয়ন এপসও সাপোর্ট করবে।
শুধু নিজেদের একটি এপস সেন্টার তৈরি করতে হবে।
এইভাবে কোনো কোম্পানি এন্ড্রয়েডের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারে, গুগলকে বিন্দুমাত্র উপকৃত না করেই।
যেটা বর্তমান ৭০%-৮০% মাৰ্কেট শেয়ারের মালিক গুগলের জন্য মেনে নেয়া কঠিন
গুগল AOSP এর ওপেনসোর্স এপগুলোর উন্নয়নের পরিবর্তে নিজেদের তৈরি ক্লোজ সোর্স এপগুলো
উন্নত করতে থাকে এবং এন্ড্রয়েডকে Google Apps (Gapps) ব্যবহারের একটি ফাঁদে পরিণত করে।
3. https://source.android.com ব্যবহার এখন ব্যবহারযোগ্যতা এবং প্রাইভেসির দিক দিয়ে অনেক উপযোগী৷
Lineage OS, Graphene OS, Calyx OS etc
এখন সাধারণ কাজের জন্য বেশ ভালো অপশন । যদিও বেশিরভাগ ফোনে এখনো এই ওপারেটিং সিস্টেমগুলো শতভাগ ঠিকভাবে কাজ করে না।
📔 এন্ড্রেয়েড সম্পূর্ণ গাইড
📝 নীরবতার প্রাচীর
কিন্তু বাজারে পাওয়া যায় এমন এন্ড্রয়েড
গুলোর সবগুলোতেই অনেক
ক্লোজ সোর্স এপস আছে।
খ। ক্লোজ সোর্স এপস মানে হচ্ছে সেই এপস
কীভাবে কাজ করে, কী কী কাজ করে--
এগুলো অন্যরা দেখার/বুঝার/জানার সুযোগ নেই ৷
যেমন: গুগলের কী-বোর্ড (Gboard), ক্যামেরা এপস ইত্যাদি ক্লোজ সোর্স।
তাই গুগল আপনার টাইপ করা সবকিছু নিজের
কাছে জমা রাখছে কিনা, অজান্তেই আপনার ছবি, আশেপাশের ছবি তুলে নিচ্ছে কিনা--
এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
গ। ফেসবুকে আইটি এক্সপার্ট কিছু কিছু মুসলিম ভাই এটিও জানিয়েছেন যে, উনারা যে দ্রব্য কেনার আলাপ বন্ধু-দ্বীনি ভাইদের সাথে করেছেন
সেগুলোর এড একটু পর থেকে উনাদের ফেসবুক নিউজ ফিডে আসা শুরু হয়েছে। এগুলো একাধিকবার হয়েছে। অর্থাৎ গুগল, ফেসবুক এরা আপনার-আমার কথাগুলো তাদের কাছে নিয়ে, সেগুলো এনালাইসিস করে যে দ্রব্য আমরা কিনতে চাচ্ছি__
সেই দ্রব্যের এড নিজেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাহলে আরও কী কী কথা তারা শুনছেচিন্তার ব্যাপার ।
অনেকগুলো এপ যেহেতু ক্লোজ সোর্স যার ভিতরে কীভাবে কাজ করে-_ তা অন্যরা দেখার-যাচাই করার উপায় নেই, তাই আসলেই কী ঘটছে-- তা বুঝার কোনো উপায় নেই।
ঘ। আমাদের এন্ড্রয়েড ব্যবহারে খুবই সতর্ক হওয়া জরুরি । যাদের সুযোগ আছে তাদের জন্য সর্বাত্মকভাবে এন্ড্রয়েড ব্যবহার কমিয়ে দেয়া উচিত। (আল্লাহু আলাম)
১| আমরা জানি, এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে বানানো ।
সেখান থেকে আমাদের কারো কারো ধারণা হচ্ছে এন্ড্রয়েডও লিনাক্সের মতো ওপেন সোর্স*।
আসলে কথাটা পুরোপুরি ভুল না হলেও সঠিকও না।
২। এন্ড্রয়েড প্রজেক্টটি ২০০৫ সালে android inc. নামের একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করে।
যেটা ২ বছর পর ২০০৭ সালে গুগল এর অধীনে চলে আসে । গুগল প্রজেক্টটিকে ফ্রি এবং ওপেন সোর্স
2. ওপেন সোর্স বলতে এমন সফটওয়্যারকে বোঝায় যা লোকেরা পরিবর্তন এবং ইচ্ছেমত বিতরণ করতে পারে কারণ এর সবকিছুই সর্বজনীনভাবে প্রকাশিত
(FOSS) করে রাখে |
এর মানে যে কেউ এই কোড দেখতে পারবে, নিজের মত এডিটও করতে পারবে। ইচ্ছে করলে মূল কোডে অবদানও রাখতে পারবে ।
কিন্তু এই প্রজেক্টটি আসলে অন্যান্য লিনাক্স ভিত্তিক প্রজেক্টের মত কমিউনিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়নি। গুগল প্রজেক্টেটির উপর তার পুরো কর্তৃত্ব বাজায় রেখেছে।
৩। এছাড়াও এই প্রজেক্টের লাইসেস, এটার থেকে তৈরি যেকোনো প্রজেক্টকে ক্লোজ সোর্স করার অনুমতি দেয়।
এর ফলে দেখা যায় বড় বড় অনেক কোম্পানি এই প্রজেক্ট এর উপর কাজ করে নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে সেগুলোকে ক্লোজসোর্স করে ফেলে মজার কথা হচ্ছে আমাদের হাতের প্রায় সকল এন্ড্রয়েডই এইরকম ক্লোজসোৰ্স এন্ড্রয়েড ৷
স্যামসাং, শাওমি থেকে শুরু করে যা আছে প্রায় সবই এরকম ক্লোজসোর্স এন্ড্রয়েড |
৪। গুগলের অধীনে এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট যখন শুরু হয় তখন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গুগলের মার্কেট শেয়ার ছিল শূন্যের কোঠায়।
তাই গুগল তখন একে ফ্রি এবং ওপেনসোর্স প্রজেক্ট হিসেবেই রিলিজ করে।
এতে করে অনেক ভেন্ডর এই প্রজেক্টের উপর ভিত্তি করে স্মার্টফোন তৈরি করার সুযোগ পায়।
ফলে এন্ড্রয়েডের জন্য অনেক ডেভলপার এবং এপস তৈরি হয়ে যায়। অবস্থা এমন হয় যে, এন্ড্রয়েডের সামনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দী টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে।
৫ ৷ কিন্তু এন্ড্রয়েড যেহেতু ওপেনসোর্স, তাই যে কেউ এটার উপর কাজ করে নিজের ওপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে পারবে ।
অর্থাৎ কোনো কোম্পানি ইচ্ছে করলে AOSP থেকে গুগলে সার্ভিসগুলো বাদ দিয়ে নিজেদের সার্ভিস এড করে মোবাইল মার্কেটে ছাড়ার অধিকার রাখে ।
আর এটি এন্ড্রয়েড হওয়ায় ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া মিলিয়ন মিলিয়ন এপসও সাপোর্ট করবে।
শুধু নিজেদের একটি এপস সেন্টার তৈরি করতে হবে।
এইভাবে কোনো কোম্পানি এন্ড্রয়েডের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারে, গুগলকে বিন্দুমাত্র উপকৃত না করেই।
যেটা বর্তমান ৭০%-৮০% মাৰ্কেট শেয়ারের মালিক গুগলের জন্য মেনে নেয়া কঠিন
গুগল AOSP এর ওপেনসোর্স এপগুলোর উন্নয়নের পরিবর্তে নিজেদের তৈরি ক্লোজ সোর্স এপগুলো
উন্নত করতে থাকে এবং এন্ড্রয়েডকে Google Apps (Gapps) ব্যবহারের একটি ফাঁদে পরিণত করে।
3. https://source.android.com ব্যবহার এখন ব্যবহারযোগ্যতা এবং প্রাইভেসির দিক দিয়ে অনেক উপযোগী৷
Lineage OS, Graphene OS, Calyx OS etc
এখন সাধারণ কাজের জন্য বেশ ভালো অপশন । যদিও বেশিরভাগ ফোনে এখনো এই ওপারেটিং সিস্টেমগুলো শতভাগ ঠিকভাবে কাজ করে না।
📔 এন্ড্রেয়েড সম্পূর্ণ গাইড
📝 নীরবতার প্রাচীর
Comment