Announcement

Collapse
No announcement yet.

পিআর ফার্ম এবং বট আইডি: মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল যুদ্ধ এবং এর মোকাবিলা || " পর্ব - ৩ " (শেষ পর্ব)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পিআর ফার্ম এবং বট আইডি: মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল যুদ্ধ এবং এর মোকাবিলা || " পর্ব - ৩ " (শেষ পর্ব)

    পিআর ফার্ম এবং বট আইডি: মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল যুদ্ধ এবং এর মোকাবিলা

    " পর্ব - ৩ "
    ( শেষ পর্ব )





    পিআর ফার্ম এবং বট আইডি: মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ব্যবহার
    .
    পিআর ফার্ম এবং বট আইডির কার্যক্রমের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে জনমত প্রভাবিত করার এবং ইসলামফোবিয়া ছড়ানোর একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা সারা বিশ্বে দৃশ্যমান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পিআর ফার্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বট আইডির সক্রিয় ব্যবহার মুসলিমদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমে মুসলিমদের প্রায়শই সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার সাথে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটলেই তার সাথে ইসলাম বা মুসলিমদের নাম জড়ানোর মাধ্যমে সারা বিশ্বে ইসলামফোবিয়া বৃদ্ধির একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা দেখা যায়। এই কাজগুলোতে পিআর ফার্মগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, যারা পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট বার্তা প্রচার করে এবং বট আইডির মাধ্যমে সেটিকে ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছে এমন একটি ভুয়া ধারণা তৈরি করে।
    .
    রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতেও এই ফার্মগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মুসলিম দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তোলার জন্য প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, আরব বসন্তের সময়ও পিআর ফার্ম এবং বট আইডি ব্যবহার করেছিল বিভিন্ন সরকার এবং পশ্চিমারা। ফিলিস্তিন সংকটেও এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। মিডিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনের মানবিক সংকটকে আড়াল করে ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রমকে ন্যায্যতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন মুসলিম দেশগুলোতে বিভক্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি হ্রাস পাচ্ছে।
    .
    সামাজিক বিভাজন সৃষ্টিতেও এই কার্যক্রম প্রভাব ফেলছে। মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য ভুয়া খবর এবং নেতিবাচক প্রচারণা ছড়ানো হয়। এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আরেক সম্প্রদায়কে খেপিয়ে তুলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা হয়। এটি কেবল ধর্মীয় সহিংসতাকেই উস্কে দেয় না, বরং মুসলিম যুবকদের মধ্যে হতাশা এবং বিভ্রান্তি তৈরি করে। এসব প্রচারণার ফলে যুবকরা কখনো কখনো বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত হয়। ফলে সমাজে একটি দীর্ঘস্থায়ী বিভক্তি সৃষ্টি হয়, যা কেবল মুসলিম সম্প্রদায় নয়, পুরো বিশ্বেই সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করে।
    .
    এই ধরনের প্রোপাগান্ডা কৌশলগুলো গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রায়শই অদৃশ্য থেকে যায়। কিন্তু এর প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী, যা মুসলিমদের বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং মুসলিম-বিরোধী মনোভাবকে জোরদার করে।
    .
    ১. ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট
    .
    ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের সময় ইসরায়েল পিআর ফার্ম এবং বট আইডি ব্যবহার করে নিজস্ব অবস্থানকে বৈধতা দিতে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালায়।

    - ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ এবং প্রতিরোধকে "সন্ত্রাসবাদ" হিসেবে উপস্থাপন করে।

    - ফেসবুক এবং টুইটারে ইসরায়েলি পিআর ফার্মগুলো হাজার হাজার ভুয়া পোস্ট ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়, যাতে তাদের সামরিক পদক্ষেপকে আত্মরক্ষা হিসেবে দেখানো হয়।

    - উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক গাজার বোমা হামলার সময় ইসরায়েলি পিআর টিম দাবি করেছিল যে, এটি শুধুমাত্র "সন্ত্রাসী হুমকি" মোকাবিলা করছে।
    .
    ২. বিজেপির আইটি সেল
    .
    ভারতে বিজেপি তাদের আইটি সেল ব্যবহার করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালায়।

    - বিজেপি আইটি সেল সোশ্যাল মিডিয়ায় "লাভ জিহাদ," "ঘর ওয়াপসি" এবং "সন্ত্রাসবাদী মুসলিম" ধারণা ছড়িয়েছে।

    - ২০১৯ সালে দিল্লি দাঙ্গার সময় বিজেপি সমর্থিত বট আইডি এবং পিআর ফার্ম মুসলিমদের দাঙ্গার জন্য দায়ী করে মিথ্যা প্রচারণা চালায়।

    - বিজেপি নেতা অমিত শাহের নেতৃত্বে আইটি সেল মুসলিম বিরোধী হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করিয়ে জনমনে ঘৃণা সৃষ্টি করেছিল।
    .
    ৩. ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা
    .
    ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণায় পিআর ফার্ম এবং বট আইডি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
    - কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ডেটা চুরি করে এবং তাদের মানসিক প্রোফাইল তৈরি করে মাইক্রো-টার্গেটিং চালিয়েছিল।

    - মুসলিম নিষেধাজ্ঞার প্রচারণার সময় ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামফোবিক বার্তা ছড়িয়ে ভোটারদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করেন।

    - মিথ্যা প্রচারণা এবং বট আইডি ব্যবহার করে হিলারি ক্লিনটনের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।

    এগুলো তো মাত্র কয়েকটা উদাহরণ। আপনারা চাইলে আরো সার্চ করতে পারেন এরকম হাজার হাজার ঘটনা পাবেন ইনশাআল্লাহ্‌। বিশেষ করে বিজেপির আইটি সেল এর কাজ অনেক বিশাল। বিজেপির আইটি সেলের কাজ নিয়ে কিছু ঘাটাঘাটি করে দেখলেই বুঝতে পারবেন এই দুনিয়াতে কি চলতেছে!
    .
    মুসলিম উম্মাহর করণীয়:

    ১. নিজেদের মিডিয়া শক্তি তৈরি করা


    মুসলিম উম্মাহর উচিত নিজস্ব পিআর ফার্ম এবং মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।

    - ফিলিস্তিন বা কাশ্মীরের মতো ইস্যুতে সত্য তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচারণা চালানো।

    - ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সারদের সহায়তায় ইতিবাচক বার্তা ছড়ানো।

    ২. ডিজিটাল শিক্ষা এবং সচেতনতা


    মুসলিম যুবকদের ডিজিটাল মাধ্যমে সচেতন হতে হবে।

    - বট আইডি এবং মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

    - ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য পরিষ্কার করতে হবে।

    ৩. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার


    ডিজিটাল যুদ্ধ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হবে।

    - সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক প্রচারণা শনাক্ত এবং ব্লক করার জন্য সফটওয়্যার তৈরি।

    - প্রোপাগান্ডা এবং ভুয়া তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার।

    ৪. একতাবদ্ধ প্রচারণা চালানো


    মুসলিমরা একত্রিত হয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অবস্থান তুলে ধরতে হবে।

    - এককভাবে নয়, বরং দলবদ্ধ প্রচারণা চালিয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করা।

    - উদাহরণস্বরূপ, মুসলিমদের কোন আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে একক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেতে পারে।
    .
    উপরে যে ৪ টা করনীয়র কথা বলা হলো এগুলো আসলে বর্তমান মুসলিম উম্মাহর হালতে কতটা অসম্ভব আপনারাই বুঝতেছেন। দেখা যায় মুসলিম জনগনের দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুধু নামেই মুসলিম, কাজে ইউরোপ থেকেও কড়া সেক্যুলার আবার এক নায়কের মতো শাসন করে থাকে। তাই উপরে এসব করনীয় তখন সম্ভব যখন আসলেই মুসলিম দেশ গুলো প্রকৃত ইসলাম দ্বারা শাসন হবে, আর এটা কবে সম্ভব হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন।
    .
    তাহলে কি আমরা কিছু করতে পারবো না এসব পি আর ফার্ম এবং বট আইডির বিরোদ্ধে?
    .
    বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে চলমান প্রোপাগান্ডা এবং ডিজিটাল আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে যে বহুমুখী প্রচারণা চলছে, তা প্রতিরোধে আমাদের সচেতন ও সংগঠিত হওয়া জরুরি। যেহেতু ইসলামকে কেন্দ্র করে পরিচালিত শক্তিশালী রাষ্ট্র বা শাসক এখন প্রায় অনুপস্থিত, এবং যারা আছেন, তারাও বহির্বিশ্বের চাপের কারণে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে পারছেন না, তাই আমাদের প্রত্যেককেই ব্যক্তিগতভাবে এই যুদ্ধের এক একজন সৈনিক হয়ে কাজ করতে হবে।
    .
    আমরা যেসব পদক্ষেপ নিতে পারি তা হলো:

    ১. সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন:

    প্রত্যেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মে বেশি বেশি আইডি তৈরি করে ইসলামের পক্ষে প্রচারণা চালাতে হবে। আমাদের উম্মাহর পক্ষে শক্তিশালী বার্তা তুলে ধরতে হবে এবং মুসলিম-বিরোধী প্রোপাগান্ডার জবাব দিতে হবে। মুলত কমেন্ট এবং রিয়েক্ট দেয়ার জন্যে প্রচুর আইডি দরকার।

    ২. একাধিক আইডি তৈরি ও ব্যবস্থাপনা:

    - নিজের একটি মূল (অরিজিনাল) আইডি রেখে বাকি আইডিগুলোতে ভিন্ন নাম ও ভুয়া তথ্য ব্যবহার করতে হবে।
    - এই ফেক আইডিগুলোকে এমনভাবে সাজাতে হবে, যেন তা আসল মনে হয়।
    - ফেক আইডিগুলোর মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিচালিত প্রচারণার জবাব দেওয়া এবং ইসলামের সঠিক দিক তুলে ধরা।
    - কোনো ফেক আইডিতে ব্যক্তিগত তথ্য বা পরিচিত কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না। এই ধরনের কাজের কথা ভুলেও কাউকে বলা যাবে না।

    ৩. মুসলিম-বিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া:

    - বিরোধী পোস্ট বা মন্তব্যগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে মন্তব্য করা। এর জন্যে অনেক আলেমদের লিখা দেখা যেতে পারে যা ইন্টার্নেটে সহজেই পাওয়া যাবে গুগোলে সার্চের মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির হেল্পও নিতে পারেন চাইলে।
    - ইসলামফোবিক পোস্টগুলোতে "এ্যাংরি" বা "ব্যাড" রিয়েক্ট দেওয়া।
    - ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষের বার্তা প্রচারের মাধ্যমে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা।

    ৪. নিয়মিত সময় ব্যয় করা:

    প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় এই কাজে উৎসর্গ করতে হবে। এটি একটি চলমান যুদ্ধ, যেখানে আমরা সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বড় ভূমিকা রাখতে পারি। দিন শেষে এটি শুধুই দুনিয়ার কাজ নয়; বরং এটি একটি ইবাদতের অংশও হতে পারে।

    ৫. উপযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার:

    - প্রয়োজন হলে এই কাজে কিছু টাকা খরচ করে (যদি আপনার কাছে এরকম খরচ করার মতো টাকা থাকে) অতিরিক্ত মোবাইল ফোন বা পিসি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
    - মোবাইল অ্যাপ ক্লোনিং ব্যবহার করে একই ডিভাইসে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট লগইন করে কাজ করা। এটি সময় সাশ্রয়ী এবং কার্যকর।

    ৬. আত্মশিক্ষা ও গবেষণা:

    নিজে এসব বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করতে হবে। কীভাবে আরও দক্ষভাবে ইসলাম-বিরোধী প্রচারণার জবাব দেওয়া যায়, সেই কৌশল তৈরি করতে হবে। এটি কেবল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার জন্যও সহায়ক হবে।

    ৭. অন্যদের উদ্বুদ্ধ করা:

    নিজে শুধু অংশগ্রহণ করলেই হবে না; বরং অন্য মুসলিম ভাই-বোনদেরও এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে হবে এবং বোঝাতে হবে যে, আমাদের উম্মাহ এখন বড় সংকটের মুখে রয়েছে।

    ৮. উম্মাহর প্রতি দায়িত্ব পালন:

    মুসলিম উম্মাহ আজ বিশ্বজুড়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবার উচিত নিজেদের অবস্থান থেকে যা যা করা সম্ভব, তা করা। কেউ হয়তো সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে অংশ নেবে, কেউ ব্যাখ্যা করে ইসলামিক বার্তা ছড়াবে, আবার কেউ সরাসরি ইসলামফোবিয়ার জবাব দেবে। প্রত্যেকেই তার সামর্থ্য অনুযায়ী এই যুদ্ধে অবদান রাখতে পারে।
    .
    বুঝতেই পারতেছেন কাজ কেমন হওয়া উচিত। অর্থাৎ আমাদেরও পি আর ফার্ম এবং বট আইডির মতো কাজ করতে হবে সবাই মিলে। এবং সবাই মিলে এটা করলে তাদের থেকেই বেশিই করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ। আমাদের উম্মাহর জন্য এই সময়ে কিছু না কিছু করা একান্ত প্রয়োজন। এটা শুধু একটি দায়িত্ব নয়; বরং এটি আমাদের ঈমানেরও দাবি। আমাদের নিজেদের শ্রম ও সময় উৎসর্গ করে, পরিকল্পিতভাবে এবং ধৈর্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
    .
    পিআর ফার্ম এবং বট আইডি আধুনিক যুগে প্রভাব বিস্তারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালী গোষ্ঠী এবং রাষ্ট্রগুলো এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে এবং মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। মুসলিমদের উচিত সোশ্যাল মিডিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করা। নিজস্ব মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ডিজিটাল শিক্ষা, এবং একতাবদ্ধ প্রচারণা চালিয়ে মুসলিম উম্মাহ এই ডিজিটাল যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারে। কারণ, এই লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়া মানেই বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান হারানো।​

    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 2 weeks ago.

  • #2
    এটার সমাধান এর বিষয়েও কিছু লিখবেন ইনশা আল্লাহ

    Comment


    • #3
      আল্লাহর সৈনিকরা প্রস্তুত হচ্ছে , বিজয় আমাদের হবেই এটা আল্লাহতায়ালার ওয়াদা ।

      Comment


      • #4
        আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন?
        [প্রিয় Rayhan Kabir ভাই, সবসময় পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক কমেন্ট কাম্য।-মডারেটর]
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 2 weeks ago.

        Comment

        Working...
        X